যশোর জেলা
যশোর জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগের একটি প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক গুরুত্বসম্পন্ন অঞ্চল। উপজেলার সংখ্যানুসারে যশোর বাংলাদেশের একটি “এ” শ্রেণীভুক্ত জেলা।[২] এর অন্য একটি প্রচলিত বানান যশোহর। ব্রিটিশ আমলে এটিই ছিল বাংলাদেশের প্রথম জেলা। এটি প্রথম শত্রুমুক্ত জেলা। ভৈরব নদের তীরে অবস্থিত এই যশোরকে ফুলের রাজধানীও বলা হয়।
যশোর জেলা | |
---|---|
জেলা | |
যশোর | |
উপরে-বাম থেকে ঘড়ির কাঁটার দিকে: নোয়াপাড়া বাজার, শেখপুর জামে মসজিদ, যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, কেশবপুরে নদী, মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাসভবন | |
ডাকনাম: বাংলাদেশের ফুলের রাজধানী, প্রথম ডিজিটাল জেলা, দক্ষিণ পশ্চিমের প্রবেশদ্বার | |
নীতিবাক্য: “নানা রঙের ফুলের মেলা খেজুর গুড়ে যশোর জেলা” | |
![]() বাংলাদেশে যশোর জেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°১০′১২″ উত্তর ৮৯°১২′০″ পূর্ব / ২৩.১৭০০০° উত্তর ৮৯.২০০০০° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | খুলনা বিভাগ |
যশোর | ১৭৮১ |
সংসদ | ৬ |
সরকার | |
• জেলা প্রশাসক | মোঃ তমিজুল ইসলাম খান (বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ) |
আয়তন | |
• মোট | ২,৬০৬.৯৪ বর্গকিমি (১,০০৬.৫৫ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ৭ মিটার (২৩ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১ আদমশুমারি)[১] | |
• মোট | ২৭,৬৪,৫৪৭ |
• জনঘনত্ব | ১,১০০/বর্গকিমি (২,৭০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার81.42% | |
• মোট | ৯৫% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৭৪০০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৪০ ৪১ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
নামের উৎপত্তিসম্পাদনা
যশোর নামের উৎপত্তি সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত মেলে। ঐতিহাসিকদের মধ্যে এই জেলার নামকরণ সম্পর্কে মতবিরোধ দেখা যায়। আরবি ‘জসর’ থেকে যশোর শব্দের উৎপত্তি বলে মনে করেন অনেকে। এর অর্থ সাঁকো। এককালে যশোরের সর্বত্র নদীনালায় পরিপূর্ণ ছিল। নদী বা খালের ওপর সাঁকো বানানো হতো। পীর খানজাহান আলী বাঁশের সাকো নির্মাণ করে ভৈরব নদী পেরিয়ে মুড়লীতে আসেন বলে জানা যায়। এই আরবি শব্দ 'জসর' (বাংলায় যার অর্থ বাঁশের সাঁকো) থেকে যশোর নামের উৎপত্তি। অনুমান করা হয় কসবা নামটি পীর খানজাহান আলীরই দেওয়া (১৩৯৮ খৃঃ)। তবে অনেকের অভিমত, খানজাহান আলী আসার আগে থেকেই ‘যশোর’ নামটি ছিল।
আবার অন্য একটি সূত্র হতে জানা যায় যে- মহারাজ প্রতাপাদিত্যের পিতা বিক্রমাদিত্য ও তার এক সহযোগি বসন্ত রায় গৌড়ের এক চরম অরাজকতার সময় সুলতানের অপরিমিত ধনরত্ন নৌকা বোঝাই করে গোপনে এই এলাকায় প্রেরণ করেন। গৌড়ের ধনরত্ন বোঝাই অসংখ্য নৌকা এখানে পৌঁছানোর পর ধীরে ধীরে বন জঙ্গলে আবৃত্ত এলাকাটির খ্যাতি চারদিকে ছড়িয়ে পড়লো। প্রতিষ্ঠিত হলো একটি সমৃদ্ধ রাজ্য। নবপ্রতিষ্ঠিত রাজ্যের নামকরণ হল যশোহর। প্রবাদ আছে, গৌড়ের যশ হরণ করে এই এলাকার শ্রীবৃদ্ধি হওয়ায় নবপ্রতিষ্ঠিত রাজ্যের নাম যশোহর রাখা হয়। স্থানীয় পুরাতন নাম যশোর পরিবর্তনের মাধ্যমে নতুন নামকরণ হয় যশোহর। 'যশোর' শব্দটি 'যশোহর' শব্দের অপভ্রংশ।[৩][৪]
ইতিহাসসম্পাদনা
যশোর একটি অতি প্রাচীন জনপদ। আনুমানিক ১৪৫০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে পীর খান জাহান আলীসহ বারজন আউলিয়া যশোরের মুড়লীতে ইসলাম ধর্ম প্রচারের প্রধান কেন্দ্র স্থাপন করেন। ক্রমে এ স্থানে মুড়লী কসবা নামে একটি নতুন শহর গড়ে উঠে । ১৫৫৫ খ্রীস্টাব্দের দিকে যশোর রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়। যশোর-খুলনা-বনগাঁ এবং কুষ্টিয়া ও ফরিদপুরের অংশ বিশেষ যশোর রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিলো। ১৭৪৭ খ্রিষ্টাব্দের দিকে যশোর নাটোরের রানী ভবানীর রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৭৮১ খ্রিষ্টাব্দে যশোর একটি পৃথক জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে । ১৮৬৪ সালে ঘোষিত হয় যশোর পৌরসভা। ১৮৩৮ খ্রিষ্টাব্দে যশোর জিলা স্কুল, ১৮৫১ খ্রিষ্টাব্দে যশোর পাবলিক লাইব্রেরি, বিংশ শতাব্দীর তৃতীয় ও চতুর্থ দশকে যশোর বিমান বন্দর এবং ঊনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে কলকাতার সাথে যশোরের রেল-যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রথম স্বাধীন হওয়া জেলাটি যশোর।[৫]
অবস্থান ও আয়তনসম্পাদনা
উত্তরে ঝিনাইদহ জেলা ও মাগুরা জেলা, দক্ষিণে সাতক্ষীরা জেলা ও খুলনা জেলা, পূর্বে নড়াইল জেলা ও খুলনা জেলা, পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ।
প্রশাসনিক এলাকাসমূহসম্পাদনা
এ জেলায় ৮টি উপজেলা রয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় একটি পুলিশ থানা রয়েছে এবং একটি বন্দর থানা রয়েছে।
শিক্ষাসম্পাদনা
১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দে সময় হতেই যশোর শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠান আছে এ জেলায়। যশোরে নির্মিত হয়েছে দক্ষিণ বঙ্গের সর্ববৃহৎ আইটি প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক। এছাড়া উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা নিচে দেয়া হলোঃ
- সুবর্ণখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,শার্শা]-১৮৩১
- উপশহর মহিলা ডিগ্রী কলেজ, যশোর
- যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
- উপশহর ডিগ্রী কলেজ, যশোর
- এসএন গাতিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,শার্শা১৯৩৮
- সোনানদীয়া গাতিপাড়া দাখিল মাদ্রাসা
- যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট-১৯৬৪ খৃস্টাব্দ
- গোড়পাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়,শার্শা১৯৯৬
- বেনেয়ালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- এফ,জে,ইউ,বি মাধ্যমিক বিদ্যালয় বেনেয়ালী, ঝিকরগাছা
- জামিয়া আরাবিয়া মুহিউল ইসলাম
- জামিয়া এজাজিয়া দারুল উলুম যশোর
- যশোর সরকারি মহিলা কলেজ
- ডাঃ আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজ, যশোর
- যশোর মেডিকেল কলেজ
- যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ
- গঙ্গানন্দপুর ডিগ্রী কলেজ
- বি এ এফ শাহীন কলেজ,
- সরকারী এম. এম. কলেজ-১৯৪১
- ২৯ নং উপশহর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,
- নব-নগরী বালিকা বিদ্যালয়, উপশহর, যশোর
- উপশহর মহাবিদ্যালয়, যশোর
- বাদশাহ ফয়সল ইসলামী ইন্সটিটিউট, উপশহর, যশোর
- বাদশাহ ফয়সল ইসলামী ইন্সটিটিউট, ঈদগাহ, যশোর
- উপশহর শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয়,যশোর
- সরকারী শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয়, যশোর
- সরকারি বীরশ্রেষ্ঠ নুর মোহাম্মাদ কলেজ,শার্শা১৯৯৫
- যশোর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট
- যশোর জিলা স্কুল-১৮৩৮ খ্রিষ্টাব্দে
- যশোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
- সম্মিলনী ইনস্টিটিউশন যশোর-১৮৮৯ খ্রিষ্টাব্দে
- দাউদ পাবলিক স্কুল
- যশোর শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুল এন্ড কলেজ
- মুসলিম একাডেমি যশোর
- বিমান বাহিনী একাডেমী, বাংলাদেশের একমাত্র বিমান বাহিনী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
- যশোর জামিয়া ইসলামিয়া
- দারুল আরকাম মাদ্রাসা যশোর
- মুনসেফপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় -১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে
- গঙ্গানন্দপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়- ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে
- হামিদপুর আল-হেরা কলেজ,যশোর
- আমদাবাদ কলেজ
- যশোর আমিনিয়া কামিল মাদরাসা
- যশোর সরকারি সিটি কলেজ
- কেশবপুর সরকারি কলেজ
- কেশবপুর সরকারি পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ
- সাগরদাঁড়ী মাইকেল মধুসূদন ইনস্টিটিউশন
- সাগরদাড়ী আবু সরাফ সাদেক সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল
- মশিয়াহাটী ডিগ্রী কলেজ
- মশিয়াহাটী বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়
- নেহালপুর স্কুল এন্ড কলেজ
- নওয়াপাড়া মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- নওয়াপাড়া শংকরপাশা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- নওয়াপাড়া ডিগ্রী কলেজ
- আকিজ কলেজিয়েট স্কুল
- মণিরামপুর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়
- মণিরামপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়
- কাশিমনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- কুয়াদা উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়
- চাড়াভিটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- মনিরামপুর কারিগরি ভোকেশনাল ইন্সটিটিউ,
- রায়পুর স্কুল এন্ড কলেজ, বাঘারপাড়া
- কয়ালখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিয়ালপাড়া
- মনিরামপুর কলেজ,
- মনিরামপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজ,
- বরভাগ মাধ্যমিক বিদ্যালয়,বাঘারপাড়া
- বাঘারপাড়া পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়,বাঘারপাড়া
- ঝিকরগাছা এম.এল মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ঝিকরগাছা, যশোর ১৮৮৮ সালে
- ঝিকরগাছা বি এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- চৌগাছা কামিল মাদ্রাসা
- বুরুজ বাগান এম এল হাই স্কুল,শার্শা
- চৌগাছা সরকারি শাহাদৎ পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- চৌগাছা হাজী সরদার মর্ত্তজ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়,
- চৌগাছা সরকারী কলেজ,
- চৌগাছা মৃধাপাড়া মহিলা কলেজ,
- এবিসিডি কলেজ,
- এস এম হাবিব কলেজ,
- ভবদহ মহাবিদ্যালয়
- পদ্মবিলা ফাযিল(ডিগ্ৰি)মাদরাসা, ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দ
- ঝিকরগাছা দারুল উলুম কামিল মাদরাসা
- বাগআঁচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শার্শা, যশোর। (১২১৪৪৭)
জলবায়ুসম্পাদনা
যশোর-এর আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য | |||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
মাস | জানু | ফেব্রু | মার্চ | এপ্রিল | মে | জুন | জুলাই | আগস্ট | সেপ্টে | অক্টো | নভে | ডিসে | বছর |
সর্বোচ্চ গড় °সে (°ফা) | ২২.৯ (৭৩.২) |
২৭.০ (৮০.৬) |
৩৩.৪ (৯২.১) |
৪১.০ (১০৫.৮) |
৩৮.১ (১০০.৬) |
৩২.৬ (৯০.৭) |
৩১.৪ (৮৮.৫) |
৩১.৬ (৮৮.৯) |
৩২.১ (৮৯.৮) |
৩১.৫ (৮৮.৭) |
২৯.২ (৮৪.৬) |
২৪.৯ (৭৬.৮) |
৩১.৩ (৮৮.৪) |
দৈনিক গড় °সে (°ফা) | ১৫.৪ (৫৯.৭) |
১৯.৩ (৬৬.৭) |
২৬.১ (৭৯.০) |
৩৪.৬ (৯৪.৩) |
৩৩.০ (৯১.৪) |
২৯.২ (৮৪.৬) |
২৮.৪ (৮৩.১) |
২৮.৬ (৮৩.৫) |
২৮.৭ (৮৩.৭) |
২৭.২ (৮১.০) |
২৩.১ (৭৩.৬) |
১৭.৮ (৬৪.০) |
২৬.০ (৭৮.৭) |
সর্বনিম্ন গড় °সে (°ফা) | ৯.০ (৪৮.২) |
১১.৭ (৫৩.১) |
১৮.৯ (৬৬.০) |
২৮.৩ (৮২.৯) |
২৭.৯ (৮২.২) |
২৫.৮ (৭৮.৪) |
২৫.৫ (৭৭.৯) |
২৫.৬ (৭৮.১) |
২৫.৪ (৭৭.৭) |
২৩.০ (৭৩.৪) |
১৭.০ (৬২.৬) |
১০.৬ (৫১.১) |
২০.৭ (৬৯.৩) |
অধঃক্ষেপণের গড় মিমি (ইঞ্চি) | ১১ (০.৪) |
১৯ (০.৭) |
৪০ (১.৬) |
৭৭ (৩.০) |
১৬৮ (৬.৬) |
৩১৪ (১২.৪) |
৩০৪ (১২.০) |
২৯৩ (১১.৫) |
২৪৫ (৯.৬) |
১৩৩ (৫.২) |
২৮ (১.১) |
৮ (০.৩) |
১,৬৪০ (৬৪.৪) |
আপেক্ষিক আদ্রতার গড় (%) | ৪৬ | ৩৫ | ৩৬ | ৪৪ | ৬০ | ৭৬ | ৭৫ | ৭৬ | ৭৪ | ৭০ | ৫১ | ৪৪ | ৫৭ |
উৎস: climate-data.org |
যোগাযোগ ব্যবস্থাসম্পাদনা
যশোরের সাথে এর কাছাকাছি জেলাগুলির শক্তিশালী যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। পশ্চিম ও পূর্ব বাংলায় পরিবহনের জন্য এখানে সংযোজক আন্তর্জাতিক মহাসড়ক আছে।
যশোর বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় ব্রডগেজ-ভিত্তিক নেটওয়ার্কের একটি জংশন। নেটওয়ার্কটি ভারত পর্যন্ত প্রসারিত। রাজধানী ঢাকা এবং ভারতের কলকাতাকে সংযুক্ত করে পরিষেবাটি ২০০৮ সালের এপ্রিল মাসে চালু করা হয়েছিল। যশোর জংশন রুটটির মাঝখানে পড়েছে।
নগরীর কাছাকাছি যশোর বিমানবন্দরটি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি বিমানঘাঁটি। এটিই দেশের একমাত্র বিমানবন্দর যেখানে বিমান বাহিনীর সকল বৈমানিকদের বিমান উড্ডয়নের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এটির রানওয়ে দিয়ে সামরিক বিমানসহ অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল করে। দৈনিক চলাচল করা অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যিক বিমানের মধ্যে রয়েছে ইউএস-বাংলা, রিজেন্ট , নভো এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
অর্থনীতিসম্পাদনা
চিংড়ি চাষঃসম্পাদনা
যশোরের অথনীতিকে বেগবান করেছে মাছ চাষ। যশোরের অর্থনীতির সিংহভাগই আসে মাছ চাষ তথা চিংড়ি রফতানি করে।
বেনাপোল স্থল বন্দরসম্পাদনা
যশোরের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান নিয়ামক দেশের প্রধান এবং সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থল বন্দর যা শার্শা উপজেলার সীমান্তবর্তী বেনাপোল পৌরশহরে অবস্থিত। ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যের সিংহভাগ এর মাধ্যমে সংঘটিত হয়। ওপারে আছে পেট্রাপোল। সরকারি আমদানী শুল্ক আহরণে বেনাপোল স্থল বন্দরটির ভূমিকা তাৎপর্যপূর্ণ। এখানকার মানুষের জীবিকার অন্যতম সূত্র বেনাপোল স্থল বন্দরের কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এজেন্টের কাজ।
নওয়াপাড়াসম্পাদনা
যশোরের ব্যবসা বাণিজ্যর প্রাণ কেন্দ্র বলা যায় নওয়াপাড়াকে। এখানকার এবং আশেপাশের উদ্যোক্তাদের কারণে এখানে বিভিন্ন শিল্প কলকারখানা গড়ে উঠেছে। এছাড়া নৌপথে আমদানি রপ্তানি হয়ে থাকে। যা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখে ।
গদখালিসম্পাদনা
বাংলাদেশের ফুলের রাজধানী যশোর। বাংলাদেশের অধিকাংশ ফুল মূলত যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালিতে চাষ হয়। এখানে উৎপাদিত ফুল সারাদেশে সরবরাহ করা হয়।[৬]
চিত্তাকর্ষক স্থান ও স্থাপনাসম্পাদনা
- চাঁচড়া জমিদার বাড়ি
- বাবা বৈদ্যনাথ ধাম মন্দির, খেদাপাড়া
- যশোর ইনস্টিটিউট
- যশোর ইনস্টিটিউট পাবলিক লাইব্রেরী
- ফুলের হাট গদখালি
- যশোর পৌর পার্ক
- সাগরদাড়ী, মাইকেল মধুসূদন দত্ত-এর বাড়ি
- তাপস কুটির (কাস্টমস অফিস)
- বেনাপোল স্থল বন্দর
- যশোর বিমানবন্দর
- যশোর সেনানিবাস
- শ্রীধরপুর জমিদার বাড়ি
- এগারো শীব মন্দির
- আকিজ সিটি
- বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখের সমাধি
- মনিহার সিনেমা হল
- কালেক্টরেট পার্ক
- লালদীঘির পাড়
- বিনোদিয়া পার্ক
- উপশহর পার্ক
- যশোর বোট ক্লাব
- ভরত রাজার দেউল (ভরত ভায়না)
- জেস গার্ডেন পার্ক
- যশোর আইটি পার্ক
- মীর্জা নগর নবাব বাড়ি
- ঝাঁপা ভাসমান সেতু
- বৈদ্যনথ তলা মন্দির, পাঁচবাড়িয়া, সদর, যশোর
- জগদীশপুর তুলার ফার্ম
- নির্বাক যুগের টালিগঞ্জ চলচিত্রকর ধীরাজ ভট্টাচার্য্যের বাড়ী-পাজিয়া, কেশবপুর
- চিত্র পরিচালক নওরেশ মিত্রের বাড়ি
- বাংলা উপন্যাসিক নিমায় ভট্টাচার্য্যের বাড়ি
- তালখড়ি জমিদার বাড়ি
- মাইকেল বংশভ্রাতৃদুহিতা মানকুমারী বসুর বাড়ি
- বিপ্লবী অরবিন্দ ও বারিণ ঘোষ সহোদারের মামা বাড়ি, সাগরদাড়ি যশোর
নদীসম্পাদনা
- ভৈরব নদ
- ভৈরব ব্রীজ
- কপোতাক্ষ নদ
- বেতনা নদী
- চিত্রা নদী
- হরিহর নদ
- মযুদখালী নদী
- ঝাঁপা বাওড়
- ভবদহ বিল
- শার্শা কন্যাদাহের আশ্চর্য বাওড়
- কুটিবাড়ি বিল, মাটিপুকুর
- পদ্ম বিল চাকলা
- কালিয়ানীর বিল বা বাহাদুরপুর বাওড়
- বুকভরা বাওড়
- বঙ্গবন্ধু ভাসমান সেতু
বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গসম্পাদনা
- কেরামত মওলা
- ফারজানা রিক্তা
- হামিদা রহমান
- হাজারীলাল তরফদার
- রশিদ আলী
- মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান
- শামসুদ্দিন টগর
- শেখ আকিজ উদ্দীন
- ইজাজ আহম্মেদ, কবি ও অভিনেতা( ১৯৯১, আগষ্ট ২৪-)
"রূপ গোস্বামী"। যশোর ডট ইনফো। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।</ref>[৭][৮]
- মাইকেল মধুসূদন দত্ত (২৫ জানুয়ারি ১৮২৪ – ২৯ জুন ১৮৭৩) - ঊনবিংশ শতাব্দীর বিশিষ্ট বাঙালি কবি ও নাট্যকার;
- কিরণচন্দ্র মুখোপাধ্যায় (১৮৯৩-১২ ডিসেম্বর ১৯৫৪) - ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী;
- ফররুখ আহমদ (১০ জুন ১৯১৮ - ১৯ অক্টোবর ১৯৭৪) - মুসলিম রেনেসাঁর কবি;
- সরোজ দত্ত – ভারতীয় বাঙালি বামপন্থী রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবী
- গোলাম মোস্তফা (১৮৯৭-১৯৬৪) - মুসলিম রেঁনেসার কবি;
- আবুল হোসেন (১৫ আগস্ট ১৯২২ - ২৯ জুন ২০১৪) - কবি;
- ড. মোহাম্মদ লুৎফর রহমান (১৮৯৭-১৯৩৬) - প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও মানবতাবাদী;
- বাঘা যতীন - ভারতের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের শহীদ বিপ্লবী;
- ইলা মিত্র (১৮ অক্টোবর ১৯২৫ - ১৩ অক্টোবর ২০০২) - বিপ্লবী এবং সংগ্রামী কৃষক নেতা;
- রাধাগোবিন্দ চন্দ্র (১৬ই জুলাই ১৮৭৮ - ৩রা এপ্রিল ১৯৭৫) - জ্যোতির্বিজ্ঞানী[৯]
- রাজা প্রতাপাদিত্য
- কোহিনূর আক্তার সুচন্দা - অভিনেত্ৰী
- ফরিদা আক্তার ববিতা - অভিনেত্ৰী
- গুলশান আরা চম্পা - অভিনেত্ৰী
- রিয়াজ
- শাবনূর- অভিনেত্ৰী।
- শাহ মোহাম্মদ ফারুক:বৈজ্ঞানিক।
- শফিকুর রহমান
- এস এম আরিফ-উর-রহমান
- এএফএম মহিতুল ইসলাম
- দীনেশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় - শিশুসাহিত্যিক ও সম্পাদক
- অবনীভূষণ চট্টোপাধ্যায় - গণিতজ্ঞ ও লেখক
- হাসিবুর রেজা কল্লোল - চলচ্চিত্র পরিচালক
- ইকবাল কাদির - গ্রামীণফোনের প্রতিষ্ঠাতা
- রসিকলাল চক্রবর্তী - সাধক সঙ্গীতজ্ঞ
- অরুণ মিত্র
- আকরাম আহমেদ
- আহমদ আলী এনায়েতপুরী
- আব্দুল্লাহ আল মামুন (ক্রিকেটার, জন্ম ১৯৯০)
- অমিত কুমার নয়ন
- সরলা বসু
- অরুণাচল বসু
- তরিকুল ইসলাম
- শিশির কুমার ঘোষ
- কাজী কামরুল হাসান
- কাজী হাসান হাবিব
- খালেদুর রহমান টিটো
- আলী কদর
- আলী রেজা রাজু
- শেখ আফিল উদ্দিন
- শেখ আব্দুল ওহাব
- রওশন আলী
- স্বপন ভট্টাচার্য্য
- পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য্য
- ইসমত আরা সাদেক
- আবু শারাফ হিজবুল কাদের সাদেক
আরও দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে যশোর"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২০ জুন ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৬।
- ↑ "জেলাগুলোর শ্রেণি হালনাগাদ করেছে সরকার"। বাংলানিউজ২৪। ১৭ আগস্ট ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০২০।
- ↑ জার্নি রিপোর্ট (২০১৮-১২-২৯)। "সাঁকো থেকে যেভাবে 'যশোর' নামের উৎপত্তি"। বাংলা ট্রিবিউন। ৬ মার্চ ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-১৫।
- ↑ "৬৪ জেলার নামকরণের ইতিহাস"।
- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "জেলার পটভূমি"। jessore.gov.bd। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৪।
- ↑ হাসনাত, রাকিব (২০১৯-০১-১৫)। "যেভাবে ফুলের রাজ্যে পরিণত হলো যশোরের গদখালী"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-০৭।
- ↑ "শ্রীজীব গোস্বামী"। যশোর ডট ইনফো। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
- ↑ "ইউআরএল=http://jessore.info/index.php?option=content&value=1101"। যশোর ডট ইনফো।
|title=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য); - ↑ "জ্যোতির্বিজ্ঞানী রাধাগোবিন্দ"। সমকাল। ১৬ জুলাই ২০১৬। ১৭ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।