হিলি রেলওয়ে স্টেশন
হিলি রেলওয়ে স্টেশন হচ্ছে বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজেলার হিলিতে অবস্থিত একটি রেলওয়ে স্টেশন। এটি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ডানদিকে অবস্থিত এবং সীমান্ত পেরোনোর আয়োজন সংবলিত স্থান। স্টেশনের অন্যদিকে ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি অবস্থিত।
হিলি রেলওয়ে স্টেশন | |
---|---|
বাংলাদেশ রেলওয়ের স্টেশন | |
অবস্থান | দিনাজপুর জেলা, রংপুর বাংলাদেশ |
স্থানাঙ্ক | ২৫°১৬′৩৮″ উত্তর ৮৯°০০′২৪″ পূর্ব / ২৫.২৭৭৩° উত্তর ৮৯.০০৬৭° পূর্ব |
লাইন | চিলাহাটি-পার্বতীপুর-সান্তাহার-দর্শনা লাইন |
নির্মাণ | |
গঠনের ধরন | আদর্শ |
অন্য তথ্য | |
অবস্থা | সক্রিয় |
ইতিহাস | |
চালু | ১৮৭৮ |
আগের নাম | উত্তরবঙ্গ রেলওয়ে |
অবস্থান | |
বাণিজ্য ও চোরাচালান
সম্পাদনাবাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে হিলি সীমান্ত দিয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আমদানী রপ্তানি ব্যবসা-বাণিজ্য হয়ে থাকে। এখানে তুলনামূলক হারে চোরাকারবারির সংখ্যা বেশি ছিলো এক সময় এখন বন্ধ হয়েছে চোরাচালান।
পরিষেবা
সম্পাদনাহিলি রেলওয়ে স্টেশন দিয়ে যেসব ট্রেন চলাচল করে নিম্নে তা উল্লেখ করা হলো:
দূর্ঘটনা
সম্পাদনা১৩ জানুয়ারি ১৯৯৫ সালে দিনাজপুরের হিলি রেলস্টেশনে একটি ট্রেন দূর্ঘটনা ঘটেছিল। স্থানীয়রা জানায়, ১৯৯৫ সালের ১৩ জানুয়ারী শুক্রবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে হিলি রেলস্টেশনের ১ নং লাইনে দাঁড়িয়েছিল গোয়ালন্দ-পার্বতীপুরগামী ৫১১ নং লোকাল ট্রেন। কর্তব্যরত স্টেশন মাষ্টার ও পয়েন্টম্যানের দায়িত্বহীনতার কারণে ১ নং লাইনে ঢুকে পড়ে সৈয়দপুর-খুলনাগামী আন্তঃনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস। ভুল সংকেতের কারণে মুহুর্তেই দু’টি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে লোকাল ট্রেনটির ইঞ্জিনসহ ৩ টি বগী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন, স্থানীয় রেলওয়ে একতা ক্লাবের সদস্যসহ স্থানীয়রা নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে। বেসরকারী ভাবে নিহতের সংখ্যা শতাধিক হলেও সরকারী ভাবে ঘোষণা করা হয় ২৭ জন। পরদিন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া হিলিতে দুর্ঘটনা পরিদর্শনে আসেন। হিলি রেলওয়ে একতা ক্লাবের উদ্যোগে দিনটিকে হিলি ট্রেন ট্রাজেডি দিবস হিসেবে পালন করা হয়। দিবসটিতে সাধারণত নিহতদের স্মরনে বুকে কালো ব্যাজ ধারণ, ট্রেন দূর্ঘটনা এড়াতে ট্রেনের গায়ে ব্যানার লাগানো, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।