বার্মিংহাম
বার্মিংহ্যাম (/ˈbɜːmɪŋəm/ ( ) BUR-ming-əm, স্থানীয়ভাবে /ˈbɜːmɪŋɡəm/ BUR-ming-gəm) মধ্য ইংল্যান্ডের ওয়েস্ট মিডল্যান্ডসের অন্যতম শহর। ব্রিটেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ও প্রধান শিল্পকেন্দ্র এটি। রাজধানী লন্ডনের বাইরে সর্বাপেক্ষা জনবহুল ব্রিটিশ শহর হিসেবে স্বীকৃত। বার্মিংহামের জনসংখ্যা ২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী ১,০৭৪,৩০০জন যা পূর্বের দশকের তুলনায় ৯৬,০০০-এরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।[১] ধাতব যন্ত্র শিল্প-কারখানায় বিখ্যাত এ শহরের চতুর্দিকে রেল সড়ক ও হাইওয়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। এছাড়াও প্রধান ধাতব উৎপাদনকারী শিল্পের মধ্যে মোটরযানের যন্ত্রাংশ, ক্রীড়া বন্দুক, অলঙ্কার, বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ, গ্লাস, রাবারজাত মালামাল, রাসায়নিক দ্রব্য ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। শহরটি গুরুত্বপূর্ণ কয়লা-খনি অঞ্চলে অবস্থিত।
বার্মিংহাম | |
---|---|
মহানগর | |
নীতিবাক্য: অগ্রবর্তী | |
ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস কাউন্টি এর মধ্যে দেখানো হয়েছে |
ইতিহাস
সম্পাদনামধ্যযুগে মাঝারি ধরনের বাজার শহর ছিল বার্মিংহাম। পরবর্তীতে অষ্টাদশ শতকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শহরটি বিখ্যাত হয়ে উঠে। শিল্প বিপ্লবের সময় বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং অর্থনৈতিক সংস্থাগুলোর প্রধান কেন্দ্রস্থল এটি। একগুচ্ছ আবিষ্কারের মাধ্যমে আধুনিক শিল্প জগতের অসামান্য ভূমিকা পালন করেছে।[২] তন্মধ্যে, বাষ্পচালিত ইঞ্জিনের আবিষ্কারক জেমস ওয়াট, রসায়নবিদ জোসেফ প্রিস্টলি অন্যতম। ১৭৯১ সালের মধ্যে ‘বিশ্বের প্রথম পরিকল্পিত শহরের’ মর্যাদা পায়।[৩] ১৮৩৮ সালে বার্মিহামের সাথে লন্ডন ও লিভারপুলের মধ্যে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটানো হয়। হাজারো হাজারো ছোট-বড় কল-কারখানার মাধ্যমে সমৃদ্ধ অর্থনৈতিক বুনিয়াদ গড়ে উঠে এ শহরের। ঊনবিংশ শতকের শেষার্ধ্বে অসাধারণ উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ, জনগণের সুযোগ-সুবিধা প্রতিষ্ঠা, বস্তি উচ্ছেদ করে পরিকল্পিত নগরে রূপান্তরিত করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে এ শহরে ব্যাপক বোমা-বর্ষণ করা হয়।
শুরুরদিকে শহরের নাম ছিল ব্রোমিচাম।[৪] পরবর্তীতে নাম পাল্টানো হয় ব্রুমাগেম।[৫] শহরের প্রাচীন নাম ব্রুমাগেম থেকেই ডাক নাম ব্রুম শব্দের উদ্ভব ঘটেছে। এ শব্দ থেকেই বার্মিংহামের অধিবাসীদেরকে ব্রুমিজ বলা হয়ে থাকে।
ক্রীড়া জগৎ
সম্পাদনাএই শহরে মূল ৩টি মাঠ রয়েছে।
- উত্তর দিকে : ভিলা পার্ক
- পূর্ব দিকে : সেন্ট অ্যান্ড্রু'স স্টেডিয়াম
- দক্ষিণ দিকে : এজবাস্টন ক্রিকেট গ্রাউন্ড
সাত বার ও বর্তমান কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী ওয়ারউইকশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব এজবাস্টনে খেলে থাকে। এ মাঠে টেস্ট ক্রিকেট ও একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা হয়ে থাকে। মাঠটি যুক্তরাজ্যের লর্ডসের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম।[৬] এজবাস্টনে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হিসেবে ১৯৯৪ সালে ব্রায়ান লারার অপরাজিত ৫০১ রানের বিশ্বরেকর্ড সৃষ্টি হয়েছিল।[৭]
পরিবহন
সম্পাদনাশহরের প্রাণকেন্দ্রে মূল রেলওয়ে স্টেশন বার্মিংহাম নিউ স্ট্রিট অবস্থিত। শহর থেকে ১০ কি.মি. পূর্ব দিকে বার্মিংহাম এয়ারপোর্ট অবস্থিত।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ""Census 2011". Birmingham City Council. 2012. Retrieved 4 September 2012."। ২৯ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৩।
- ↑ Uglow, Jenny (2002). The Lunar Men – the friends who made the future. London: Faber & Faber. pp. xiii, 500–501. আইএসবিএন ০-৫৭১-২১৬১০-২.; Jones 2008, pp. 14, 19, 71, 82–83, 231–232
- ↑ Hopkins 1989, p. 26
- ↑ William Hutton (1783). An History of Birmingham.
- ↑ "Brummagem". Worldwidewords.com. 13 December 2003. Retrieved 7 June 2008.
- ↑ "Barnett, Rob (10 August 2011). "Edgbaston at the cutting edge". England and Wales Cricket Board. Retrieved 15 August 2011."। ৮ অক্টোবর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৩।
- ↑ ""Alumni – Brian Lara". Warwickshire County Cricket Club. Archived from the original on 4 December 2007. Retrieved 7 June 2008."। ৪ ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০০৭।
গ্রন্থপঞ্জি
সম্পাদনা- গুটেনবের্গ প্রকল্পে An History of Birmingham (1783) by William Hutton
- Berg, Maxine (১৯৯১)। "Commerce and Creativity in Eighteenth-Century Birmingham"। Berg, Maxine। Markets and Manufacture in Early Industrial Europe। London: Routledge। পৃষ্ঠা 173–202। আইএসবিএন 0-415-03720-4। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০১১।
- Briggs, Asa (১৯৬৫) [1963]। "Birmingham: The making of a Civic Gospel"। Victorian Cities। Berkeley, CA: University of California Press। আইএসবিএন 0-520-07922-1। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০১১।
- Gordon E. Cherry (১৯৯৪)। Birmingham A Study in Geography, History and Planning। আইএসবিএন 0-471-94900-0।
- Hodder, Mike (২০০৪)। Birmingham: the hidden history। Stroud: Tempus Publishing। আইএসবিএন 0-7524-3135-8।
- Hopkins, Eric (১৯৮৯)। Birmingham: The First Manufacturing Town in the World, 1760–1840। London: Weidenfeld & Nicolson। আইএসবিএন 0-297-79473-6।
- Jones, Peter M. (২০০৮)। Industrial Enlightenment: Science, technology and culture in Birmingham and the West Midlands, 1760–1820। Manchester: Manchester University Press। আইএসবিএন 0-7190-7770-2।
- Leather, Peter (২০০১)। A brief history of Birmingham। Studley: Brewin Books। আইএসবিএন 1-85858-187-7।
- Ward, Roger (২০০৫)। City-state and nation: Birmingham's political history, 1830–1940। Chichester: Phillimore। আইএসবিএন 1-86077-320-6।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- Birmingham City Council
- Local Strategic Partnership for Birmingham
- The Birmingham Civic Society
- উইকিভ্রমণ থেকে Birmingham ভ্রমণ নির্দেশিকা পড়ুন।
- টেমপ্লেট:OpenDomesday
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |