যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের যশোর শহরের পাশে অবস্থিত প্রথম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বৃহত্তর যশোর জেলার প্রথম ও একমাত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। ২০০৭ সালের ২৫ জানুয়ারি এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৮-২০০৯ শিক্ষাবর্ষে এর শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। এটি খুলনা বিভাগের চতুর্থ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।
ধরন | সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় |
---|---|
স্থাপিত | ২৫ জানুয়ারি ২০০৭ |
আচার্য | রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন |
উপাচার্য | অধ্যাপক ড. আব্দুল মজিদ |
ডিন | অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস অধ্যাপক ড. মো. জিয়াউল আমিন ড. মো. নাসিম রেজা ড. সুমন চন্দ্র মোহন্ত ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন ড. মো. মেহেদী হাসান |
রেজিস্ট্রার | প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ২৭২ |
শিক্ষার্থী | প্রায় ৪১০৫ |
স্নাতক | ১ম ব্যাচ, ২০০৮ |
স্নাতকোত্তর | ১ম ব্যাচ, ২০১২ |
অবস্থান | , |
শিক্ষাঙ্গন | শহুরে ৩৫ একর (১৪ হেক্টর) |
সংক্ষিপ্ত নাম | যবিপ্রবি |
অধিভুক্তি | বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন |
ওয়েবসাইট | www.just.edu.bd |
ইতিহাস
সম্পাদনা২০০১ সালে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ কর্তৃক গৃহীত ‘যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০১’ নামের ঐ সালের ৪৪ নম্বর আইনে রাষ্ট্রপতি ১৫ জুলাই তারিখে তাঁর সম্মতি জ্ঞাপন করেন। এরপরে নানা ঘটনার প্রেক্ষিতে ২০০৪ সালের ৭ আগস্ট অনুষ্ঠিত প্রাক-একনেক সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) এবং শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর যৌথভাবে সরেজমিনে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য স্থান নির্ধারণ করবে, এই মর্মে পুনঃসিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় যশোরের জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক এবং ইউজিসির একজন প্রতিনিধিকে সদস্য-সচিব করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নির্বাচনের জন্য ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে। এ কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে বর্ণিত রামনগরের পরিবর্তে বর্তমান স্থানে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সুপারিশ করে। ২০০৭ সালের ২৫ জানুয়ারি, যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের সাজিয়ালী মৌজায় ৩৫ একর জায়গা জুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। বর্তমানে এ ক্যাম্পাসের আয়তন একশ একরে বর্ধিত করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রশাসনিক কার্যক্রম যশোর শহরের ধর্মতলাস্থ ‘বৃষ্টি মহল’ নামের একটি ভাড়া বাড়িতে শুরু হয়। এ বাড়িতেই ২০০৯ সালে ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষে ‘কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল, ‘পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, ‘অণুজীববিজ্ঞান’এবং ‘ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স’বিভাগে মোট ২০০ জন শিক্ষার্থীর ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। ঐ বছরই মূল ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালের ২৭ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ক্যাম্পাসের শুভ উদ্বোধন করেন।
বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আটটি অনুষদের অধীনে মোট ৩৬টি বিভাগে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি পর্যায়ে ৬ হাজার ২১৩ জন শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসর, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর, অ্যাসিসট্যান্ট প্রফেসর ও লেকচারার মিলিয়ে মোট ২৭২ জন শিক্ষক, বিভিন্ন গ্রেডের ১১৪ জন কর্মকর্তা এবং দৈনিক মজুরিভিত্তিকসহ প্রায় ৩১৭ জন কর্মচারী কর্মরত আছেন।
অবস্থান
সম্পাদনাযশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় যশোরের স্বাধীনতা সড়কের পাশে অবস্থিত, যেটি চৌগাছা-চুড়ামনকাঠি সড়ক নামেও পরিচিত। যশোরের কেন্দ্র দড়াটানা থেকে এটি প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
অনুষদ ও বিভাগ সমূহ
সম্পাদনাপ্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ
সম্পাদনা- তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল
- শিল্পাঞ্চল ও উৎপাদন প্রকৌশল
- কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল
- পেট্রোলিয়াম ও খনন প্রকৌশল
- কেমিক্যাল প্রকৌশল
- বায়োমেডিকেল প্রকৌশল
- টেক্সটাইল প্রকৌশল
- নিউক্লিয়ার প্রকৌশল
জীব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ
সম্পাদনা- ফার্মেসি
- অণুজীব বিজ্ঞান
- ফিসারিজ এন্ড মেরিন বায়োসাইন্স
- জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি
ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ
সম্পাদনা- পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
- পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি
- কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াকরণ প্রযুক্তি
- জলবায়ু ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ
সম্পাদনাস্বাস্থ্যবিজ্ঞান অনুষদ
সম্পাদনা- শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান
- ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলেটশন
- নার্সিং ও স্বাস্থ্য বিজ্ঞান
বিজ্ঞান অনুষদ
সম্পাদনা- রসায়ন বিজ্ঞান
- গণিত
- পদার্থ বিজ্ঞান
ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ
সম্পাদনা- একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস
- ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং
- ম্যানেজমেন্ট
- মার্কেটিং
উপাচার্যের তালিকা
সম্পাদনানাম | হইতে | পর্যন্ত |
---|---|---|
অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরকার | ২০-অক্টোবর-২০০৮[১] | ৮-এপ্রিল-২০০৯ |
অধ্যাপক ড. মো: আব্দুস সাত্তার | ৯-এপ্রিল-২০০৯[২] | ৮ এপ্রিল ২০১৭ |
অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন | ২০ মে ২০১৭ | ১৯ মে ২০২১[৩] |
অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন | ৩ জুন ২০২১ | ২১ আগস্ট ২০২৪[৪] |
একাডেমিক
সম্পাদনাবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনুষদ ভবন
সম্পাদনাযবিপ্রবি ক্যাম্পাসের উত্তরে অবস্থিত একটি নয় তলা ভবন। সব বিভাগের অফিস,পাঠদান কক্ষ ,এবং পরীক্ষাগার এই ভবনে। প্রকৌশল এবং প্রযুক্তি অনুষদের বিভাগসমূহ গ্রাউন্ড ফ্লোর, ১ম ও ২য় (আংশিক) ফ্লোরে। অন্যদিকে ,জীববিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের বিভাগসমূহ ২য় ও ৩য় (আংশিক) ফ্লোরে এবং ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের বিভাগসমূহ অনুষদ ভবনের ৩য় ফ্লোরে।
স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু অনুষদ ভবন
সম্পাদনাযবিপ্রবি ক্যাম্পাসের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনুষদ ভবনের পাশে অবস্থিত একটি দশ তলা ভবন।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত লাইব্রেরী কাম একাডেমিক ভবন
সম্পাদনাযবিপ্রবি কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের দক্ষিণে অবস্থিত পাঁচ তলা ভবন। দ্বিতীয়তলায় অবস্থিত কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী। এই ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগ এবং ৩য়-৫ম তলাতে কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ অবস্থিত।
মাস্টার্স প্রোগ্রাম
সম্পাদনা- পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগ
- কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল
- পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
- অণুজীব বিজ্ঞান
- ফিসারিজ এন্ড মেরিন বায়োসাইন্স
- ফার্মেসি
- তড়িৎ বৈদ্যুতিন প্রকৌশল
- পেট্রোলিয়াম ও খনন প্রকৌশল
- শিল্প ও উৎপাদন প্রকৌশল
- ইংরেজি
সম্মেলন
সম্পাদনাযবিপ্রবিতে বিভিন্ন সময়ে বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। ২০১২ তে , যবিপ্রবি ক্যাম্পাসে "গ্রিন কেমেস্ট্রি "নামে একটা আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সমাবর্তন
সম্পাদনাযবিপ্রবিতে ১০ মে ,২০১৩ তে ১ম সমাবর্তন উদ্যাপন করে। ১ম সমাবর্তনে উপস্থিত ছিলেন - মহামান্য রাষ্ট্রপতির পক্ষে, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী মো নুরুল ইসলাম নাহিদ। সমাবর্তন বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন ,শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালের প্রফেসর -ড . মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ‘৩য় সমাবর্তন-২০১৮’ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, বুধবার অনুষ্ঠিত হয়। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য মো. আবদুল হামিদ। আর সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জার্মানির নাগরিক, ১৯৮৮ সালে রসায়ন শাস্ত্রে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. রবার্ট হিউবার। বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রথম একজন অবাঙালি নোবেল বিজয়ী সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
‘৩য় সমাবর্তন-২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি, বুধবার অনুষ্ঠিত হয়।
‘৪র্থ সমাবর্তন-২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি, শনিবার অনুষ্ঠিত হয়।
সুযোগ-সুবিধা
সম্পাদনাআবাসিক হল
সম্পাদনাশহীদ মসিয়ূর রহমান হল
সম্পাদনাসাবেক আইনমন্ত্রী, প্রখ্যাত আইনজীবী, স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধকালে একমাত্র শহীদ সংসদ সদস্য ও যশোরের কৃতি সন্তান শহীদ মসিয়ূর রহমানের নামে ২০১০ সালে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ছাত্র হলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এই হলের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার, একটি অত্যাধুনিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ও কম্পিউটার সজ্জিত পাঠকক্ষ রয়েছে। এ ছাড়া হলটিতে একটি প্রার্থনা কক্ষ, একটি ক্যানটিন, একটি ডাইনিং এবং একটি টিভি কক্ষ রয়েছে। শহীদ মসিয়ূর রহমান হলে বর্তমানে ৭৫৪ জন আবাসিক শিক্ষার্থী রয়েছেন। হলের সম্প্রসারিত ভবনে বিদেশি শিক্ষার্থী, এমফিল ও পিএইচডি গবেষকদের জন্য বিশেষ আবাসিক সুবিধা আছে।
প্রতি বছর বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে হলে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিতর্ক প্রতিযোগিতা এবং প্রতিযোগিতামূলক বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া জাতীয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে হলে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। শহীদ মসিয়ূর রহমান হল ২০১০ সালের ১ অক্টোবর মাত্র ১০৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে। উক্ত হলে প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন যথাক্রমে প্রফেসর ড. মোঃ সিরাজুল ইসলাম, ড. মোঃ নাসিম রেজা, ড. মঞ্জুরুল হক, প্রফেসর ড. মোঃ সাইবুর রহমান মোল্যা, প্রফেসর ড. মোঃ ইকবাল কবীর জাহিদ ও ড. মোঃ আমজাদ হোসেন। বর্তমানে ড. মোঃ নাজমুল হাসান এ হলের প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই হলে পাঁচজন সহকারী প্রভোস্ট, একজন কর্মকর্তা ও নয় জন কর্মচারী রয়েছেন।
শেখ হাসিনা ছাত্রী হল
সম্পাদনাজাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নামে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলের নামকরণ করা হয়। শেখ হাসিনা ছাত্রী হল ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই হলের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার, একটি সুসজ্জিত পাঠকক্ষ, একটি প্রার্থনা কক্ষ, একটি ক্যানটিন, একটি ডাইনিং এবং একটি টিভি কক্ষ রয়েছে। হলের শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার সুব্যবস্থা রয়েছে, যেমন: ক্যারাম, টেবিল টেনিস, দাবাসহ ইনডোর গেমস, ইত্যাদি। প্রতি বছর বিভিন্ন জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে হলে আলোচনা সভা, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিতর্ক প্রতিযোগিতা প্রভৃতির আয়োজন করা হয়। শেখ হাসিনা ছাত্রী হল ২০১০ সালের ১ অক্টোবর মাত্র ৮৩ জন ছাত্রী নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে এই হলে আবাসিক ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৬০০ জন। উক্ত হলে প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন যথাক্রমে ড. মৌমিতা চৌধুরী, আফরোজা খাতুন, নিগারিন সুলতানা, শিউলি খাতুন ও প্রফেসর ড. মোঃ আনিছুর রহমান। বর্তমানে ড. সেলিনা আক্তার এ হলের প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই হলে বর্তমানে চার জন সহকারী প্রভোস্ট, একজন কর্মকর্তা ও আট জন কর্মচারী রয়েছেন। এ ছাড়া রান্না, পরিচ্ছন্নতা ও ক্যানটিন পরিচালনার জন্য ১৫ জন কর্মচারী রয়েছেন।
মুনশি মোহাম্মদ মেহেরুল্লাহ হল
যশোরের কৃতি সন্তান মুনশি মোহাম্মদ মেহেরুল্লাহ ছিলেন বিশিষ্ট কবি, ধর্মপ্রচারক ও সমাজ-সংস্কারক। তিনি ১৮৬১ সালে তৎকালীন যশোরের কালীগঞ্জ উপজেলার ঘোপ নামক গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল যশোর সদর উপজেলার ছাতিয়ানতলা গ্রামে। বিশিষ্ট এ কবি, ধর্মপ্রচারক ও সমাজ-সংস্কারকের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং তাঁর স্মৃতিকে অম্লান রাখার অংশ হিসেবে তাঁর নামে যবিপ্রবির দ্বিতীয় এ ছাত্র হলের নামকরণ করা হয়েছে। গত ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ খ্রি. তারিখে ১০-তলা বিশিষ্ট এ ছাত্র হলটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন। বর্তমানে এ হলটির নির্মাণকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। আশা করা হচ্ছে, অচীরেই এর নির্মাণকাজ সমাপ্ত হবে। নির্মাণকাজ সমাপ্ত হলে এ হলে নূন্যতম এক হাজার শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা হবে। নিয়মিত শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি এই হলে বিদেশি শিক্ষার্থী, এমফিল ও পিএইচডি গবেষকদের জন্য বিশেষ আবাসিক সুবিধাও থাকবে। বর্তমানে এই হলের প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ জাফিরুল ইসলাম।
বীর প্রতীক তারামন বিবি হল
বীর প্রতীক তারামন বিবি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন নারী বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় ১১ নম্বর সেক্টরে কুড়িগ্রাম জেলার শংকর মাধবপুর গ্রামে ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর। এ সময় তিনি সহকর্মীদের কাছ থেকে অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ নিয়ে তাঁদের সাথে অনেক সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ করেন ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। শুধু সম্মুখ যুদ্ধই নয়, নানা কৌশলে ছদ্মবেশ ধারণ করে গুপ্তচর সেজে শত্রুপক্ষের বিপক্ষে কাজ করেছেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁর সাহসিকতার জন্য ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে। সরকারি গেজেট অনুযায়ী তার বীরত্বভূষণ নম্বর ৩৯৪। এক সময় তারামন বিবিকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। স্বাধীনতা অর্জনের ২৪ বছর পরও তার সন্ধান মেলেনি। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর ১৯৯৫ সালে ময়মনসিংহের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক বিমল কান্তি তাঁকে খুঁজে বের করেন। ১৯৯৫ সালের ১ ডিসেম্বর তৎকালীন সরকার এক অনাড়ম্বর পরিবেশে আনুষ্ঠানিকভাবে তারামন বিবির হাতে বীরত্বের পুরস্কার তুলে দেন। রণাঙ্গনের এই বীর মুক্তিযোদ্ধা দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসের সংক্রমন, শ্বাসকষ্ট আর ডায়াবেটিসে ভুগে ১ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে বিজয়ের মাসের প্রথম প্রহরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁকে রাজিবপুর উপজেলার কাচারীপাড়া তালতলা কবরস্থানে সমাধিস্থ করা হয়।
গত ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ খ্রি. তারিখে ১০-তলা বিশিষ্ট এ ছাত্রী হলটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন। বর্তমানে এ হলটির নির্মাণকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। আশা করা হচ্ছে, অচীরেই এর নির্মাণকাজ সমাপ্ত হবে। নির্মাণকাজ সমাপ্ত হলে এ হলে নূন্যতম এক হাজার ছাত্রীর আবাসন ব্যবস্থা হবে। নিয়মিত শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি এই হলে বিদেশি শিক্ষার্থী, এমফিল ও পিএইচডি গবেষকদের জন্য বিশেষ আবাসিক সুবিধাও থাকবে। বর্তমানে এই হলের প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শিরিন নিগার।
কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী
সম্পাদনাযশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী প্রশাসনিক ভবনের পাশে অবস্থিত। মানব সভ্যতা জ্ঞান ও সাংস্কৃতির ফসল। সভ্যতার লালন-পালন ও বিকাশে প্রাচীনকাল থেকে গ্রন্থাগার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সমাজের সকল ক্ষেত্রে গ্রন্থাগারের গুরুত্ব অপরিসীম। মূলত: উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ প্রতিষ্ঠিত। উচ্চশিক্ষার লক্ষ্যে জ্ঞান বিতরণ ও গবেষণার জন্য ২০০৭ সালে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের যাত্রা শুরু হয় যা সংক্ষেপে ‘যবিপ্রবি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার’ নামে পরিচিত। শুরু থেকেই যবিপ্রবি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ব্যবহারকারীকে বই , জার্নাল এবং অনলাইনভিত্তিক ই-বুক, ই- জার্নাল ও অডিও ভিজুয়াল সামগ্রী সেবা প্রদান করে আসছে। মূলত: কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার হলো অত্র প্রতিষ্ঠানের হৃদপি-।
যবিপ্রবি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে একজন গ্রন্থাগারিক, একজন উপ-গ্রন্থাগারিক, দুইজন সহকারী গ্রন্থাগারিক ও দুইজন সেকশন অফিসার কর্মরত আছেন। গ্রন্থাগারে কর্মরত সকল কর্মকর্তাগণ দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী যারা অধিকাংশই অভিজ্ঞ গ্রন্থাগার পেশাজীবী। কর্মকর্তা ছাড়াও গ্রন্থাগারে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির নয় জন স্টাফ কর্মরত আছে। এই জনবল দিয়ে গ্রন্থাগারিক মহোদয় সূচারুরূপে গ্রন্থাগারের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
যবিপ্রবি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠার পর থেকে এর সংগ্রহ ক্রমশ: বেড়েই চলেছে। গ্রন্থাগারে পুস্তকের সংগ্রহ সর্বমোট ১৫ হাজার ৩৭২টি। তারমধ্যে ২০১৯ সালে ক্রয়কৃত মুদ্রিত পুস্তকের সংখ্যা ৩৬১টি। প্রিন্ট বইয়ের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ২০১৩ সাল হতে ইউজিসির সহায়তায় ইউডিএল সদস্য হিসাবে বিশ্বের ১১টি প্রকাশনার ই-রিসোর্স তথা ই-বুক, ই-জার্নাল এ প্রবেশাধিকার পেয়ে থাকে। ইউডিএল এর আওতায় প্রাপ্ত ই-রিসোর্সেস এর সংখ্যা ৩৫ হাজারের অধিক। ইউডিএল এর অন্তর্ভুক্ত খ্যাতনামা প্রকাশনা হল: ACM, IEEE, Cambridge University Press, Oxford University Press, SAGE, Taylor and Francis (T&F), Wiley, Tata McGraw Hill, World Scientific, JSTOR, etc.
ডা. এম আর খান মেডিকেল সেন্টার
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যায়ের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচ তলায় মেডিকেল সেন্টারের কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ১ মার্চ এই সেন্টারের কার্যক্রম প্রশাসনিক ভবন থেকে ছয়তলা বিশিষ্ট মেডিকেল সেন্টারের নিজস্ব ভবনে স্থানান্তর করা হয়। শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি বিনামূল্যে ঔষধ সামগ্রী প্রদান করা হয়। এর পাশাপাশি ভর্তিচ্ছু ছাত্র-ছাত্রীদের ও নিয়োগকৃত শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীগণের স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রত্যয়নপত্র প্রদান করে। এ ছাড়া এই সেন্টারে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং তাঁদের পোষ্যদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।
ডা. এম আর খান মেডিকেল সেন্টারের সেবা অফিস চলাকালীন সকাল ৯টা হতে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এবং প্রয়োজনে ২৪ ঘণ্টায় জরুরি সেবা প্রদান করা হয়। আর অফিস বন্ধের দিন শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা প্রদান করা হয়ে থাকে। ডা. এম আর খান মেডিকেল সেন্টারে এক্স-রে, ইসিজি, ইউএসজি পরীক্ষা সেবা নিশ্চিতকরনে প্রয়োজনীয় কাজ চলমান রয়েছে।
ছাত্র-ছাত্রীদের বিনামূল্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড কেস হিসাবে যশোর শহরের মধ্যে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস দেওয়া হয়। শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাঁদের পোষ্যদের জন্য নির্ধারিত অর্থের বিনিময়ে অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা প্রদান করা হয়। একজন প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা, চার জন মেডিকেল অফিসার ও আট জন কর্মচারী কর্মরত আছেন। মেডিকেল সেন্টারের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ডা. দীপক কুমার মন্ডল।
ফ্রি হেল্থ ক্যাম্প
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আগস্ট মাসে সমাজের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে ২০১৮ সাল থেকে ডা. এম আর খান মেডিকেল সেন্টারের উদ্যোগে দেশের স্বনামধন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন¦য়ে ফ্রি হেলথ ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবায় বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন এ উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ফলে এ অঞ্চলের অনগ্রসর জনগোষ্ঠী স্বাস্থ্যসেবা পেয়ে উপকৃত হচ্ছে।
ভবিষ্যত পরিকল্পনা:
- একটি মডেল ফার্মেসী প্রতিষ্ঠা
- আধুনিক যন্ত্রপাতি সংবলিত প্যাথলোজিক্যাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা
- ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল চালু
- মাইনর অপারেশেনের জন্য অপারেশন থিয়েটার প্রতিষ্ঠা
- স্বাস্থ্য সচেতনামূলক সেমিনার/সিম্পোজিয়াম আয়োজন করা।
টিএসসি এবং ক্যাফেটেরিয়া
সম্পাদনাএটি যবিপ্রবি ক্যাম্পাসের উত্তর -পশ্চিম কোণে মূল গেটের পাশে অবস্থিত একটি দ্বিতল ভবন। ছাত্র -ছাত্রী এবং কর্মকর্তা -কর্মচারী সকলেই এখানে ভোজন করতে পারেন। টিএসসি, ক্যাফেটোরিয়া এবং শহীদ মসিয়ুর রহমান ছাত্র হলের মাঝামাঝি জায়গায় অবস্থিত ৫ তলা বিশিষ্ট ভবন।যার কাজ এখনো নির্মানাধীন।
ডরমেটরি
সম্পাদনাএটি যবিপ্রবি ক্যম্পাসের দক্ষিণ -পূর্ব কোণে অবস্থিত ১০ তলা ভবন। এই ১০ তলা ডরমেটরি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য।
কেন্দ্রীয় মসজিদ
সম্পাদনাএটি যবিপ্রবি ক্যাম্পাসের পশ্চিমে অবস্থিত। প্রতিদিন মুসলিম ছাত্র এবং শিক্ষকেরা এখানে সালাত আদায় করেন।
মিলনায়তন
সম্পাদনাঅনুষদ ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে একটি সুন্দর অডিটরিয়াম আছে। বিশেষ অনুষ্ঠান, যেমন: সেমিনার, কনফারেন্স, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা ইত্যাদি এখানে করা হয়। বর্তমানে আলাদা অডিটরিয়াম ভবন করা হচ্ছে। যা প্রশাসনিক ভবন এর পিছনে অবস্থিত।
উপাচার্যের বাসভবন
সম্পাদনাএই ভবনটি যবিপ্রবি ক্যাম্পাসের পূর্ব -মধ্য পার্শ অবস্থিত। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
ব্যাংক এবং পোস্ট অফিস
সম্পাদনাযবিপ্রবি ক্যাম্পাসের মূল ফটকের পার্শে ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড(DBBL)এর একটি এটিএম বুথ আছে এবং টিএসসি / ক্যাফেটেরিয়া ভবনের পিছনে অগ্রণী ব্যাংক এর একটি শাখা রয়েছে। ,যেখানে ছাত্র -ছাত্রীরা অনলাইন ব্যাংকিং এবং অন্যান্য সুবিধাদি পেয়ে থাকে। প্রশাসনিক ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে যবিপ্রবি শাখার ,গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একটি পোস্ট অফিস রয়েছে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "VCs appointed to two technology versities"। The New Nation। ২০০৮-০৯-০৫। ২০১১-০৬-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-০৮।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;Sattar
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ "দ্বিতীয় মেয়াদে যবিপ্রবির উপাচার্য হলেন অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন"। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ১ জুন ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ "যবিপ্রবি উপাচার্য ড. আনোয়ার হোসেনের পদত্যাগ"। যায়যায়দিন। ২১ আগস্ট ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০২৪।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাএই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |