চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন

বাংলাদেশের রেলওয়ে স্টেশন

চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা জেলার অন্তর্গত চুয়াডাঙ্গা শহরে অবস্থিত বাংলাদেশের প্রথম রেলওয়ে স্টেশন চুয়াডাঙ্গা ও তার পার্শ্ববর্তী মেহেরপুরঝিনাইদহ এলাকার লোকজনকে রেল পরিসেবা প্রদান করে আসছে।

চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন
অবস্থানচুয়াডাঙ্গা, চুয়াডাঙ্গা জেলা, খুলনা বিভাগ
 বাংলাদেশ
স্থানাঙ্ক২৩°৩৮′২৩″ উত্তর ৮৮°৫১′২৩″ পূর্ব / ২৩.৬৩৯৬৫৮২° উত্তর ৮৮.৮৫৬৩৩৯° পূর্ব / 23.6396582; 88.856339
মালিকানাধীনবাংলাদেশ রেলওয়ে
পরিচালিতপশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে
লাইনচিলাহাটি–পার্বতীপুর–সান্তাহার–দর্শনা
প্ল্যাটফর্ম
নির্মাণ
গঠনের ধরনআদর্শ (স্থল স্টেশন)
পার্কিংআছে
সাইকেলের সুবিধাআছে
প্রতিবন্ধী প্রবেশাধিকারআছে
অন্য তথ্য
অবস্থাকার্যকর
ইতিহাস
চালু১৮৬২; ১৬২ বছর আগে (1862)
পরিষেবা
পূর্ববর্তী স্টেশন   বাংলাদেশ রেলওয়ে   পরবর্তী স্টেশন
গাইদঘাট
সামনে দর্শনা
  চিলাহাটি–পার্বতীপুর–সান্তাহার–দর্শনা   মমিনপুর
সামনে পোড়াদহ জংশন
অবস্থান
মানচিত্র

ইতিহাস সম্পাদনা

১৮৫৯ সালে ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে কোম্পানি কোলকাতা-কুষ্টিয়া (জগতি) পর্যন্ত ব্রডগেজ ৫' ৪" সিঙ্গেল রেলপথ নির্মাণ কাজ শুরু করলে, একই বছর চুয়াডাঙ্গা স্টেশনের নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং এর কাজ শেষ হয় ১৮৬০ সালে। ১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর কলকাতা-কুষ্টিয়া (জগতি) রেলপথে ট্রেন চলাচল শুরুর মাধ্যমে পূর্ব বাংলায় কার্যক্রম শুরু হয়। তখন ট্রেনের ইঞ্জিনে পানি সরবরাহের জন্য চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের পাশে ওভারহেড ট্যাংক ও স্টেশনের যাত্রীদের জন্য একটি ফুটওভার ব্রীজ স্থাপন করা হয়। ১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে আজ অবধি চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন দুটি রেল লাইন ও দুটি প্লাটফর্মের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা শহর ও তার পার্শ্ববর্তী মেহেরপুর ও ঝিনাইদহ এলাকার লোকজনকে পরিসেবা প্রদান করে আসছে।

১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের জন্য বঙ্গ প্রদেশের রেল যোগাযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অবিভক্ত ভারতে ব্রিটিশ শাসনের সময়, নিয়মিত রাতব্যাপী কলকাতা, গোয়ালন্দ, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের মধ্যে ট্রেন চলাচল করত। ভারত ভাগের পর ইস্ট বেঙ্গল মেইল, ইস্ট বেঙ্গল এক্সপ্রেস এবং বরিশাল এক্সপ্রেস - এই তিনটি ট্রেন, ১৯৬৫ পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে চলাচল করেছিল।

যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা সম্পাদনা

এই স্টেশনে খুলনারাজশাহী রুটের কপোতাক্ষসাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস, খুলনা–ঢাকা রুটের চিত্রা সুন্দরবন এক্সপ্রেসবেনাপোল এক্সপ্রেস , খুলনা–চিলাহাটি রুটের রূপসাসীমান্ত এক্সপ্রেস, খুলনা–চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটের মহানন্দা এক্সপ্রেস, খুলনা–পার্বতীপুর রুটের রকেট এক্সপ্রেস ও খুলনা–গোয়ালন্দ ঘাট রুটের নকশীকাঁথা এক্সপ্রেস যাত্রাবিরতি দেয়।[১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা