হাসিবুর রেজা কল্লোল
হাসিবুর রেজা কল্লোল হচ্ছেন একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার, ও সংংবাদ প্রযোজক। তিনি শাকিব খান ও পাওলি দাম অভিনীত সত্তা চলচ্চিত্রটি পরিচালনার জন্য পরিচিত লাভ করেন।
হাসিবুর রেজা কল্লোল | |
---|---|
জন্ম | কল্লোল ১৫ অক্টোবর |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
পেশা |
|
কর্মজীবন | ১৯৯৬-বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | জেসমিন আখতার বিথী |
সন্তান | সত্তা রেজা, শিল্প রেজা |
পিতা-মাতা | আব্দুর রাজ্জাক হাসিনা মমতাজ |
পুরস্কার | ১৪তম টেলিসিনে অ্যাওয়ার্ড জাতীয় পুরস্কার (আলোকচিত্রে) |
প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনাকল্লোল বাংলাদেশের যশোর জেলার ঘুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আব্দুর রাজ্জাক ও মাতার নাম হাসিনা মমতাজ হাসি। তিনি যশোর মিউনিসিপ্যাল প্রিপারেটরি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন, এরপর তিনি যশোর ক্যান্টমেন্ট কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। পরে তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলা বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন।
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাহাসিবুর রেজা কল্লোল বিয়ে করেন জেসমিন আখতার বিথীকে। এই দম্পত্তির সত্তা রেজা ও শিল্প রেজা নামে দুই সন্তান রয়েছে।
কর্মজীবন
সম্পাদনাতিনি আলোকচিত্রী হিসেবে দৈনিক প্রথম আলোতে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর তিনি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে আলোকচিত্রী ও সংবাদ প্রযোজক হিসেবে কাজ করেন। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য গণমাধ্যম যেমন একুশে টেলিভিশন, বাংলাভিশন, বৈশাখী টেলিভিশন প্রভৃতি। পাশাপাশি তিনি টেলিভিশন নাটক ও নাটকের চিত্রনাট্য এবং পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করেন। অন্ধ নিরাঙ্গম, সত্তা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। সত্তা চলচ্চিত্রে বাংলাদেশী সুপারস্টার শাকিব খান ও ভারতীয় অভিনেত্রী পাওলি দাম অভিনয় করেন । বর্তমানে তিনি বাংলাদেশী টিভি চ্যানেল জি.টি.ভি. তে এবং অগ্রণী বাংলাদেশী সংবাদপত্র সংস্থা "ডেইলি স্টার" এ গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত রয়েছেন।
চলচ্চিত্র
সম্পাদনাপুরস্কার
সম্পাদনা- ১১ তম জাতীয় পুরস্কার (আলোকচিত্রে)
- অন্ধ নিরাঙ্গম জন্য '১৪ তম টেলিসিনে অ্যাওয়ার্ড' লাভ করেছেন।
- অন্ধ নিরাঙ্গম এর জন্য বাংলাদেশ কালচারাল রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন সম্মাননা
- সত্তা'র জন্য ষষ্ঠ বেঙ্গল ইয়ুথ এ্যাওয়ার্ড, কলকাতা
- BTEF ভ্রমণ মূলক পুরস্কার অর্জন করেছেন।
- আজতক ফিল্ম এচিভারস এ্যাওয়ার্ড, বেস্ট ডিরেক্টর, মুম্বই
- বাচসাস সুবর্ণজয়ন্তী চলচ্চিত্র পুরস্কার: হাসিবুর রেজা কল্লোল "সত্তা" ছায়াছবির জন্য শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার লাভ করেন।[৭] উল্লেখ্য তার "সত্তা" চলচ্চিত্র আরো পাঁচটি বিভাগে বাচসাস পুরস্কার অর্জন করে [৮]। শ্রেষ্ঠ অভিনেতা: শাকিব খান, শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক : বাপ্পা মজুমদার, শ্রেষ্ঠ গায়ক: জেমস, শ্রেষ্ঠ গায়িকা: মমতাজ, শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী (পার্শ্ব চরিত্রে): নাসরিন
- রিমঝিম মধুর সঙ্গীত পুরস্কার : পরিচালক হিসেবে (সত্তা)
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা
- ↑ "শিলিগুড়ির উৎসবে বাংলাদেশের তিন ছবি | কালের কণ্ঠ"। কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "ভারতের উৎসবে দেশের তিন সিনেমা"। মানবজমিন। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "ভারতের চলচ্চিত্র উৎসবে শাকিব, জয়া ও শুভ'র ছবি"। চ্যানেল আই অনলাইন। ২০১৯-০৮-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-২২।
- ↑ "গল্প শুনেই প্রযোজক হলে শাকিব খান"। প্রথম আলো। ১ জানুয়ারি ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারি ২০২০।
- ↑ "সত্তার পর আবারও কল্লোলের ছবিতে শাকিব"। চ্যানেল আই অনলাইন। ১ জানুয়ারি ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারি ২০২০।
- ↑ "সত্তার পর কল্লোলের নতুন ছবিতেও শাকিব খান"। সময় নিউজ। ১ জানুয়ারি ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারি ২০২০।
- ↑ "শিল্পীদের পাঁচ বছরের পাওনা মেটাল বাচসাস"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-০৬।
- ↑ "জমকালো আয়োজনে বাচসাস সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব ও চলচ্চিত্র পুরস্কার | বাংলাদেশ প্রতিদিন"। Bangladesh Pratidin (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-০৬।