বেনাপোল এক্সপ্রেস
বেনাপোল এক্সপ্রেস ঢাকা-বেনাপোল রুটে চলাচলকারী একমাত্র আন্তঃনগর ট্রেন পরিষেবা যা ২০১৯ সালের ১৭ই জুলাই চালু করা হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ে সংস্থার পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত একটি বিলাসবহুল ও অত্যাধুনিক ট্রেন এটি।
![]() | |
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |
---|---|
পরিষেবা ধরন | আন্তঃনগর ট্রেন |
প্রথম পরিষেবা | ১৭ জুলাই ২০১৯ |
বর্তমান পরিচালক | বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে বিভাগ |
যাত্রাপথ | |
শুরু | বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন |
শেষ | কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন |
যাত্রার গড় সময় | ৮ ঘণ্টা |
পরিষেবার হার | ৬ দিন (বুধবার বন্ধ) |
রেল নং | ৭৯৫/৭৯৬ |
যাত্রাপথের সেবা | |
শ্রেণী | এসি চেয়ার কার এবং চেয়ার কোচ |
আসন বিন্যাস | হ্যাঁ |
ঘুমানোর ব্যবস্থা | হ্যাঁ |
খাদ্য সুবিধা | হ্যাঁ |
ইতিহাস সম্পাদনা
১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধ শুরু হলে ঢাকা থেকে বেনাপোলগামী এবং খুলনা থেকে বেনাপোলগামী রেল পরিষেবা বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে রেলসড়ক ও স্টেশনসমূহ অবিনষ্ট থেকে যায়। ২০১৪ সালে যশোর থেকে বেনাপোল অবধি রেলসড়কের সংস্কার করা হয়। একই সঙ্গে স্টেশনগুলোর সার্বিক সংস্কার করা হয়। পরবর্তীকালে এই পথ দিয়ে খুলনা-কলকাতা রেলপরিষেবা চালু করা হয়। তবে ঢাকা-বেনাপোল রুটে কোন সরাসরি রেল পরিষেবা না থাকায় বাংলাদেশ সরকার এই রুটে একটি নতুন ট্রেন সেবা চালুর সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১৯ এর জুলাই মাসের ১৭ তারিখ বুধবার বেনাপোল স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে “বেনাপোল এক্সপ্রেস” যাত্রা শুরু করে। গণভবন থেকে ভিডিও সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন এ রেল পরিষেবার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।[১] প্রাথমিক ভাবে তিনটি নাম প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়। সেগুলোর হলো বেনাপোল এক্সপ্রেস, বন্দর এক্সপ্রেস ও ইছামতী এক্সপ্রেস। প্রধানমন্ত্রী বেনাপোল এক্সপ্রেস নামটি দেন।
শুরুতে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানিকৃত অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্রডগেজে নতুন ১২টি কোচ দিয়ে চলাচল শুরু করে ট্রেনটি। পরে তা পরিবর্তন করে ভারত থেকে আমদানিকৃত ব্রডগেজে পুরাতন ১০টি কোচ দেওয়া হলে বেনাপোলবাসী অত্যাধুনিক প্রযুক্তির নতুন কোচ পাওয়ার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে।
অবশেষে ২০২৩ সালের ১৮ই এপ্রিল ঈদুল ফিতরের উপহার হিসেবে চীন থেকে (পদ্মা রেল লিংক প্রকল্পের আওতায়) সদ্য আমদানিকৃত অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্রডগেজে ১২টি কোচ দিয়ে যাত্রা শুরু করে বেনাপোল এক্সপ্রেস।
সময়সূচী সম্পাদনা
নিম্নোক্ত সময়সূচীটি বাংলাদেশ রেলওয়ের ৫২তম সময়সূচী অনুযায়ী, যা ২০২০ সালের ১০ই জানুয়ারি হতে কার্যকর রয়েছে।
ট্রেন
নং |
প্রান্তিক
স্টেশন |
ছাড়ার
সময় |
গন্তব্য
স্টেশন |
পৌছার
সময় |
সাপ্তাহিক
ছুটি |
---|---|---|---|---|---|
৭৯৫ | বেনাপোল | ১২:৪৫ | কমলাপুর | ২০:৪০ | বুধবার |
৭৯৬ | কমলাপুর | ২৩:১৫ | বেনাপোল | ০৮:২০ |
পরিবর্তনশীল বিধায় বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে সর্বশেষ সময়সূচী জানা যেতে পারে।
যাত্রাবিরতির স্টেশনসমূহ সম্পাদনা
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রাপথ ১০টি রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতি করে। এসব স্টেশনে যাত্রীরা ওঠানামা করেন।
রোলিং স্টক সম্পাদনা
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি চীন থেকে (পদ্মা রেল লিংক প্রকল্পের আওতায়) সদ্য আমদানিকৃত ব্রডগেজ কোচগুলো দিয়ে পরিচালনা করা হয়। এই ট্রেনে মোট ১২টি কোচ রয়েছে। যার মধ্যে-
- শোভন চেয়ার ৬টি,
- এসি চেয়ার ২টি,
- এসি কেবিন ১টি,
- পাওয়ার কার ১টি,
- গার্ড ব্রেক ২ টি।
সুযোগ-সুবিধা সম্পাদনা
এই ট্রেনের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্রডগেজ কোচগুলো আমদানি করা হয়েছে চীন থেকে। এসব কোচগুলোতে রয়েছে অত্যাধুনিক বায়ো-টয়লেট, আরামদায়ক আসন, সিসি-ক্যামেরা, স্লাইডিং ডোর ইত্যাদি। এই ট্রেনে দুই পাশের দুই গার্ডব্রেক+খাবার গাড়ী সম্বলিত শোভন চেয়ার কোচে রয়েছে মাতৃ-দুগ্ধ কর্ণার।
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ "বিরতিহীন 'বেনাপোল এক্সপ্রেস' ট্রেনের যাত্রা শুরু আজ"। প্রথম আলো। ১৭ জুলাই ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৯।