জিডিপি (মনোনীত) অনুযায়ী রাষ্ট্রসমূহের তালিকা
কারিগরি সমস্যার কারণে গ্রাফ এই মূহুর্তে অস্থায়ীভাবে অনুপলব্ধ রয়েছে। |
স্থূল অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (জিডিপি) হলো কোন নির্দিষ্ট অর্থবছরে একটি রাষ্ট্রের সমস্ত চূড়ান্ত পণ্য এবং পরিষেবার বাজার মূল্য।[১] দেশগুলিকে আর্থিক ও পরিসংখ্যান সংস্থা হতে প্রাপ্ত মনোনীত জিডিপির অনুমান অনুসারে ক্রমান্বয়িত করা হয়েছে, যা বাজার বা সরকারী আধিকারিক বিনিময় হারে গণনা করা হয়। মনোনীত জিডিপি বিভিন্ন দেশে জীবনযাত্রার ব্যয়কে বিবেচনা করে না এবং দেশের মুদ্রার বিনিময় হারের ওঠানামার উপর ভিত্তি করে ফলাফল এক বছর থেকে অন্য বছরে ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হতে পারে। এই ধরনের ওঠানামা কোন দেশের এক বছরের ক্রমকে পরের বছরে বদলে দিতে পারে, যদিও প্রায়শই এর ফলে দেশটির জনসংখ্যার জীবনযাত্রার মানে কোনও পার্থক্য দেখা যায় না বললেই চলে।[২]
>$২০ ট্রিলিয়ন $১০–$২০ ট্রিলিয়ন $৫–$১০ ট্রিলিয়ন $১–$৫ ট্রিলিয়ন | $৭৫০ বিলিয়ন–$১ ট্রিলিয়ন $৫০০–$৭৫০ বিলিয়ন $২৫০–$৫০০ বিলিয়ন $১০০–$২৫০ বিলিয়ন | $৫০–$১০০ বিলিয়ন $২৫–$৫০ বিলিয়ন $৫–$২৫ বিলিয়ন <$৫ বিলিয়ন |
বিভিন্ন দেশে জীবনযাত্রার ব্যয়ের ক্ষেত্রে পার্থক্য সামঞ্জস্য করতে প্রায়শই ক্রয়ক্ষমতা সমতার (পিপিপি) ভিত্তিতেও জাতীয় সম্পদের তুলনা করা হয়। পিপিপি মূলত বিনিময় হারের সমস্যাটি দূর করে তবে এর নিজস্ব ত্রুটি রয়েছে; এটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অর্থনৈতিক আয়ের মানকে প্রতিফলিত করে না, দেশগুলির মধ্যে পণ্য ও পরিষেবার মানের পার্থক্যকে বিবেচনা করে না এবং এটির জন্য মনোনীত জিডিপির চেয়েও বেশি অনুমানের প্রয়োজন।[৩] সামগ্রিকভাবে, পিপিপি মাথাপিছুর পরিসংখ্যান মনোনীত জিডিপির মাথাপিছু পরিসংখ্যানের তুলনায় কম ছড়ানো অবস্থায় রয়েছে।[৪]
যদিও সময়ের সাথে সাথে জাতীয় অর্থনীতির ক্রমে যথেষ্ট পরিবর্তন আসলেও যুক্তরাষ্ট্র স্নিগ্ধ যুগের (১৮৭০-এর দশক থেকে ১৯০০) পর থেকে শীর্ষ অবস্থান বজায় রেখেছে। এটি এমন এক সময়কাল যখন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির দ্রুত প্রসার ঘটেছে, এবং সামগ্রিক উৎপাদনের দিক দিয়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য এবং চিং রাজবংশকে ছাড়িয়ে গেছে।[৫][৬] নিয়ন্ত্রিত বেসরকারীকরণ এবং নিয়ন্ত্রণহীনতার মাধ্যমে চীনের বাজার ভিত্তিক অর্থনীতিতে রূপান্তরিত হওয়ার পর থেকে,[৭][৮] দেশটির ক্রম ১৯৭৮ সালে নবম স্থান থেকে ২০১৬ সালে দ্বিতীয় অবস্থানে উত্থিত হয়েছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়েছে এবং ১৯৮০ সালে বৈশ্বিক মনোনীত জিডিপির অংশীদার হার ২% থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৬ সালে ১৫% হয়েছে।[৬][৯] ১৯৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে অর্থনৈতিক উদারীকরণ বাস্তবায়নের পর থেকে অন্যদের মধ্যে ভারতও অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জন করেছে।[১০]
প্রথম তালিকায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক দ্বারা সংকলিত প্রাক্কলন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, দ্বিতীয় তালিকায় বিশ্ব ব্যাংকের উপাত্ত দেখানো হয়েছে এবং তৃতীয় তালিকায় জাতিসংঘের পরিসংখ্যান বিভাগ কর্তৃক সংকলিত তথ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। গত বছরের আইএমএফের সুনির্দিষ্ট ডেটা এবং চলতি বছরের জন্য অনুমানগুলি বছরে দুবার এপ্রিল এবং অক্টোবরে প্রকাশিত হয়। অ-সার্বভৌম সত্তা (বিশ্ব, মহাদেশ এবং কিছু অধীনস্থ ভূখণ্ড) এবং সীমিত আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি সমেত রাষ্ট্রসমূহ (যেমন কসোভো, ফিলিস্তিন এবং তাইওয়ান) সেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যার উৎসে এগুলো সম্পর্কিত উপাত্ত রয়েছে।
তালিকা
সম্পাদনাআন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল অনুযায়ী (২০২১ আনুমানিক)[৯] | বিশ্ব ব্যাংক অনুযায়ী (২০১৬)[১১] | জাতিসংঘ অনুযায়ী (২০১৯)[১২][১৩] | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
|
|
|
টীকা
সম্পাদনা- ↑ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের উপাত্তের ভিত্তিতে। আইএমএফ থেকে যেসকল রাষ্ট্রের উপাত্ত পাওয়া যায়নি সেগুলোর জন্য জাতিসংঘ থেকে প্রাপ্ত উপাত্ত ব্যবহার করা হয়েছে।
- ↑ ক খ গণনায় তাইওয়ান, হংকংয়ের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল এবং মাকাও ধরা হয়নি।
- ↑ আইএমএফ এর রিপোর্টে "Taiwan Province of China" নাম ব্যবহার করা হয়েছে।
- ↑ আইএমএফ এর রিপোর্টে "Hong Kong SAR" নাম ব্যবহার করা হয়েছে।
- ↑ ক খ গ গণনা থেকে ক্রিমিয়া প্রজাতন্ত্র এবং সেভাস্তোপোল বাদ দেয়া হয়েছে।
- ↑ আইএমএফ এর রিপোর্টে "Macao SAR" নাম ব্যবহার করা হয়েছে।
- ↑ আইএমএফ এবং বিশ্ব ব্যাংকের রিপোর্টে "West Bank and Gaza" নাম ব্যবহার করা হয়েছে।
- ↑ ক খ ট্রান্সনিস্ট্রিয়ার উপাত্ত বাদ দেয়া হয়েছে।
- ↑ প্রাক্তন স্পেনীয় সাহারা অন্তর্ভুক্ত
- ↑ শুধুমাত্র তানজানিয়ার মূল ভূখণ্ড গণনা করা হয়েছে
- ↑ সাইপ্রাস প্রজাতন্ত্রের সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এলাকার উপাত্ত।
- ↑ আবখাজিয়া ও দক্ষিণ ওসেটিয়া বাদ দেয়া হয়েছে
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;China-HM
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "What is GDP and why is it so important?"। Investopedia। IAC/InterActiveCorp। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০১৬।
- ↑ ইতো, টাকাতোশি; ইসার্ড, পিটার; সিম্যানস্কি, স্টিভেন (জানুয়ারি ১৯৯৯)। "Economic Growth and Real Exchange Rate: An Overview of the Balassa-Samuelson Hypothesis in Asia" (পিডিএফ)। দ্রুত উন্নয়নশীল দেশগুলিতে বিনিময় হারে পরিবর্তনসমূহ: তত্ত্ব, অনুশীলন এবং নীতি সম্পর্কিত সমস্যা। National Bureau of Economic Research। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০১৬।
- ↑ কলেন, টিম (২৮ মার্চ ২০১২)। "Purchasing Power Parity: Weights Matter"। Finance & Development। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০১৪।
- ↑ কলেন, টিম (২৮ মার্চ ২০১২)। "Gross Domestic Product: An Economy's All"। Finance & Development। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০১৪।
- ↑ ম্যাথিউস, ক্রিস (৫ অক্টোবর ২০১৪)। "5 Most Powerful Economic Empires of All Time"। ফরচুন। টাইম ইনকর্পোরেটেড। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০১৬।
- ↑ ক খ ক্রোয়েবার, আর্থার আর. (২০১৬)। China's Economy: What Everyone Needs to Know। নিউ ইয়র্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 9780190239053।
- ↑ কাউ, মাইকেল ইং-মাও (৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৯৩)। China in the Era of Deng Xiaoping: A Decade of Reform। Studies on Contemporary China। টেলর ও ফ্রান্সিস। আইএসবিএন 9781563242786। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০১৬।
- ↑ হু, জুলিয়ু; খান, মহসিন এস. (এপ্রিল ১৯৯৭)। "Why Is China Growing So Fast?" (পিডিএফ)। Economic Issues। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০১৬।
- ↑ ক খ "World Economic Outlook Database, April 2021"। IMF.org। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল। এপ্রিল ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ রড্রিক, ড্যানি; ও অন্যান্য (মার্চ ২০০৪)। "From "Hindu Growth" to Productivity Surge: The Mystery of the Indian Growth Transition" (পিডিএফ)। National Bureau of Economic Research। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০১৬।
- ↑ "GDP (current US$)"। World Development Indicators (ইংরেজি ভাষায়)। বিশ্ব ব্যাংক। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০১৭।
- ↑ "GDP and its breakdown at current prices in US Dollars" (ইংরেজি ভাষায়)। United Nations Statistics Division। ডিসেম্বর ২০১৬।
- ↑ "United Nations Statistics Division - National Accounts"। unstats.un.org (ইংরেজি ভাষায়)।
- ↑ "World Economic Outlook Database, April 2021"। World Economic Outlook। International Monetary Fund। এপ্রিল ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ "Report for Selected Countries and Subjects"। IMF (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-০২।
- ↑ "EU GDP (current US$)"। World Development Indicators (ইংরেজি ভাষায়)। World Bank। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০১৬।
- ↑ "All countries and regions/subregions (totals) for all years - sorted by region/subregion"। United Nations। সংগ্রহের তারিখ জানু ২৮, ২০১৯।
- ↑ "All countries for all years - sorted alphabetically"। United Nations (ইংরেজি ভাষায়)। United Nations। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৬।