মহিন্দর অমরনাথ
মহিন্দর অমরনাথ ভরদ্বাজ (গুজরাটি: મોહિન્દર અમરનાથ; জন্ম: ২৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৫০) পাতিয়ালায় জন্মগ্রহণকারী ভারতের সাবেক টেস্ট ক্রিকেটার এবং বর্তমানে ক্রিকেট বিশ্লেষক হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সচরাচর তিনি মহিন্দর অমরনাথ কিংবা জিমি নামে পরিচিত। এছাড়াও তিনি অবিভক্ত ভারতের প্রথম টেস্ট ক্রিকেট অধিনায়ক লালা অমরনাথের পুত্র। তার ভাই সুরিন্দর অমরনাথও ভারতের টেস্ট খেলোয়াড় ছিলেন। আরেক ভাই রাজিন্দর অমরনাথ সাবেক প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটার ও বর্তমানে ক্রিকেট কোচ হিসেবে কাজ করছেন।
;ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | মহিন্দর অমরনাথ ভরদ্বাজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | পাতিয়ালা, ভারত | ২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৫০|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | জিমি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার, কোচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | লালা অমরনাথ, সুরিন্দর অমরনাথ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৬৯) | ২৪ ডিসেম্বর ১৯৬৯ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১১ জানুয়ারি ১৯৮৮ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৮৫) | ৭ জুন ১৯৭৫ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৩০ অক্টোবর ১৯৮৯ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো.কম, ২৬ আগস্ট ২০১৭ |
ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেছিলেন।
খেলোয়াড়ী জীবন
সম্পাদনাঅমরনাথ ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সালে চেন্নাইয়ে অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেকে অভিষেক ঘটান। খেলোয়াড়ী জীবনে তিনি অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন। শীর্ষ সারির ব্যাটসম্যান হিসেবে সাধারণতঃ তিনি তিন নম্বরে মাঠে নামতেন। এছাড়াও তিনি অসাধারণ দক্ষতা এবং নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বলকে সুইং ও কাটিং করতে পারতেন। বোলিং ক্রিজে পৌঁছেই তিনি বল ছুড়তেন।
৬৯ টেস্টে ৪,৩৭৮ রান, ১১টি শতক এবং ২৪টি অর্ধ-শতকসহ তার ব্যাটিং গড় ছিল ৪২.৫০। এছাড়াও উইকেট প্রতি ৫৫.৬৮ রান দিয়ে ৩২ উইকেট লাভ করেনে। ৮৫টি একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১,৯২৪ রান, গড় ৩০.৫৩ করেছেন। তার সর্বোচ্চ রান অপরাজিত ১০২* এবং ৪২.৮৪ রান গড়ে ৪৬ উইকেট দখল করেন।
বিশ্বকাপ ক্রিকেট, ১৯৮৩
সম্পাদনা১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সেমি-ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তার অসাধারণ ক্রীড়াশৈলীর দরুণ ভারত ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়। এ খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেছিলেন।[১] পরবর্তীতে ফাইনালে ভারতীয় দল ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হয়। চূড়ান্ত খেলায় টসে হেরে ভারত ব্যাটিংয়ে নামে। কিন্তু বিশ্বসেরা বোলিং আক্রমণের মুখে পড়ে দলটি মাত্র ১৮৩ রানে অল-আউট হয়ে যায়। কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্ত ও তিনি জুটি গড়ে অ্যান্ডি রবার্টস, ম্যালকম মার্শাল, জোয়েল গার্নার এবং মাইকেল হোল্ডিংয়ের বোলিং আক্রমণ আটকাতে পেরেছিলেন। নিচের সারির ব্যাটসম্যানের অংশগ্রহণে ৫৮.৪ ওভার পর্যন্ত খেলতে পেরেছিল ভারত।
অনুকূল আবহাওয়া এবং পীচের বাড়তি সুবিধা নিয়ে সঠিকমানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বখ্যাত ব্যাটিং লাইন-আপ ভেঙ্গে পড়ে। গত দুইবারের বিশ্বকাপ জয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল মাত্র ১৪০ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ফলে, ভারত ৪৩ রানে বিজয়ী হয় এবং একদিনের ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অঘটন ঘটায়। তিনি এবং মদন লাল - উভয়েই ৩টি করে উইকেট নেন। মহিন্দর অমরনাথ সুনিয়ন্ত্রিত বোলিং করে ৭ ওভারে মাত্র ১২ রান দেন। তার অল-রাউন্ড নৈপুণ্যে বিচারকদের বিবেচনায় তাকে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার প্রদান করা হয়।[২]
অন্যান্য
সম্পাদনামহিন্দর অমরনাথ কিছু কিছু ক্ষেত্রে অদ্ভুতভাবে আউট হয়েছেন। তন্মধ্যে একমাত্র ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে হ্যান্ডলিং দ্য বলের কারণে আউট হন। ৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৬ তারিখে অনুষ্ঠিত একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এ ঘটনাটি ঘটে। এছাড়াও, একমাত্র ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে বাঁধা দেয়ার কারণেও আউট হয়েছেন। হিট উইকেটেও আউট হয়েছেন তিনি। ব্যাটিংয়ের সময় তিনি পোষাকে লাল রুমাল দৃশ্যমান রাখতেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনাআরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে মহিন্দর অমরনাথ (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে মহিন্দর অমরনাথ (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
পূর্বসূরী: মুদাসসর নজর |
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচ ১৯৯৪-১৯৯৭ |
উত্তরসূরী: গর্ডন গ্রীনিজ |