বাব এল মান্দেব
বাব এল মান্দেব লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরকে সংযোগকারী একটি প্রণালী। প্রণালীটি আরব উপদ্বীপে অবস্থিত ইয়েমেন এবং আফ্রিকার অন্তরীপে অবস্থিত জিবুতি, ইরিত্রিয়া ও সোমালিয়াকে পৃথক করেছে। আরবী বাব এল মান্দেবের অর্থ দুর্দশার দুয়ার। ইংরেজিতে প্রণালীটিকে কখনও কখনও মান্দাব প্রণালী হিসেবে অভিহিত করা হয়।
বাব এল মান্দেব | |
---|---|
![]() বাব এল মান্দেবের বর্ণনাসহ ছবি | |
স্থানাঙ্ক | ১২°৩৫′ উত্তর ৪৩°২০′ পূর্ব / ১২.৫৮৩° উত্তর ৪৩.৩৩৩° পূর্ব |
অববাহিকার দেশসমূহ | ![]() ![]() ![]() ![]() |
সর্বাধিক দৈর্ঘ্য | ৮০ মাইল (১৩০ কি.মি.) |
সর্বাধিক প্রস্থ | ২৫ মাইল (৪০ কি.মি.) |
গড় গভীরতা | −৬০৯ ফু (−১৮৬ মি) |
নামকরণসম্পাদনা
বাব এল মান্দেব নামটি সম্ভবত উদ্ভূত হয়েছে প্রণালীটিতে দিকনির্দেশনায় সমস্যার কারণে। আবার আরব কিংবদন্তি অনুসারে, এক প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্পে এশিয়া আর আফ্রিকা আলাদা হয়ে যায় এবং তার ফলে প্রচুর মানুষ মৃত্যুবরণ করে। সেই দুর্যোগের কথা স্মরণ করে প্রণালীটির নাম রাখা হয়েছে বাব এল মান্দেব বা দুর্দশার দুয়ার।
তথ্যাবলীসম্পাদনা
বাব এল মান্দেব লোহিত সাগর ও সুয়েজ খাল হয়ে ভারত মহাসাগর ও ভূমধ্যসাগরের মধ্যে একটি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ হিসেবে কাজ করে। ২০০৬ সালে এ প্রণালীটি দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৩.৩ মিলিয়ন ব্যারেল তেল বহন করা হয় যেখানে সমগ্র বিশ্বে তেলবহনকারী ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে বহন করা হয় গড়ে ৪৩ মিলিয়ন ব্যারেল তেল।[১]
সংযোগকারী সেতুসম্পাদনা
২০০৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি জানা যায় যে, তারেক বিন লাদেন মালিকানাধীন কোম্পানী বাব এল মান্দেবের দুই প্রান্ত, ইয়েমেন ও জিবুতিকে সংযোগকারী একটি সেতু নির্মানের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।[২]
উপঅঞ্চলসম্পাদনা
বাব এল মান্দেব আরব লীগের একটি উপঅঞ্চল হিসেবে বিবেচিত। এর সদস্যগুলো হল: ইয়েমেন, সোমালিয়া, জিবুতি ও কোমোরোস দ্বীপপুঞ্জ।
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ World Oil Transit Chokepoints আর্কাইভইজে আর্কাইভকৃত ১ আগস্ট ২০১২ তারিখে, Energy Information Administration, US Department of Energy
- ↑ "Tarek Bin Laden's Red Sea bridge" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৮-০২-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-০৯।