পোড়াদহ–কালুখালী-গোয়ালন্দ ঘাট লাইন

পোড়াদহ-কালুখালী-গোয়ালন্দ ঘাট লাইন বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি ব্রডগেজ রেললাইন। যা পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃক রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনা করা হয়।[১][২]

পোড়াদহ-কালুখালী-গোয়ালন্দ ঘাট লাইন
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
স্থিতিসক্রিয়
মালিকবাংলাদেশ রেলওয়ে
অঞ্চল বাংলাদেশ
বিরতিস্থল
স্টেশন১৬
পরিষেবা
ধরনবাংলাদেশের রেললাইন
পরিচালকবাংলাদেশ রেলওয়ে
ইতিহাস
চালু
  • দর্শনা-পোড়াদহ-জগতি (১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর)
  • জগতি-গোয়ালন্দ ঘাট (১৮৭১ সালের ১ জানুয়ারি)
কারিগরি তথ্য
ট্র্যাক গেজব্রডগেজ ১,৬৭৬ মিলিমিটার (৫ ফুট ৬ ইঞ্চি)
চালন গতি৮০

ইতিহাসসম্পাদনা

১৮৬২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে কলকাতা থেকে রাণাঘাট পর্যন্ত রেলপথ উদ্বোধন করে। এই লাইনকেই বর্ধিত করে ১৫ নভেম্বর ১৮৬২ সালে দর্শনা থেকে জগতী পর্যন্ত ৫৩.১১ কিমি ব্রডগেজ (১,৬৭৬ মিমি) রেললাইন শাখা উন্মোচন করা হয়। সে সময় কুষ্টিয়া ছিল প্রান্তিক স্টেশন, কিন্তু ১৮৬৭ সালে পদ্মা ভাঙনের কারণে তা স্থানান্তরিত হয় গড়াই নদীর পাড়ে এবং পরবর্তী বছরে আদি কুষ্টিয়া স্টেশন পরিত্যক্ত হয়। কুষ্টিয়া থেকে পদ্মার পাড়ে (পদ্মা ও যমুনার সংযোগস্থলের নিচে) অবস্থিত অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর গোয়ালন্দ পর্যন্ত ৭৫ কিমি দীর্ঘ রেললাইন উদ্বোধন করা হয় ১ জানুয়ারি ১৮৭১ সালে।[৩][৪]

স্টেশন তালিকাসম্পাদনা

পোড়াদহ-কালুখালী-গোয়ালন্দ ঘাট রেলপথে অবস্থিত রেলওয়ে স্টেশন গুলোর নাম নিম্নে দেওয়া হলো:

(শাখা লাইন) (কালুখালী-গোবরা লাইন)

(কালুখালী-গোবরা লাইনে দুইটি ঘাট স্টেশন আছে)

(পাচুরিয়া-ভাঙ্গা লাইন)

শাখা লাইনসম্পাদনা

কালুখালী-গোবরা লাইনসম্পাদনা

ব্রিটিশ শাসনামলে ১৮৭১ সালের ১ জানুয়ারি কু্ষ্টিয়া থেকে গোয়ালন্দ ঘাট পর্যন্ত রেললাইন তৈরি করা হয়। এই লাইনের শাখা হিসেবে রাজবাড়ির কালুখালী থেকে গোপালগঞ্জের ভাটিয়াপাড়া ঘাট পর্যন্ত রেলপথ ১৯৩২ সালে চালু করা হয়। পরে লোকসানের অজুহাতে ১৯৯৭ সালে বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৩ সালের ২ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কালুখালী-ভাটিয়াপাড়া রেলরুটে ৩২০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে রেলপথ উদ্বোধন করেন ও ভাটিয়াপাড়া এক্সপ্রেস চালু করেন।[৫] পরে কাসিয়ানী থেকে গোবরা পর্যন্ত রেললাইন ২০১৫ সালের নভেম্বরে নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থেকে গোবরা পর্যন্ত ৪৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এ রেললাইনটির নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে। টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস ট্রেন চালুর মাধ্যমে নতুন রেলপথটি ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর চালু করা হয়।[৬]

রাজবাড়ী-ভাঙ্গা লাইনসম্পাদনা

রাজবাড়ী থেকে ফরিদপুর প্রথম ট্রেন চলাচল শুরু হয় ১৮৯৯ সালে। ১৯৯৮ সালে অব্যবস্থাপনা ও লোকশানের কারণে এই লাইন বন্ধ হয়ে যায়। পদ্মা সেতু নির্মাণকে কেন্দ্র করে এই লাইনটি ২০১৪ সালে পুনর্নির্মাণ করা হয়।[৭] ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি ফরিদপুর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার নতুন রেলপথ চালু করা হয় রাজবাড়ী এক্সপ্রেস উদ্বোধনের মাধ্যমে।[৮]

পরিষেবাসম্পাদনা

পোড়াদহ-কালুখালী-গোয়ালন্দ ঘাট রেলপথে যে ট্রেন গুলো চলাচল করে:

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1. "গোয়ালন্দ ঘাট-পোড়াদহ রেলপথে জোড়াতালি দিয়ে চলছে শাটল ট্রেন"banglanews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-২২ 
  2. "রেলের শহর রাজবাড়ী ও তাকে নিয়ে কিছু কথা"banglanews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-২২ 
  3. "রেলওয়ে - বাংলাপিডিয়া"bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-২২ 
  4. "কুষ্টিয়ায় দেশের প্রথম রেলওয়ে 'জগতি স্টেশন' বেহাল | সারাদেশ | The Daily Ittefaq"archive1.ittefaq.com.bd। ২০২০-০২-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-২২ 
  5. "সাত রেলস্টেশন চালুর খবর নেই"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-২২ 
  6. "চালু হতে যাচ্ছে গোপালগঞ্জ-রাজশাহী রুটে ট্রেন চলাচল"banglanews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-২২ 
  7. "রাজবাড়ী-ফরিদপুর রেল রুটের সব স্টেশনেই থামবে ট্রেন"banglanews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-২২ 
  8. "রাজবাড়ী এক্সপ্রেসের যাত্রা শুরু"Dhakatimes24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-২২