কেশবপুর উপজেলা
কেশবপুর উপজেলা বাংলাদেশের যশোর জেলার অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক এলাকা।
কেশবপুর | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে কেশবপুর উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২২°৫৪′২৭″ উত্তর ৮৯°৩৩′৪৬″ পূর্ব / ২২.৯০৭৫০° উত্তর ৮৯.৫৬২৭৮° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | খুলনা বিভাগ |
জেলা | যশোর জেলা |
প্রতিষ্ঠা | ১৯৮৪ |
সরকার | |
• উপজেলা প্রশাসক | জনাব. জাকির হোসেন (অন্তবর্তীকালীন) |
আয়তন | |
• মোট | ২৫৮.৫৩ বর্গকিমি (৯৯.৮২ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০০১)[১] | |
• মোট | ২,৫৩,২৯১ |
• জনঘনত্ব | ৯৮০/বর্গকিমি (২,৫০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৭৫% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৭৪৫০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৪০ ৪১ ৩৮ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
অবস্থান ও আয়তন
সম্পাদনাএটি খুলনা বিভাগের অধীন যশোর জেলার অন্তর্গত। এর আয়তন ২৫৮.৫৩ বর্গকিলোমিটার। যশোর শহর থেকে এর দুরত্ব ৩২ কিলোমিটার। এর উত্তের মণিরামপুর উপজেলা, দক্ষিণে খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলা, পূর্বে অভয়নগর উপজেলা, পশ্চিমে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলা।
ইতিহাস
সম্পাদনাকেশবপুরে আগে থানা ছিল না। ছিল মীর্জানগর। কেশবপুরের নাম প্রথম শোনা যায় ১৮০২ খ্রিষ্টাব্দে। কেশবপুর বাজারের মধ্য দিয়ে যে নদী (এখন খাল) বয়ে গেছে, ওই খালের উপর জিতরাম সাহা একটি পুল তৈরি করেন।
ওই খালের উত্তর দিকে এক সময় হাট বসতো। পরে ওই হাট দক্ষিণ পাশেও বসে। প্রাচীন হাটের মালিক ছিলেন সুখময় মুর্খাজী এবং নবীন হাটের অংশের (আলতাপোল) অতীত কেশব পাটনির জায়গার সত্ত্ববান ছিলেন সুখসিন্ধু ও সুধাসিন্ধু ব্যানার্জি।
উভয়ে প্রবাসীদের সুবাদে এ জমি পান। দু’দলের বিরোধ চরমে উঠলে নড়াইলের জমিদার হস্তক্ষেপ করেন এবং অবস্থান পরিবর্তন ঘটে। পুরনো হাটকে বারো আনা এবং নতুন হাটকে চার আনা হাট বলা হতো। কেশবপাটনির নাম ধরে থানার নাম হয় কেশবপুর।
১৭৮১ খ্রিষ্টাব্দে যশোর জেলা ঘোষনার সময় থানা ছিল মীর্জানগরে। সেটি ছিল যশোর জেলার দ্বিতীয় বাণিজ্য কেন্দ্র। এখানে উল্লেখ্য যে, ১৭৬৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৭৭২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত রেনেল যে ম্যাপ তৈরি করে বাংলার বা এই অঞ্চলের সেখানে কেশবপুরের নাম ছিল না।
১৮৬৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ জুন এখানে থানা স্থাপিত হয়। আর উপজেলা হয় ১৯৮২ সালের ১৫ ডিসেম্বর। কেশবপুরের প্রথম চেয়ারমার নির্বাচিত হয় গাজী এরশাদ আলী। প্রথম নির্বাহী অফিসার ছিলেন মোঃ সাজ্জাদ হোসেন।
প্রশাসনিক এলাকা
সম্পাদনাএই উপজেলার ইউনিয়নগুলো হচ্ছে-
- ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন
- সাগরদাঁড়ী ইউনিয়ন
- মজিদপুর ইউনিয়ন
- বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়ন
- মঙ্গলকোট ইউনিয়ন
- কেশবপুর ইউনিয়ন
- পাজিয়া ইউনিয়ন
- সুফলাকাটি ইউনিয়ন
- গৌরিঘোনা ইউনিয়ন
- সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন এবং
- হাসানপুর ইউনিয়ন
১টি পৌরসভা হচ্ছে:
শিক্ষা
সম্পাদনা- সরকারি কেশবপুর কলেজ
- কেশবপুর সরকারি পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ
- কেশবপুর বাহরুল উলুম কামিল মাদ্রাসা
- সাগরদাঁড়ী মাইকেল মধুসূদন ইনস্টিটিউশন
- সাগরদাঁড়ী আবু সরাফ সাদেক সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল
- মধুসূদন সংকৃত একাডেমী, সাগরদাঁড়ী
- কপোতাক্ষ কলেজ
- পাঁজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- পাঁজিয়া কলেজ
- সাতবাড়য়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- মেহেরপুর দাখিল মাদ্রাসা
- সাগরদাঁড়ী আলিম মাদ্রাসা
- ভাল্লুকঘর ফাজিল মাদ্রাসা
- মজিদপুর কওমী মাদ্রাসা
- এম, এম গোবিন্দপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়
যোগাযোগ ব্যবস্থা
সম্পাদনাযশোর শহর থেকে বাস ও মোটরসাইকেল যোগে কেশবপুর যাওয়া যায়। যশোর বাস টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন কেশবপুরের উদ্দেশ্যে বাস ছেড়ে যায়৷ আবার সাতক্ষীরাগামী বাসে করেও কেশবপুর যাওয়া যায়।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব
সম্পাদনা- মাইকেল মধুসূদন দত্ত, কবি।
- ধীরাজ ভট্টাচার্য - অভিনেতা।
- এ এস এইচ কে সাদেক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী।
- ইসমাত আরা সাদেক, সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।
- আজিজুল ইসলাম ,সাবেক সাংসদ,যশোর-৬।
দর্শনীয় স্থান
সম্পাদনাসাগরদাঁড়ীতে মাইকেল মধুসূদন দত্তের মধুপল্লী, মীর্জা নগর নবাব বাড়ি (হাম্মামখানা), পাঁজিয়ায় মহানায়ক ধীরাজ ভট্টাচার্য ও মনোজ বসুর বাড়ি, গৌরীঘোনা ইউনিয়নে ভর্তের দেউল( ভরত রাজার দেউল,আদি বৌদ্ধ মন্দির) । বিদ্যানন্দকাটী ইউনিয়নের খাঞ্জালী দীঘি (পীর খান জাহান আলীর দীঘি), মেহেরপুর পীর মেহের উদ্দিন এর মাজার। মজিদপুর বটগাছ এখানে বিভিন্ন প্রকৃতি খুবই সুন্দর।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে কেশবপুর"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারী ২০১৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]