আইসিসি পুরুষ ওডিআই দলের র্যাঙ্কিং
আইসিসি ওডিআই চ্যাম্পিয়নশীপ (ইংরেজি: ICC ODI Championship) একটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্রতিযোগিতা, যা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) কর্তৃক পরিচালিত হয়। মূলতঃ র্যাঙ্কিং পদ্ধতির মাধ্যমে দলগত পর্যায়ে নিয়মিতভাবে একদিনের আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যেমে আইসিসি ওডিআই চ্যাম্পিয়নশীপ নির্ধারিত হয়। ১২টি টেস্ট ক্রিকেট খেলুড়ে দেশসহ (বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান এবং আয়ারল্যান্ড) আইসিসির অন্যান্য সহযোগী সদস্য দেশ এতে অংশ নেয়। প্রতিযোগিতাটির মাধ্যমে সাধারণ র্যাঙ্কিং পদ্ধতির ধারণা জন্মানো হয় যাতে নিয়মিত ওডিআই ক্রিকেটের সময় নির্দেশিকা অনুসারে দলগুলো একে-অপরের সাথে আন্তর্জাতিক খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রদর্শন করতে পারে। তবে নিজ মাঠ বা প্রতিপক্ষের মাঠে খেলার ফলে ওডিআই র্যাঙ্কিংয়ে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায় না।
তত্ত্বাবধায়ক | আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল |
---|---|
সূচনা | ২০০২ সালে |
দলের সংখ্যা | ২০ |
বর্তমানে শীর্ষ র্যাঙ্কিংধারী | ![]() |
সমষ্টিগতভাবে দীর্ঘকাল শীর্ষ র্যাঙ্কিংধারী | ![]() |
নিরবচ্ছিন্নভাবে দীর্ঘকাল শীর্ষ র্যাঙ্কিংধারী | ![]() |
সর্বোচ্চ রেটিংধারী | ![]() |
২৯ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে সর্বশেষ হালনাগাদকৃত। |
প্রতিটি ওডিআই খেলা শেষে দু’দলই গাণিতিক সূত্রের মাধ্যমে পয়েন্ট অর্জন করে থাকে। প্রতিটি দলের সর্বমোট পয়েন্টকে সর্বমোট খেলা দিয়ে বিভাজন করা হয়, যা ওডিআই ক্রিকেট রেটিং নামে পরিচিত। সকল দলের নাম রেটিং অনুযায়ী সাজানো থাকে যা ছকে তুলে ধরা হয়।
৩০ জুলাই, ২০১৮ তারিখ পর্যন্ত ইংল্যান্ড দল ১২৭ রেটিং নিয়ে আইসিসি ওডিআই চ্যাম্পিয়নশীপের শীর্ষস্থানে রয়েছে। পক্ষান্তরে সংযুক্ত আরব আমিরাত ক্রিকেট দল ১৮ রেটিং নিয়ে তালিকার সর্বনিম্ন স্থান দখল করেছে।[১]
যোগ্যতা নির্ধারণ সম্পাদনা
চ্যাম্পিয়নশীপ প্রথায় দুই ধরনের র্যাঙ্কিং টেবিল প্রচলিত রয়েছে। আইসিসির ১২ পূর্ণাঙ্গ সদস্যভূক্ত টেস্ট খেলুড়ে দেশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রধান তালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকে। একদিনের আন্তর্জাতিকে মর্যাদাপ্রাপ্ত সহযোগী ছয় সদস্য দ্বিতীয় তালিকায় অন্তর্ভুক্তি ঘটে। কিন্তু দলগুলো নিম্নলিখিত শর্তাবলী পূরণ করে প্রধান তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।[২] যদি -
- পূর্ণাঙ্গ সদস্য দেশের বিপক্ষে কমপক্ষে দুইটি একদিনের আন্তর্জাতিকে জয় পায়।
- পূর্ণাঙ্গ সদস্য দেশের বিপক্ষে কমপক্ষে একটি একদিনের আন্তর্জাতিকে ও অন্যান্য সহযোগী দেশের বিপক্ষে ৬০% যোগ্যতা নির্ধারণী খেলায় বিজয়ী হয়।
নেদারল্যান্ডস দল ২০১০ সালে বাংলাদেশ দলকে পরাজিত করে এ যোগ্যতা অর্জন করে।স্কটল্যান্ড জিম্বাবুয়ে ও পাকিস্তানকে হারিয়ে যোগ্যতা অর্জন করে।সংযুক্ত আরব আমিরাত ২০১৮ আইসিসি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে মূল তালিকায় প্রবেশ করে।
ওডিআই র্যাঙ্কিং সম্পাদনা
আইসিসি পুরুষ ওডিআই দলের র্যাঙ্কিং | ||||
---|---|---|---|---|
অবস্থান | দলের নাম | খেলার সংখ্যা | পয়েন্ট | রেটিং |
১ | নিউজিল্যান্ড | ১২ | ১,৫০৫ | ১২৫ |
২ | ইংল্যান্ড | ১৯ | ২,৩৫৩ | ১২৪ |
৩ | অস্ট্রেলিয়া | ১৮ | ১,৯২৯ | ১০৭ |
৪ | ভারত | ২৭ | ২,৩০৪ | ১০৫ |
৫ | পাকিস্তান | ২০ | ১,৬৩৫ | ১০৭ |
৬ | দক্ষিণ আফ্রিকা | ১৯ | ১,৮৭২ | ৯৯ |
৭ | বাংলাদেশ | ২৪ | ২,২৭৫ | ৯৫ |
৮ | শ্রীলঙ্কা | ২৪ | ২,০৮৬ | ৮৭ |
৯ | ওয়েস্ট ইন্ডিজ | ২১ | ১,৬৫২ | ৭৮ |
১০ | আফগানিস্তান | ১৭ | ১,০৫৪ | ৬২ |
১১ | নেদারল্যান্ডস | ২ | ৯৯ | ৫০ |
১২ | আয়ারল্যান্ড | ১৮ | ৮১৮ | ৪৫ |
১৩ | জিম্বাবুয়ে | ১৫ | ৫৮৮ | ৩৯ |
১৪ | ওমান | ৭ | ২৪০ | ৩৪ |
১৫ | স্কটল্যান্ড | ৫ | ১৪৮ | ৩০ |
১৬ | নেপাল | ৫ | ১১৯ | ২৪ |
১৭ | সংযুক্ত আরব আমিরাত | ৯ | ১৯০ | ২১ |
১৮ | নামিবিয়া | ৬ | ৯৭ | ১৬ |
১৯ | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | ৮ | ৯৩ | ১২ |
২০ | পাপুয়া নিউগিনি | ৫ | ০ | ০ |
তথ্যসূত্র: আইসিসি ওডিআই র্যাঙ্কিং, ইএসপিএনক্রিকইনফো র্যাঙ্কিং ৩ মে, ২০২১ | ||||
সর্বশেষ হালনাগাদ: ৪ মে ২০২২ |
বর্তমান শীর্ষস্থানীয় ওডিআই ক্রিকেটার সম্পাদনা
আইসিসি শীর্ষ ১০ ওডিআই ব্যাটসম্যান | |||
---|---|---|---|
অবস্থান | খেলোয়াড়ের নাম | দলের নাম | রেটিং |
১ | বাবর আজম | পাকিস্তান | ৮৬৫ |
২ | বিরাট কোহলি | ভারত | ৮৫৭ |
৩ | রোহিত শর্মা | ভারত | ৮২৫ |
৪ | রস টেলর | নিউজিল্যান্ড | ৮০১ |
৫ | অ্যারন ফিঞ্চ | অস্ট্রেলিয়া | ৭৯১ |
৬ | জনি বেয়ারস্টো | ইংল্যান্ড | ৭৮৫ |
৭ | ফখর জামান | পাকিস্তান | ৭৭৮ |
ফাফ দু প্লেসিস | দক্ষিণ আফ্রিকা | ৭৭৮ | |
৯ | ডেভিড ওয়ার্নার | অস্ট্রেলিয়া | ৭৭৩ |
শাই হোপ | ওয়েস্ট ইন্ডিজ | ৭৭৩ | |
তথ্যসূত্র: রিলায়েন্স-আইসিসি র্যাঙ্কিংস, ইএসপিএন ৭ এপ্রিল, ২০২১ |
আইসিসি শীর্ষ ১০ ওডিআই বোলার | |||
---|---|---|---|
অবস্থান | খেলোয়াড়ের নাম | দলের নাম | রেটিং |
১ | ট্রেন্ট বোল্ট | নিউজিল্যান্ড | ৭৩৭ |
২ | মুজিব উর রহমান | আফগানিস্তান | ৭০৮ |
৩ | ম্যাট হেনরি | নিউজিল্যান্ড | ৬৯১ |
৪ | যশপ্রীত বুমরাহ | ভারত | ৬৯০ |
৫ | মেহেদী হাসান | বাংলাদেশ | ৬৬৮ |
৬ | কাগিসো রাবাদা | দক্ষিণ আফ্রিকা | ৬৬৬ |
৭ | ক্রিস উকস | ইংল্যান্ড | ৬৬৫ |
৮ | জশ হজলউড | অস্ট্রেলিয়া | ৬৬০ |
৯ | প্যাট কামিন্স | অস্ট্রেলিয়া | ৬৪৬ |
১০ | মোহাম্মাদ আমির | পাকিস্তান | ৬৩৮ |
তথ্যসূত্র: রিলায়েন্স-আইসিসি র্যাঙ্কিংস—ওডিআই বোলিং, ৭ এপ্রিল, ২০২১ |
আইসিসি শীর্ষ ১০ ওডিআই অল-রাউন্ডার | |||
---|---|---|---|
অবস্থান | খেলোয়াড়ের নাম | দলের নাম | রেটিং |
১ | সাকিব আল হাসান | বাংলাদেশ | ৪০৮ |
২ | বেন স্টোকস | ইংল্যান্ড | ২৯৫ |
৩ | মোহাম্মাদ নবী | আফগানিস্তান | ২৯৪ |
৪ | ক্রিস উকস | ইংল্যান্ড | ২৭৩ |
৫ | রশীদ খান | আফগানিস্তান | ২৭০ |
৬ | মিচেল স্যান্টনার | নিউজিল্যান্ড | ২৬৭ |
৭ | ইমাদ ওয়াসিম | পাকিস্তান | ২৬৩ |
৮ | কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম | নিউজিল্যান্ড | ২৫৭ |
৯ | রবীন্দ্র জাদেজা | ভারত | ২৪৫ |
১০ | শন উইলিয়ামস | জিম্বাবুয়ে | ২৩৮ |
তথ্যসূত্র: রিলায়েন্স-আইসিসি র্যাঙ্কিংস—ওডিআই অল-রাউন্ডার, ৭ এপ্রিল, ২০২১ |
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ [১]
- ↑ "ICC – Associate and Affiliate Rankings"। ২ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০১৮।