রান (ক্রিকেট)
রান (ইংরেজি: Run) ক্রিকেটীয় পরিভাষাবিশেষ ও খেলার পয়েন্ট সংগ্রহকারী একক। ব্যাটসম্যান কর্তৃক রান সংগৃহীত হয় যা নিজস্ব অর্জনের পাশাপাশি দলীয় সংগ্রহশালাকে স্ফীত করে তোলে। যখন একজন ক্রিকেটার ৫০ রান বা ১০০ রান করেন, তখন তা যথাক্রমে অর্ধ-শতক ও শতক নামে অভিহিত করা হয়। এরফলে সংশ্লিষ্ট ব্যাটসম্যান বিশেষ গৌরব কিংবা সম্মাননার অধিকারী হন। এছাড়াও, দুইজন ব্যাটসম্যান যৌথভাবে ৫০ রান বা ১০০ রান করলেও তা একইভাবে উদ্যাপন করা হয়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্রায়ান লারা টেস্ট ও প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের উভয়ক্ষেত্রে সর্বাধিক রান করার বিশ্বরেকর্ডের অধিকারী হয়ে আছেন। অন্যদিকে, একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে সর্বাধিক রান করার কৃতিত্বের দাবীদার হচ্ছেন যথাক্রমে ভারতের রোহিত শর্মা এবং নিউজিল্যান্ডের ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম।
নিয়ম
সম্পাদনাক্রিকেটের আইনের ১৮নং ধারায় রানের বিষয়ে বিবৃত রয়েছে।[১] যখন দুইজন ব্যাটসম্যান পিচের একে-অপরের প্রান্তসীমা স্পর্শ করেন তখন রান পয়েন্ট আকারে ব্যক্তিগত ও দলীয় - উভয় পর্যায়ে যুক্ত হতে থাকে। সাধারণতঃ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে যিনি বলের অবস্থান সম্পর্কে অধিক নিশ্চিত হন, তিনি ইয়েস, নো এবং ওয়েট - এ ধরনের শব্দ প্রয়োগ করেন, যা প্রায়শঃই শোনা যায়।
বোলার কর্তৃক নিক্ষিপ্ত একটি বল থেকে একাধিক রান সংগৃহীত হতে পারে। এছাড়াও, মাঠ গড়িয়ে সীমানা স্পর্শ করলে তা বাউন্ডারি এবং শূন্যে ভেসে বল সীমানার বাইরে গেলে তা ’ছক্কা’ নামে পরিচিতি পায়। কোন কারণে দু’জন ব্যাটসম্যানের কেউ ক্রিজ স্পর্শ করতে না পারলে বিপক্ষের ফিল্ডার কর্তৃক বল সহযোগে উইকেট ভেঙ্গে ফেলার মাধ্যমে রান আউট হতে পারেন।[২]
১৮নং আইন অনুসারে তখনই রান হতে পারে যখন -
- ব্যাটসম্যান বা তার রানার[৩] খেলা চলাকালে পীচের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত অতিক্রম করেন;
- মাঠ গড়িয়ে সীমানা স্পর্শ করলে কিংবা ছক্কা হাঁকালে;
- জরিমানাস্বরূপ অতিরিক্ত রান প্রাপ্তি ঘটে;
- আম্পায়ার কর্তৃক বলকে লস্ট বলরূপে আখ্যায়িত করা হলে।
তবে, নো বল, ওয়াইড, বাই এবং লেগ বাই - এ ধরনের অতিরিক্ত রান ব্যাটসম্যানের রানের সাথে যুক্ত না হয়ে দলের রানের সাথে সংযুক্ত হয়।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Law 18 Scoring runs"। Budy Cricket Club। ৯ অক্টোবর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মার্চ ২০১৩।
- ↑ "Glossary of cricket terms from the England Cricket Board retrieved 13 May 2008" (পিডিএফ)। ২৮ মে ২০০৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মার্চ ২০১৩।
- ↑ Barclays World of Cricket – 3rd Edition, 1986, Guild Publishing/Willow Books (Collins), pp693–700.