টুভালু
টুভালু (ইংরেজি: Tuvalu) পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত একটি ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র। এটি হাওয়াইয়ের প্রায় ৪২০০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূলের প্রায় ৩৪০০ কিমি উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। টুভালুর নিকটতম প্রতিবেশী ফিজি দ্বীপপুঞ্জ প্রায় ১০৫০ কিমি দক্ষিণে এবং দক্ষিণ-পূর্বে প্রায় একই দূরত্বে সামোয়া অবস্থিত। টুভালু পূর্বে এলিস দ্বীপপুঞ্জ (Ellice Islands) নামে পরিচিত ছিল। এটি ব্রিটিশ গিলবার্ট ও এলিস দ্বীপপুঞ্জ উপনিবেশের অংশ ছিল। ১৯৭৫ সালে এটি গিলবার্ট দ্বীপপুঞ্জ (বর্তমান কিরিবাস) থেকে আলাদা হয়ে যায় এবং ১৯৭৮ সালে স্বাধীনতা লাভ করে। টুভালু কমনওয়েলথ অভ নেশনসের সদস্য। ফুনাফুতি অ্যাটলটি টুভালুর রাজধানী।
Tuvalu | |
---|---|
![]() | |
রাজধানী | ফুনাফুটি |
সরকারি ভাষা | টুভালুয়ান, ইংরেজি |
জাতীয়তাসূচক বিশেষণ | টুভালুয়ান |
সরকার | Constitutional monarchy |
• Queen | তৃতীয় চার্লস |
• গভর্নর জেনারেল | Filoimea Telito |
• প্রধানমন্ত্রী | আপিসাই ইলিমিয়া |
স্বাধীন | |
• যুক্তরাজ্য থেকে | ১ অক্টোবর ১৯৭৮ |
আয়তন | |
• মোট | ২৬ কিমি২ (১০ মা২) (192nd) |
• পানি/জল (%) | negligible |
জনসংখ্যা | |
• 2012 আদমশুমারি | 10,640[১][২] (196th) |
• ঘনত্ব | ৪৭৫.৮৮ /কিমি২ (১,২৩২.৫ /বর্গমাইল) (27th) |
জিডিপি (পিপিপি) | 2016 আনুমানিক |
• মোট | $39 million[৩] (226th) |
• মাথাপিছু | $3,566[৩] (156th) |
জিডিপি (মনোনীত) | 2016 আনুমানিক |
• মোট | $32 million[৩] (194th) |
• মাথাপিছু | $2,970[৩] (118th) |
মুদ্রা | Tuvaluan dollar Australian dollar (AUD) |
সময় অঞ্চল | ইউটিসি+12 |
গাড়ী চালনার দিক | বাম |
কলিং কোড | +688 |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | TV |
ইন্টারনেট টিএলডি | .tv |
ইতিহাসসম্পাদনা
১৮১৯ সালে ক্যাপ্টেন আরেন ডি পেইস্টার ভালপারাইসো থেকে ভারতে আসার পথে ফুনাফুতি আবিষ্কার করেন যেখানে এখন টুভালুর রাজধানী অবস্থিত। ফুনাফুটি প্রায় ১৪টি ছোট ছোট দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত। ডি পেইস্টার ব্রিটিশ আইনসভার সদস্য এডওয়ার্ড এলিসের নামে এই দ্বীপসমষ্টির নামকরণ করেন এলিসেস গ্রুপ। এলিসই ডি পেইস্টারকে জাহাজ জোগাড় করে দিয়েছিলেন যার নাম ছিল রেবেকা। ১৯৪১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযাত্রী দলের প্রধান চার্লস উইলকিস টুভালুর তিনটি দ্বীপে ভ্রমণ করেন এবং সেখানকার আগ্রহী পর্যটকদের স্বাগতম জানান। এরপর অনেকদিন পর্যন্তই টুভালুর সাথে বহির্বিশ্বের অন্য কোন দেশের তেমন যোগাযোগ হয়নি।
ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষদিকে যখন প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝে বিভিন্ন দেশের অধিকারগত বিভাজন আসে তখন স্বাভাবিকভাবেই টুভালু ও পার্শ্ববর্তী দ্বীপাঞ্চলসমূহ যুক্তরাজ্যের অধিকারে আসে। ইংরেজরা ১৮৯২ সাল থেকে ১৯১৬ সাল পর্যন্ত এলিস দ্বীপপুঞ্জকে একটি প্রোটেক্টোরেট হিসেবে শাসন করে এবং এর পরে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত এটি ছিল গিলবার্ট এবং এলিস দ্বীপপুঞ্জ কলোনির একটি অংশ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই দ্বীপগুলোতে হাজার হাজার মার্কিন সৈন্য মোতায়েন করা ছিলো। ১৯৪২ সালের অক্টোবর মাসের প্রথম দিকে মার্কিন বাহিনী ফুনাফুটি, নানুমিয়া এবং নুকুফেটাউ নামক দ্বীপগুলোতে বিমান ঘাঁটি স্থাপন করে। ১৯৭৪ সালে টুভালুর অধিবাসীরা ইংরেজদের অধীনে একটি পৃথক রাষ্ট্রের সম্মানলাভের জন্য ভোট দেয়। তাদের দাবী ছিল গিলবার্ট দ্বীপপুঞ্জ, যা স্বাধীনতা পাবার পর কিরিবাতি নামে পরিচিত হয়ে আসছিল, থেকে টুভালুকে পৃথক করে একটি পৃথক রাষ্ট্র গঠন করা হোক। এই পৃথকীকরণ শেষ পর্যন্ত সম্ভব হয়েছিলো। কিন্তু টুভালু পূর্ণ স্বাধীনতা পায় ১৯৭৮ সালে। ১৯৭৯ সালে টুভালু যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বন্ধুত্বের নিদর্শনস্বরুপ একটি চুক্তি সম্পাদন করে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র তার নিয়ন্ত্রণে থাকা ৪টি দ্বীপ টুভালুর অধীনে ছেড়ে দেয় এবং সেগুলোর উপর টুভালুর প্রকৃত অধীকার মেনে নেয়।
২০০২ সালের জুলাই মাসে টুভালুতে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ এবং মুক্তভাবে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই ১৫ জন আইনসভার সদস্য হন যাদের মধ্যে ৫জনই ছিলেন সম্পূর্ণ নতুন। একই বছরের আগস্ট মাসে সাউফাটু সোপোআংগা দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।
রাজনীতিসম্পাদনা
প্রতিরক্ষাসম্পাদনা
প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহসম্পাদনা
টুভ্যালুর অল্প সংখ্যক জনগণ ৮টি দ্বীপে বিভক্ত হয়ে আছে, যার ৫টিই হলো এটোল। ক্ষুদ্রতম দ্বীপ নিউলাকিতায় (Niulakita) ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের আগ পর্যন্ত কোনো মনুষ্যবসতি ছিলো না; ঐ সময় নিউতাও (Niutao) থেকে লোক গিয়ে সেখানে বসত শুরু করে।
যেসকল স্থানীয় প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ একাধিক দ্বীপ মিলিয়ে বিরাজ করে:
- ফুনাফুটি (Funafuti)
- নানুমে (Nanumea)
- নুই (Nui)
- নুকুফেতাউ (Nukufetau)
- নুকুলেলে (Nukulaelae)
- ভাইটুপু (Vaitupu)
যেসকল স্থানীয় প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ একটি দ্বীপে বিরাজ করে:
আন্তর্জাতিক সম্পর্কসম্পাদনা
ভূগোলসম্পাদনা
অর্থনীতিসম্পাদনা
জনসংখ্যাসম্পাদনা
সংস্কৃতিসম্পাদনা
ঐতিহ্যসম্পাদনা
কুইযিনসম্পাদনা
ভাষাসম্পাদনা
খেলাধুলা ও অবসর বিনোদনসম্পাদনা
সংগীতসম্পাদনা
যাতায়াত ব্যবস্থাসম্পাদনা
শিক্ষাসম্পাদনা
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবসম্পাদনা
সবচেয়ে উঁচু জায়গার হিসাব করলেও, টুভ্যালু, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৪.৫ মিটার উঁচু, এবং দেশটির কর্তাব্যক্তিরা কয়েক বছর ধরে বেশ সচেতন যে, তাদের দেশ, উচ্চতা বাড়তে থাকা সমুদ্রের শিকার হতে পারে।[৪] ২০০৯-এর ডিসেম্বরে কোপেনহেগেন জলবায়ু সম্মেলনে টুভ্যালুর একজন আলোচক আয়ান ফ্রাই (Ian Fry) চূড়ান্ত প্রতিবেদনের একজন শক্তিশালী প্রতিবাদকারী ছিলেন, তিনি বলেছিলেন "ভাবগতিক দেখে মনে হচ্ছে আমাদেরকে থার্টি পীস অফ সিলভার সাধা হচ্ছে, যেন আমরা আমাদের জনগণ আর ভবিষ্যতের সাথে প্রতারণা করি।"[৫]
আরও দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ ক খ "Population of communities in Tuvalu"। world-statistics.org। ১১ এপ্রিল ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১৬।
- ↑ ক খ "Population of communities in Tuvalu"। Thomas Brinkhoff। ১১ এপ্রিল ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১৬।
- ↑ ক খ গ ঘ "Tuvalu"। International Monetary Fund।
- ↑ "Sea Level Rise A Big Problem For Tuvalu, Prime Minister Says"। ২২ জুলাই ১৯৯৭। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯।
- ↑ Future not for sale: climate deal rejected
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |