ভাঙ্গা-কুয়াকাটা লাইন
ভাঙ্গা-কুয়াকাটা লাইন[১] বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত একটি উন্নয়ন প্রকল্প যা ফরিদপুরের ভাঙ্গা জংশন থেকে পটুয়াখালীর কুয়াকাটার মধ্যে রেলসংযোগ স্থাপন করবে। এই রেলপথের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো বরিশাল বিভাগ রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে।
ভাঙ্গা-কুয়াকাটা লাইন | |||
---|---|---|---|
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |||
স্থিতি | নির্মাণাধীন | ||
মালিক | বাংলাদেশ রেলওয়ে | ||
অঞ্চল | বাংলাদেশ | ||
বিরতিস্থল | |||
স্টেশন | ১৯ (প্রস্তাবিত) | ||
ইতিহাস | |||
চালু | ২০৩০ | ||
কারিগরি তথ্য | |||
রেলপথের দৈর্ঘ্য | ২১৩.৩ কিলোমিটার | ||
বৈশিষ্ট্য |
| ||
|
ইতিহাস
সম্পাদনাপদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় বাংলাদেশের দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলকে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রথম ধাপে ঢাকার কমলাপুর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার বিস্তৃত একটি ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর ফরিদপুরের ভাঙ্গা জংশন রেলওয়ে স্টেশন থেকে পায়রা সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত আরেকটি রেলপথ তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়।[২] পরবর্তীতে রেলপথটিকে পায়রা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।[৩] সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী ২০২২ সাল থেকে ভাঙ্গা থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হবে, যা ২০৩০ সালে সমাপ্ত হওয়ার কথা রয়েছে।[৪]
রেলপথটি ২০২৫ সাল নাগাদ চালু হওয়ার কথা থাকলেও পরবর্তীতে তা বাড়িয়ে ২০৩০ সাল করা হয়। বিশদ নকশা প্রণয়নসহ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রস্তাব ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর পরিকল্পনামন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদন পায়। পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ২০১৮ সালের ১৯ জুন তারিখে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বর্তমানে মাঠপর্যায়ে সমীক্ষা চলছে। প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৪০ শতাংশ।[৫]
স্টেশনসমূহ
সম্পাদনাডিসেম্বর ২০২১ এ পাওয়া সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী এই পথে ১৯টি রেলস্টেশন তৈরি হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে সম্ভাব্য কয়েকটি হলো:
- ভাঙ্গা জংশন রেলওয়ে স্টেশন,
- বড়ইতলা রেলওয়ে স্টেশন[৬]
- টেকেরহাট রেলওয়ে স্টেশন[৭]
- মাদারীপুর রেলওয়ে স্টেশন[৭]
- কালকিনি রেলওয়ে স্টেশন[৬]
- গৌরনদী রেলওয়ে স্টেশন[৮]
- উজিরপুর রেলওয়ে স্টেশন
- বরিশাল বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন[৮]
- বরিশাল রেলওয়ে স্টেশন[৮]
- দপদপিয়া রেলওয়ে স্টেশন[৮]
- বাকেরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন[৮]
- বদরপুর রেলওয়ে স্টেশন[৬]
- পটুয়াখালী রেলওয়ে স্টেশন[৭]
- কুকুয়া রেলওয়ে স্টেশন[৬]
- আমতলী রেলওয়ে স্টেশন[৭]
- পায়রা সমুদ্রবন্দর রেলওয়ে স্টেশন[৭]
- পায়রা সমুদ্রবন্দর ইয়ার্ড রেলওয়ে স্টেশন
- লেমুপাড়া রেলওয়ে স্টেশন
- কুয়াকাটা রেলওয়ে স্টেশন[৭]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "ফরিদপুর-বরিশাল-পায়রা-কুয়াকাটা রেলপথ প্রকল্পের নকশা, দরপত্র দলিল সহ ডিপিপি প্রস্তুত সম্পন্ন"। দৈনিক ইনকিলাব। ১৭ আগস্ট ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০২২।
- ↑ "ঢাকা-বরিশাল রেল সংযোগ হবে ২০২৫ সালে"। www.jugantor.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-২৭।
- ↑ আলম, নাছিম উল। "ফরিদপুর-বরিশাল-পায়রা-কুয়াকাটা রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্প সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও সহ ডিপিপি ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রস্তুত হচ্ছে"। DailyInqilabOnline (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-২৭।
- ↑ "রেলের সঙ্গে সংযুক্ত হচ্ছে কুয়াকাটা"। banglanews24.com। ২০২১-০৮-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-২৭।
- ↑ "ঢাকা-বরিশাল রেল সংযোগ হবে ২০২৫ সালে"। Jugantor।
- ↑ ক খ গ ঘ অধিকারী, তুহিন শুভ্র (২০২১-১১-২২)। "ভাঙ্গা-পায়রা বন্দর রেললাইন: বিনিয়োগকারীর খোঁজে রেলওয়ে"। দ্য ডেইলি স্টার Bangla (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-২৭।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ নিউজ, শেয়ার বিজ। "ভাঙ্গা-পায়রা বন্দর রেলপথ নির্মাণে অস্বাভাবিক ব্যয় প্রস্তাব"।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "বরিশালে আসছে ট্রেন, থাকবে ১২টি স্টেশন । বরিশালটাইমস"। ২০১৯-০৮-৩০।