দর্শনা-যশোর-খুলনা লাইন

(দর্শনা জংশন-খুলনা লাইন থেকে পুনর্নির্দেশিত)

দর্শনা-যশোর–খুলনা লাইন বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের একটি রেলপথ, যা বাংলাদেশ রেলওয়ের অধীনে রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালিত হয়।

দর্শনা জংশন–খুলনা রেলপথ
ট্রেন লাইন.jpg
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
স্থিতিসক্রিয়
মালিকবাংলাদেশ রেলওয়ে
অঞ্চল বাংলাদেশ
বিরতিস্থল
স্টেশন২৩ টি
পরিষেবা
ধরনবাংলাদেশের ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি গেজ রেলপথ
পরিচালকবাংলাদেশ রেলওয়ে
ইতিহাস
চালু
  • ১৯৫৪ (দর্শনা জংশন–যশোর জংশন)
  • ১৮৮৪ (যশোর জংশন–খুলনা)
কারিগরি তথ্য
ট্র্যাক গেজব্রডগেজ ১,৬৭৬ মিলিমিটার (৫ ফুট ৬ ইঞ্চি)
চালন গতি৮০ কিমি/ঘণ্টা
রুটের মানচিত্র

চিলাহাটি-পার্বতীপুর-
সান্তাহার-দর্শনা লাইন
থেকে
দর্শনা জংশন
Left arrow
দর্শনা
বাংলাদেশ
ভারত
সীমান্ত
গেদে থেকে শিয়ালদহ-রানাঘাট-গেদে লাইন
দর্শনা হল্ট
উথলী
আনসারবাড়িয়া
সাফদারপুর
কোটচাঁদপুর
সুন্দরপুর
মোবারকগঞ্জ
বারোবাজার
ভৈরব নদ
মেহেরুল্লানগর
যশোর ক্যান্টনমেন্ট
পেট্রাপোল
ভারত
বাংলাদেশ
সীমান্ত
বেনাপোল
নাভারন
গদখালী
কপোতাক্ষ নদ
ঝিকরগাছা
ধোপাখোলা
Left arrow
যশোর জংশন
রূপদিয়া
Right arrow ঢাকা-যশোর রেলপথ
সিঙ্গিয়া
চেঙ্গুটিয়া
নওয়াপাড়া
তালতলা হাট
বেজেরডাঙ্গা
ফুলতলা
Left arrow খুলনা-মোংলা বন্দর রেলপথ
আড়ংঘাটা
মোহম্মদনগর
রূপসা রেল সেতু
কাটাখালী
চুলকাটী
ভাগা
দিগরাজ
মংলা
শিরোমণি
দৌলতপুর
দৌলতপুর কলেজ
Right arrow খালিশপুর শিল্পাঞ্চল
খুলনা জংশন
খুলনা
সূত্র: বাংলাদেশ রেলওয়ে মানচিত্র

ইতিহাসসম্পাদনা

কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি সরাসরি যাতায়াত ব্যবস্থা চালু করার জন্য বৃটিশ সরকার ১৮৭৮ সালে চিলাহাটি-পার্বতীপুর-সান্তাহার-দর্শনা লাইন ও কলকাতা থেকে যশোর থেকে খুলনা পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ করে। কিন্তু ১৯৪৭ এ দেশ ভাগ হয়ে যাবার পর দুই দেশের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রাজশাহী রংপুরের সাথে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের খুলনার সরাসরি রেল যোগাযোগ ব্যাহত হয়। তাই খুব দ্রুত সময়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকার দ্রুত দর্শনা জংশন থেকে যশোর জংশন পর্যন্ত নতুন রেলপথ স্থাপন করে[১] ১৯৫১[২] সালের মধ্যে। তখন থেকেই খুলনার সাথে সারা বাংলাদেশের সরাসরি রেল যোগাযোগ চালু হয়।

শাখা রেলপথসম্পাদনা

যশোর জংশন–বেনাপোল রেলপথসম্পাদনা

যশোর জংশন থেকে বেনাপোলপেট্রাপোল হয়ে দমদম জংশন পর্যন্ত এই রেলপথ বিস্তৃত। বেনাপোল এক্সপ্রেস, বন্ধন এক্সপ্রেস, বেনাপোল কমিউটার, খুলনা কমিউটার ও মালবাহী ট্রেন এই পথ দিয়ে চলাচল করে।

খুলনা–মংলা রেলপথসম্পাদনা

মংলা বন্দরকে দেশের রেলপথের সাথে সংযুক্ত করতে এই রেলপথ তৈরি করা হচ্ছে।

খুলনা–বাগেরহাট রেলপথসম্পাদনা

বৃটিশ আমলে তৈরি এই রেলপথ ১৯৯৮ সালে সরকার বন্ধ ঘোষণা করে। পরে এই পথের উপর দিয়ে সড়কপথ তৈরি করা হয়।

স্টেশন তালিকাসম্পাদনা

দর্শনা জংশন–খুলনা রেলপথসম্পাদনা

যশোর–বেনাপোল শাখা রেলপথসম্পাদনা

খুলনা–মংলা শাখা রেলপথসম্পাদনা

খুলনা জংশন–বাগেরহাট শাখা রেলপথসম্পাদনা

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1. "প্রবল চাহিদার বিপরীতে রেল কেন জনবান্ধব হতে পারল না"যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-১৫ 
  2. "রেলওয়ে - বাংলাপিডিয়া"bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-১৬