যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলাদেশী বিশ্ববিদ্যালয়

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সংক্ষেপে: যবিপ্রবি) বাংলাদেশের যশোর জেলায় অবস্থিত প্রথম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বৃহত্তর যশোর জেলার প্রথম ও একমাত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। যবিপ্রবি যশোর সদর উপজেলার স্বাধীনতা সড়কে অবস্থিত। এটি কারিগরিপ্রযুক্তি শিক্ষা প্রসারের জন্য ২০০৭ সালের ২৫ জানুয়ারি এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৮-২০০৯ শিক্ষাবর্ষে এর শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। এটি খুলনা বিভাগের চতুর্থ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
নীতিবাক্যজ্ঞানই শক্তি
ধরনসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
স্থাপিত২৫ জানুয়ারি ২০০৭; ১৮ বছর আগে (2007-01-25)
ইআইআইএন১৩৬৬২৯ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
আচার্যরাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন
উপাচার্যঅধ্যাপক ড. আব্দুল মজিদ
ডিনঅধ্যাপক ড. ইঞ্জি. মো. আমজাদ হোসেন
অধ্যাপক ড. শিরিন নিগার
অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল ইসলাম
অধ্যাপক ড. মো. জাফিরুল ইসলাম
ড. মো. কোরবান আলী
ড. মো. মুনিবুর ইসলাম
ড. মো. কামাল হোসেন
অধ্যাপক ড. মো. জিয়াউল আমিন
রেজিস্ট্রারপ্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ
৩১৩
প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ
৫০৯
শিক্ষার্থী৪৬২২
স্নাতক৩৬০০[]
স্নাতকোত্তর১০২২
ঠিকানা
স্বাধীনতা সড়ক, চুড়ামনকাটি, যশোর সদর উপজেলা
, ,
৭৪০৮
,
শিক্ষাঙ্গনশহুরে, ৪৫ একর (১৮ হেক্টর) (মূল ক্যাম্পাস ৩৫ একর, ঝিনাইদহ ক্যাম্পাস ১০ একর)
পোশাকের রঙ   লাল ও সবুজ
সংক্ষিপ্ত নামযবিপ্রবি
অধিভুক্তিবিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন
বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল
মাসকটখেজুর গাছ 🌴
ওয়েবসাইটwww.just.edu.bd
মানচিত্র

ইতিহাস

সম্পাদনা

২০০১ সালে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ কর্তৃক গৃহীত ‘যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০১’ নামের ঐ সালের ৪৪ নম্বর আইনে রাষ্ট্রপতি ১৫ জুলাই তারিখে তাঁর সম্মতি জ্ঞাপন করেন। এরপরে নানা ঘটনার প্রেক্ষিতে ২০০৪ সালের ৭ আগস্ট অনুষ্ঠিত প্রাক-একনেক সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) এবং শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর যৌথভাবে সরেজমিনে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য স্থান নির্ধারণ করবে, এই মর্মে পুনঃসিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় যশোরের জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক এবং ইউজিসির একজন প্রতিনিধিকে সদস্য-সচিব করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নির্বাচনের জন্য ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে। এ কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে বর্ণিত রামনগরের পরিবর্তে বর্তমান স্থানে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সুপারিশ করে। ২০০৭ সালের ২৫ জানুয়ারি, যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের সাজিয়ালী মৌজায় ৩৫ একর জায়গা জুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ক্যাম্পাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ২০০৬ সালের ৫ অক্টোবর।বর্তমানে এ ক্যাম্পাসের আয়তন একশ একরে বর্ধিত করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রশাসনিক কার্যক্রম যশোর শহরের ধর্মতলাস্থ ‘বৃষ্টি মহল’ নামের একটি ভাড়া বাড়িতে শুরু হয়। এ বাড়িতেই ২০০৯ সালে ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষে ‘কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং', ‘এনভাইরমেন্টল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ‘মাইক্রোবায়োলজি’ এবং ‘ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স’ বিভাগে মোট ২০০ জন শিক্ষার্থীর ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। ঐ বছরই মূল ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালের ২৭ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ক্যাম্পাসের শুভ উদ্বোধন করেন।

২০০৯ সালে, 'নিউট্রিশন এন্ড ফুড টেকনোলজি', 'ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং', 'কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং', 'পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং', এবং 'জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি' বিভাগ খোলা হয়। ২০১০ সালে, 'ফার্মেসি' বিভাগ তৈরি করা হয়। ২০১২ সালে 'ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং' এবং 'ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স' বিভাগ যোগ করা হয়।

২০১৩ সালে আরও চারটি নতুন বিভাগ যুক্ত করা হয়: 'পদার্থবিজ্ঞান', 'রসায়ন', 'গণিত' এবং 'ইংরেজি'। ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে 'অ্যাকাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম' এবং 'এগ্রো প্রোডাক্ট প্রসেসিং টেকনোলজি' (বর্তমানে ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং) বিভাগ চালু করা হয়। ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষে, 'বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং' প্রোগ্রাম শুরু হয়।

২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে 'ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং', 'ম্যানেজমেন্ট' এবং 'টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং' বিভাগ এবং ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে 'মার্কেটিং', 'ফিজিওথেরাপি এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন' বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়।

২০২০ সালে 'নার্সিং এন্ড হেল্থ সায়েন্স' বিভাগ এবং 'ক্লাইমেট এন্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট' বিভাগ চালু হয়। ২০২৩ সালে 'বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োসায়েন্স' বিভাগ চালু হয়। সর্বশেষ, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে 'এপ্লাইড স্টাটিস্টিক্স এন্ড ডাটা সায়েন্স' বিভাগ কার্যক্রম শুরু করে।

এছাড়াও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে 'লেদার টেকনোলজি' এবং 'বাংলা' বিভাগ চালুর কথা থাকলেও ইউজিসির অনুমোদন না পাওয়ার কার্যক্রম শুরু করতে পারে নি।[]

৭ মার্চ, ২০২৩ যবিপ্রবি-র রিজেন্ট বোর্ডের ৮৮তম সভায় ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজকে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ হিসেবে অন্তর্ভুক্তি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।[]

বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আটটি অনুষদের অধীনে মোট ৩৬টি বিভাগে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি পর্যায়ে ৪ হাজার ৬২২ জন শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসর, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর, অ্যাসিসট্যান্ট প্রফেসর ও লেকচারার মিলিয়ে মোট ৩৪৯ জন শিক্ষক, বিভিন্ন গ্রেডের ১৬৩ জন কর্মকর্তা এবং দৈনিক মজুরিভিত্তিকসহ প্রায় ৩৪৬ জন কর্মচারী কর্মরত আছেন।

অবস্থান

সম্পাদনা

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় যশোরের স্বাধীনতা সড়কের পাশে অবস্থিত, যেটি চৌগাছা-চুড়ামনকাঠি সড়ক নামেও পরিচিত। যশোরের কেন্দ্র দড়াটানা থেকে এটি প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

একাডেমিক ক্যালেন্ডার

সম্পাদনা

যবিপ্রবিতে শিক্ষাবর্ষ সাধারণত দুটি সেমিস্টারে বিভক্ত। একটি সেমিস্টার ১৮+ সপ্তাহ নিয়ে গঠিত এবং প্রতি সপ্তাহে ৫টি কর্মদিবস থাকে। শিক্ষাবর্ষটি সাধারণত দ্বিতীয় সেমিস্টার শেষ হওয়ার পরে শুরু হয়। একটি পূর্ণকালীন স্নাতক কোর্সে চারটি শিক্ষাবর্ষ বা আটটি সেমিস্টার থাকে। অগ্রগতির ধারাবাহিক মূল্যায়নের জন্য প্রতিটি সেমিস্টারের শেষে একটি নিয়মিত পরীক্ষা এবং ক্লাস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষদ, বিভাগ ও ইনস্টিটিউটসমূহ

সম্পাদনা
 
যবিপ্রবির চারপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য

প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ

সম্পাদনা

জীব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ

সম্পাদনা

ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ

সম্পাদনা

কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ

সম্পাদনা

স্বাস্থ্যবিজ্ঞান অনুষদ

সম্পাদনা

বিজ্ঞান অনুষদ

সম্পাদনা

ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ

সম্পাদনা

ভেটেরিনারী মেডিসিন অনুষদ

সম্পাদনা

উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট

সম্পাদনা

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার লক্ষ্যে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী ভবনের চারতলায় ইনস্টিটিউটের কার্য্ক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এই ইনস্টিটিউটটি বোর্ড অব গভর্নেন্স দ্বারা পরিচালিত হয়। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সকল শাখায় উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি ও উন্নয়ন এবং দেশ ও জাতির আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কার্যকর প্রযুক্তি উদ্ভাবনে উচ্চতর গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। একইসঙ্গে এ ইনস্টিটিউট দেশ-বিদেশের দক্ষ বিজ্ঞানী ও গবেষকদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, কনফারেন্স এবং ওর্য়াকসপের গবেষণালব্ধ জ্ঞান প্রকাশনার মাধ্যমে দেশ-বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ও গবেষকদের মধ্যে গবেষণাকর্মে পারস্পারিক সহযোগীতা এবং বিনিময়ের ক্ষেত্র সৃষ্টি করা এ ইনস্টিটিউটের মুখ্য উদ্দেশ্য। এর অধীনে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের গবেষণাকর্ম প্রকাশের লক্ষ্যে ‘Journal of Jessore University of Science and Technology’ নামে একটি নিয়মিত গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হচ্ছে। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য গবেষকদের সমন্বয়ে গঠিত এডিটরিয়াল বোর্ডের মাধ্যমে প্রবন্ধ প্রকাশনার কার্যক্রম পরিচালিত হয়, যেখানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রধান সম্পাদক এবং পরিচালক, ড. এম. এ ওয়াজেদ মিয়া উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া ইনস্টিটিউট কর্তৃক ভাষা কোর্স চালু, উচ্চতর ডিগ্রি কোর্স ও গবেষণা কার্যক্রম চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন অধ্যাপক ড. মোঃ আমিনুর রহমান ও উপ-পরিচালক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশিদ।

প্রদত্ত ডিগ্রীসমূহ

সম্পাদনা
 
যবিপ্রবির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড.এম.আব্দুস সাত্তার অডিটরিয়ামে বক্তৃতা দিচ্ছেন

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশ্বমানের নিম্নলিখিত ডিগ্রী প্রদান করা হয়:-

স্নাতক

সম্পাদনা
  • বিএসসি ইন নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড টেকনোলজি,
  • বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ইন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং,ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং;
  • বিএসসি ইন মাইক্রোবায়োলজি, ফিসারিজ এন্ড মেরিন বায়োসায়েন্স, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি, বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োসায়েন্স, এনভাইরমেন্টল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং, ক্লাইমেট এন্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান, নার্সিং এন্ড হেল্থ সায়েন্স, রসায়ন, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, ফলিত পরিসংখ্যান ও ডাটা সায়েন্স;
  • বিএসসি প্রফেশনাল ইন ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন;
  • বিফার্ম ইন ফার্মেসি;
  • বিএ ইন ইংলিশ;
  • বিবিএ ইন একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং, ম্যানেজমেন্ট, মার্কেটিং।

স্নাতকোত্তর

সম্পাদনা
  • এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং/এম ইঞ্জিনিয়ারিং ইন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং,ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং;
  • এমএসসি ইন, মাইক্রোবায়োলজি, ফিসারিজ এন্ড মেরিন বায়োসায়েন্স, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি, এনভাইরমেন্টল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড টেকনোলজি, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান;
  • এমএসসি প্রফেশনাল ইন ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন;
  • এমফার্ম ইন ফার্মেসি;
  • এমএ ইন ইংলিশ;
  • এমবিএ ইন একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং, ম্যানেজমেন্ট, মার্কেটিং।

বৃত্তিমূলক

সম্পাদনা
  • ডিভিএম ইন ভেটেরিনারী মেডিসিন।

উচ্চতর

সম্পাদনা
  • এমফিল;
  • পিএইচডি।

অন্যান্য

সম্পাদনা
  • সার্টিফিকেট ইন ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ স্কিল ডেভলপমেন্ট কোর্স,
  • সার্টিফিকেট ইন ইন্ট্রোডাকশন টু কম্পিউটার সিস্টেম অ্যান্ড অফিস প্রোডাক্টিভিটি সফটওয়ার।

উপাচার্যের তালিকা

সম্পাদনা

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন।[]

২০০৯ সালের ৭ই এপ্রিল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মরহুম জিল্লুর রহমান, প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুস সাত্তারকে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেন। ২০১৩ সালে অধ্যাপক আব্দুস সাত্তারের উপর আস্থা রেখে পুনরায় তাকে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত করা হয়; আওয়ামীলীগের ২০০৯ সাল থেকে রাষ্ট্রপরিচালনার সময়কালে যা ছিলো প্রথম ঘটনা। টানা দুই মেয়াদে আটবছর যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে ২০১৬ সালের ৭ই এপ্রিল উপাচার্য হিসেবে ড. আব্দুস সাত্তারের মেয়াদকাল শেষ হয় []। তিনি উপাচার্য থাকাকালীন যবিপ্রবিতে নির্মিত হয়েছে নয়তলা বিশিষ্ট অনুষদ ভবন, দুইটি আবাসিক হল, শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের জন্য নির্মিত দশতলা বিশিষ্ট দুইটি এবং পাঁচতলা বিশিষ্ট দুইটি আবাসিক ভবন, উপাচার্য মহোদয়ের সরকারি বাসভবন, ক্যাফেটেরিয়া, মসজিদ, পাঁচতলা বিশিষ্ট নজরকাড়া প্রশাসনিক ভবন, ছয়তলা বিশিষ্ট গ্রন্থাগার, ছয়তলা বিশিষ্ট মেডিকেল সেন্টার, শহীদ মিনার এবং ভাস্কর্য অদম্য '৭১। তারই তারই ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০১৫সালে যবিপ্রবি পেয়েছে ২৮৩কোটি টাকার বিশাল উন্নয়ন প্রকল্প।[]

১৫ মে, ২০১৭ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেনকে ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগ করেন।[] আনোয়ার হোসেন ২০১৭ সালের ২০ মে থেকে ২০২১ সালের ১৯ মে পর্যন্ত প্রথম মেয়াদে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনা ভাইরাসের পরীক্ষাসহ করোনার জীবনরহস্য উন্মোচন, গতিপথ পরিবর্তনসহ নানা বিষয়ে এ জিনোম সেন্টারে গবেষণা চালু করেন। তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের পর শিক্ষা ও গবেষণাক্ষেত্রে যবিপ্রবি এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যায়। [] ২০২০ সালে গবেষণা প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে যবিপ্রবি বাংলাদেশে প্রথম স্থান অর্জন করে। ২০২১ সালের ৮ মে অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে যবিপ্রবির ল্যাবে প্রথমবারের মতো করোনার ভারতীয় ধরণ শনাক্ত করা হয়। এ ছাড়াও তাঁর নেতৃত্বে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক কম খরচে করোনা ভাইরাস শনাক্তে ‘সাইবারগ্রিন পদ্ধতি’ উদ্ভাবন করে। ২০২১ সালের ৩ জুন তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।[][১০] ২০২৪ সালের ২১ আগস্ট তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্যের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।[১১]

২০২৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল মজিদ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন[১২] এবং ২৪ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।[১৩]

নাম হইতে পর্যন্ত
অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরকার ২০-অক্টোবর-২০০৮[১৪] ৮-এপ্রিল-২০০৯
অধ্যাপক ড. মো: আব্দুস সাত্তার ৯-এপ্রিল-২০০৯ ৮ এপ্রিল ২০১৭
অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন ২০ মে ২০১৭ ২১ আগস্ট ২০২৪[১৫]
অধ্যাপক ড. আব্দুল মজিদ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ বর্তমান

যবিপ্রবি একাডেমিক ভবন

সম্পাদনা

কবি নজরুল একাডেমিক ভবন

সম্পাদনা

যবিপ্রবি ক্যাম্পাসের উত্তরে অবস্থিত একটি নয় তলা ভবন। জীববিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ, ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ এবং বিজ্ঞান অনুষদের বিভাগসমূহের অফিস,পাঠদান কক্ষ এবং পরীক্ষাগার এই ভবনে।

স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবন

সম্পাদনা

যবিপ্রবি ক্যাম্পাসের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনুষদ ভবনের পাশে অবস্থিত একটি দশ তলা ভবন। প্রকৌশল এবং প্রযুক্তি অনুষদ ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের বিভাগসমূহের অফিস,পাঠদান কক্ষ এবং পরীক্ষাগার এই ভবনে।

মাইকেল মধুসূদন দত্ত লাইব্রেরী কাম একাডেমিক ভবন

সম্পাদনা

যবিপ্রবি কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের দক্ষিণে অবস্থিত পাঁচ তলা ভবন। দ্বিতীয়তলায় অবস্থিত কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী। এই ভবনে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগ, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ এবং উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট অবস্থিত।

সম্মেলন

সম্পাদনা

যবিপ্রবিতে বিভিন্ন সময়ে বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। ২০১২ তে, যবিপ্রবি ক্যাম্পাসে "গ্রিন কেমেস্ট্রি" নামে একটা আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ২০১৯ সালে টেকসই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পরিবর্তন বিষয়ক সিম্পোজিয়াম আয়োজন করা হয়। ২০২১ সালে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের উপর আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করা হয়। ২০২৫ সালে টেকসই উন্নয়নের জন্য উদীয়মান প্রযুক্তি বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয় প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ কর্তৃক।

সমাবর্তন

সম্পাদনা

যবিপ্রবিতে ১০ মে ,২০১৩ তে ১ম সমাবর্তন উদ্‌যাপন করে। ১ম সমাবর্তনে উপস্থিত ছিলেন - মহামান্য রাষ্ট্রপতির পক্ষে, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী মো নুরুল ইসলাম নাহিদ। সমাবর্তন বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন ,শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালের প্রফেসর -ড . মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ‘৩য় সমাবর্তন-২০১৮’ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, বুধবার অনুষ্ঠিত হয়। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য মো. আবদুল হামিদ। আর সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জার্মানির নাগরিক, ১৯৮৮ সালে রসায়ন শাস্ত্রে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. রবার্ট হিউবার। বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রথম একজন অবাঙালি নোবেল বিজয়ী সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ৪র্থ সমাবর্তন-২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি, শনিবার অনুষ্ঠিত হয়।

সুযোগ-সুবিধা

সম্পাদনা

আবাসিক হল

সম্পাদনা
 
শহীদ মসিয়ূর রহমান হল

শহীদ মসিয়ূর রহমান হল

সাবেক আইনমন্ত্রী, প্রখ্যাত আইনজীবী, স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধকালে একমাত্র শহীদ সংসদ সদস্য ও যশোরের কৃতি সন্তান শহীদ মসিয়ূর রহমানের নামে ২০১০ সালে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ছাত্র হলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এই হলের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার, একটি অত্যাধুনিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ও কম্পিউটার সজ্জিত পাঠকক্ষ রয়েছে। এ ছাড়া হলটিতে একটি প্রার্থনা কক্ষ, একটি ক্যানটিন, একটি ডাইনিং এবং একটি টিভি কক্ষ রয়েছে। শহীদ মসিয়ূর রহমান হলে বর্তমানে ৭৫৪ জন আবাসিক শিক্ষার্থী রয়েছেন। হলের সম্প্রসারিত ভবনে বিদেশি শিক্ষার্থী, এমফিল ও পিএইচডি গবেষকদের জন্য বিশেষ আবাসিক সুবিধা আছে। প্রতি বছর বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে হলে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিতর্ক প্রতিযোগিতা এবং প্রতিযোগিতামূলক বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া জাতীয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে হলে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। শহীদ মসিয়ূর রহমান হল ২০১০ সালের ১ অক্টোবর মাত্র ১০৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে। উক্ত হলে প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন যথাক্রমে প্রফেসর ড. মোঃ সিরাজুল ইসলাম, ড. মোঃ নাসিম রেজা, ড. মঞ্জুরুল হক, প্রফেসর ড. মোঃ সাইবুর রহমান মোল্যা, প্রফেসর ড. মোঃ ইকবাল কবীর জাহিদ, আশরাফুজ্জামান জাহিদ ও ড. মোঃ আমজাদ হোসেন। বর্তমানে ড. মোঃ নাজমুল হাসান এ হলের প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই হলে পাঁচজন সহকারী প্রভোস্ট, একজন কর্মকর্তা ও নয় জন কর্মচারী রয়েছেন।

তাপসী রাবেয়া ছাত্রী হল

 
তাপসী রাবেয়া হল

মুসলিম তপস্বী হযরত রাবেয়া বসরী (রহ.)-এর নামে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলের নামকরণ করা হয় তাপসী রাবেয়া ছাত্রী হল। পূর্বে এ হলটির নাম ছিল শেখ হাসিনা ছাত্রী হল। তাপসী রাবেয়া ছাত্রী হল ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই হলের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার, একটি সুসজ্জিত পাঠকক্ষ, একটি প্রার্থনা কক্ষ, একটি ক্যানটিন, একটি ডাইনিং এবং একটি টিভি কক্ষ রয়েছে। হলের শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার সুব্যবস্থা রয়েছে, যেমন: ক্যারাম, টেবিল টেনিস, দাবাসহ ইনডোর গেমস, ইত্যাদি। প্রতি বছর বিভিন্ন জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে হলে আলোচনা সভা, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিতর্ক প্রতিযোগিতা প্রভৃতির আয়োজন করা হয়। তাপসী রাবেয়া ছাত্রী হল ২০১০ সালের ১ অক্টোবর মাত্র ৮৩ জন ছাত্রী নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে এই হলে আবাসিক ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৬০০ জন। উক্ত হলে প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন যথাক্রমে ড. মৌমিতা চৌধুরী, আফরোজা খাতুন, নিগারিন সুলতানা, শিউলি খাতুন, ড. সেলিনা আক্তার ও প্রফেসর ড. মোঃ আনিছুর রহমান। বর্তমানে ড. নাজনীন নাহার এ হলের প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই হলে বর্তমানে চার জন সহকারী প্রভোস্ট, একজন কর্মকর্তা ও আট জন কর্মচারী রয়েছেন। এ ছাড়া রান্না, পরিচ্ছন্নতা ও ক্যানটিন পরিচালনার জন্য ১৫ জন কর্মচারী রয়েছেন।

মুনশি মোহাম্মদ মেহেরুল্লাহ হল

যশোরের কৃতি সন্তান মুনশি মোহাম্মদ মেহেরুল্লাহ ছিলেন বিশিষ্ট কবি, ধর্মপ্রচারক ও সমাজ-সংস্কারক। তিনি ১৮৬১ সালে তৎকালীন যশোরের কালীগঞ্জ উপজেলার ঘোপ নামক গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল যশোর সদর উপজেলার ছাতিয়ানতলা গ্রামে। বিশিষ্ট এ কবি, ধর্মপ্রচারক ও সমাজ-সংস্কারকের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং তাঁর স্মৃতিকে অম্লান রাখার অংশ হিসেবে তাঁর নামে যবিপ্রবির দ্বিতীয় এ ছাত্র হলের নামকরণ করা হয়েছে। গত ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ খ্রি. তারিখে ১০-তলা বিশিষ্ট এ ছাত্র হলটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন। নিয়মিত শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি এই হলে বিদেশি শিক্ষার্থী, এমফিল ও পিএইচডি গবেষকদের জন্য বিশেষ আবাসিক সুবিধাও থাকবে। বর্তমানে এই হলের প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ড. মোঃ আব্দুর রউফ সরকার।

বীর প্রতীক তারামন বিবি হল

বীর প্রতীক তারামন বিবি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন নারী বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় ১১ নম্বর সেক্টরে কুড়িগ্রাম জেলার শংকর মাধবপুর গ্রামে ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর। এ সময় তিনি সহকর্মীদের কাছ থেকে অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ নিয়ে তাঁদের সাথে অনেক সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ করেন ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। শুধু সম্মুখ যুদ্ধই নয়, নানা কৌশলে ছদ্মবেশ ধারণ করে গুপ্তচর সেজে শত্রুপক্ষের বিপক্ষে কাজ করেছেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁর সাহসিকতার জন্য ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে। সরকারি গেজেট অনুযায়ী তার বীরত্বভূষণ নম্বর ৩৯৪। এক সময় তারামন বিবিকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। স্বাধীনতা অর্জনের ২৪ বছর পরও তার সন্ধান মেলেনি। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর ১৯৯৫ সালে ময়মনসিংহের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক বিমল কান্তি তাঁকে খুঁজে বের করেন। ১৯৯৫ সালের ১ ডিসেম্বর তৎকালীন সরকার এক অনাড়ম্বর পরিবেশে আনুষ্ঠানিকভাবে তারামন বিবির হাতে বীরত্বের পুরস্কার তুলে দেন। রণাঙ্গনের এই বীর মুক্তিযোদ্ধা দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসের সংক্রমন, শ্বাসকষ্ট আর ডায়াবেটিসে ভুগে ১ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে বিজয়ের মাসের প্রথম প্রহরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁকে রাজিবপুর উপজেলার কাচারীপাড়া তালতলা কবরস্থানে সমাধিস্থ করা হয়।

গত ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ খ্রি. তারিখে ১০-তলা বিশিষ্ট এ ছাত্রী হলটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন। বর্তমানে এ হলটির নির্মাণকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। আশা করা হচ্ছে, অচীরেই এর নির্মাণকাজ সমাপ্ত হবে। নির্মাণকাজ সমাপ্ত হলে এ হলে ন্যূনতম এক হাজার ছাত্রীর আবাসন ব্যবস্থা হবে। নিয়মিত শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি এই হলে বিদেশি শিক্ষার্থী, এমফিল ও পিএইচডি গবেষকদের জন্য বিশেষ আবাসিক সুবিধাও থাকবে। বর্তমানে এই হলের প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোছাঃ আফরোজা খাতুন।

কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী

সম্পাদনা

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী প্রশাসনিক ভবনের পাশে অবস্থিত। মানব সভ্যতা জ্ঞান ও সাংস্কৃতির ফসল। সভ্যতার লালন-পালন ও বিকাশে প্রাচীনকাল থেকে গ্রন্থাগার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সমাজের সকল ক্ষেত্রে গ্রন্থাগারের গুরুত্ব অপরিসীম। মূলত: উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ প্রতিষ্ঠিত। উচ্চশিক্ষার লক্ষ্যে জ্ঞান বিতরণ ও গবেষণার জন্য ২০০৭ সালে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের যাত্রা শুরু হয় যা সংক্ষেপে ‘যবিপ্রবি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার’ নামে পরিচিত। শুরু থেকেই যবিপ্রবি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ব্যবহারকারীকে বই , জার্নাল এবং অনলাইনভিত্তিক ই-বুক, ই- জার্নাল ও অডিও ভিজুয়াল সামগ্রী সেবা প্রদান করে আসছে। মূলত: কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার হলো অত্র প্রতিষ্ঠানের হৃদপি-।

যবিপ্রবি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে একজন গ্রন্থাগারিক, একজন উপ-গ্রন্থাগারিক, দুইজন সহকারী গ্রন্থাগারিক ও দুইজন সেকশন অফিসার কর্মরত আছেন। গ্রন্থাগারে কর্মরত সকল কর্মকর্তাগণ দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী যারা অধিকাংশই অভিজ্ঞ গ্রন্থাগার পেশাজীবী। কর্মকর্তা ছাড়াও গ্রন্থাগারে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির নয় জন স্টাফ কর্মরত আছে। এই জনবল দিয়ে গ্রন্থাগারিক মহোদয় সূচারুরূপে গ্রন্থাগারের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

যবিপ্রবি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠার পর থেকে এর সংগ্রহ ক্রমশ: বেড়েই চলেছে। গ্রন্থাগারে পুস্তকের সংগ্রহ সর্বমোট ১৫ হাজার ৩৭২টি। তারমধ্যে ২০১৯ সালে ক্রয়কৃত মুদ্রিত পুস্তকের সংখ্যা ৩৬১টি। প্রিন্ট বইয়ের পাশাপাশি  কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ২০১৩ সাল হতে ইউজিসির সহায়তায় ইউডিএল সদস্য হিসাবে বিশ্বের ১১টি প্রকাশনার ই-রিসোর্স তথা ই-বুক, ই-জার্নাল এ প্রবেশাধিকার পেয়ে থাকে। ইউডিএল এর আওতায় প্রাপ্ত ই-রিসোর্সেস এর সংখ্যা ৩৫ হাজারের অধিক। ইউডিএল এর অন্তর্ভুক্ত খ্যাতনামা প্রকাশনা হল: ACM, IEEE, Cambridge University Press, Oxford University Press, SAGE, Taylor and Francis (T&F), Wiley, Tata McGraw Hill, World Scientific, JSTOR, etc.

ডা. এম আর খান মেডিকেল সেন্টার

সম্পাদনা

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যায়ের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচ তলায় মেডিকেল সেন্টারের কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ১ মার্চ এই সেন্টারের কার্যক্রম প্রশাসনিক ভবন থেকে ছয়তলা বিশিষ্ট মেডিকেল সেন্টারের নিজস্ব ভবনে স্থানান্তর করা হয়। শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি বিনামূল্যে ঔষধ সামগ্রী প্রদান করা হয়। এর পাশাপাশি ভর্তিচ্ছু ছাত্র-ছাত্রীদের ও নিয়োগকৃত শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীগণের স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রত্যয়নপত্র প্রদান করে। এ ছাড়া এই সেন্টারে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং তাঁদের পোষ্যদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।

ডা. এম আর খান মেডিকেল সেন্টারের সেবা অফিস চলাকালীন সকাল ৯টা হতে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এবং প্রয়োজনে ২৪ ঘণ্টায় জরুরি সেবা প্রদান করা হয়। আর অফিস বন্ধের দিন শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা প্রদান করা হয়ে থাকে। ডা. এম আর খান মেডিকেল সেন্টারে এক্স-রে, ইসিজি, ইউএসজি পরীক্ষা সেবা নিশ্চিতকরনে প্রয়োজনীয় কাজ চলমান রয়েছে।

ছাত্র-ছাত্রীদের বিনামূল্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড কেস হিসাবে যশোর শহরের মধ্যে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস দেওয়া হয়। শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাঁদের পোষ্যদের জন্য নির্ধারিত অর্থের বিনিময়ে অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা প্রদান করা হয়। একজন প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা, চার জন মেডিকেল অফিসার ও আট জন কর্মচারী কর্মরত আছেন। মেডিকেল সেন্টারের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ডা. দীপক কুমার মন্ডল।

ফ্রি হেল্থ ক্যাম্প

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আগস্ট মাসে সমাজের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে ২০১৮ সাল থেকে ডা. এম আর খান মেডিকেল সেন্টারের উদ্যোগে দেশের স্বনামধন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন¦য়ে ফ্রি হেলথ ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবায় সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন এ উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ফলে এ অঞ্চলের অনগ্রসর জনগোষ্ঠী স্বাস্থ্যসেবা পেয়ে উপকৃত হচ্ছে।

ভবিষ্যত পরিকল্পনা

  • একটি মডেল ফার্মেসী প্রতিষ্ঠা
  • আধুনিক যন্ত্রপাতি সংবলিত প্যাথলোজিক্যাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা
  • ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল চালু
  • মাইনর অপারেশেনের জন্য অপারেশন থিয়েটার প্রতিষ্ঠা
  • স্বাস্থ্য সচেতনামূলক সেমিনার/সিম্পোজিয়াম আয়োজন করা।

জিমনেশিয়াম

সম্পাদনা

শিক্ষার্থীদের নিয়মিত শরীরচর্চা এবং ইনডোর গেম্‌স খেলার সুবিধার্থে কবি নজরুল একাডেমিক ভবনের পাশে একটি আধুনিক সুযোগ সুবিধা সংবলিত ব্যায়ামাগার রয়েছে, যা বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান জিমনেশিয়াম নামে পরিচিত।

টিএসসি এবং ক্যাফেটেরিয়া

সম্পাদনা
 
টিএসসি এবং ক্যাফেটেরিয়া

এটি যবিপ্রবি ক্যাম্পাসের উত্তর -পশ্চিম কোণে মূল গেটের পাশে অবস্থিত একটি দ্বিতল ভবন। ছাত্র -ছাত্রী এবং কর্মকর্তা -কর্মচারী সকলেই এখানে ভোজন করতে পারেন। টিএসসি, ক্যাফেটোরিয়া এবং শহীদ মসিয়ুর রহমান ছাত্র হলের মাঝামাঝি জায়গায় অবস্থিত ৫ তলা বিশিষ্ট ভবন।

ডরমেটরি

সম্পাদনা

কপোতাক্ষ টাওয়ার ক্যম্পাসের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে অবস্থিত ১০ তলা ভবন। এই ১০ তলা ডরমেটরি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য। এছাড়া পাঁচতলা বিশিষ্ট একটি ডরমিটরি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের জন্য উপলব্ধ।

কেন্দ্রীয় মসজিদ

সম্পাদনা

এটি যবিপ্রবি ক্যাম্পাসের পশ্চিমে অবস্থিত। প্রতিদিন মুসলিম ছাত্র এবং শিক্ষকেরা এখানে সালাত আদায় করেন।

মিলনায়তন

সম্পাদনা

কবি নজরুল একাডেমিক ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে একটি সুন্দর অডিটরিয়াম আছে। বিশেষ অনুষ্ঠান, যেমন: সেমিনার, কনফারেন্স, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা ইত্যাদি এখানে করা হয়।

বায়ো-সোল সেন্টার

সম্পাদনা

২০১৯ সালের অক্টোবরে, যবিপ্রবি-এর অংশ হিসেবে, বায়ো-সোল সেন্টার চালু করা হয়। সম্প্রতি, এটি বাংলাদেশের একটি সুপরিচিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান। বায়ো-সোল সেন্টার-এর লক্ষ্য হল বাংলাদেশ এবং বিশ্বব্যাপী বিশেষ করে জৈব তথ্যপ্রযুক্তিতে মানসম্পন্ন গবেষণা প্রদান এবং সহযোগিতামূলক গবেষণা করা। বহু বছর ধরে, বায়ো-সোল সেন্টার অনেক বিজ্ঞানীর সাথে সহযোগিতা করে আসছে, যার মধ্যে রয়েছে: সৌদি আরবের কিং আব্দুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডঃ ফয়সাল আহমেদ এবং পোল্যান্ডের পোজনান মেডিকেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক টমাস এম. কার্পিনস্কি।

জিনোম সেন্টার

সম্পাদনা

দুরারোগ্য রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসার নতুন সুযোগ উন্মোচনের জন্য জিনোমিক তথ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই উদ্দেশ্যে, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টার জিনোমিক তথ্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পালন করে আসছে এবং উন্নত জৈব চিকিৎসা গবেষণার জন্য একটি বিশেষায়িত সুবিধা প্রদান করে। এই জিনোম সেন্টারটি বাংলাদেশে অত্যাধুনিক গবেষণার একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে। এর প্রধান কাজ হল মানব কল্যাণের অগ্রগতিতে জিনোমিক তথ্যের দায়িত্বশীল ব্যবহার উন্নত করা এবং জাতীয় জিনোম ডাটাবেসকে পরিচালনা করা। জিনোমিক তথ্য ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ধরণের ক্যান্সার এবং বংশগত রোগের রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা পুনর্গঠন করেছে। কোভিড-১৯ শনাক্তের কীট আবিষ্কার, করোনার বিভিন্ন নতুন ভ্যারিয়ান্ট শনাক্ত, জিনোম সিকুয়েন্স ও জীবন রহস্য উন্মোচন সহ যবিপ্রবির জিনোম সেন্টার প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে দেশ-জাতি তথা বিশ্বের কল্যাণে।

ফিশ মিউজিয়াম

সম্পাদনা

যবিপ্রবির নিজস্বে অর্থায়নে ফিশারীজ এন্ড মেরিন বায়োসাইন্স (এফএমবি) বিভাগের শিক্ষকবৃন্দের অক্লান্ত পরিশ্রমে ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ মৎস্য সংরক্ষণশালা ‘অ্যাকুয়াটিক বায়োডায়ভার্সিটি মিউজিয়াম’। সহজেই মাছের সঙ্গে পরিচিতি, বিলুপ্ত ও বিলুপ্তপ্রায় সব স্বাদু পানির মাছ ও সামুদ্রিক মাছ এবং অন্যান্য জলজ প্রাণি সংরক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও গবেষণা উন্নয়নে এ মিউজিয়াম তৈরি হয়েছে। এতে সংরক্ষিত আছে প্রায় ৪৭৫ প্রজাতির স্বাদু ও সামুদ্রিক প্রাণী। বর্তমানে মিউজিয়ামের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন এফএমবি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ সিরাজুল ইসলাম।

হ্যাচারি এ্যান্ড ওয়েট ল্যাব

সম্পাদনা

গবেষণার পাশাপাশি দেশে উন্নতমানের মাছের পোনা সরবরাহ করছে যবিপ্রবির 'হ্যাচারি এ্যান্ড ওয়েট ল্যাব'। বর্তমানে যবিপ্রবির এই হ্যাচারী স্বাদুপানির পোনা সরবরাহে বিশ্বমানের দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম হ্যাচারী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে, যা দেশের আর্থিক অবকাঠামো উন্নয়নে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করছে। শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শিক্ষার পাশাপাশি মৎস্যচাষীদের উন্নত পোনা সরবারহ ও দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে ল্যাবটি। বর্তমানে রুই, মৃগেল, কাতলা, বিগেট কার্প, বাটা, সিলভার কার্প, পাঙ্গাশ মাছের উন্নতমানের পোনা রয়েছে ল্যাবটিতে। চাহিদা বৃদ্ধি পেলে শিং, মাগুর, পাবদা-খলশা'র পোনাও উৎপাদন করা হবে। তবে বেশি আর্থিক বরাদ্দ পেলে চিংড়ি'র পোনা নিয়েও গবেষণার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ল্যাব কতৃপক্ষ। ল্যাবটিতে কেজি প্রতি রেণু'র সংখ্যা প্রায় ৪-৫ লক্ষ। এছাড়া কাঁকড়া ফ্যাটেনিং প্রকল্পও প্রায় শেষের দিকে।

উপাচার্যের বাসভবন

সম্পাদনা

এই ভবনটি যবিপ্রবি ক্যাম্পাসের পূর্ব -মধ্য পার্শ অবস্থিত। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

ব্যাংক এবং পোস্ট অফিস

সম্পাদনা

যবিপ্রবি ক্যাম্পাসের মূল ফটকের পার্শে ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড (DBBL)এর একটি এটিএম বুথ আছে এবং টিএসসি / ক্যাফেটেরিয়া ভবনের পিছনে অগ্রণী ব্যাংক এর একটি শাখা রয়েছে। ,যেখানে ছাত্র -ছাত্রীরা অনলাইন ব্যাংকিং এবং অন্যান্য সুবিধাদি পেয়ে থাকে। প্রশাসনিক ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে যবিপ্রবি শাখার ,গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একটি পোস্ট অফিস রয়েছে।

পরিবহণ পুল

সম্পাদনা

শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বর্তমানে পরিবহন পুলে ২৪ টি নিজস্ব বিভিন্ন ধরনের গাড়ি রয়েছে। এছাড়া ভাড়াকৃত ১০ টি দ্বিতল বাস রয়েছে শিক্ষার্থীদের জন্য।

স্মৃতিস্তম্ভ ও ভাস্কর্য

সম্পাদনা
 
অদম্য '৭১

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উপর নির্মিত 'অদম্য ৭১' নামে একটি ভাস্কর্য রয়েছে। এছাড়াও প্রধান ফটকের পূর্বপাশে শহিদ মিনার অবস্থিত।

সংগঠন এবং সহ-শিক্ষা কার্যক্রম

সম্পাদনা

শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি সামাজিক কাজ সাংস্কৃতিক চর্চা, এবং দেশের নেতৃত্ব উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য যবিপ্রবিতে রয়েছে ১৮ টি ক্লাব ও সংগঠন।

  • বিএনসিসি যবিপ্রবি;
  • রোভার স্কাউট;
  • যবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি;
  • যবিপ্রবি রোটারেক্ট ক্লাব;
  • IEEE যবিপ্রবি ছাত্র শাখা;
  • ইসলামিক সোসাইটি অফ জাস্ট;
  • যবিপ্রবি ডিবেটিং ক্লাব (জাস্ট ডিসি);
  • যবিপ্রবি ক্যারিয়ার ক্লাব;

ঝিনাইদহ ক্যাম্পাস

সম্পাদনা

ঢাকা-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কে হলিধানি নামক স্থানে ১১ একর জায়গা নিয়ে ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ ২০১৪ সালে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে এটি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ হিসাবে সংযুক্ত হয়েছে যেখানে ৫ বছর মেয়াদি ডক্টর অফ ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম) কোর্স চালু আছে। এই ক্যাম্পাসে একটি প্রশাসনিক, একাডেমিক ভবন, সেন্ট্রাল ল্যাব (গবেষনাগার), আধুনিক অডিটোরিয়াম (৫০০ জন ধারণ ক্ষমতা), লাইব্রেরী, পশু হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, একটি ছাত্র হল (কবি গোলাম মোস্তফা হল), একটি ছাত্রী হল, প্রিন্সিপাল কোয়ার্টার, একটি অতিথি ভবন, টিচার্স কোয়ার্টার, স্টাফ কোয়ার্টার, ডরমেটরি ভবন, কেন্দ্রীয় মসজিদ, ক্যাফেটেরিয়া, আধুনিক মানের জিমন্যাশিয়াম, সুসজ্জিত একটি মেডিসিনাল গার্ডেন, শহীদ মিনার, মুক্তমঞ্চ, খেলাধুলার মাঠ, একটি বড় পশু শেড, একটি ব্রয়লার শেড রয়েছে।

অর্জনসমূহ

সম্পাদনা

গবেষণায় যবিপ্রবি

সম্পাদনা

২০২১ সালে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে একুশে পদক প্রাপ্ত হন বিশিষ্ট অনুজীব বিজ্ঞানী যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন।

বিশ্বের প্রথম সারির চিকিৎসা ও বিজ্ঞানবিষয়ক প্রকাশনা নিবন্ধ প্রকাশনা সংস্থা এলসেভিয়ার কর্তৃক স্কোপাস ডাটা সর্বশেষ র‌্যাঙ্কিংয়ে দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ১ম স্থান অর্জন এবং দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে নবম (৯ম) স্থানে রয়েছে যবিপ্রবি।

প্রতি বছর এলসেভিয়ার ও স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি, ইউএসএ সম্মিলিতভাবে বিশ্বসেরা ২% বিজ্ঞানীদের একটি তালিকা প্রকাশ করে থাকে। অন্যান্য বছরের ন্যায় ২০২২ সালে যবিপ্রবি থেকে তিন (৩) জন বিজ্ঞানী এই তালিকাতে স্থান অর্জন করে নিয়েছে। কম্পোজিট স্কোরের উপর ভিত্তি করে এই তালিকায় যবিপ্রবি থেকে ১ম স্থান অর্জন করেছেন ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার ইমরান খান, ২য় স্থান অর্জন করেছেন পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ আমিনুল ইসলাম এবং ৩য় স্থান অর্জন করেছেন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ জাভেদ হোসেন খান। ২০২২ সালে যবিপ্রবির প্রকাশিত মোট গবেষণা পত্রের সংখ্যা ৩৫০ টি।[১৬]

ক্রীড়াঙ্গনে যবিপ্রবি

সম্পাদনা

সাম্প্রতিক সময়ে ক্রীড়াঙ্গনে যবিপ্রবি অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২২ এ যবিপ্রবির নারী ক্রিকেটদল চ্যাম্পিয়ন হয় এবং এই চ্যাম্পে পুরুষ ক্রিকেটদল ১ম রানার্সআপ অর্জন করে। আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় হ্যান্ডবল খেলা-২০২২ এ নারী দল চ্যাম্পিয়ন হয়, টোকিও অলিম্পিক-২০২১ (এ্যাথলেটিক্স) এ খেলেছেন যবিপ্রবি শিক্ষার্থী জহির রায়হান। জাতীয় পর্যায়ে নতুন রেকর্ড গড়েছেন যবিপ্রবির শিক্ষার্থী ১৪ তম বারের মতো দেশের দ্রুততম মানবী শিরীন আক্তার, জাতীয় এ্যাথলেটিক্সে জহির রায়হান, সোনিয়া আক্তার এবং আশরাফুজ্জামান রচির রয়েছে স্বর্ণপদক অর্জনসহ বিভিন্ন রেকর্ডের কারিগর যবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা। সাফ চ্যাম্পিয়নশীপ জয়ী বাংলাদেশের জাতীয় দলের নারী সদস্যদের মধ্যে ছিলেন যবিপ্রবি শিক্ষার্থী নিলুফার ইয়াসমিন নীলা। বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন যবিপ্রবির দুই শিক্ষার্থী মিতু আক্তার এবং মোঃ তারেক হাসান। ক্রীড়াঙ্গনে আরও সম্পৃক্ততার জন্য যবিপ্রবি ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে এবং অনুমোদনের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেছে।

চিত্রমালা

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Welcome"Jashore University of Science and Technology 
  2. "Jessore University of Science and Technology (JUST) Undergraduate Admission Test Circular 2018-2019" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৪-১৬ 
  3. "যবিপ্রবির অনুষদভুক্ত হলো ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ"dhakamail.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৪-১৫ 
  4. "যশোরের বিপ্রবির প্রথম উপাচার্য, জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম আর নেই"skhobor.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৪-১৬ 
  5. "এক নিভৃতচারী, প্রচারবিমুখী ভিসি | খুলনার ক্যাম্পাস | CampusLive24.com"web.archive.org। ২০২১-০৯-১৯। ২০২১-০৯-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৪-১৬ 
  6. "উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ শুরুর অপেক্ষায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়"web.archive.org। ২০২২-০৫-১৬। ২০২২-০৫-১৬ তারিখে আসল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৪-১৬ 
  7. "যবিপ্রবির ভিসি হলেন ঢাবির অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার"web.archive.org। ২০২২-০১-৩১। ২০২২-০১-৩১ তারিখে আসল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৪-১৬ 
  8. "'বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে করোনা সেবায় প্রথম অবদান যবিপ্রবির'"Jugantor। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৪-১৬ 
  9. "দ্বিতীয় মেয়াদে যবিপ্রবির উপাচার্য হলেন অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন"Jashore University of Science & Technology। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৪-১৬ 
  10. "দ্বিতীয় মেয়াদে যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার"web.archive.org। ২০২২-০১-৩১। ২০২২-০১-৩১ তারিখে আসল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৪-১৬ 
  11. "যবিপ্রবি উপাচার্য ড. আনোয়ার হোসেনের পদত্যাগ"web.archive.org। ২০২৪-০৮-২২। ২০২৪-০৮-২২ তারিখে আসল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৪-১৬ 
  12. "যবিপ্রবির নতুন উপাচার্য ঢাবির অধ্যাপক আব্দুল মজিদ"Jugantor। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৪-১৬ 
  13. জাগো নিউজ"যবিপ্রবির উপাচার্য হিসেবে যোগ দিলেন ড. আব্দুল মজিদ"জাগো নিউজ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৪-১৬ 
  14. "VCs appointed to two technology versities"। The New Nation। ২০০৮-০৯-০৫। ২০১১-০৬-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-০৮ 
  15. "দ্বিতীয় মেয়াদে যবিপ্রবির উপাচার্য হলেন অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন"যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ১ জুন ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  16. "১৭ বছরে যত অর্জন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়"https://www.jaijaidinbd.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-২৪  |ওয়েবসাইট= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা