বিরামপুর রেলওয়ে স্টেশন
বিরামপুর রেলওয়ে স্টেশন বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার একটি রেলওয়ে স্টেশন। এর পূর্ববর্তী রেলস্টেশন হিলি রেলওয়ে স্টেশন এবং পরবর্তী রেলস্টেশন ফুলবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন। এটি বিরামপুরসহ তার পার্শ্ববর্তী নবাবগঞ্জ উপজেলা, ঘোড়াঘাট উপজেলা ও হাকিমপুর উপজেলার একমাত্র সক্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ রেলস্টেশন। এই রেলস্টেশনটি দিনাজপুরের দক্ষিণ অংশের সাথে বাংলাদেশের অন্যান্য জায়গার যোগাযোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ টার্মিনাল।
বিরামপুর রেলওয়ে স্টেশন | |
---|---|
বাংলাদেশ রেলওয়ের স্টেশন | |
![]() | |
অবস্থান | বিরামপুর![]() |
স্থানাঙ্ক | ২৫°২৩′৫২″ উত্তর ৮৮°৫৯′৩৯″ পূর্ব / ২৫.৩৯৭৮১° উত্তর ৮৮.৯৯৪১০° পূর্ব |
মালিকানাধীন | বাংলাদেশ রেলওয়ে |
লাইন | চিলাহাটি-পার্বতীপুর-সান্তাহার-দর্শনা লাইন |
প্ল্যাটফর্ম | ২ |
নির্মাণ | |
গঠনের ধরন | মানক |
অন্য তথ্য | |
অবস্থা | সক্রিয় |
ইতিহাস | |
চালু | ১৮৭৮ |
অবস্থান | |
![]() |
ইতিহাসসম্পাদনা
দিনাজপুর জেলার বিরামপুর চরকাই নামে রেল স্টেশন দেড়শত বছর পূর্বে ব্রিটিশ শাসনামলে নির্মিত। তখন এটির নাম ছিল চরকই রেলস্টেশন। পরবর্তীতে ২৩ জুন ১৯৯৪ সালে চরকাই নাম পরিবর্তন করে বিরামপুর রেল স্টেশন নামকরণ করা হয়। বিরামপুরসহ নবাবগঞ্জ, ঘোড়াঘাট ও হাকিমপুর উপজেলার প্রায় ৮ লাখ লোকের রেল ভ্রমণের একমাত্র অবলম্বন বিরামপুর রেল স্টেশন। প্রতিমাসে টিকেট বিক্রি হয় প্রায় ৯ লাখ টাকা, বছরে সরকারের আদায় হয় প্রায় সোয়া কোটি টাকা।
সম্প্রতি রেল কর্তৃপক্ষ ২ নং রেল লাইনের বিপরীতে ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫৩০ ফুট দীর্ঘ এবং ৬ ফুট প্রস্থের একটি প্লাটফর্ম নির্মাণ করা করেছে।[১]
বর্তমান অবস্থাসম্পাদনা
বিরামপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে দৈনিক ১০টি ট্রেন বাংলাদেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যায়। যাত্রীদের সেবাদানের জন্য বিরামপুর স্টেশনে এবং বিভিন্ন বিভাগে বহুসংখ্যক কর্মচারী কর্মরত। এরপরও নানা সমস্যায় জর্জরিত বিরামপুর রেলওয়ে স্টেশন। যাত্রী বেড়েছে বহুগুণ। দিন রাত সব সবসময় এখানে মানুষের যাতায়াত থাকে।
আন্তঃনগর ট্রেনসম্পাদনা
বিরামপুর স্টেশনে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ও কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ব্যতীত উত্তরবঙ্গগামী সকল ট্রেন বিরতি দেয়। ঢাকা হতে মোট ৩টি ট্রেন চলাচল করে:
- নীলসাগর এক্সপ্রেস (ঢাকা-চিলাহাটি)
- দ্রুতযান এক্সপ্রেস (ঢাকা-পঞ্চগড়)
- একতা এক্সপ্রেস (ঢাকা-পঞ্চগড়)
বিরামপুর রেলওয়ে স্টেশন হতে ঢাকা ব্যতীত অন্য শহরে যেসব ট্রেন চলাচল করে নিম্নে তা উল্লেখ করা হলো:
- বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস (রাজশাহী)
- রূপসা এক্সপ্রেস (খুলনা)
- সীমান্ত এক্সপ্রেস (খুলনা)
- রকেট এক্সপ্রেস (খুলনা)
- বরেন্দ্র এক্সপ্রেস (রাজশাহী)
- তিতুমীর এক্সপ্রেস (রাজশাহী)
- উত্তরা এক্সপ্রেস (রাজশাহী)
- লোকাল ট্রেন
- মালপরিবাহী ট্রেন
আরও দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ http://www.dailysangram.com/post/129669-%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%AB%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A3--%E0%A6%B9%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%93-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A6%BE--%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A7%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A4%7Cবিরামপুর ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৩ জুলাই ২০১৯ তারিখে রেলওয়ে প্রতিবেদন