রওশন আলী

বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ

রওশন আলী (১২ এপ্রিল ১৯২১-১৯ আগস্ট ১৯৯৪) বাংলাদেশের যশোর জেলার রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, মুক্তিযোদ্ধাযশোর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। ১৯৮৫ সালে রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক পান তিনি।[১][২][৩]

এ্যাডভোকেট
রওশন আলী
যশোর-৯ আসনের সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
১৯৭৩ – ১৯৭৫
পূর্বসূরীশুরু স্বাধীনতা লাভ
উত্তরসূরীতরিকুল ইসলাম
যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
১৯৯১ – ১৯৯৪
পূর্বসূরীগাজী আব্দুল হাই
উত্তরসূরীতরিকুল ইসলাম
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১২ এপ্রিল ১৯২১
যশোর, ব্রিটিশ ভারত
(বর্তমান বাংলাদেশ)
মৃত্যু১৯ আগস্ট ১৯৯৪
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
সন্তান৩ ছেলে, ৪ মেয়ে
পুরস্কাররাষ্ট্রপতির স্বর্ণপদক-১৯৮৫

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা

রওশন আলী ১২ এপ্রিল ১৯২১ সালে যশোর সদর উপজেলার তেঘোরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মাদার বক্স বিশ্বাস। তিনি ১৯৩৯ সালে যশোর সম্মিলনী ইনস্টিটিউশন থেকে প্রবেশিকা ও ১৯৪১ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে ১৯৫১ সালে কলকাতার রিপন কলেজ থেকে গ্রাজুয়েট হন। ১৯৫১ সালে তিনি কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন শাস্ত্রে ডিগ্রি অর্জন করে ১৯৫২ সালে আইন পেশায় নিয়োজিত হন ও যশোর আইনজীবী সমিতির সদস্য হন।[৪][৫]

জীবনী সম্পাদনা

রওশন আলী ১৯৫০ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। তিনি ১৯৫৫ সালে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত তিনি এ পদে ছিলেন। এর পর যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে আমৃত্যু দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৫ সাল থেকে আমৃত্যু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।[৫][৪]

১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে যশোর সদর ও বাঘারপাড়া আসন থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য (এমএনএ) নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি ভারতে অবস্থান করেন। তিনি ১৯৭২ সালে খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশের গণপরিষদেরও তিনি সদস্য ছিলেন।[৫]

১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে বিলুপ্ত যশোর-৯ (যশোর সদর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।[১] ১৯৭৫ সালে তিনি বাকশালে যোগদান করে যশোরের গভর্ণর হন। এর পর তিনি ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৩][২] ১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে তিনি পরাজিত হয়েছিলেন।[৪]

১৯৮৫ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক পান। তিনি ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ কো অপারেটিভ ইন্সুরেন্সের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন। তিনি ১৯৮২-৮৩ এবং ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত যশোর আইনজীবী সমিতির তিনবারের নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় শিল্প সমিতি ও জাতীয় সমবায় ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন।[৫]

মৃত্যু সম্পাদনা

রওশন আলী ১৯ আগস্ট ১৯৯৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন।[৪][৫]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "১ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০২০ 
  2. "৫ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০২০ 
  3. "রওশন আলী"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০২০ 
  4. "যশোরের কৃতি সন্তান স্বাধীনতা সংগ্রামী রওশন আলীর আজ ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকী"দৈনিক গ্রামের কাগজ। ১৯ আগস্ট ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০২০ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  5. "রওশন আলী / Roushan Ali (1921-1994)"jessore.info। ২০১৯-০৫-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-১৮