সরলা বসু
এই নিবন্ধে একাধিক সমস্যা রয়েছে। অনুগ্রহ করে নিবন্ধটির মান উন্নয়ন করুন অথবা আলাপ পাতায় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করুন।
|
সরলা বসু (১৯০৩-১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দ)[১] বাংলা ভাষার একজন সাহিত্যিক। এঁর পুত্র ছিলেন কবি অরুণাচল বসু। ব্রিটিশ ভারতের যশোর জেলায় (যা বর্তমান বাংলাদেশে অবস্থিত) জন্মের পরে দীর্ঘ ও বর্ণময় জীবনের অধিকারী ছিলেন সরলা। পরবর্তী জীবনে থেকেছেন কলকাতার বেলেঘাটায় ও যাদবপুরে। এই সময়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি করেন লেখালেখিও। কলকাতায় পুত্রের সূত্রে পরিচয় হয় তার বন্ধু, কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যর সঙ্গে। তার লেখা ‘পাঁচটি ফাগুনসন্ধ্যা ও একটি কোকিল’ গল্পটি বিশ্বসাহিত্যে স্থান পাওয়ার যোগ্য বলে সুকান্ত উল্লেখ করেছেন; পরে এটি ‘ছটি ফাগুনসন্ধ্যা’ নামে প্রকাশিত হয়েছিল।
সরলা বসু | |
---|---|
জন্ম | পাঁজিয়া গ্রাম, যশোর জেলা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান বাংলাদেশ) | ৯ নভেম্বর ১৯০৩
মৃত্যু | অক্টোবর ২০, ১৯৮৯ যাদবপুরে নিজের বাড়িতে, কলকাতা, ভারত। |
পেশা |
|
ভাষা | বাংলা |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
সময়কাল | বিংশ শতাব্দী |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি | জল বনের কাব্য (আষাঢ় ১৩৭২), কত দিনের কত ব্যথা (১৯৮৪),কবি-কিশোর সুকান্ত (মার্চ ১৯৬৩),ঝিলমিল রাজার দেশ’ (কার্তিক, ১৩৬৯) |
দাম্পত্যসঙ্গী | অশ্বিনীকুমার বসু |
দাম্পত্য
সম্পাদনাঅন্নদাপ্রসাদ ঘোষ ও গোলাপসুন্দরি দেবীর কনিষ্ঠা কন্যা সরলার বিবাহ হয় মাত্র ন-বছর বয়সে ফরেস্ট অফিসার শ্রীযুক্ত অশ্বিনীকুমার বসুর সঙ্গে। তিন পুত্র এবং দুই কন্যার জনক-জননী ছিলেন তারা।
সাহিত্য কর্ম
সম্পাদনাতার গল্প প্রথম প্রকাশিত হয় ১৩৩৭ সনে ‘সাম্যবাদী’ পত্রিকায়, নাম ‘সীতার পাতাল প্রবেশ’। ১৩৫০ সনে ‘অরণি’তে প্রকাশিত হয় ‘বারো ডজন দেশলাই’। তার প্রকাশিত চারটি গ্রন্থ হল ছোটদের রূপকথা ‘ঝিলমিল রাজার দেশ’ (কার্তিক, ১৩৬৯), কৈশোর রঙের তুলিকায় আঁকা সুন্দরবনের পটভূমিকায় লেখা একটি অসাধারণ কথাসাহিত্য ‘জল-বনের কাব্য’ (আষাঢ়, ১৩৭২), পুত্র অরুণাচলের সাথে একত্রে লেখা সুকান্ত স্মৃতিকথা ‘কবি-কিশোর সুকান্ত’ (মার্চ, ১৯৬৩) এবং সত্য ও কল্পনায় মেশা গ্রাম বাংলার পটভূমিতে রচিত দীর্ঘ উপন্যাস ‘কত দিনের কত ব্যথা’ (মহালয়া, ১৯৮৪)। এছাড়াও বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তার অনেক গল্পই প্রকাশিত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ কর্তৃক ১৯৭৬ সালে প্রকাশিত ‘সুকান্ত মূল্যায়ন’ সংকলিত গ্রন্থেও তার লেখা রয়েছে। সুকান্তর চিঠিপত্রে সরলা বসুর সাহিত্য সাধনার বিশেষ উল্লেখ পাওয়া যায়— তার লেখা ‘পাঁচটি ফাগুনসন্ধ্যা ও একটি কোকিল’ গল্পটি বিশ্বসাহিত্যে স্থান পাওয়ার যোগ্য বলে সুকান্ত উল্লেখ করেছেন; পরে এটি ‘ছটি ফাগুনসন্ধ্যা’ নামে প্রকাশিত হয়েছিল।
মৃত্যু
সম্পাদনাজ্যেষ্ঠ পুত্র অরুণাচলের অকাল মৃত্যুর পর (১৯৭৫) তিনি মানসিক ভাবে একেবারে ভেঙে পড়েন। দীর্ঘ অসুস্থতার পরে ১৯৮৯ সালের ২০শে অক্টোবর (৩রা কার্তিক, ১৩৯৬) যাদবপুরের বাড়িতে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Codingest (২০২২-০৫-৩১)। "সরলা বসু এর জীবনী"। MaaTV (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৮-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৬।