মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ
প্রজাতন্ত্রী মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ (মার্শালীয়: Aolepān Aorōkin Ṃajeḷ ইংরেজি: Republic of the Marshall Islands) আয়্লেপ্যান্ আয়্রেকিন্ মায়্তেয়াল্, ইংরেজি Republic of the Marshall Islands রিপাব্লিক অভ দ্য মার্শাল আইল্যান্ডস) প্রশান্ত মহাসাগরের একাধিক দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। এটি ওশেনিয়া অঞ্চলে অবস্থিত।
প্রজাতন্ত্রী মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ | |
---|---|
নীতিবাক্য: "Jepilpilin ke ejukaan" "Accomplishment through joint effort" | |
জাতীয় সঙ্গীত: "Forever Marshall Islands" | |
![]() | |
![]() | |
রাজধানী | Majuro[১] |
বৃহত্তম নগরী | capital |
সরকারি ভাষা | |
নৃগোষ্ঠী (2006) |
|
জাতীয়তাসূচক বিশেষণ | Marshallese |
সরকার | Unitary parliamentary republic |
Christopher Loeak | |
আইন-সভা | Nitijela |
Independence | |
• Self-government | 1979 |
October 21, 1986 | |
আয়তন | |
• মোট | ১৮১ কিমি২ (৭০ মা২) (213th) |
• পানি/জল (%) | n/a (negligible) |
জনসংখ্যা | |
• 2009 আনুমানিক | 68,000[২] (205th) |
• 2003 আদমশুমারি | 56,429 |
• ঘনত্ব | ৩৪২.৫ /কিমি২ (৮৮৭.১ /বর্গমাইল) (28th) |
জিডিপি (পিপিপি) | 2001 আনুমানিক |
• মোট | $115 million (220th) |
• মাথাপিছু | $2,900a (195th) |
মুদ্রা | মার্কিন ডলার (USD) |
সময় অঞ্চল | ইউটিসি+12 (MHT) |
গাড়ী চালনার দিক | ডান |
কলিং কোড | +692 |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | MH |
ইন্টারনেট টিএলডি | .mh |
|
দেশটির জনসংখ্যা ৫৮,৪১৩ জন (২০১৮ বিশ্বব্যাংকের আদমশুমারি অনুযায়ী) যা ৫ দ্বীপ এবং ২৯টি প্রবাল প্রবালপ্রাচীর জুড়ে বিস্তৃত, যার মধ্যে ১,১৫৬টি পৃথক দ্বীপ রয়েছে। এর রাজধানী এবং বৃহত্তম শহর মাজুরো। এটির ভূখণ্ডের সবচেয়ে বড় অংশ অন্য যেকোনো সার্বভৌম রাষ্ট্রের জল নিয়ে গঠিত, যা প্রায় ৯৭.৮৭%। দ্বীপগুলির উত্তরে ওয়েক আইল্যান্ড, দক্ষিণ-পূর্বে কিরিবাতি, দক্ষিণে নাউরু এবং পশ্চিমে ফেডারেটেড স্টেটস অফ মাইক্রোনেশিয়ার সাথে সামুদ্রিক সীমানা রয়েছে। প্রায় ৫২.৩% মার্শাল দ্বীপবাসী (২০১১ সালের আদমশুমারিতে ২৭,৭৯৭) মাজুরোতে বাস করে। ২০১৬ সালে, ৭৩.৩% জনসংখ্যাকে "শহুরে" হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছিল। এছাড়াও জনসংখ্যার ঘনত্ব 760 জন প্রতি বর্গ মাইল। ২০২০ এ এর আনুমানিক জনসংখ্যা হল ৫৯,১৯০।
মাইক্রোনেশিয়ান বসতি স্থাপনকারীরা মার্শাল দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছেছিল ক্যানো ব্যবহার করে। আন্তঃদ্বীপে নেভিগেশন সম্ভব হয়েছে ঐতিহ্যগত স্টিক চার্ট ব্যবহার করে। তারা শেষ পর্যন্ত সেখানে বসতি স্থাপন করে। দ্বীপপুঞ্জের দ্বীপগুলি ইউরোপীয়রা ১৫২০-এর দশকে প্রথম অন্বেষণ করেছিল, ফার্দিনান্দ ম্যাগেলান, স্পেনের সেবায় একজন পর্তুগিজ অভিযাত্রী, জুয়ান সেবাস্তিয়ান এলকানো এবং মিগুয়েল ডি সাভেদ্রার সাথে শুরু হয়েছিল। স্প্যানিশ অভিযাত্রী আলোনসো ডি সালাজার ১৫২৬ সামাইলের আগস্টে একটি প্রবালপ্রাচীর দেখার কথা জানান। স্প্যানিশ এবং ইংরেজি জাহাজ দ্বারা অন্যান্য অভিযান অনুসরণ করা হয়। দ্বীপপুঞ্জের নাম জন মার্শাল এর নাম থেকে এসেছে, যিনি ১৭৮৮ সালে পরিদর্শন করেছিলেন। ঐতিহাসিকভাবে দ্বীপগুলি বাসিন্দারা "জোলেট জেন আনিজ" (ঈশ্বরের কাছ থেকে উপহার) নামে পরিচিত ছিল। স্পেন ১৫৯২ সালে দ্বীপগুলি নিজের দাবি করে, এবং ইউরোপীয় শক্তিগুলি ১৮৭৪ সালে দ্বীপগুলির সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দেয়। তারা ১৫২৮ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্প্যানিশ ইস্ট ইন্ডিজের অংশ ছিল। পরে, স্পেন ১৮৮৫ সালে জার্মান সাম্রাজ্যের কাছে কিছু দ্বীপ বিক্রি করে এবং তারা সেই বছর জার্মান নিউ গিনির অংশ হয়ে ওঠে, যা দ্বীপগুলিতে ব্যবসা করে, বিশেষ করে জালুইট কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে, জাপান সাম্রাজ্য মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ দখল করে, যেটি ১৯২০ সালে, লীগ অফ নেশনস অন্যান্য প্রাক্তন জার্মান অঞ্চলগুলির সাথে মিলিত হয়ে দক্ষিণ সমুদ্রের ম্যান্ডেট গঠন করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৪৪ সালে গিলবার্ট এবং মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ অভিযানে দ্বীপগুলির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল। ১৯৪৬ সালে বিকিনি অ্যাটলে পারমাণবিক পরীক্ষা শুরু করেছিল এবং ১৯৫৮ সালে শেষ হয়েছিল।
মার্কিন সরকার ১৯৬৫ সালে মাক্রোনেশিয়া কংগ্রেস গঠন করে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের স্ব-শাসন বৃদ্ধির পরিকল্পনা করে। ১৯৭৯ সালের মে মাসে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের ট্রাস্ট টেরিটরি মার্শাল দ্বীপপুঞ্জকে স্বাধীনতা প্রদান করে, যার সংবিধান এবং রাষ্ট্রপতি (আমাতা কাবুয়া) আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত ছিল। পূর্ণ সার্বভৌমত্ব বা স্ব-সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ফ্রি অ্যাসোসিয়েশনের একটি চুক্তিতে অর্জিত হয়েছিল। মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ ১৯৮৩ সাল থেকে প্যাসিফিক কমিউনিটি (SPC) এর সদস্য এবং ১৯৯১সাল থেকে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র। রাজনৈতিকভাবে, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ হল একটি সংসদীয় প্রজাতন্ত্র যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বিনামূল্যে অ্যাসোসিয়েশনে একটি নির্বাহী প্রেসিডেন্সি রয়েছে, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা, ভর্তুকি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংস্থা যেমন ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডাক পরিষেবাতে অ্যাক্সেস প্রদান করে। কিছু প্রাকৃতিক সম্পদ সহ, দ্বীপের সম্পদ একটি পরিষেবা অর্থনীতির উপর ভিত্তি করে, সেইসাথে মাছ ধরা এবং কৃষি; মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রাপ্ত সাহায্য দ্বীপের মোট দেশজ উৎপাদনের একটি বড় শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করে, কিন্তু কমপ্যাক্ট অফ ফ্রি অ্যাসোসিয়েশন থেকে বেশিরভাগ আর্থিক সহায়তা ২০২৩ সালে শেষ হয়। জুন ২০২২ পর্যন্ত, সাহায্যের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা চলমান ছিল। দেশটি তার মুদ্রা হিসেবে মার্কিন ডলার ব্যবহার করে। ২০১৮ সালে, এটি একটি নতুন ক্রিপ্টোকারেন্সি আইনি দরপত্র হিসাবে ব্যবহার করার পরিকল্পনার কথাও ঘোষণা করেছিল।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ প্রজাতন্ত্রের নাগরিকদের অধিকাংশই মার্শালীয় বংশোদ্ভূত, যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ফিলিপাইন এবং অন্যান্য প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ থেকে অল্প সংখ্যক অভিবাসী রয়েছে। দুটি সরকারী ভাষা হল মার্শালীয়, যা একটি মহাসাগরীয় ভাষা এবং ইংরেজি। দ্বীপের প্রায় সমগ্র জনসংখ্যাই কোনো না কোনো ধর্ম পালন করে: দেশের তিন-চতুর্থাংশ ইউনাইটেড চার্চ অফ ক্রাইস্ট- মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের মণ্ডলী (UCCCMI) বা ঈশ্বরের সমাবেশকে অনুসরণ করে।
ইতিহাসসম্পাদনা
২য় শতক থেকেই মার্শাল দ্বীপপুঞ্জে জনবসতির নির্দশন পাওয়া যায়। ১৯৪৬ সাল থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত আমেরিকা ৬৭বার পারমাণবিক পরীক্ষা চালায় এই দ্বীপে।[৩] ১৯৭৯ সালে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের সরকার গঠিত হয়।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত, এটি প্রায় হাওয়াই এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে স্থান নেয়। এই দ্বীপপুঞ্জটি মাইক্রোনেশিয়ার অংশ, যা হাজার হাজার ছোট দ্বীপসমূহের মধ্যে অবস্থিত।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের প্রথম বাসিন্দারা একটি আফ্রো-আসীয়া উত্স থেকে এসেছিলেন, যারা প্রায় ৩,০০০ বছর পূর্বে এখানে আগমন করেন। এদের উত্স পূর্ব আশিয়ার বিভিন্ন অংশ থেকে ছিল যেমন আরব, ভারত এবং চীন। এই বাসিন্দারা দ্বীপপুঞ্জে সংস্কৃতি এবং জীবনযাপনের বিভিন্ন সম্পদ এবং প্রথমতঃ মাছ ধরার চাষাবাদ শুরু করেন।
ধীরে ধীরে দ্বীপপুঞ্জে প্রবেশ করে দ্বিতীয় বাসিন্দারা পুলিনেশিয়ান যাত্রীদের এলাকায় থেকে এসে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জে বসবাস করতে লাগলেন। এদের মধ্যে প্রমুখ বৈদেশিক বাসিন্দা থাকলেও মূলত এটি একটি নৌকাবন্দর হিসাবে ব্যবহৃত হতো। একটি মুসলমান পরিবার এখানে বসবাস করতে লাগলেন এবং আগের বাসিন্দারাদের সাথে একত্র সংগঠিত হতে লাগলেন।
একটি গুরুত্বপূর্ণ বিন্দু হ'ল এই দ্বীপপুঞ্জের যুদ্ধ ইতিহাস। মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ সদ্য বিশ্বের একটি অতি ছোট দেশ হলেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জাপান আগ্রহী হতে লাগল এই দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে এবং সেখানে তাদের সৈন্য একটি মেজাজ স্থাপন করে রাখতে পারে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ সামরিক পরিকল্পনার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও এই দ্বীপপুঞ্জের ইতিহাসে আরও অনেক ঘটনা ঘটেছে। এখানে বসবাস করা জনগণ স্বতন্ত্র হওয়ার পর তাদের একটি বিদ্রোহ ছিল। ১৯৫৯ সালে এই বিদ্রোহ সম্পন্ন হয় এবং মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ ফিডারেশন নামে একটি স্বাধীন দেশে পরিণত হয়।
ফিডারেশন গঠনের পর মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ জনগণ তাদের নিজস্ব রাজনীতি ও অর্থনীতি উন্নয়ন করার চেষ্টা করে। একটি স্বাধীন দেশ হিসাবে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ বিশ্ব রাজনৈতিক মঞ্চে অংশগ্রহণ করে এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাদের প্রতিনিধিত্ব করে।
আধুনিক মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ একটি অভিনব সংস্কৃতি ও পরিবেশ বিশ্লেষণ করার জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ সরবরাহ করে।
রাজনীতিসম্পাদনা
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের রাজনীতি একটি মহত্বপূর্ণ বিষয়। এই দ্বীপপুঞ্জ একটি ফিডারেশন রাজ্য, যা নৌকা এবং এয়ারলাইন সংযোগে বিভিন্ন দ্বীপ থেকে গঠিত। মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ সরকারের প্রধান কার্যালয় মাজোরো, যা মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের রাজধানী।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের সংবিধান একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান, যা দক্ষিণ আফ্রিকার সংবিধান থেকে ভিন্ন। এই দ্বীপপুঞ্জে প্রতি চার বছরে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ সরকার একটি বিভিন্ন কমিটি থাকে, যা মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের সমস্ত কর্মসূচি পরিচালনা করে। মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের রাজনীতি একটি স্বার্থপর দৃষ্টিভঙ্গি।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের রাজনীতি বেশ আলাদাভাবে পরিচালিত হয়। এখানে প্রধানত দুটি রাজনৈতিক দল রয়েছে - মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ দল এবং মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের উত্তর দল। দক্ষিণ দল সাধারণত কনসারভেটিভ রাজনীতি অনুসরণ করে, যেমন বিশ্ব বাজার অর্থনীতি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক। উত্তর দল সাধারণতঃ গবেষণাধর্মী বা জড়বহনশীল রাজনীতি অনুসরণ করে।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ একটি অনেক ছোট দেশ হওয়া সত্ত্বেও, এর রাজনীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসাবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত। এই দেশের মূল আয় উৎপাদন সম্পন্ন হয় কোকোনাট এবং সামুদ্রিক খাদ্য সম্পদ। এছাড়াও প্রযুক্তি এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই দেশে কিছু উন্নয়ন হয়েছে।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ একটি সংজ্ঞায়িত দুর্নীতি মুক্ত দেশ হিসাবে পরিচিত। এই দেশের সরকার প্রথমবারের মতো পর্যবেক্ষণ বিভাগ তৈরি করেছে যা অন্যান্য দেশের সরকারের মতো হয় না। এই বিভাগটি এই দেশের রাজনৈতিক এবং আর্থিক কার্যক্রমের পরিচালনায় সহায়তা করে। এছাড়াও এই দেশে প্রতি বছর একটি লোক সভা অনুষ্ঠিত হয় যা এই দেশের নাগরিকদের সরকারের নীতিমালা নিয়ে বিতর্ক করতে দেয়।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের পরিবর্তনশীল প্রধানমন্ত্রী হাসেল ক্যাকবিল এর নেতৃত্বে দেশটি গত কয়েক বছরে অনেক উন্নয়ন করেছে। এই দেশে নতুন প্রযুক্তি এবং বিনিয়োগ সম্প্রসারণ হচ্ছে এবং বিভিন্ন সুযোগ প্রদান করা হচ্ছে যা দেশটির আর্থিক উন্নয়ন বিন্যাস প্রভাবিত করছে।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের রাজনীতি খুবই উন্নয়নশীল এবং প্রগতিশীল। দেশটি একটি গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র যেখানে প্রতিষ্ঠান সংসদ নামে একটি লোক সভা আছে যা দেশের পরিবর্তনশীল নীতিমালা নিয়ে বিতর্ক করে। দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং পরিচালক একজন নির্বাচিত ব্যক্তি হিসাবে কাজ করে।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের বিদেশ নীতি বেশ বটে এবং দেশটি সকল দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরিতে সক্ষম। দেশটি জাপান, আমেরিকা এবং চীন সম্পর্কেও প্রস্তুত এবং দেশটি একটি দক্ষিণ প্যাসিফিক ফোরামের সদস্য হিসাবে কাজ করে যা সুদৃষ্টিতে দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহসম্পাদনা
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ একটি একক প্রশাসনিক অঞ্চল যা পেয়ে গিয়েছে স্বাধীনতা প্রাপ্তির সালে বর্ষ ১৯৮৬ সালে। দেশটি পাঁচটি প্রশাসনিক অঞ্চলে বিভক্ত হয়ে থাকে এবং প্রতিটি অঞ্চল একটি সার্বজনীন প্রশাসনিক কেন্দ্রকে সম্পর্কিত করে।
প্রধান শহর এবং সার্বজনীন প্রশাসনিক কেন্দ্র মাজুরো হয় এবং এটি প্রশাসনিক এবং আর্থিক কার্যক্রমের জন্য দেশের মূল কেন্দ্র হিসাবে কাজ করে। অন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক অঞ্চলগুলি ছজনপল্ল এবং আরন হয়। সমস্ত প্রশাসনিক অঞ্চলের একটি ব্যবস্থাপনা কমিটি রয়েছে যা প্রতিটি অঞ্চলের প্রতিনিধি থেকে গঠিত হয়।
এছাড়াও, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জে পাঁচটি প্রশাসনিক শ্রেণী রয়েছে। প্রতিটি প্রশাসনিক অঞ্চলে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয় এবং সেই অঞ্চলের লোকেরা তাদের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে প্রশাসনিক সমস্যার সমাধান এবং উন্নয়ন এর কথা বলতে পারেন।
এই প্রশাসনিক অঞ্চলগুলির পরিচালনা এবং উন্নয়নের জন্য মূলত সরকারি মূল্যায়ন সংস্থা এবং অঞ্চল বিকাশ পরিষদ দায়িত্বশীল। এই প্রতিষ্ঠানগুলি নির্দিষ্ট প্রকল্প এবং কর্মসূচি পরিচালনা করে এবং প্রতিটি অঞ্চলের জন্য বাজেট পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে।
এই প্রশাসনিক অঞ্চলগুলির মধ্যে অতিরিক্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশাসনিক অঞ্চল হল ক্যাপিটল হিল। এটি রাজধানী মাজুরোর সাথে সম্পর্কিত একটি অঞ্চল এবং এটি সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসাবে কাজ করে।
এই প্রশাসনিক অঞ্চলের পরিচালনা এবং উন্নয়নের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি বিভিন্ন প্রকল্প এবং কর্মসূচি পরিচালনা করে। উদাহরণস্বরূপ, স্বাস্থ্য ও জনস্বাস্থ্য বিভাগ স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্র সমূহ পরিচালনা করে এবং শিক্ষা বিভাগ স্থানীয় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহ পরিচালনা করে।
এছাড়াও, প্রশাসনিক অঞ্চলগুলির জন্য বিভিন্ন স্থানীয় স্তরের নির্বাচিত কর্মকর্তারা আছেন। এই কর্মকর্তারা অঞ্চল বিকাশ পরিষদের সদস্য হিসাবে কাজ করে এবং তাদের মাধ্যমে অঞ্চলের উন্নয়ন এবং প্রশাসনিক সমস্যার সমাধান করা হয়।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের এই প্রশাসনিক অঞ্চলগুলির পরিচালনা এবং উন্নয়ন সেরা করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের প্রশাসনিক অঞ্চলগুলি মূলত প্রশাসনিক ও উন্নয়নের উদ্দেশ্যে গঠিত হয়েছে। এই অঞ্চলগুলি একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে উন্নয়ন ও পরিচালনার জন্য একটি শক্তিশালী স্থান হিসাবে বিবেচিত হয়। মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের প্রশাসনিক অঞ্চলগুলি স্থানীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণ এবং নির্দেশনার অধীনে কাজ করে।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জে এটি স্থানীয় প্রশাসন এবং বিকাশ পরিষদের মাধ্যমে প্রশাসিত হয়। এই পরিষদগুলি একটি নির্দিষ্ট প্রশাসনিক অঞ্চলের জন্য কাজ করে এবং সেখানে আবশ্যক সেবা ও উন্নয়ন প্রদান করে। প্রশাসনিক অঞ্চলগুলি মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের নতুন উন্নয়ন পরিকল্পনার উন্নয়নে একটি মুখ্য ভূমিকা রাখে।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের প্রশাসনিক অঞ্চলগুলির একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো একটি স্থানীয় নেতৃত্ব তৈরি করা। এই অঞ্চলগুলির নেতৃত্ব দ্বারা প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডগুলি সঠিকভাবে পরিচালিত হয় এবং উন্নয়ন সংক্রান্ত পরিকল্পনাগুলি ঠিকভাবে পরিচালিত হয়।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের প্রশাসনিক অঞ্চলগুলির মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হলো মাজুরো প্রশাসনিক অঞ্চল। এই অঞ্চলটি মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের উত্তর পূর্ব অংশে অবস্থিত এবং একটি প্রধান শহর ইনেমার দ্বারা নেতৃত্বিত হয়।
ভূগোলসম্পাদনা
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ একটি দ্বীপপুঞ্জ যা উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত। এটি অস্ট্রেলিয়ার উত্তর পূর্বে একটি ছোট রাষ্ট্র যা দশগুণ বেশি দ্বীপ ও স্বতন্ত্র এলাকা থেকে গঠিত। মার্শাল দ্বীপপুঞ্জটি দুটি গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়ে থাকে, প্রথমতঃ আটটি বৃহদ দ্বীপগুলি এবং দ্বিতীয়তঃ 21টি ছোট দ্বীপগুলি। দ্বীপপুঞ্জের মোট জমির ক্ষেত্রফল শুধুমাত্র ৭০ বর্গমাইল।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের জলবহুল এবং মাটি খুব নরম। বহুমুখী জলবহুল সীমানা এখানে সুস্থিত রয়েছে, যা একটি সুন্দর নীল রঙের অবস্থান উপস্থাপন করে। দ্বীপপুঞ্জের সর্বোচ্চ শীর্ষবিন্দু মডাল্লাপ দ্বীপ।
দীর্ঘতর আলোচনা করা যাক, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ ভারতীয় মহাসাগরের একটি স্থানীয় অঞ্চল, যা কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করেছে। এই দ্বীপপুঞ্জের জলবহুল বিশাল সাগর ও উঁচু স্থানের দৈঘ্য থেকে উপস্থিত হওয়ার কারণে, এখানে উষ্ণতা ও আবহাওয়া একটি অদ্যতন সামঞ্জস্য সম্পন্ন হয়। মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ একটি সুন্দর দৃশ্য সৃষ্টি করে এবং অস্থিতিশীল জীব জন্তু এখানে উন্নয়ন করে ফেলেছে।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জে অনেক ছোট দ্বীপ আছে যা একটি আকৃতিশীল দ্বীপ বিশিষ্ট এবং অন্যান্য ছোট দ্বীপগুলি সমুদ্রপার উত্তর পূর্বে স্থান করে। প্রধান দ্বীপগুলি মডাল্লাপ, জাবোত এবং কোসরে রয়েছে। এছাড়াও এখানে অনেক ছোট দ্বীপ আছে যেমন আরোন, বিকার, এনিওক।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ পূর্ব ও পশ্চিম দিকে অবিশ্বাস্য সুন্দর সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয় দেখা যায়। এছাড়াও এখানে জলপ্রপাত এবং জলস্তরের বেশিরভাগ অংশ চমৎকার স্বাভাবিক সৌন্দর্য্য দেখায়। এই দ্বীপপুঞ্জে ছয়টি স্থায়ী জলস্তর রয়েছে, যা কাছাকাছি আছে এবং এদের মধ্যে মহীয় জীববিজ্ঞানীদের কাছে অতিরিক্ত আকর্ষণীয়।
এছাড়াও মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ একটি সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ প্রদর্শন করে এবং এর সম্পূর্ণ দ্বীপপুঞ্জ বন্যা মাঝে প্রবাহিত হয়। এছাড়াও, দ্বীপপুঞ্জের নামকরণ সম্পর্কে অনেক গল্প রয়েছে, একটি লেখা বলে যে এটি ব্যক্তিগতভাবে নামকরণ করা হয়। অন্যের কথা হল যে এটি ভারতীয় নাবিক মার্শাল এর নামে নামকরণ করা হয়েছে।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ একটি কম বিকাশযোগ্য দেশ যা মাইক্রোনেশিয়ার একটি বিশাল দ্বীপপুঞ্জের অংশ। এই দ্বীপপুঞ্জ বিশাল জলস্থল ও সমুদ্রতট দ্বারা পরিচিত। মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের সম্পূর্ণ পরিবেশ তাপমাত্রা ও জলস্তরের উপর নির্ভর করে এবং এটি তীব্র সামুদ্রিক জলবায়ু ও উচ্চ সমুদ্র প্রবাহ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের জলস্তরের উপর নির্ভর করে একটি বিশাল জীববৈচিত্র্য রয়েছে। দ্বীপপুঞ্জে ক্রয়শস টাইগার শার্ক এবং বিভিন্ন ধরনের উচ্চ সমুদ্র জীবজগতের অসংখ্য প্রজাতি রয়েছে। এছাড়াও সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির সমুদ্রী পাখি এবং স্থায়ী জলস্তরের পানিতে বেসুম একটি প্রজাতির ঘরগুলি পাওয়া যায়।
অর্থনীতিসম্পাদনা
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ একটি ছোট দ্বীপপুঞ্জ এবং এটি প্রায় ৫০ হাজার মানুষের বাসস্থান। এই দ্বীপপুঞ্জটি মহাসাগরে অবস্থিত এবং এর অর্থনীতি ভারত মহাসাগরের অন্যান্য দ্বীপপুঞ্জের সাথে তুলনায় অনেক নিম্ন। সম্প্রতি, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের বৃদ্ধি চলছে এবং এখন একটি প্রগতিশীল দেশ হিসাবে উল্লেখ করা হয়।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের অর্থনীতি চলাচলের মূল উৎস হল সরবরাহ ব্যবস্থা এবং পরিবহন। দ্বীপপুঞ্জটি খনিজ সম্পদ বা নকশাকারী উপাদান সম্পন্ন নয়, তবে এখানে মাছ ধরা হয় এবং সমুদ্রসৈকত খেতাবের মাধ্যমে অধিকতর পন্য আমদানি করা হয়।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের মুদ্রা ইউএস ডলার এবং এখানে কোনো নিজস্ব মুদ্রা নেই। এছাড়াও, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ একটি স্বাধীন দেশ হওয়ার সাথে সাথে এটি বাণিজ্য সম্প্রসারণ করেছে এবং প্রযুক্তি এবং আবহাওয়া তথ্য সেবা সামগ্রী আমদানি এবং সংস্থাগুলির স্থানীয় ব্যবসায়ের উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের প্রধান আয় উৎস হল মুদ্রাস্ফীতি এবং আমদানি। সরবরাহ চেয়ারা মানুষ এবং স্থানীয় ব্যবসা মূল্য যোগ করে মুদ্রাস্ফীতি সৃষ্টি করে এবং দ্বীপপুঞ্জের অর্থনীতির প্রগতি করে। সাধারণত, মুদ্রাস্ফীতির উন্নয়ন একটি সমস্যার কারণ হতে পারে কারণ এখানে ব্যবসা ও সার্ভিস খাতে বেশি নগদ অর্থের অভাব রয়েছে।
দ্বীপপুঞ্জের অর্থনীতি এখন পর্যন্ত বেশ প্রাকৃতিক ছিল। এখন সংস্থা ও প্রযুক্তির উন্নয়ন সাথে প্রগতি হচ্ছে। পরিসংখ্যান উদ্যোগ, সার্ভিস সেক্টরে আবদ্ধতা এবং বাণিজ্য প্রসারের পরিবর্তে প্রধান বাণিজ্য খাতগুলি হল কপড়া এবং বস্ত্র উৎপাদন এবং ককোনাট ফল সম্পাদন।
কপড়া এবং বস্ত্র উৎপাদন দ্বীপপুঞ্জের প্রধান বাণিজ্য খাতগুলির মধ্যে একটি। দ্বীপপুঞ্জে কপড়া এবং বস্ত্র তৈরির জন্য স্থানীয় কাঠমুড়া, মসৃণ ও বাঁশ পাওয়া যায়। দ্বীপপুঞ্জের কপড়া এবং বস্ত্র মার্কেট বিশ্বস্ত এবং প্রতিস্থাপনশীল। এটি কারখানা সম্পদগুলির মাধ্যমে প্রসারিত হয় এবং দ্বীপপুঞ্জের উপকরণ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।
জনসংখ্যাসম্পাদনা
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের জনসংখ্যা খুব কম এবং এর প্রধান অংশ মার্শালিজ জাতির মানুষগুলির। জনসংখ্যার শতকরা প্রায় ৮০% মার্শালিজ জাতির মানুষের। এই জাতি মুখস্থ হল মার্শাল দ্বীপপুঞ্জে এবং তাদের ক্ষেত্রে একটি সংস্কৃতি এবং লাইফস্টাইল আছে।
জনসংখ্যা প্রায় ৬৫,০০০ মানুষ। দ্বীপপুঞ্জে অবস্থিত একটি ছোট দেশ হওয়ায় জনসংখ্যা প্রতি বর্গকিলোমিটারে সবচেয়ে বেশি হওয়ার কারণ নয়। জনসংখ্যার বৃদ্ধি এই দ্বীপপুঞ্জে খুব ধীর এবং সীমিত হওয়ার কারণে দেশে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কিছু আইন আছে।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের জনসংখ্যার প্রায় দুই তিনটি ভাগ মার্শালিজ জাতির মানুষ, বাংলা বলতে এই জনসংখ্যার বড় অংশ মার্শালিজ জাতি বলা হয়।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের জনসংখ্যা প্রায় সবচেয়ে বেশি অনুষ্ঠানিকভাবে গণনা হয়েছে ২০১৯ সালে। গণনার তথ্য অনুসারে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের জনসংখ্যা ৬৭,১৬৬ জন। দ্বীপপুঞ্জের মোট আয়তন ১১.৭ বর্গমাইল বা ৩০.২ বর্গকিলোমিটার। একইভাবে, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের জনসংখ্যা প্রতি বর্গকিলোমিটারে ২,২৩৫ জন।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের জনসংখ্যা মিশ্রণ হওয়ার কারণে এর ভাষা, সংস্কৃতি এবং ধর্ম বেশ পুরাতন এবং ভিন্নভাবে উন্নয়ন পেয়েছে। মুখ্যতঃ এই দ্বীপপুঞ্জে মার্শালিজ জাতির লোকজন আছে, যাদের ভাষা মার্শালিজ। তবে, ইংরেজি দ্বীপপুঞ্জের দরজা খুলে রাখা হয়ে আছে এবং এটি সাধারণত শিক্ষার ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের জনসংখ্যা বেশ কম এবং এর বৃদ্ধি হার খুব নিম্ন হয়েছে। সাধারণত, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের জনসংখ্যা মাত্র ৩% হতে পারে এবং এটি সাধারণত বৃদ্ধিহীন দেশগুলোর মধ্যে অন্তত হিসাবে পরিমাণ পরিবর্তন ঘটায় না।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের জনসংখ্যা সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন কারণ উল্লেখ করেছেন, যেমন পরিবেশ দুষ্টু হওয়া, স্বাস্থ্য সেবার অভাব, বেকারত্ব এবং বেকারত্ব এর জন্য অন্যতম। এছাড়াও, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জে প্রস্তুতি পান এবং প্রতিনিধিত্বের অভাব একটি সমস্যা হওয়া থাকতে পারে।
এছাড়াও, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ এবং উচ্চমান মুখ্যতঃ পানি সাধারণত প্রয়োজন।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য একটি কৃত্রিম মাধ্যম হল বাস্তবায়ন কাজের উদ্দেশ্যে বিদেশী কর্মী নিয়োগ করা। মার্শাল দ্বীপপুঞ্জে সম্পদ উৎপাদনের একটি প্রধান উৎস হল মহাসাগর কাজের মাধ্যমে চিংড়ি ও মাছ ধনী মাছ কৃষি এবং নিরাপদ ও সম্পদ বিনিময়ে এই মাছের রপ্তানি করা। এছাড়াও, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জে পরিবেশের সংরক্ষণ এবং প্রকৃতির রক্ষার ক্ষেত্রে সক্ষম একটি উন্নয়ন করা হয়েছে।
সংস্কৃতিসম্পাদনা
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের সংস্কৃতি একটি আদ্যমধ্যযুগীন পাসিফিক সংস্কৃতি যা কখনও পুরোপুরি মেলানো না গেলেও এখনও সম্পূর্ণরূপে সংরক্ষিত আছে। এটি কারিকামিক মুখোমুখি এবং পানির প্রকৃতি দ্বারা আবৃত হয়। এটি দ্বীপপুঞ্জের বৌদ্ধিক ও শারীরিক জীবনের একটি সম্পূর্ণ প্রতিবেদন।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের জনগণ একটি সাম্প্রতিক সংস্কৃতি যার মূল্যবান প্রভাব বজায় রাখা হয় পানি ও জলস্রোতের উপর। তাদের সংস্কৃতি উপভোগ করতে পানির দ্বারা সুস্থ এবং সমৃদ্ধ হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ, যেমন একটি সমুদ্রতট বা সমুদ্র তরঙ্গ, ব্যবহার করে তারা ধান চাষ করে এবং শস্য গাছের মধ্যে তাদের প্রধান খাদ্যদ্রব্য কৃষি করেন।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের সংস্কৃতি বিস্তারিত এবং ভিন্নতা দর্শকদের দৃষ্টিতে আকর্ষণীয়। এই দ্বীপপুঞ্জের সংস্কৃতি কেবল বহুল অভিজ্ঞ মানুষদের দ্বারা বুঝা সম্ভব নয়।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কৃতি একক জাতির কাহানি ও স্থানীয় কারণে মানুষ একে অপরের প্রতি সম্মান ও ভালবাসার স্বভাব সম্পর্কে শিখে। এছাড়াও, এই সংস্কৃতিতে গান, নৃত্য এবং স্থানীয় পরিবেশের একটি নির্দিষ্ট ভাব রয়েছে।
এই দ্বীপপুঞ্জের স্থানীয় খাদ্যপণ্য মাছ, শুকনো মাছ, কোকোনাট এবং পানির সাথে মিশ্রিত বিভিন্ন খাবার থাকে। পানীয় পরিবহনের উপযোগী কচ্ছপ, বাদামী এবং নারিকেল জল ও তাপজলসহ দ্বীপপুঞ্জে খুব গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসাবে বিবেচিত হয়।
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ The largest cities in Marshall Islands, ranked by population. population.mongabay.com. Retrieved on May 25, 2012.
- ↑ Department of Economic and Social Affairs Population Division (২০০৯)। "World Population Prospects, Table A.1" (PDF)। 2008 revision। United Nations। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১২, ২০০৯।
- ↑ "Nuclear Weapons Test Map", Public Broadcasting Service