ট্রেন্ট ব্রিজ (ইংরেজি: Trent Bridge) নটিংহ্যামশায়ারের ওয়েস্ট ব্রিজফোর্ড এলাকায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম। এখানে ইংল্যান্ড দল সফরকারী দলের সাথে টেস্ট, একদিনের আন্তর্জাতিক খেলায় একে-অপরের বিপক্ষে মোকাবেলা করে। নটিংহ্যামশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের সদর দফতর এখানে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এবং নটিংহ্যামশায়ারের নিজস্ব খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হবার পাশাপাশি দুইবার আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতার খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০০৯ সালে আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় দক্ষিণ আফ্রিকা এবং পাকিস্তানের মধ্যকার সেমি-ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে এখানে। এ স্থানটির নামকরণ হয়েছে কাছাকাছি থাকা ট্রেন্ট নদী ও এর উপর সংযোগকারী ব্রিজ থেকে, যা মিডো লেন এবং সিটি গ্রাউন্ড, নটস কাউন্টির ফুটবল স্টেডিয়া ও নটিংহ্যাম ফরেস্টকে একত্রিত করেছে।

ট্রেন্ট ব্রিজ
Trent Bridge MMB 01 England vs New Zealand.jpg
স্টেডিয়ামের তথ্যাবলি
অবস্থানওয়েস্ট ব্রিজফোর্ড, নটিংহ্যামশায়ার, ইংল্যান্ড
দেশইংল্যান্ড
প্রতিষ্ঠা১৮৩০-এর দশকে
ধারণক্ষমতা১৭,৫০০
ভাড়াটেনটিংহ্যামশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব
প্রান্তসমূহ
প্যাভিলিয়ন এন্ড
র‌্যাডক্লিফ রোড এন্ড
আন্তর্জাতিক খেলার তথ্য
প্রথম পুরুষ টেস্ট৩ জুন ১৮৯৯:
ইংল্যান্ড  বনাম  অস্ট্রেলিয়া
সর্বশেষ পুরুষ টেস্ট২৯ জুলাই ২০১১:
ইংল্যান্ড  বনাম  ভারত
প্রথম পুরুষ ওডিআই৩১ আগস্ট ১৯৭৪:
ইংল্যান্ড  বনাম  পাকিস্তান
সর্বশেষ পুরুষ ওডিআই১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯:
ইংল্যান্ড  বনাম  অস্ট্রেলিয়া
ঘরোয়া দলের তথ্য
নটিংহ্যামশায়ার (১৮৪০-বর্তমান)
১৫ ডিসেম্বর ২০০৭ অনুযায়ী
উৎস: CricketArchive

ইতিহাসসম্পাদনা

১৮৩০-এর দশকে সর্বপ্রথম ট্রেন্ট ব্রিজকে ক্রিকেট মাঠ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। ১৮৩৮ সালে এ মাঠের পিছনে অবস্থিত ট্রেন্ট ব্রিজ ইনে প্রথমবারের মতো ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠানের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। ১৮৯৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের টেস্ট খেলাটি ট্রেন্ট ব্রিজ স্টেডিয়ামের প্রথম টেস্ট খেলা।

ট্রেন্ট ব্রিজ ইনের স্বত্ত্বাধিকারী উইলিয়াম ক্লার্ক ১৮৪১ সালে মাঠের উদ্বোধন করেন এবং নিজেকে অল ইংল্যান্ড ক্রিকেট টিমের অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করেন।[১] তার স্মরণে ১৯৯০ সালে রাশক্লিফ স্যুইটের পরিবর্তে নিউ উইলিয়াম ক্লার্ক স্ট্যান্ড নামকরণ করা হয়েছিল। ওয়েস্ট ব্রিজফোর্ডের ওয়েস্ট পার্ক স্পোর্টস গ্রাউন্ডটি বিশিষ্ট ধনপতি স্যার জুলিয়েন ক্যানের ব্যক্তিগত মাঠ ছিল। প্রায়শঃই তিনি সফরকারী জাতীয় দলের বিপক্ষে স্বাগতিকদের হয়ে খেলতেন।

টেস্ট ম্যাচ রেকর্ডসম্পাদনা

  • মাঠের সর্বোচ্চ দলীয় রান ৬৫৮/৮ (ডিক্লেয়ার) সংগ্রহ করার অধিকার অর্জন করে স্বাগতিক ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৯৩৮ সালে।
  • সর্বনিম্ন দলীয় রান ৬০ সংগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়া ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৫ সালে।
  • ১৯৫৪ সালে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান করেন ডেনিস কম্পটন পাকিস্তান দলের বিরুদ্ধে।
  • গুগলির ধারণার প্রথম বোলার বার্নার্ড বোসেনকুয়েট ১৯০৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৮/১০৭ লাভ করেন।
  • সচিন তেন্ডুলকর তার নিজস্ব ব্যক্তিগত সংগ্রহ ১১,০০০ রানের মাইলফলক অতিক্রমণ করেন জুলাই, ২০০৭ সালে অনুষ্ঠিত ২য় টেস্টে।[২]

গ্যালারি চিত্রসম্পাদনা

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

আরও দেখুনসম্পাদনা

বহিঃসংযোগসম্পাদনা