গুজরাতি ভাষা
গুজরাতি ভাষা বা গুজরাটি ভাষা হলো ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা-পরিবারের অন্তর্ভুক্ত ইন্দো-আর্য ভাষা। এটি ভারতের গুজরাত রাজ্যের স্থানীয় এবং সরকারি ভাষা। এছাড়াও ভারতের দমন ও দিউ এবং দাদরা ও নগর হাভেলি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সরকারি ভাষা। ভারতের ২০০১ সালের জনগননা অনুযায়ী এটি মাতৃভাষীর সংখ্যা অনুসারে ভারতের ৭ম সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা এবং ভারতে এই ভাষার বক্তার সংখ্যা ৪ কোটি ৯ লক্ষ যা ভারতের মোট জনসংখ্যার ৪.৪৮%।[৫] মাতৃভাষী বক্তার সংখ্যা অনুসারে এই ভাষাটি বিশ্বের ২৬তম সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা।[৬] ভারত ছাড়াও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র[৭], যুক্তরাজ্য[৮], কেনিয়া[৯], পাকিস্তান[৯] , উগান্ডা[১০], দক্ষিণ আফ্রিকা[১১], কানাডা[১২], অস্ট্রেলিয়া,[১৩], চীন[১৪], বাহরাইন[৯] , সিঙ্গাপুর[৯] , তানজানিয়া,[৯] , and নিউজিল্যান্ড[৯] ) ৫ কোটিরও বেশি মানুষ ৭০০ বছরের ঐতিহ্যশালী এই ভাষাটি ব্যবহার করেন।[১৫] এই ভাষাটি মহাত্মা গান্ধীর[১৬] এবং মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর[১৭] মাতৃভাষা।
গুজরাতি | |
---|---|
ગુજરાતી | |
গুজ্রাতি | |
উচ্চারণ | ɡudʒəˈɾɑːt̪i |
দেশোদ্ভব | গুজরাত দমন ও দিউ দাদরা ও নগর হাভেলি |
অঞ্চল | ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, কেনিয়া, নিউজিল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, উগান্ডা, তানজানিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ফিজি, কানাডা |
জাতি | গুজরাতি |
মাতৃভাষী | ৪৯ million (2007)[১]
|
পূর্বসূরী | প্রাচীন গুজরাতি
|
গুজরাতি লিপি (ব্রাহ্মীজাত) গুজরাতি ব্রেইল আরবি লিপি দেবনাগরী লিপি (historical) | |
সরকারি অবস্থা | |
সরকারি ভাষা | গুজরাত (ভারত)[৩] দমন ও দিউ (ভারত) দাদরা ও নগর হাভেলি (ভারত) |
ভাষা কোডসমূহ | |
আইএসও ৬৩৯-১ | gu |
আইএসও ৬৩৯-২ | guj |
আইএসও ৬৩৯-৩ | guj |
গ্লোটোলগ | guja1252 [৪] |
লিঙ্গুয়াস্ফেরা | 59-AAF-h |
ভারতে গুজরাতি ভাষাভাষিদের বিন্যাস |
ইতিহাস
সম্পাদনাগুজরাতি (কখনও গুজরাতি) একটি আধুনিক ইন্দো-আর্য ভাষা যা সংস্কৃত ভাষা থেকে বিবর্তিত হয়েছে, এবং এর বিবর্তনের দুটি মতবাদ আছে:[২১]
- ১) অন্যান্য ইন্দো-আর্য ভাষার মতো এই ভাষাটিও তিনটি ধাপে বিবর্তিত হয়েছে:
- ২) ইন্দো-আর্য ভাষার বংশলতিকা ক্রমানুযায়ী বিভক্ত হয়েছে:
ইন্দো‑আর্য |
| ||||||||||||||||||||||||||||||
সংস্কৃত থেকে গুজরাতির শব্দের সৃষ্টির ধারা:
- ধ্বনিতাত্ত্বিক
- স্বরধ্বনির মূল স্বনিমীয় দৈর্ঘ্যের হ্রাস পাওয়া
- সংযুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির দ্বিত্বীভবন এবং ক্রমান্বয়ে অযুগ্ম ব্যঞ্জনধ্বনি হওয়া (পূরক দীর্ঘ স্বরধ্বনি যোগে)
বাংলা | সংস্কৃত | প্রাকৃত | গুজরাতি | সূত্র |
---|---|---|---|---|
হাত | হস্ত | হত্থ | হাথ | [২২] |
সাত | সপ্ত | সত্ত | সাত | [২৩] |
আট | অষ্ট | অট্ঠ | আঠ | [২৪] |
সাপ | সর্প | সপ্প | সাপ | [২৫] |
- রূপতাত্ত্বিক
- যৌগিক শব্দ বা সমাসবদ্ধ পদের সংখ্যা হ্রাস পাওয়া
- দ্বিবচনের এবং বহুবচনের সংযোগ হওয়া
- কারক পরিবর্তে অনুসর্গের ব্যবহার
- কাল, বাচ্যতা, ভাব-প্রকারের ক্ষেত্রে প্রত্যয়ের পরিবর্তে একের বেশি শব্দ ব্যবহার
- বাক্যতাত্ত্বিক
- বিভক্ত কর্মকর্তৃরূপতা
- আরও জটিল অন্বয় রীতি
এরপর গুজরাতি ভাযাকে তিনটি পর্যায় ভাগ করা হয়েছে:[২১]
প্রাচীন গুজরাতি
সম্পাদনাপ্রাচীন গুজরাতি (જૂની ગુજરાતી জুনি গুজ্রাতি; ગુજરાતી ભાખા গুজ্রাতি ভাখা বা ગુર્જર અપભ્રંશ গুর্জর অপভ্রংশ, ৭০০ খ্রিস্টপূর্ব - ১৫০০ খ্রীষ্টাব্দ), আধুনিক গুজরাতি এবং রাজস্থানি ভাষার পূর্বপুরুষ [১৯], গুজরাত, পাঞ্জাব, রাজপুতানা এবং মধ্য ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসকারী গুর্জর জাতির মানুষরা ব্যবহার করাতেন।[২৬][২৭] এই ভাষাটি ১২শ শতাব্দি থেকেই সাহিত্যিক ভাষা হিসাবে ব্যবহার হত। এই সময়কার বিভিন্ন লেখায় গুজরাতি ভাষার বৈশিষ্ট, যেমন বিশেষ্যর সাধারণ/তির্যক রূপ, অনুসর্গের ব্যবহার, এবং সহায়ক ক্রিয়া দেখা যেত।[২৮] আধুনিক গুজরাতির মতোই এর তিনটি ব্যকরণগত লিঙ্গ ছিল, এবং আনুমানিক ১৩০০ খ্রীষ্টাব্দে এই ভাষার প্রমিত রূপটি প্রকাশ পাওয়া শুরু করে। প্রাচীন গুজরাতি নামে পরিচিতি থাকলেও কোন কোন বিশেষজ্ঞ এই ভাষাটিকে প্রাচীন পশ্চিম রাজস্থানি হিসাবে চিহ্নিত করতে পছন্দ এই যুক্তি দেখিয়ে যে সেই সময় গুজরাতি এবং রাজস্থানি স্বতন্ত্র ভাষা হিসাবে উদ্ভূত হয়নি। এর একটা কারণ হল তারা এটা বিশ্বাস করেন যে রাজস্থানি ভাষায় ক্লিব লিঙ্গ বিক্ষিপ্তভাবে প্রকাশ পায়, যা এই ভুল ধারণা থেকে জন্মেছে যে গুজরাতির -ঊ- [ũ] আর রাজস্থানি ভাষায় নাসিক্য ব্যঞ্জনধ্বনির পরে পুংলিঙ্গের বিভক্তি -ও- [o]-এর পরিবর্তিত রূপ -ঊ- [ũ] সমগোত্রীয়।[২৯] সোলাঙ্কি (চৌলুক্য বা গুজরাতি চালুক্য) বংশের রাজা জয়সিংহ সিদ্ধরাজের সময়কার জৈন সন্ন্যাসী এবং বিশিষ্ট পণ্ডিত আচার্য্য হেমচন্দ্র এই ভাষার পূর্ববর্তী ভাষার প্রাকৃত ব্যকরণ নামে এক আচারিক ব্যকরণের বই লিখেছিলেন।[৩০]
মধ্য গুজরাতি
সম্পাদনামধ্য গুজরাতি (খ্রী: ১৫০০ - ১৮০০) রাজস ভাষা থেকে বিভক্ত হয়ে যায়, এবং নতুন স্বনিম /ɛ/ এবং /ɔ/, সহায়ক ধাতু ছ- এবং সম্বন্ধসূচক -ন--এর ব্যবহার দেখা যায়।[৩১] প্রাচীন থেকে মধ্য গুজরাতির মধ্যে প্রধান ধ্বনিগত পরিবর্তনগুলি হল:[৩২] - /i/এবং/u/বিবৃতাক্ষরগুলিতে/ə/হয়ে যাওয়া
- /əi/ এবং /əu/ দ্বিস্বরধ্বনিগুলির শব্দের শুরুতে /ɛ/ এবং /ɔ/, এবং অন্যান্য জায়গায় /e/ এবং /o/ হয়ে যাওয়া
- /əũ/-এর শব্দের শুরুতে /ɔ̃/, এবং শব্দের শেষে /ű/ হয়ে যাওয়া
আধুনিক গুজরাতি
সম্পাদনাআধুনিক গুজরাতির প্রধান ধ্বনিগত পরিবর্তন যেটি হয়েছিল তা হল শব্দের শেষে/ə/-এর অপসারণ, যার ফলে এখন গুজরাতিতে ব্যঞ্জনান্ত শব্দ পাওয়া যায়। নতুন বহুবচনসূচক -ও- ব্যবহার দেখা গেল।[৩২] সাহিত্যে ১৯শ শতকের শেষের দিকে বেশকিছু পরিবর্তন দেখা যায়।[৩৩]
ব্যবহার এবং বিস্তৃতি
সম্পাদনা১৯৯৭ সালের হিসাব অনুযায়ী প্রায় ৪ কোটি ৬০ লক্ষ গুজরাতি ভাষাভাষির মধ্যে প্রায় ৪ কোটি ৫৫ লক্ষ ভারতে বসবাস করেন, উগান্ডায় ১,৫০,০০০, তানজানিয়ায় ৫০,০০০, কেনিয়ায় ৫০,০০০ এবং পাকিস্তানের করাচিতে কয়েক লক্ষ ভাষাভাষি বসবাস করেন, যদিও পাকিস্তানে গুজরাতি সম্প্রদায়ের নেতাদের মতে করাচিতে প্রায় ৩০ লক্ষ গুজরাতি বসবাস করেন।[৩৪] মরিশাসের জনসংখ্যার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ এবং রেইউনিয়ান দ্বীপের বিপুল সংখ্যক লোক গুজরাতি বংশোদ্ভূত, যাদের মধ্যে কিছু লোক এখনও গুজরাতিতে কথা বলেন।[৩৫]
উত্তর আমেরিকায় একটি উল্লেখযোগ্য গুজরাতি ভাষাভাষী জনসংখ্যার বিদ্যমান, বিশেষত নিউ ইয়র্ক সিটি মেট্রোপলিটান অঞ্চল এবং বৃহত্তর টরন্টো অঞ্চলে যথাক্রমে ১,০০,০০০ জন বক্তা এবং ৭৫,০০০ এরও বেশি বক্তা আছে। এছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার বেশিরভাগ মেট্রোপলিটান এলাকাগুলিতে গুজরাতি ভাষাভাষীরা আছে। ২০১১ সালের জনগননা অনুযায়ী, গুজরাতি বৃহত্তর টরন্টো অঞ্চলের সপ্তদশতম সবথেকে বেশি কথিত ভাষা এবং হিন্দি-উর্দু, পাঞ্জাবি এবং তামিলের পরে চতুর্থ সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত দক্ষিণ এশীয় ভাষা।
যুক্তরাজ্যে ২ লক্ষেরও বেশি গুজরাতি ভাষাভাষী মানুষ বসবাস করে, এদের মধ্যে অনেকেই লন্ডন অঞ্চলে, বিশেষত উত্তর পশ্চিম লন্ডনে, এছাড়াও বার্মিংহাম, ম্যানচেস্টার এবং লিসেস্টার, কভেন্ট্রি, ব্র্যাডফোর্ড এবং ল্যাঙ্কাশায়ারের প্রাক্তন মিল শহরে অবস্থিত। এই সংখ্যার একটি অংশ পূর্ব আফ্রিকার গুজরাতিরাও আছেন, যারা আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ "আফ্রিকায়ীত" হওয়ার পর সেখান থেকে চলে এসেছেন। অধিকাংশই, যাদের ব্রিটিশ পাসপোর্ট আছে, যুক্তরাজ্যে বসতি স্থাপন করেছেন।[৩৬] যুক্তরাজ্যে জিসিএসই শিক্ষার্থীদের জন্য গুজরাতি একটি বিষয় হিসাবে রাখা হয়েছে।
গুজরাতিরা ছাড়াও গুজরাতের অ-গুজরাতি বাসিন্দা এবং অভিবাসীরাও গুজরাতিতে কথা বলেন যাদের মধ্যে কচ্ছি জাতি (সাহিত্যে ব্যবহার হয়), পারসি (মাতৃভাষা হিসাবে গৃহীত হয়েছে) এবং পাকিস্তান থেকে আগত হিন্দু সিন্ধি শরণার্থীরা উল্লেখযোগ্য। ভৌগোলিক বণ্টনের বিষয়ে আরও বিস্তারিতভাবে জানা যাবে জর্জ এ. গ্রীয়ারসনের 'ভারতের ভাষাতত্ত্ব জরিপ' বইটিতে।
সরকারি মর্যাদা
সম্পাদনাভারতের ২৩টি সরকারী ভাষা এবং ভারতের ১৪টি আঞ্চলিক ভাষাগুলির মধ্যে একটি হল গুজরাতি। গুজরাত, দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউয়ে ভাষাটি সরকারীভাবে স্বীকৃত।
রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, এবং তামিলনাড়ু রাজ্যগুলিতে এবং দিল্লির জাতীয় রাজধানী অঞ্চলে গুজরাতি সংখ্যালঘু ভাষা হিসাবে স্বীকৃত এবং শেখানো হয়।[৩৭]
উপভাষা
সম্পাদনাব্রিটিশ ইতিহাসবিদ, ভাষাতত্ত্ববিদ এবং গুজরাতি ব্যাকরণের প্রাথমিক পণ্ডিত উইলিয়াম তিসডালের মতে, গুজরাতির তিনটি প্রধান প্রজাতি আছে: আদর্শ 'হিন্দু' উপভাষা, 'পার্সি' উপভাষা এবং 'মুসলিম' উপভাষা।[৩৮]
কিন্তু, আঞ্চলিক বিভিন্নতার কারণে গুজরাতি ভাষার সমসাময়িক পুনশ্রেণীকরন করা হয়েছে:
- প্রমিত গুজরাতি: সংবাদমাধ্যম, শিক্ষা এবং সরকারি ক্ষেত্রে এই প্রকারটি ব্যবহা করা হয়। মহারাষ্ট্রের কিছু কিছু জায়গায়তেও এই প্রকারটি ব্যবহৃত হয়। এই উপভাষার প্রকারগুলি হল মুম্বাই গুজরাতি, নাগরি, পাটনুলি, সৌরাষ্ট্রি।
- গামাদিয়া: পধানত আহমেদাবাদ এবং তার পার্শবর্তী এলাকায় বলা হয়। এছাড়াও ভারুচ এবং সুরাতে ব্যবহার হয় যেখানে এটিকে "সুরাতি" নামে ডাকা হয়। এর প্রকারগুলি হল আহমেদাবাদ গামাদিয়া, আনাওলা, ব্রাথেলা, চারোতারি, পূর্ব ব্রোচ গুজরাতি, গ্রাম্য, পাটানি, পাতিদারি, সুরাতি, ভাদোদারি।
- কাথিয়াওয়াড়ি: প্রধানত কাথিয়াওয়াড় অঞ্চলে বলা হয়। সিন্ধি ভাষার প্রভাব লক্ষনীয়। এর প্রকাগুলি হল ভাবনগরি, গোহিলওয়াড়ি, হোলাদি/হালারি, ঝালাওয়ড়ি, সোরাঠি।
- আরও যে প্রকারের উদ্ধৃত করে তা হল খারওয়া, কাকরি এবং তারিমুকি (ঘিসাডি)।
- পারসি: সংখ্যালঘু জরাথুস্ট্রীয় পারসি সম্প্রদায় দ্বারা ব্যবহৃত হয়। এই অত্যন্ত স্বতন্ত্র প্রকারটি শব্দভান্ডারের দিক থেকে অবেস্তা ভাষার দ্বারা যথেষ্ট প্রভাবিত হয়েছে।
- লিসান-উদ-দাওয়াত: মূলত গুজরাতি মুসলিম বোহরা সম্প্রদায়ের দ্বারা কথিত, এটির শব্দভান্ডার আরবি এবং ফার্সি দ্বারা প্রভাবিত এবং আরবি লিপিতে লিখিত হয়।
কচ্ছি ভাষাকে প্রায়শই গুজরাতির একটি উপভাষা বলে অভিহিত করা হয়, তবে বেশীরভাগ ভাষাবিদরা এটিকে সিন্ধির কাছাকাছি বলে বিবেচনা করেন। উপরন্তু, সিন্ধি, গুজরাত, এবং কচ্ছি ভাষার একটি মিশ্র ভাষা মেমনী ভাষাও গুজরাতির সঙ্গে সম্পর্কিত।[৩৯]
অধিকন্তু, পূর্ব আফ্রিকার যে অঞ্চলগুলিতে গুজরাতিরা প্রবাসী সম্প্রদায় হয়েছেন, সেখানে স্থানীয় ভাষার শব্দগুলি গুজরাতি ভাষার শব্দ-ঋণ হয়ে উঠেছে।[৪০]
ধ্বনিতত্ত্ব
সম্পাদনাস্বরধ্বনি
সম্পাদনাসম্মুখ | কেন্দ্রিক | পশ্চাৎ | ||
---|---|---|---|---|
সংবৃত | i | u | ||
সংবৃত-মধ্য | e | ə | o | |
বিবৃত-মধ্য | ɛ | ɔ | ||
বিবৃত | (æ) | ɑ |
ব্যঞ্জনধ্বনি
সম্পাদনাওষ্ঠ্য | দন্ত্য/ দন্তমূলীয় |
মূর্ধন্য | পশ্চাদ্দন্তমূলীয় /তালব্য |
পশ্চাত্তালব্য | কণ্ঠনালীয় | ||
---|---|---|---|---|---|---|---|
নাসিক্য | m | n | ɳ | ||||
স্পর্শ | অঘোষ | p | t̪ | ʈ | tʃ | k | |
ঘোষ | b | d̪ | ɖ | dʒ | ɡ | ||
মহাপ্রাণ অঘোষ |
(pʰ) | t̪ʰ | ʈʰ | tʃʰ | kʰ | ||
মহাপ্রাণ ঘোষ |
bʱ | d̪ʱ | ɖʱ | dʒʱ | ɡʱ | ||
উষ্ম | অঘোষ | f | s | ʃ | |||
ঘোষ | (z) | ɦ | |||||
নৈকট্য | ʋ | l | ɭ̆ [৪১] | j | |||
তাড়নজাত | ɾ |
লিখন পদ্ধতি
সম্পাদনাগুজরাতি লেখার জন্য গুজরাতি লিপি ব্যবহার করা হয় যেটি একটি আবুগিডা। গুজরাতি ভাষা ছাড়াও কচ্ছি ভাষা লেখার জন্য এই লিপির ব্যবহার হয়। এই লিপিটি দেবনাগরী লিপির একটি প্রকার। এর বিশেষত্ব হল এই লিপির বর্ণের কোন মাত্রা নেই।
গুজরাতি লিপি ছাড়াও গুজরাতি ভাষা আরবি লিপি এবং ফার্সি লিপিতেও লেখা হয়। গুজরাতের কচ্ছ জেলায় এর প্রচলন বেশি দেখা যায়।
শব্দভান্ডার
সম্পাদনাশ্রেণিবিভাগ এবং উৎস
সম্পাদনাতদ্ভব শব্দ
সম্পাদনাতদ্ভব (તદ્ભવ) শব্দ হল সেই সব সংস্কৃত শব্দ যেগুলি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তনের মাধ্যমে গুজরাতিতে এসেছে। এই শব্দগুলি সাধারণত দৈনন্দিন এবং গুরুত্বপূর্ণ শব্দ, এবং কথিত ভাষায় ব্যবহার হয়ে থাকে।
বাংলা | সংস্কৃত | গুজরাতি | তথ্যসূত্র |
---|---|---|---|
আমি | অহম | হুঁ | [৪২] |
পড়ে যাওয়া | খসতি | খাসৱুঁ (সরা) | [৪৩] |
সরানো | অর্পতি | আপৱুঁ (দেওয়া) | [৪৪] |
বিদ্যালয় | ন্যায়শালা | নিশাল় | [৪৫] |
অর্জন করা | প্রাপ্নতি | পাৱমুঁ | [৪৬] |
বাঘ | ব্যাঘ্র | ৱাঘ | [৪৭] |
সমান | সম | সামুঁ (সঠিক) | [৪৮] |
সব | সর্ব | সউ | [৪৯] |
তৎসম
সম্পাদনাবিদেশি
সম্পাদনাফার্সি-আরবি
সম্পাদনাইংরাজি
সম্পাদনাBye
পর্তুগীজ
সম্পাদনাইংরাজিতে গ্রহণ করা গুজরাতি শব্দ
সম্পাদনাব্যকরণ
সম্পাদনানমুনা
সম্পাদনাআরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ মাইকেল পার্কভাল, "Världens 100 största språk 2007" (২০০৭ সালে বিশ্বের ১০০টি বৃহত্তম ভাষা), Nationalencyklopedin
- ↑ Ernst Kausen, 2006. Die Klassifikation der indogermanischen Sprachen (Microsoft Word, 133 KB)
- ↑ Dwyer 1995, পৃ. 5
- ↑ হ্যামারস্ট্রোম, হারাল্ড; ফোরকেল, রবার্ট; হাস্পেলম্যাথ, মার্টিন, সম্পাদকগণ (২০১৭)। "Gujarati"। গ্লোটোলগ ৩.০ (ইংরেজি ভাষায়)। জেনা, জার্মানি: মানব ইতিহাস বিজ্ঞানের জন্য ম্যাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউট।
- ↑ "বক্তার সংখ্যা অনুসারে তফসিলভুক্ত ভাষা - ২০০১"। ভারতের জনগননা। ২ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Mikael Parkvall, "Världens 100 största språk 2007" (২০০৭-এ পৃথিবীর ১০০টি বৃহত্তম ভাষা), Nationalencyklopedin।
- ↑ "Hindi and Gujarati fastest growing Indian languages in the US"। ১৪ আগস্ট ২০১৩।
- ↑
Edwards, Viv। "Gujarati today"। ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন।
Gujaratis form the second largest of the British South Asian speech communities, with important settlements in Leicester and Coventry in the Midlands, in the northern textile towns and in Greater London.
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ Simons, Gary F; Fennig, Charles D, সম্পাদকগণ (২০১৭)। Ethnologue: Languages of the World (20th সংস্করণ)। Dallas, Texas: SIL International।
- ↑
Barlas, Robert; Yong, Jui Lin (২০১০)। Uganda। Marshall Cavendish। পৃষ্ঠা 96। আইএসবিএন 9780761448594।
Of the non-Ugandan languages, Hindi and Gujarati are commonly spoken among members of the Asian Hindu community that migrated to Uganda during the early part of the 20th century.
- ↑
"Indian South Africans"। South African History Online।
English is spoken as a first language by most Indian South Africans, although a minority of the Indian South African population, especially the elders, still speak some Indian languages. These languages include Hindi, Tamil, Telugu, Urdu, Punjabi, and Gujarati.
- ↑
"Immigrant languages in Canada"। Statistics Canada।
Indo‑Iranian languages include Persian, mainly spoken in Iran, with 177,000 persons, along with various languages of the Indian subcontinent, including Punjabi (460,000)—the top immigrant language reported in Canada—as well as Urdu (194,000), and Hindi and Gujarati, each with just over 100,000 persons.
- ↑ "Indians make up over 1 per cent of Australia's population"। The Indian Express। ২৭ জুন ২০১৪।
- ↑
"Gujarati Community in Hong Kong organizes grand reception in the honour of Gujarat CM"। Official Portal of Gujarat Government।
Addressing the community in Gujarati
- ↑
"Gujarati: The language spoken by more than 55 million people"। The Straits Times। ২০১৭-০১-১৯।
Gujarati is at least 700 years old and is spoken by more than 55 million people worldwide.
- ↑
Benson, Eugene (৩০ নভেম্বর ২০০৪)। Encyclopedia of Post-Colonial Literatures in English। Routledge। পৃষ্ঠা 563। আইএসবিএন 9781134468485।
Gandhi's seminal work, 'Hind Swaraj' ('Indian Home Role'), appeared in the columns of Indian Opinion in 1909. Originally written in his mother tongue, Gujarati, it was translated into English by Gandhi and published as Hind Swaraj or Indian Home Role in 1910.
- ↑ "Jinnah didn't know Urdu, was fluent in Gujarati"। The Times of India। ৩০ আগস্ট ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- ↑ Timeline: Personalities, Story of Pakistan। "Muhammad Ali Jinnah (1876-1948)"। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১৮।
- ↑ ক খ ড্যালবি ১৯৯৮, পৃ. ২৩৭
- ↑ মিস্ত্রি ১৯৯৭, পৃ. ৬৫৪
- ↑ ক খ মিস্ত্রী, পি. জে, ১৯৯৭/২০০১/২০০৩
- ↑ টার্নার ১৯৬৬, পৃ: ৮১১. Entry 14024.
- ↑ টার্নার ১৯৬৬, পৃ: ৭৬০. Entry 13139.
- ↑ টার্নার ১৯৬৬, পৃ: ৪১. Entry 941.
- ↑ টার্নার ১৯৬৬, পৃ: ৭৬৬. Entry 13271.
- ↑
অজয় মিত্র শাস্ত্রী; আর. কে. শর্মা; দেবেন্দ্র হান্ডা (২০০৫), Revealing India's past: recent trends in art and archaeology, Aryan Books International, পৃষ্ঠা ২২৭, আইএসবিএন 8173052875,
It is an established fact that during 10th-11th century ... Interestingly the language was known as the Gujjar Bhakha.
- ↑ কে. আয়াপ্পাপানিকার (১৯৯৭), Medieval Indian literature: an anthology, Volume 3, সাহিত্য আকাডেমী, পৃষ্ঠা 91, আইএসবিএন 9788126003655
- ↑ মিস্ত্রি ২০০৩, পৃ. ১১৫
- ↑ স্মিথ, জে. ডি. (২০০১) "Rajasthani." Facts about the world's languages: An encyclopedia of the world's major languages, past and present। সম্পা: জেন গ্যারি, কার্ল রুবিনো: নিউ ইংল্যান্ড পাবলিশিং অ্যাসোসিয়েটস। পৃ: ৫৯১-৫৯৩।
- ↑ রিতা কোঠারি (৮ এপ্রিল ২০১৪)। Translating India। রুটলেজ। পৃষ্ঠা ৭৩–৭৪। আইএসবিএন 978-1-317-64216-9। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১৮।
- ↑ মিস্ত্রী ২০০৩, পৃ. ১১৫-১১৬
- ↑ ক খ কার্ডোনা ও সুথার ২০০৩, পৃ. ৬৬১
- ↑ যশসচন্দ্র, এস. (১৯৯৫) "Towards Hind Svaraj: An Interpretation of the Rise of Prose in 19th-century Gujarati Literature." Social Scientist. খন্ড ২৩, সংখ্যা ১০/১২। পৃ: ৪১-৫৫।
- ↑ লুইস, এম. পল, সম্পাদক (২০০৯)। Ethnologue: Languages of the World (১৬শ সংস্করণ)। ডালাস, টেক্সাস: SIL International। }}
- ↑
রেহমান, জিয়া উর (১৮ আগস্ট ২০১৫)। "With a handful of subbers, two newspapers barely keeping Gujarati alive in Karachi"। দ্য নিউজ ইন্টার্ন্যাশানাল। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১৮।
In Pakistan, the majority of Gujarati-speaking communities are in Karachi including Dawoodi Bohras, Ismaili Khojas, Memons, Kathiawaris, Katchhis, Parsis (Zoroastrians) and Hindus, said Gul Hasan Kalmati, a researcher who authored “Karachi, Sindh Jee Marvi”, a book discussing the city and its indigenous communities. Although there are no official statistics available, community leaders claim that there are three million Gujarati-speakers in Karachi – roughly around 15 percent of the city's entire population.
- ↑ ডয়ার ১৯৯৫, পৃ. ২৭৩
- ↑ "52nd REPORT OF THE COMMISSIONER FOR LINGUISTIC MINORITIES IN INDIA" (পিডিএফ)। ncm.nic.in। সংখ্যালঘু জাতীয় কমিশন, সংখ্যালঘু মন্ত্রক (ভারত)। ১৫ নভেম্বর ২০১৬। ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ মে ২০১৮।
- ↑ A simplified grammar of the Gujarati language by William St. Clair Tisdall (1892)
- ↑ এথ্নোলগে গুজরাতি ভাষা (১৯তম সংস্করণ, ২০১৬)
- ↑ Ogilvie, Sarah (২০০৯), "Concise Encyclopedia of Languages of the World", Keith Brown, Concise Encyclopedia of Languages of the World (1st সংস্করণ), Amsterdam, Netherlands: Elsevier, আইএসবিএন 9780080877754
- ↑ মাসিকা (১৯৯১:৯৭)
- ↑ টার্নার ১৯৬৬, p. 44. Entry 992.
- ↑ টার্নার ১৯৬৬, p. 203. Entry 3856.
- ↑ টার্নার ১৯৬৬, p. 30. Entry 684.
- ↑ টার্নার ১৯৬৬, p. 401. Entry 6969.
- ↑ টার্নার ১৯৬৬, p. 502. Entry 8947.
- ↑ টার্নার ১৯৬৬, p. 706. Entry 12193.
- ↑ টার্নার ১৯৬৬, p. 762. Entry 13173.
- ↑ টার্নার ১৯৬৬, p. 766. Entry 13276.