ওমান জাতীয় ক্রিকেট দল

ওমান ক্রিকেট দল জাতীয় ক্রিকেট দল হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে ওমানের প্রতিনিধিত্ব করছে। দলটি ওমান ক্রিকেট বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত হচ্ছে। ২০০০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের অনুমোদনলাভকারী দলের মর্যাদা পায়। এরপর ২০১৪ সালে সহযোগী সদস্যের মর্যাদা লাভ করে। জাতীয় দলটি লিস্ট-এটুয়েন্টি২০ পর্যায়ে খেলে থাকে।

ওমান জাতীয় ক্রিকেট দল
সংঘওমান ক্রিকেট বোর্ড
কর্মীবৃন্দ
অধিনায়কজিশান মাকসুদ
কোচদিলীপ মেন্ডিস
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল
আইসিসি মর্যাদাটি২০আই মর্যাদাপ্রাপ্ত সহযোগী সদস্য (২০০০ (অনুমোদনলাভকারী)
২০১৪ (সহযোগী))
আইসিসি অঞ্চলএশিয়া
বিশ্ব ক্রিকেট লিগপঞ্চম বিভাগ (২০১৬)
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
প্রথম আন্তর্জাতিক১০ জুলাই, ২০০২ ব ইউএই, দ্য পাদাং, সিঙ্গাপুর (দ্রষ্টব্য: অনূর্ধ্ব-১৭ দল ২০০১ সালে খেলে)

ওডিআই ও টি২০আই জার্সি

১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ অনুযায়ী

ইতিহাস সম্পাদনা

দলটি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের পরিচালনায় টেস্ট মর্যাদাবিহীন দলগুলোর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আসছে। দলটি দুইবার এসিসি টুয়েন্টি২০ কাপে শিরোপা জয়লাভে সক্ষমতা দেখিয়েছে। বড় ধরনের প্রতিযোগিতা হিসেবে ২০০২ সালে এসিসি ট্রফিতে প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করে। ঐ প্রতিযোগিতায় দলটি কেবলমাত্র কাতারের বিপক্ষে জয় পায় ও প্রথম রাউন্ডেই বিদায় নেয়। কিন্ত ২০০৪ সালে তারা ফাইনালে পৌঁছে ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে হেরে রানার-আপ হয়। এরফলে তারা ২০০৪ সালের আইসিসি ট্রফিতে খেলার যোগ্যতা লাভ করে। এছাড়াও এ ফলাফলে ২০০৬ সালের এশিয়া কাপেও তারা খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। ২০০৪ সালের শেষদিকে বাহরাইনের সাথে টাই করে তারা মিডল ইস্ট কাপের শিরোপা লাভে সক্ষমতা দেখায়। এছাড়াও দলটি মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত ২০১৪ সালের এসিসি প্রিমিয়ার লীগে অংশগ্রহণ করে। ২০০৫ সালে আইসিসি’র অনুমোদনলাভকারী সদস্য হবার পর আইসিসি ট্রফিতে প্রতিযোগিতা করে। নেপালে অনুষ্ঠিত ২০১১ সালের এসিসি টুয়েন্টি২০ কাপে অংশগ্রহণ করে। ২০১৩ সালে বিশ্ব ক্রিকেট লীগের তৃতীয় বিভাগে খেলে।

অধিকাংশ খেলোয়াড়ই ভারতপাকিস্তান থেকে অভিবাসিত ব্যক্তি। ২০১০ সালের হিসেব অনুযায়ী জাতীয় পর্যায়ের লীগে ৭৮০জন খেলোয়াড়ের মধ্যে মাত্র ১০০জন ওমানী নাগরিক যা প্রায় ১৩%।[১] এরফলে ক্রিকেটের বিস্তারকল্পে ক্লাব দল ও জাতীয় দলে কোটা প্রথার প্রচলন ঘটানো হয়েছে।

জুলাই, ২০১৫ সালে নামিবিয়ার বিপক্ষে জয়ের ফলে ওমান দল টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকের মর্যাদা পায়। পাশাপাশি ২০১৬ সালে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করে।[২][৩] ২০১৯ সাল পর্যন্ত আগামী চার বছর তারা নেপালকে হঁটিয়ে টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকের মর্যাদা পায়।

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ সম্পাদনা

আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ সম্পাদনা

বিশ্ব ক্রিকেট লীগ সম্পাদনা

আইসিসি ট্রফি/বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব সম্পাদনা

  • ১৯৭৯-১৯৯৭: যোগ্যতা নেই - আইসিসি সদস্যবিহীন
  • ২০০১: যোগ্যতা নেই - আইসিসি সদস্য
  • ২০০৫: ৯ম স্থান (১২ দল)
  • ২০০৯: ১১শ স্থান (১২ দল)
  • ২০১৪: যোগ্যতা লাভ করেনি

আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ বাছাইপর্ব সম্পাদনা

এসিসি ট্রফি সম্পাদনা

এসিসি টুয়েন্টি২০ কাপ সম্পাদনা

  • ২০০৭: আফগানিস্তানের সাথে যৌথভাবে বিজয়ী (১০ দল)
  • ২০০৯: ৩য় স্থান (১২ দল)
  • ২০১১: ৩য় স্থান (১০ দল)
  • ২০১৩: গ্রুপ পর্ব (৪র্থ স্থান ৫ দল)
  • ২০১৫: ১ম স্থান (৬ দল)

এশিয়ান গেমস সম্পাদনা

  • ২০১০: যোগ্যতা লাভ করে – অংশগ্রহণ করেনি
  • ২০১৪: অংশগ্রহণ করেনি

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. (27 July 2011). "More men in Oman" – Asian Cricket Council. Retrieved 1 February 2015.
  2. "Oman secure World T20 spot with memorable win"ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০১৫ 
  3. 4th Qualifying Play-off: Namibia v Oman at Dublin