জিবুতি

উত্তর-পূর্ব সমুদ্রতীরবর্তী আফ্রিকার দেশ

জিবুতি আনুষ্ঠানিকভাবে 'জিবুতি প্রজাতন্ত্র', (আরবি: جمهورية جيبوتي | ফরাসি: République de Djibouti, সোমালি: Jamhuuriyadda Jabuuti, আফার: Gabuutih Ummuuno) আফ্রিকার শৃঙ্গর একটি রাষ্ট্র। এটি সামরিক কৌশলগত একটি অবস্থানে বাব এল মান্দেব প্রণালীর তীরে, লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরের সংযোগস্থলে অবস্থিত। দেশটির রাজধানী ও বৃহত্তম শহরের নামও জিবুতি। ভারত মহাসাগরভূমধ্যসাগরকে সংযোগকারী বাণিজ্যপথগুলির সংযোগস্থলে এবং আফ্রিকামধ্যপ্রাচ্যের একটি সংযোগস্থলে অবস্থিত এই দেশটি বহুকাল যাবৎ বিভিন্ন সংস্কৃতি ও বাণিজ্যের মিলনস্থল।

জিবুতি প্রজাতন্ত্র

জিবুতির জাতীয় পতাকা
পতাকা
জিবুতির Coat of arms
Coat of arms
জাতীয় সঙ্গীত: Djibouti
জিবুতির অবস্থান
রাজধানী
ও বৃহত্তম নগরী বা বসতি
জিবুতি
সরকারি ভাষাআরবি এবং ফরাসি[১]
জাতীয়তাসূচক বিশেষণজিবুতিয়ান
সরকারসংসদীয় প্রজাতন্ত্র
ইসমাইল ওমর গুয়েল্লেহ
দিলিটা মোহাম্মদ দিলিটা
স্বাধীনতা 
• তারিখ
জুন ২৭ ১৯৭৭
• পানি (%)
০.০৯ (২০ বর্গকিমি / ৭.৭ বর্গমাইল )
জনসংখ্যা
• জুলাই ২০০৯ আনুমানিক
৮৬৪,০০০[২] (১৬০তম)
• ২০০০ আদমশুমারি
৪৬০,৭০০
জিডিপি (পিপিপি)২০০৯ আনুমানিক
• মোট
$২.০০৬ বিলিয়ন[৩] (১৬৪তম)
• মাথাপিছু
$২,৪৯৫.৫২[৩] (১৪১তম)
মানব উন্নয়ন সূচক (২০০৭)বৃদ্ধি ০.৫২০[৪]
ত্রুটি: মানব উন্নয়ন সূচক-এর মান অকার্যকর · ১৫৫তম
মুদ্রাজিবুতিয়ান ফ্রাঙ্ক (DJF)
সময় অঞ্চলইউটিসি+৩ (পূআস)
• গ্রীষ্মকালীন (ডিএসটি)
ইউটিসি+৩ (পর্যবেক্ষণ করা হয়নি)
কলিং কোড২৫৩
ইন্টারনেট টিএলডি.dj
রাজধানী জিবুতি সিটি

ভৌগোলিক তাৎপর্য সম্পাদনা

এটি লোহিত সাগরএডেন উপসাগর এর সংযোগস্থলে অবস্থিত যা ভারত মহাসাগর-এর ই অংশ।

ইতিহাস সম্পাদনা

জিবুতি ফ্রান্সের উপনিবেশ হিসেবে গণ্য ছিল। ১৮৯৬ থেকে ১৯৬৭ এই সময়টায় একে বলা হতো ফরাসি সোমালিল্যান্ড। জুলাই ৫, ১৯৬৭ তে নতুন নামকরণ হয় আফার এবং ইস্যাসের ফরাসি অঞ্চল। জুন ২৭, ১৯৭৭ এ নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

রাজনীতি সম্পাদনা

২০০১ সালে, জিবুতি সরকার যৌথ যুগ্ম টাস্ক ফোর্স হর্ন আফ্রিকার (সিজেটিএফ-হোয়্যা) সাথে সম্পর্কিত অপারেশনগুলির জন্য সাবেক ফরাসি সামরিক বেস ক্যাম্প লেমননিয়ার -কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের ইজারায় দেয়।

সংস্কৃতি সম্পাদনা

নিজেদের নিজস্ব পল্লী সংস্কৃতি থাকলেও যেহেতু মিসর , ভারতচীন-এর সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিল তাই সংস্কৃতিতে এই তিন দেশের প্রভাব দেখা যায়।

খাদ্যাভাস সম্পাদনা

তাদের খাদ্যাভাসে সোমালিয়া , ইয়ামেন , ফরাসিভারতীয় প্রভাব দেখা যায়।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Djibouti"World FactbookCentral Intelligence Agency। ২০০৯-১১-২৭। ২০২০-০৫-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১১-২৭ 
  2. Department of Economic and Social Affairs Population Division (2009). "World Population Prospects, Table A.1" (.PDF). 2008 revision. United Nations. Retrieved on 2009-03-12.
  3. "Djibouti"। International Monetary Fund। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১০-০১ 
  4. মানুষ উন্নয়ন প্রতিবেদন ২০০৯. জাতিসংঘ। প্রতিবেদন ৫ অক্টোবর ২০০৯

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

সরকারী
সাধারণ তথ্য
সংবাদ মিডিয়া
পর্যটন