ইসলামি ধর্মতত্ত্ব
ইসলামি ধর্মতত্ত্ব হলো ইসলাম ধর্মের বিশ্বাস ব্যবস্থাসমূহকে শেখা, গবেষণা ও চর্চা করার জন্য সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা। পৃথিবীর মোট মুসলিম জনসংখ্যার ৮৭-৮৮% হলো সুন্নি মুসলিম এবং ১১-১২% হলো শিয়া মুসলিম। মোট শিয়া জনসংখ্যার প্রায় ৯০% ইমামত মতাদর্শে বিশ্বাসী।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
প্রকরণসম্পাদনা
মুসলিম ধর্মতত্ত্বের প্রকরণগুলোর উৎস হলো কুরআন, হাদিস ও মুহাম্মদের জীবনের বিভিন্ন ঘটনা (সিরাতুর রাসুলুল্লাহ)।
কালামসম্পাদনা
কালাম, অর্থাৎ ইলমুল কালাম (বাচনের প্রজ্ঞা) হচ্ছে ধর্মতত্ত্বের মূলনীতিসমূহকে পারষ্পারিক যুক্তিতর্কের মাধ্যমে অনুসন্ধান করার ইসলামি দর্শন। আরবি ভাষায়, কালাম শব্দের অর্থ হলো "কথা"। কালামে পারদর্শী পন্ডিতকে বলা হয় মুতাকাল্লিম (মুসলিম ধর্মতত্ত্ববিদ, বহুবচনে মুতাকাল্লিমীন)।
পরকালবিদ্যাসম্পাদনা
পরকালবিদ্যা বলতে ইসলামের দৃষ্টিতে মৃত্যুর পর পুনরুত্থানের জ্ঞানকে বুঝায়। যাকে আরবিতে "الاخرة" (আল-আখিরাহ্) বলা হয়।
তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বসম্পাদনা
মুসলিম ধর্মতত্ত্বে তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব হলো ইসলাম ও অন্যান্য ইব্রাহিমীয় ধর্ম, যেমন- খ্রিস্টান ও ইহুদি ধর্মের মধ্যে পার্থক্য ও সাদৃশ্যের কথা, যেমন- কুরআন এবং নবীত্বের ঐতিহ্য নিয়ে আলোচনা ও ব্যাখ্যা।
দৃষ্টিভঙ্গিসম্পাদনা
মাযহাব (আরবি: مذهب maḏhab, "মতবাদ"; বহুবচন: مذاهب maḏāhib) হলো ইসলামি ফিকহ বা ব্যবহারশাস্ত্রের অন্তর্ভুক্ত এক একটি চর্চাকেন্দ্র। নবী মুহাম্মদ (স.)-এর ইসলাম প্রচারের পর আনুমানিক প্রায় দেড়শত বছরের মধ্যে অসংখ্য মাযহাবের উৎপত্তি হয়। সাহাবাদের মধ্যেও অনেকেই নিজস্ব মাযহাব প্রতিষ্ঠার জন্য কৃতিত্বের অধিকারী হয়ে আছেন। সময়ের সাথে সাথে সেগুলো বিবর্ধিত, বিভিন্ন স্থানে সম্প্রসারিত ও বিভাজিত হয়, কিছু আবার সীমিত চর্চার মাধ্যমে প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। অবশেষে সাম্প্রতিক শতকে মোট আটটি প্রধান মাযহাবকে বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় কর্তৃক সার্বিকভাবে গড় হিসাব অনুযায়ী পালনযোগ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। এগুলো হলো-
- হানাফি (সুন্নি)
- মালিকি(সুন্নি)
- শাফিয়ি (সুন্নি)
- হাম্বলি (সুন্নি)
- জাহিরি (সুন্নি)
- জাফরি (শিয়া; ইসমাইলিসহ)
- জায়েদি (শিয়া)
- ইবাদি (খারেজি)
সুন্নি দৃষ্টিতেসম্পাদনা
সুন্নি মুসলমানরা বিশ্বাস করেন যে, আধ্যাত্মিক বিশ্বাসের (ইসলামে যাকে "ঈমান" বলা হয়) ছয়টি দিক রয়েছে: আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, ফেরেশতাদের উপর বিশ্বাস, ঐশ্বরিক মাধ্যম হতে আগত গ্রন্থসমূহ (ইসলামে যাকে "আসমানী কিতাব" বলা হয়), যেমন- তাওরাত, যাবুর, ইনজিল ও কুরআনের প্রতি বিশ্বাস, নবী ও রাসুলদের উপর বিশ্বাস, "অন্তিম সময়" বা শেষ যুগের উপর বিশ্বাস (ইসলামে "কিয়ামত" বলা হয়) এবং পূর্বনির্ধারিত সময় বা পুনরুত্থানের উপর বিশ্বাস।
শিয়া দৃষ্টিতেসম্পাদনা
শিয়া মুসলমানরা বিশ্বাস করেন যে আধ্যাত্মিক বিশ্বাসের পাঁচটি দিক রয়েছে: ঐশ্বরিক একত্ব (ইসলামে যাকে "তাওহিদ" বলা হয়), ন্যায়বিচার, নবুওয়ত (নবীত্ব), ইমামত ও পরকালবিদ্যা।
মুতাজিলা দৃষ্টিতেসম্পাদনা
মুজাতিলা মতাবলম্বীরা মানুষ ও তাদের স্রষ্টার মধ্যকার সম্পর্কের মধ্যে অদৃষ্টবাদের উপর মানুষের স্বাধীন ইচ্ছাকে জোড় দেয় এবং ঈশ্বরের অসীম ক্ষমতার উপর ঈশ্বরের ন্যায়বিচারকে অর্পণ করে। মুতাজিলা মতাবলম্বীরাও কুরআনের প্রকৃত অর্থ নির্ধারণের জন্য যুক্তির ব্যবহারে বিশ্বাস করে। এটি এবং ইজতিহাদের মূলনীতি, তাদের গতিশীল ফিকহের প্রতি বিশ্বাসের দিকে পরিচালিত করেছিল।
আরও দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
ইসলাম বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |