বাতিন (আরবি: باطن) শব্দের আক্ষরিক অর্থ- "ভিতর", "অভ্যন্তরীণ", "লুকানো" ইত্যাদি। উদাহরণস্বরূপ, কুরআনের বাহ্যিক বা আপাত অর্থে, যহিরের বিপরীতে একটি লুকানো অর্থও আছে। সুফিরা বিশ্বাস করে যে প্রত্যেক ব্যক্তির আত্মার জগতে একটি বাতিন আছে। ইহা ব্যক্তির অভ্যন্তরীণ সত্ত্বা; যখন আধ্যাত্মিক পথপ্রদর্শকের আলো দ্বারা শুদ্ধ করা হয়, তখন তা আধ্যাত্মিকভাবে উন্নীত হয়।[][] এই ধারণা লুকানো আল্লাহর গুণাবলীর সাথে সংযুক্ত, যাকে দেখা যায় না কিন্তু জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিদ্যমান।

মুসলিম দলগুলো বিশ্বাস করে যে, বাতেনকে[] পুরোপুরি বোঝা যায় শুধুমাত্র এমন একজন ব্যক্তির দ্বারা, যার বিশেষ জ্ঞান আছে। শিয়া মুসলমানদের জন্য, এই ব্যক্তি হচ্ছে ঐ সময়ের ইমাম।

বৃহত্তর অর্থে, এটি সকল অস্তিত্বের অন্তর্নিহিত অর্থ বা বাস্তবতা, যহির রূপ জগৎ এবং আপাত অর্থ।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Daftary, Farhad (2000). Intellectual traditions in Islam New York: St. Martins Press. আইএসবিএন ১৮৬০৬৪৭৬০X. p. 90.
  2. Gleave, Robert (2011). Islam and literalism: Literal meaning and interpretation in Islamic legal theory. Edinburgh: Edinburgh University Press. আইএসবিএন ০৭৪৮৬৩১১৩৫. Page 64.
  3. Radtke, B। "BĀṬEN"। Encyclopedia Iranica। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১৪ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা