বোলিং ক্রিকেট খেলায় ব্যবহৃত একটি পরিভাষাক্রিকেট বলকে পিচের শেষ প্রান্তে পুতানো উইকেট বরাবর নিক্ষেপের মাধ্যমে ব্যাটসম্যানকে পরাস্ত করতে কিংবা রান না করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। একজন খেলোয়াড় যদি বোলিংরত অবস্থায় থাকেন, তাহলে তিনি বোলার হিসেবে চিহ্নিত হবেন। স্পেশালিস্ট বোলার পরিভাষাটি সচরাচর শুধু বোলিংয়ে পারদর্শী খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে তাকে শুধু বোলাররূপে অভিহিত করা হয়ে থাকে। একইভাবে স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান পরিভাষাটি শুধু ব্যাটিংয়ে পারদর্শী খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। যদি একজন বোলার ব্যাটিং এবং বোলিং - উভয় বিভাগেই সমান পারদর্শিতা প্রদর্শন করেন, তাহলে তিনি অল-রাউন্ডারের মর্যাদা পান। ম্যালকম মার্শাল, রিচার্ড হ্যাডলি, ক্রেগ ম্যাকডারমট, কপিল দেব, মুত্তিয়া মুরালিধরন, ইমরান খান, সাকিব আল হাসান প্রমূখ ক্রিকেটার বিশ্ব ক্রিকেট ইতিহাসে শীর্ষস্থানীয় বোলাররূপে পরিচিত ব্যক্তিত্ব।

মুত্তিয়া মুরালিধরন অ্যাডাম গিলক্রিস্টের বিরুদ্ধে বোলিং করছেন

বোলিং কৌশল

সম্পাদনা
 
একজন ফাস্ট বলারের বল করার সাধারণ কৌশল।

ক্রিকেট খেলায় প্রতিপক্ষকে অল্প রানে আটকে ফেলার জন্য বোলারদের বোলিং কৌশল এবং বোলিংয়ে বৈচিত্র্য থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক বোলিং কলা-কৌশল রপ্ত করার জন্য কনুই বাঁকানোর নির্দিষ্ট মানদণ্ড রয়েছে। ব্যাটসম্যানকে লক্ষ্য করে বোলিংয়ের ভঙ্গীমা প্রদর্শনকে বল বা ডেলিভারি নামে আখ্যায়িত করা হয়। বোলার কর্তৃক সফলভাবে ছয়টি বল ডেলিভারি দেয়াকে ওভার বলে। বোলার এক ওভার বোলিং করলে পরবর্তী ওভার তার দলীয় সঙ্গী পিচের অপর প্রান্ত থেকে বোলিং করে থাকেন। ক্রিকেটের আইনে কীভাবে একটি বল ডেলিভারি করতে হয়, তার সংজ্ঞা দেয়া আছে।[] যদি কোন কারণে অবৈধভাবে বোলিং করা হয়, তাহলে খেলা পরিচালনাকারী কর্মকর্তা হিসেবে আম্পায়ার নো বল হিসেবে ঘোষণা করতে পারেন।[] আবার, ব্যাটিং প্রান্তে অবস্থানরত ব্যাটসম্যানের নাগালের বাইরে দিয়ে বল চলে গেলে আম্পায়ার ওয়াইড ঘোষণা করতে পারেন।[]

শীর্ষস্থানীয় বোলার

সম্পাদনা
আইসিসি শীর্ষ ১০ টেস্ট বোলার
অবস্থান খেলোয়াড়ের নাম রেটিং
  প্যাট কামিন্স ৯০৮
  রবিচন্দ্রন অশ্বিন ৮৬৫
  টিম সাউদি ৮২৪
  জোশ হজলউড ৮১৬
  নিল ওয়াগনার ৮১০
  কাগিসো রাবাদা ৭৯৮
  স্টুয়ার্ট ব্রড ৭৯৩
  জেমস অ্যান্ডারসন ৭৮৩
  মিচেল স্টার্ক ৭৪৪
১০   জেসন হোল্ডার ৭৪০
সূত্র: আইসিসি প্লেয়ার র‍্যাঙ্কিংস, ১৬ জুলাই, ২০২১


আইসিসি শীর্ষ ১০ ওডিআই বোলার
অবস্থান খেলোয়াড়ের নাম দলের নাম রেটিং
মাহিশ থিকশানা   শ্রীলঙ্কা ৬৮০
কুলদীপ যাদব   ভারত ৬৫০
কেশব মহারাজ   দক্ষিণ আফ্রিকা ৬৪৮
বার্নার্ড স্কোল্টজ   নামিবিয়া ৬৪৪
রশিদ খান   আফগানিস্তান ৬৪০
মিচেল স্যান্টনার   নিউজিল্যান্ড ৬৩৭
গুডাকেশ মোটি   ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৬৩২
ম্যাট হেনরি   নিউজিল্যান্ড ৬২২
রবীন্দ্র জাদেজা   ভারত ৬১৬
১০ অ্যাডাম জাম্পা   অস্ট্রেলিয়া ৬১৪
তথ্যসূত্র: আইসিসি র‌্যাঙ্কিংস—ওডিআই বোলিং, ১৩ মে ২০২৫
আইসিসি শীর্ষ-১০ টি২০আই বোলার
অবস্থান পরিবর্তন খেলোয়াড়ের নাম দলের নাম রেটিং
  জ্যাকব ডাফি   নিউজিল্যান্ড ৭২৩
  আকিল হোসেইন   ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭০৭
  ভারুণ চক্রবর্তী   ভারত ৭০৬
  আদিল রশিদ   ইংল্যান্ড ৭০৫
  ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা   শ্রীলঙ্কা ৭০০
  অ্যাডাম জাম্পা   অস্ট্রেলিয়া ৬৯৪
  রবি বিষ্ণোই   ভারত ৬৭৪
  মাহিশ থিকশানা   শ্রীলঙ্কা ৬৬৬
  রশিদ খান   আফগানিস্তান ৬৬৪
১০   অর্শদীপ সিং   ভারত ৬৫৩
তথ্যসূত্র: আইসিসি প্লেয়ার র‌্যাঙ্কিং, ২০ মে ২০২৫


তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Laws of Cricket: Law 42 (Fair and unfair play)"। Lords.org। ২০১৩-০১-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০১-২৩ 
  2. "Laws of Cricket: Law 24 (No ball)"। Lords.org। ২০১২-১২-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০১-২৩ 
  3. "Laws of Cricket: Law 25 (Wide ball)"। Lords.org। ২০১২-১১-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০১-২৩ 

আরও দেখুন

সম্পাদনা