অভয়নগর উপজেলা
অভয়নগর উপজেলা বাংলাদেশের যশোর জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
অভয়নগর | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে অভয়নগর উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°১′ উত্তর ৮৯°২৬′ পূর্ব / ২৩.০১৭° উত্তর ৮৯.৪৩৩° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | খুলনা বিভাগ |
জেলা | যশোর জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ২৪৭.১৯ বর্গকিমি (৯৫.৪৪ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ২,৬২,৪৩৪ |
• জনঘনত্ব | ১,১০০/বর্গকিমি (২,৭০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৫৬.৪৭% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৪০ ৪১ ০৪ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
অবস্থান ও আয়তন
সম্পাদনাএই উপজেলার উত্তরে যশোর সদর উপজেলা ও নড়াইল সদর উপজেলা, দক্ষিণে খানজাহান আলী থানা, ডুমুরিয়া উপজেলা, দিঘলিয়া উপজেলা ও ফুলতলা উপজেলা, পূর্বে নড়াইল জেলার নড়াইল সদর উপজেলা ও কালিয়া উপজেলা, পশ্চিমে যশোর সদর উপজেলা ও মণিরামপুর উপজেলা।
ইতিহাস
সম্পাদনা১১ শিব মন্দির বা একাদশ শিব মন্দির। যশোরের অভয়নগরের ঐতিহাসিক স্থাপনা। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে একটি উপজেলার নামকরণের ইতিহাস। জড়িয়ে আছে এক দুঃখী রাজকুমারীর দুঃখগাঁথা। যেখানে দাঁড়ালে আজও শোনা যায় রাজকুমারীর কষ্টের ভারী নিঃশ্বাস। আজও সেখানকার সবুজ সিক্ত হয় রাজকুমারীর চোখের জলে।
সেই নোনা জলে সিক্ত উপাখ্যান জানতে আপনাকে ঘড়ির কাঁটা ঘুরিয়ে ফিরে যেতে হবে তিনশ বছর পূর্বে। আঠারো শতকের গোড়ার দিককার কথা। মুঘল আক্রমণে পরাজিত ও বন্দী হয়েছেন যশোরের তৎকালীন প্রতাপশালী রাজা প্রতাপাদিত্য। জীবন বাঁচাতে রাজার বংশধরেরা যশোরের নানা দিকে ছড়িয়ে পড়েছে। রাজার এক বংশধর নীলকণ্ঠ রায় আশ্রয় নিলেন ভৈরব নদের তীরবর্তী অঞ্চলে।
ইতোমধ্যে রাজা নীলকণ্ঠের ঘরে জন্ম নিলো এক রাজকন্য৷ নাম অভয়া৷ ভৈরব নদের আলো হাওয়ায় বড় হয়ে উঠলো অভয়া। বিয়ের ক্ষণ এলো রাজকুমারীর। বিয়ে ঠিক হলো পার্শ্ববর্তী চিত্রা নদীর তীর ঘেঁষা অঞ্চল নড়াইলের জমিদার বংশের নীলাম্বর রায়ের সঙ্গে। কিন্তু অদৃষ্টের নির্মম পরিহাসে বিয়ের কিছুদিন পরেই মারা যান নীলাম্বর রায়। বিধবা হলেন অভয়া দেবী।
ছোটবেলা থেকেই অভয়া দেবী ছিলেন ধার্মিক। তিনি ছিলেন দেবতা শিবের উপাসক। বিধবা হওয়ার পর অভয়া দেবী চোখের জল মুছে পূজা অর্চনায় মন দিলেন। পিতার কাছে শিব মন্দির তৈরি করে দেওয়ার আবদার করলেন। পিতা নিঃসঙ্গ কন্যার আবদার পূরণে বিলম্ব করলেন না। ভৈরব নদের তীরে ১১ টি শিব মন্দির তৈরি করে দিলেন। এলাকার নাম রাখলেন অভয়ানগর। কালক্রমে যা অভয়নগর হিসেবেই মানুষ জানে
প্রশাসনিক এলাকা
সম্পাদনাঅভয়নগর উপজেলা একটি পৌরসভা এবং ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।
পৌরনভার নাম- নওয়াপাড়া পৌরসভা। যেটা ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।
এই উপজেলার ইউনিয়নগুলো হচ্ছে -
শিক্ষা
সম্পাদনা- পায়রাহাট ইউনাইটেড কলেজ
- জামিয়া আরাবিয়া মুহিউল ইসলাম
- ভবদহ মহাবিদ্যালয় ।
- নওয়াপাড়া কলেজ।
- মহাকাল পাইলট কলেজিয়েট স্কুল।
- নওয়াপাড়া মডেল কলেজ।
- কম্পিউটার লিটল জুয়েলস্ স্কুল
- নওয়াপাড়া মডেল হাইস্কুল।
- শংকরপাশা হাইস্কুল।
- পায়রা ইসলামীয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসা।
- কোটা সিনিয়র ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসা।
- গাজীপুর রউফিয়া কামিল মাদ্রাসা।
- আহম্মদ আলী সরদার মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
- নওয়াপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- শেখ আব্দুল ওহাব মডেল কলেজ।
অর্থনীতি
সম্পাদনাযশোর জেলার অন্যাতম একটি নদী বন্দর এই উপজেলাতে অবস্থিত। যার মাধ্যমে প্রতিদিন শত শত কোটি টাকার পণ্য আমদানি ও রফতানি হয়। বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে এই নদী বন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আমদানীকৃত পণ্যের মধ্যে সার,সিমেন্ট,পাথর,কয়লা,গম,ভূট্রা অন্যতম।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব
সম্পাদনা- কিরণচন্দ্র মুখোপাধ্যায় (১৮৯৩ - ১২ ডিসেম্বর, ১৯৫৪) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী।
চিকিৎসা কেন্দ্র
সম্পাদনা১.অভয়নগর উপজেলা সরকারি হাসপাতাল।
২.এল.বি হাসপাতাল।
৩.ফাতেমা ক্লিনিক।
৪.সার্জিকাল ক্লিনিক।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে অভয়নগর"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০১৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাএই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |