জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট
জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট (জেডসি) জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট ক্রীড়ায় প্রধান নিয়ন্ত্রক সংস্থা। পূর্বে এ সংস্থাটি জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট ইউনিয়ন (জেডসিইউ) নামে পরিচিত ছিল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের পূর্ণাঙ্গ সদস্য এটি। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের পরিচালনাসহ অন্যান্য দেশের সাথে টেস্ট, একদিনের আন্তর্জাতিক ও টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক সফরে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। এছাড়াও, সংস্থাটি স্ট্যানবিক ব্যাঙ্ক ২০ সিরিজ, কোকা-কোলা মেটব্যাঙ্ক প্রো৫০ চ্যাম্পিয়নশীপ, ক্যাসল লোগান কাপসহ ঘরোয়া ক্রিকেট আয়োজন করে। অন্যতম উন্নয়নশীল ক্রিকেটভূক্ত দেশের সংস্থা হিসেবে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট পরিচিত। বর্তমানে আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে ৯ম, ওডিআই র্যাঙ্কিংয়ে ১১শ এবং টি২০আইয়ে জিম্বাবুয়ের অবস্থান ১৩শ। দূর্বল ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের কারণে কয়েক বছর স্বেচ্ছায় টেস্ট ক্রিকেট থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রেখেছিল।
ক্রীড়া | ক্রিকেট |
---|---|
কার্যক্ষেত্র | জাতীয় |
সংক্ষেপে | ZC |
অধিভুক্ত | ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল |
অধিভুক্তের তারিখ | ৬ জুলাই ১৯৯২ |
সদর দফতর | হারারে স্পোর্টস ক্লাব, হারারে |
চেয়ারম্যান | পিটার চিঙ্গোকা |
মুখ্য নির্বাহী | উইলফ্রেড মুকোনদিয়া |
প্রশিক্ষক | অ্যান্ডি ওয়ালার |
অন্যান্য প্রধান কর্মকর্তা | প্রধান নির্বাচক |
স্থলাভিষিক্ত | জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট ইউনিয়ন (জেডসিইউ) |
(প্রতিষ্ঠা) | ১৯৯২ |
প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট | |
www | |
ইতিহাস
সম্পাদনা২০০০-এর দশকে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট ক্রান্তিকাল অতিক্রম করে। ২০০৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে নামিবিয়া দলের বিপক্ষে খেলাচলাকালে দলের অন্যতম সদস্য অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার ও হেনরি ওলোঙ্গা জিম্বাবুয়েতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে গণতন্ত্র হত্যার প্রতিবাদে বাহুতে কালো কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ জানান।[১] পরবর্তীতে উভয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। ২০০৪ সালে বাদ-বাকী অভিজ্ঞতাসম্পন্ন খেলোয়াড়গণ আন্তর্জাতিক ক্রীড়া থেকে নিজেদের সরিয়ে নিলে ও তৎকালীন অধিনায়ক হিথ স্ট্রিককে বাদ দিলে খুবই তরুণ ও অনভিজ্ঞ খেলোয়াড়েরা শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। ফলশ্রুতিতে টেস্ট মর্যাদা থেকে ২০১১ সালের শুরুর দিক পর্যন্ত নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে। জিম্বাবুয়ে দলের ফিল্ডিং চমকপ্রদ ও ২০০৭ সালের আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতার গ্রুপ পর্বে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়ী হয়। পরবর্তীতে ২০১১ সালের শেষদিকে টেস্ট মর্যাদা পুণর্বহালের লক্ষ্যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার প্রস্তুতি নেয়।[২]
টেস্ট ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন
সম্পাদনাটেস্ট মর্যাদা ফিরে পাওয়া ও উত্তোরণের অংশ হিসেবে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট কর্তৃপক্ষ হারারে স্পোর্টস ক্লাব ও মুতারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠ দু’টোর বড় ধরনের সংস্কারের কথা ঘোষণা করে।[৩] এছাড়াও, ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতের কাছে নতুন একটি টেস্ট মাঠ নির্মাণেরও পরিকল্পনা নেয়া হয়।[৪] রিবকের সাথে তিন-বছর মেয়াদে $১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তিতে আবদ্ধ হয়। এ চুক্তির ফলে রিবক ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় সম্প্রচারস্বত্ত্ব পায় ও জিম্বাবুয়ে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাজ-সরঞ্জাম সরবরাহের ব্যবস্থা করবে।[৫]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Andy Flower & Henry Olonga: the 'death of democracy' remembered"। BBC Sport। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৮ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
- ↑ http://www.cricinfo.com/zimbabwe/content/story/481066.html
- ↑ http://www.cricinfo.com/zimbabwe/content/story/465632.html
- ↑ http://www.cricinfo.com/zimbabwe/content/story/484154.html