হজ্জ
হজ্জ হলো মুসলমানদের জন্য পবিত্রতম শহর সৌদি আরবের মক্কায় অনুষ্ঠিত একটি বার্ষিক ইসলামি সফর।[১] হজ্জ মুসলমানদের জন্য একটি বাধ্যতামূলক ধর্মীয় ইবাদত। শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম এবং সফরকারীর অনুপস্থিতিতে তার পরিবার নিজেদের ভরণপোষণ করতে সক্ষম হলে সকল প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানদের জীবনে অন্তত একবার করতে হয়।[২][৩][৪]
হজ্জ الحج | |
---|---|
অবস্থা | সক্রিয় |
ধরন | ধর্মীয় তীর্থযাত্রা |
আরম্ভ | জ্বিলহজ্জ মাসের ৮ম দিন |
সমাপ্তি | জ্বিলহজ্জ মাসের ১২শ বা ১৩শ দিন |
পুনরাবৃত্তি | বার্ষিক |
অবস্থান (সমূহ) | মক্কা |
স্থানাঙ্ক | ২১°২৫′২২.৩″ উত্তর ৩৯°৪৯′৩২.৬″ পূর্ব / ২১.৪২২৮৬১° উত্তর ৩৯.৮২৫৭২২° পূর্ব |
দেশ | সৌদি আরব |
প্রতিষ্ঠাতা | ইব্রাহিম (ঐতিহাসিক) মুহাম্মাদ (বর্তমান রূপ) |
অংশগ্রহণকারী | মুসলিম |
উপস্থিতি | ২,৪৮৯,৪০৬ (২০১৯) (কোভিড-১৯ এর কারণে ২০২০ সালে ১০ হাজার সীমা) (কোভিড-১৯ এর কারণে ২০২১ সালে ৬০ হাজার সীমা) ১,০০০,০০০ (২০২২) ১,৮৪৫,০৪৫ (২০২৩) |
আয়োজক | হজ্জ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় (সৌদি আরব) |
ইসলামি পরিভাষায়, হজ্জ হলো সৌদি আরবের পবিত্র শহর মক্কায় অবস্থিত "আল্লাহর ঘর" কাবার উদ্দেশ্যে করা একটি সফর। এটি শাহাদাহ (আল্লাহর কাছে শপথ), সালাত (প্রার্থনা), যাকাত (দান) এবং সাওম (রমজানের রোজা) এর পাশাপাশি ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি স্তম্ভ। হজ হলো মুসলিম জনগণের সংহতি এবং সৃষ্টিকর্তার (আল্লাহর) কাছে তাদের আত্মসমর্পণের একটি বাহ্যিক প্রকাশ।[৫][৬] হজ্জ শব্দের অর্থ হলো "যাত্রায় যোগদান করা", যা যাত্রার বাহ্যিক কাজ এবং উদ্দেশ্যের অভ্যন্তরীণ কাজ উভয়কেই বোঝায়।[৭] সফরটির নিয়মগুলো পাঁচ থেকে ছয় দিনের মধ্যে সম্পন্ন করা হয়, যা ইসলামি বর্ষপঞ্জির শেষ মাস জিলহজ্জের ৮ থেকে ১২ বা ১৩[৮] তারিখ পর্যন্ত বিস্তৃত।[৯] যেহেতু ইসলামি বর্ষপঞ্জি একটি চন্দ্র পঞ্জিকা এবং ইসলামি বছর গ্রেগরীয় বছরের তুলনায় প্রায় এগারো দিন ছোট, তাই হজ্জের গ্রেগরীয় তারিখ প্রতি বছর পরিবর্তন হয়। ২০২৩ খ্রিস্টাব্দে (১৪৪৪ হিজরি), জিলহজ্জ মাস ১৯ জুন থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত বিস্তৃত।
হজ্জ ৭ম শতাব্দীর ইসলামের নবি মুহাম্মাদের জীবনের সাথে জড়িত, তবে মক্কায় তীর্থযাত্রার এই অনুষ্ঠানটি ইব্রাহিমের সময়কাল পর্যন্ত হাজার হাজার বছর পুরনো বলে মুসলমানেরা মনে করে থাকেন। হজের সময়, হজযাত্রী বা হাজিগণ লক্ষাধিক মানুষের পদযাত্রায় যোগ দেন, যারা একই সাথে হজের সপ্তাহের জন্য মক্কায় একত্রিত হন এবং একটি ধারাবাহিক অনুষ্ঠান সম্পাদন করেন: প্রত্যেক ব্যক্তি কাবার (একটি ঘনক আকৃতির ভবন এবং মুসলমানদের জন্য প্রার্থনার জন্য ক্বিবলা) চারপাশে সাতবার ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে হাঁটেন, সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মাঝখানে সাতবার দ্রুত পায়ে হেঁটে যান, তারপর জমজম কূপ থেকে পানি পান করেন, আরাফাতের পাহাড়ের ময়দানে গিয়ে অবস্থান করেন, মুজদালিফার ময়দানে একটি রাত কাটান এবং তিনটি স্তম্ভে পাথর নিক্ষেপ করার মাধ্যমে শয়তানকে প্রতীকী পাথর নিক্ষেপ করেন। একটি পশু কোরবানি করার পরে (যা একটি ভাউচার ব্যবহার করে সম্পন্ন করা যেতে পারে), হজযাত্রীদের তাদের মাথা ন্যাড়া করতে হয় বা চুল ছাঁটাই করতে হয় (পুরুষ হলে) বা চুলের প্রান্ত ছাঁটাই করতে হয় (মহিলা হলে)। এর পরে ঈদুল আযহার চারদিনব্যাপী বৈশ্বিক উৎসবের উদযাপন শুরু হয়।[১০][১১][১২] মুসলমানরা বছরের অন্য সময়ে মক্কায় ওমরাহ (আরবি: عُمرَة) বা "সংক্ষিপ্ত হজযাত্রা" করতে পারেন। তবে, ওমরাহ পালন করা হজের বিকল্প নয় এবং মুসলিমরা ওমরাহ করার পরেও তাদের জীবদ্দশায় অন্য কোনো সময়ে হজ পালন করতে বাধ্য যদি তাদের তা করার উপায় থাকে।[১৩]
২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে সরকারিভাবে প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে,[১৪][১৫][১৬] প্রতি বছর উপস্থিতির গড় সংখ্যা ২,২৬৯,১৪৫; যার মধ্যে ১,৫৬৪,৭১০ জন সৌদি আরবের বাইরে থেকে আসেন এবং বাকি ৬৭১,৯৮৩ জন স্থানীয়। ৩,১৬১,৫৭৩ জন হজপালনকারী নিয়ে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল ২০১২ সালে।[১৭] ২০২০ সালের জুন মাসে, সরাসরি হজ বাতিল না করে, সৌদি সরকার ঘোষণা করেছিল যে তারা বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে শুধুমাত্র সৌদি আরবের বাসিন্দাদের মধ্য থেকে "খুব সীমিত সংখ্যক" হজযাত্রীদের স্বাগত জানাবে।[১৮] ২০২১ সালে অনুরূপ বিধিনিষেধ প্রয়োগ করা হয়েছিল, তবে মহিলাদেরকে একজন পুরুষ অভিভাবক (মাহরাম) ছাড়াই উপস্থিত থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল যদি তারা একটি বিশ্বস্ত দলের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়।[১৯]
ব্যুৎপত্তি
সম্পাদনাআরবি: حج শব্দটি হিব্রু ভাষায়: חג ḥag, এর সাথে মিলসম্পন্ন, যার অর্থ " উৎসব ", যেটি ত্রিঅক্ষরীয় সেমিটিক মূল ح-ج-ج থেকে এসেছে। ইসলামে, যে ব্যক্তি মক্কায় হজ করে তাকে কাবার চারপাশে প্রদক্ষিণ করতে হয় এবং কোরবানি দিতে হয়।[২০]
ইতিহাস
সম্পাদনামুহাম্মদ হজের বর্তমান আদর্শটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।[২১] তবে, কুরআন অনুসারে, হজের মূলসূত্রগুলো ইব্রাহিমের সময়কাল থেকে পাওয়া যায়। ইসলামি ঐতিহ্য অনুসারে, ইব্রাহিমকে আল্লাহ তার (ইব্রাহিম) স্ত্রী হাজেরা এবং তার শিশুপুত্র ইসমাইলকে প্রাচীন মক্কার মরুভূমিতে একা রেখে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। পানির সন্ধানে হাজেরা মরিয়া হয়ে সাতবার সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মাঝখানে ছুটে গেলেন কিন্তু কিছুই পাননি। হতাশা নিয়ে ইসমাইলের কাছে ফিরে এসে, তিনি দেখতে পেলেন শিশুটি তার পা দিয়ে মাটি আঁচড়াচ্ছে এবং তার পায়ের নীচে একটি জলের ফোয়ারা বের হচ্ছে।[২২] পরবর্তীতে, ইব্রাহিমকে কাবা নির্মাণের আদেশ দেওয়া হয়েছিল (যা তিনি ইসমাইলের সহায়তায় সম্পন্ন করেছিলেন) এবং সেখানে তীর্থযাত্রা করার জন্য লোকদের আমন্ত্রণ জানানোর আদেশ দেওয়া হয়েছিল।[২৩] কুরআনে এই ঘটনাগুলো কুরআন ২:১২৪–১২৭ এবং কুরআন ২২:২৭–৩০ আয়াতে উল্লেখিত হয়েছে।[n ১] কথিত আছে যে, প্রধান ফেরেশতা জিবরাঈল কাবার সাথে সংযুক্ত করার জন্য জান্নাত থেকে কালো পাথরটি নিয়ে এসেছিলেন।[২৩]
প্রাক-ইসলামি আরবে, জাহেলিয়াতের যুগ হিসাবে পরিচিত একটি সময়ে কাবা পৌত্তলিক মূর্তি দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে ওঠে।[২৪] ৬৩০ খ্রিস্টাব্দে, মুহাম্মদ তার অনুসারীদের মদিনা থেকে মক্কায় নিয়ে গিয়েছিলেন, সমস্ত পৌত্তলিক মূর্তি ধ্বংস করে কাবা পরিষ্কার করেছিলেন এবং তারপরে স্থাপনাটিকে আল্লাহর কাছে পবিত্র করেছিলেন।[২৫] ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে, মুহাম্মদ বিপুল সংখ্যক অনুসারীদের সাথে তার একমাত্র এবং শেষ হজযাত্রা করেন এবং তাদের হজের আচার-অনুষ্ঠানের নির্দেশ দেন।[২৬] এ সময় থেকেই হজ্জ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটিতে পরিণত হয়।
মধ্যযুগীয় সময়ে, হজযাত্রীরা সিরিয়া, মিশর এবং ইরাকের বড় শহরগুলোতে মক্কায় দলে দলে এবং হাজার হাজার হজযাত্রীদের সমন্বয়ে কাফেলা নিয়ে জড়ো হতেন,[২৭] যা প্রায়শই রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় করা হতো।[২৮] হজ্জ কাফেলাগুলো, বিশেষ করে মামলুক সালতানাত এবং এর উত্তরসূরি, উসমানীয় সাম্রাজ্যের আবির্ভাবের সাথে সাথে, একজন আমির আল-হজের নেতৃত্বে চিকিৎসকদের সাথে একটি সামরিক বাহিনী নিয়ে যাওয়া হতো।[২৯][৩০] এটি বেদুইন ডাকাত বা প্রাকৃতিক বিপদ থেকে কাফেলাকে রক্ষা করার জন্য করা হতো,[n ২][২৯][৩০] এবং হজযাত্রীদের প্রয়োজনীয় রসদ সরবরাহ করা হয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য করা হতো।[২৯] ইবনে জুবায়ের এবং ইবনে বতুতার মতো মুসলিম পর্যটকরা মধ্যযুগীয় সময়ে হজ ভ্রমণের বিস্তারিত বিবরণ লিপিবদ্ধ করেছেন।[৩১] কাফেলারা একটি সুপ্রতিষ্ঠিত পথ অনুসরণ করে যাকে আরবি দরব আল-হজ (অনু."তীর্থযাত্রার রাস্তা") বলা হয়, যা সাধারণত রাজার মহাসড়কের মতো প্রাচীন পথকে অনুসরণ করত।
হজের সময়
সম্পাদনাহজের তারিখ ইসলামি বর্ষপঞ্জি (হিজরি বর্ষপঞ্জি বা হিজরি নামে পরিচিত) দ্বারা নির্ধারিত হয়, যা চান্দ্র বছরের উপর ভিত্তি করে চলে।[৩২][৩৩] প্রতি বছর, হজের অনুষ্ঠানগুলো দশ দিনের মেয়াদে সংঘটিত হয়, যা ১ তারিখ থেকে শুরু হয় এবং ১০ জ্বিলহজ্জ অর্থাৎ, ইসলামি বর্ষপঞ্জির দ্বাদশ এবং শেষ মাসে শেষ হয়। এই দশ দিনের মধ্যে, ৯ জ্বিলহজ্জ আরাফাতের দিন হিসাবে পরিচিত এবং এই দিনটিকে হজের দিন বলা হয়। যেহেতু ইসলামিক বর্ষপঞ্জি চন্দ্র পঞ্জিকা এবং ইসলামি বছর গ্রেগরীয় বছরের তুলনায় প্রায় এগারো দিন ছোট, তাই হজের গ্রেগরীয় তারিখ প্রতি বছর পরিবর্তিত হয়। এইভাবে, গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জিতে প্রতি বছর, তীর্থযাত্রা এগারো দিন (কখনও কখনও দশ দিন) আগে শুরু হয়।[৩৩][৩৪] এটি একটি গ্রেগরীয় বছরে দুবার হজের মৌসুম হওয়াকে সম্ভব করে তোলে এবং এটি প্রতি ৩৩ বছরে একবার হয়। শেষবার এই ঘটনাটি ঘটেছিল ২০০৬ সালে।[৩৫]
নীচের সারণীটি সাম্প্রতিক বছরগুলিতে হজের গ্রেগরীয় তারিখগুলো দেখায় (তারিখগুলো হিজরি বর্ষপঞ্জির ৯ জিলহজ্জের সাথে মিলে যায়)। সম্ভাব্য তারিখগুলো আনুমানিক:
হিজরি | গ্রেগরীয় তারিখ |
---|---|
১৪৩২ | ২০১১, ৫ নভেম্বর[৩৬] |
১৪৩৩ | ২০১২, ২৫ অক্টোবর |
১৪৩৪ | ২০১৩, ১৪ অক্টোবর[৩৭][৩৮] |
১৪৩৫ | ২০১৪, ৩ অক্টোবর[৩৯] |
১৪৩৬ | ২০১৫, ২৩ সেপ্টেম্বর[৪০] |
১৪৩৭ | ২০১৬, ১১ সেপ্টেম্বর[৪১][৪২] |
১৪৩৮ | ২০১৭, ৩১ আগস্ট[৪৩] |
১৪৩৯ | ২০১৮, ২০ আগস্ট[৪৪] |
১৪৪০ | ২০১৯, ১০ আগস্ট[৪৪] |
১৪৪১ | ২০২০, ৩০ জুলাই[৪৪] |
১৪৪২ | ২০২১, ১৯ জুলাই[৪৪] |
১৪৪৩ | ২০২২, ৮ জুলাই[৪৪] |
১৪৪৪ | ২০২৩, ২৭ জুন[৪৪] |
নিয়মাবলি
সম্পাদনাফিকহী রচনাবলি হজের আচার-অনুষ্ঠান সম্পাদনের পদ্ধতিগুলো বিশদভাবে বর্ণনা করে এবং হজযাত্রীরা সাধারণত হজের প্রয়োজনীয়তা সফলভাবে পূরণ করতে পুস্তিকা এবং বিশেষজ্ঞ নির্দেশিকা অনুসরণ করেন।[৪৫] হজের আচার-অনুষ্ঠান সম্পাদনে হজযাত্রীরা কেবল মুহাম্মদের আদর্শ অনুসরণ করে না, বরং ইব্রাহিমের সাথে সম্পর্কিত ঘটনাগুলোও স্মরণ করে।[৪৬]
ইহরাম
সম্পাদনাইহরাম হল বিশেষ আধ্যাত্মিক অবস্থা ও পবিত্র অবস্থাকে দেওয়া একটি নাম, যা প্রতিটি ব্যক্তির জন্য হজের আনুষ্ঠানিকতার সূচনা করে।[৫][৪৭] মিকাতে পৌঁছানোর পর বা সেখানে পৌঁছানোর আগে ইহরাম শুরু করা হয়, এটি তারা কোথা থেকে এসেছে তার উপর নির্ভর করে।
হজযাত্রীরা যখন ইহরাম অবস্থায় প্রবেশ করে তখন তাদের কিছু কাজ থেকে বিরত থাকতে হয়।[৪৮] ইহরাম অবস্থায়, পুরুষদের দুটি সাদা সেলাইবিহীন কাপড় পরতে হয়, যার একটি কোমরের চারপাশে মুড়ে হাঁটুর নিচে এবং অন্যটি বাম কাঁধের উপর দিয়ে ডান পাশে বাঁধতে হয়। মহিলাদের জন্য এর মধ্যে সাধারণ পোশাক পরতে হয় যা হাত ও মুখ খোলা রেখে সর্বজনীন পোশাকের ইসলামি শর্ত পূরণ করে।[৪৯][পৃষ্ঠা নম্বর প্রয়োজন] অন্যান্য নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে নখ কাটা থেকে বিরত থাকা, শরীরের কোনো অংশ কামানো, যৌন সম্পর্ক করা, সুগন্ধি ব্যবহার করা, গাছপালা নষ্ট করা, প্রাণী হত্যা করা, মাথা (পুরুষদের জন্য) বা মুখ ও হাত (নারীদের জন্য) ঢেকে রাখা; বিয়ে করা; বা অস্ত্র বহন করা।[৫][৪৭]
ইহরাম এর মাধ্যমে ধনী-গরিবের মধ্যে কোনো পার্থক্য না করে আল্লাহর সামনে সকল হাজিদের সমতা প্রদর্শন করাকে বোঝানো হয়।[৪৬] এই ধরনের অপরিচিত সাদা পোশাক পরিধান করার মাধ্যমে সম্পূর্ণরূপে বিশ্বাস করা হয় যে তা মানুষকে বস্তুগত প্রদর্শন থেকে দূরে সরিয়ে দেয় এবং তাকে বিশুদ্ধতা এবং আধ্যাত্মিকতার জগতে নিমগ্ন করে, যেহেতু পোশাক ব্যক্তিত্ব এবং স্বাতন্ত্র্য প্রদর্শন করে এবং ব্যক্তিকে আলাদা করে এমন বাহ্যিক বাধা সৃষ্টি করে বলে বিশ্বাস করা হয়। ইহরামের পোশাককে সেই ব্যক্তিত্ববাদের বিরোধী হিসেবে দেখা হয়। ইহরাম-এর পোশাক মৃত্যুর পর পরা কাফনকেও স্মরণ করিয়ে দেয়।[৫০]
তাওয়াফ ও সাঈ
সম্পাদনাকাবার চারপাশে ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে সাতবার হাঁটা তাওয়াফের নিয়মের অন্তর্ভুক্ত।[৫১] মসজিদে হারামে পৌঁছানোর পর, হজযাত্রীরা ওমরাহর অংশ হিসাবে বা স্বাগত তাওয়াফ হিসাবে একটি আগমনী তাওয়াফ করে।[৫২] তাওয়াফের সময়, হজযাত্রীরা হাতীমে কাবার উত্তর দিকের একটি এলাকা-কে তাদের পথের ভিতরে অন্তর্ভুক্ত করেন। প্রতিটি আবর্তন কালো পাথরের চুম্বন বা স্পর্শ দিয়ে শুরু হয়। হজযাত্রীরা পাথরের দিকে ইশারা করে এবং একটি প্রার্থনা (তালবিয়া) পাঠ করে।[৫৩] যদি ভিড়ের কারণে পাথরটিকে চুম্বন করা বা স্পর্শ করা সম্ভব না হয় তবে হজযাত্রীরা প্রতিটি আবর্তনে তাদের হাত দিয়ে পাথরের দিকে নির্দেশ করতে পারে। পানিশূন্যতার ঝুঁকির কারণে খাওয়ার অনুমতি নেই তবে পানি পান করা অনুমোদিত এবং উত্সাহিত করা হয়। পুরুষদেরকে প্রথম তিনটি আবর্তন দ্রুত গতিতে করতে উৎসাহিত করা হয়, যা রামাল নামে পরিচিত এবং পরের চারটি আরও ধীর গতিতে করতে উৎসাহিত করা হয়।[৪৯][৫৩]
তাওয়াফ সমাপ্তির পর মসজিদের অভ্যন্তরে কাবার কাছে অবস্থিত ইব্রাহিমের স্থানে (মাকামে ইব্রাহিম) দুই রাকাত নামাজ আদায় করা হয়।[৫৩][৫৪] তবে হজের দিনগুলিতে প্রচুর ভিড়ের কারণে তারা এর পরিবর্তে মসজিদের যে কোনও জায়গায় নামাজ পড়তে পারেন। নামাজের পরে হজযাত্রীরা জমজম কূপ থেকে পানি পান করেন, যা পুরো মসজিদ জুড়ে কুলারের সাহায্যে উপলব্ধ করা হয়।[৫৫]
যদিও কাবার চারপাশের প্রদক্ষিণ ঐতিহ্যগতভাবে ভূমি স্তরে করা হয়, তবে বেশি ভিড়ের কারণে তাওয়াফ এখন মসজিদের প্রথম তলায় এবং ছাদেও করা হয়।
এই নিয়মটিকে বলা হয় তাওহিদ, আল্লাহর একত্বের প্রকাশ। হজযাত্রীর হৃদয় ও আত্মাকে আল্লাহর ঘরের প্রতীক কাবার চারপাশে এমনভাবে ঘুরতে হবে যাতে কোনো পার্থিব আকর্ষণ তাকে এই পথ থেকে বিভ্রান্ত না করে। শুধুমাত্র তাওহীদ তাকে আকৃষ্ট করবে। তাওয়াফ মুসলমানদের ঐক্যেরও প্রতিনিধিত্ব করে। তাওয়াফের সময় সবাই সম্মিলিতভাবে কাবাকে ঘিরে ফেলে।[৫০]
তাওয়াফের পর কাবার নিকটে অবস্থিত সাফা ও মারওয়াহ পাহাড়ের মধ্যে সাতবার দৌড়ানো বা হাঁটার মাধ্যমে সাঈ করা হয়।[৫১][৫৪] আগে খোলা জায়গায় থাকলেও, জায়গাটি এখন সম্পূর্ণ পবিত্র মসজিদ দিয়ে ঘেরা এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত টানেলের মাধ্যমে এতে প্রবেশ করা যায়।[৫৬] হজযাত্রীদের আবর্তনে হাঁটার পরামর্শ দেওয়া হয়, যদিও দুটি সবুজ স্তম্ভ পথের একটি ছোট অংশ চিহ্নিত করে যেখানে তারা চলে। বয়স্ক বা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য একটি অভ্যন্তরীণ "এক্সপ্রেস লেন" রয়েছে। সা'ঈর পরে, পুরুষ হজযাত্রীরা তাদের চুল কামিয়ে নেন বা ছোট করেন এবং মহিলারা সাধারণত তাদের চুলের একটি অংশ কাটেন, যা ওমরাহ সম্পন্ন করে।
-
সাফার দিকে সাঈ
-
কেন্দ্রীয় বিভাগ বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত। এটি ভ্রমণের দুটি দিকেও বিভক্ত।
-
সাফা থেকে ফিরতি সাঈ
হজের প্রথম দিন: ৮ই জিলহজ্জ (তারবিয়া দিবস)
সম্পাদনা৮ই জিলহজ্জে হজযাত্রীদের তাদের কর্তব্যের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়। তারা আবার ইহরামের পোশাক পরে এবং তীর্থযাত্রা করার নিয়ত নিশ্চিত করে। ইহরামের নিষেধাজ্ঞা এসময় থেকে শুরু হয়।
তারবিয়া নামটি জাফর আস-সাদিকের একটি বর্ণনাকে নির্দেশ করে। তিনি এর কারণ হিসেবে বর্ণনা করেন যে, ৮ জিলহজ্জের দিনে আরাফাতের পাহাড়ে পানি ছিল না। হজযাত্রীরা আরাফাতে অবস্থান করতে চাইলে তারা মক্কা থেকে পানি প্রস্তুত করে নিজেরাই সেখানে নিয়ে যেতেন। তাই তারা একে অপরকে পর্যাপ্ত পান করতে বলেছিল। পরিশেষে, এই দিনটিকে তারাবিয়া[৫৭] বলা হয়, আরবি ভাষায় যার অর্থ তৃষ্ণা নিবারণ করা।[৫৮] তারবিয়ার দিন হজের আনুষ্ঠানিকতার প্রথম দিন। এছাড়াও এই দিনে হুসাইন ইবনে আলী মক্কা থেকে কারবালায় যেতে শুরু করেন।[৫৯] মুহাম্মদ তারবিয়া দিবসকে চারটি নির্বাচিত দিনের একটি হিসেবে মনোনীত করেছিলেন।[৫৮]
মিনা
সম্পাদনা৮ জিলহজ্জ তারিখে সকালের নামাযের পর, হজযাত্রীরা মিনায় চলে যান যেখানে তারা সারা দিন কাটান এবং যোহর (দ্রষ্টব্য: মিনায় শুক্রবার জুমার নামাজ যোহরের নামাজের পরিবর্তে আদায় করা হয়), আসর, মাগরিব এবং ইশার নামাজ আদায় করেন।[৬০] পরদিন সকালে ফজরের নামাজের পর তারা আরাফাতের উদ্দেশ্যে মিনা ত্যাগ করেন।
হজের দ্বিতীয় দিন: ৯ই জিলহজ্জ (আরাফাতের দিন)
সম্পাদনা৯ জিলহজ্জ আরাফাতের দিন হিসাবে পরিচিত এবং এই দিনটিকে হজ্জের দিন বলা হয়।[৪২]
আরাফাত
সম্পাদনা৯ জিলহজ্জ দুপুরের আগে হাজীরা মক্কার পূর্ব দিকে প্রায় ২০ কিলোমিটার (১২ মা) অনুর্বর ও সমতল ভূমি অতিক্রম করে আরাফাতে পৌঁছান,[৬১] যেখানে তারা মননশীল অবস্থায় অবস্থান করে: প্রার্থনা করেন, তাদের অতীতের পাপের জন্য অনুতপ্ত হন এবং ইস্তিগফার করেন ও আল্লাহর রহমত কামনা করেন, এবং ইমামদের কাছ থেকে খুতবা শোনেন যারা জাবাল আল-রহমাহ (রহমতের পাহাড়) নিকট থেকে এটি প্রদান করেন;[৬০] এখান থেকে মুহাম্মদ তার শেষ খুতবা দিয়েছিলেন বলে কথিত আছে। এটি মধ্যাহ্ন থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত স্থায়ী,[৬১] এটাকে 'আল্লাহর সামনে দাঁড়ানো' (উকুফ) বলা হয়, যা হজের অন্যতম তাৎপর্যপূর্ণ অনুষ্ঠান।[৫] মসজিদে নামিরাতে, হজযাত্রীরা দুপুরের সময় একসাথে যোহর এবং আসরের নামাজ আদায় করেন।[৬০] একজন হজযাত্রীর হজ বাতিল বলে গণ্য হবে যদি তারা আরাফাতে বিকেল না কাটায়।[৬১]
মুজদালিফাহ
সম্পাদনাহাজীদের আরাফাতে তাদের মাগরিব (সূর্যাস্ত) নামায না পড়েই সূর্যাস্তের পর মুজদালিফার উদ্দেশ্যে আরাফাত ত্যাগ করতে হয়।[৬২] মুজদালিফা আরাফাত ও মিনার মধ্যবর্তী একটি এলাকা। সেখানে পৌঁছে, হজযাত্রীরা মাগরিব এবং ইশার নামায যৌথভাবে আদায় করেন, খোলা আকাশের নিচে মাটিতে নামাজ পড়েন এবং ঘুমিয়ে রাত কাটায় এবং পরের দিনের শয়তানকে এর পাথর নিক্ষেপের নিয়মের জন্য নুড়ি সংগ্রহ করেন।[৬৩]
হজের তৃতীয় দিন: ১০ই জিলহজ্জ (কুরবান দিবস)
সম্পাদনাসকালের নামাজের পর হাজীরা মুজদালিফা থেকে মিনায় চলে যান।
রামি আল জামারাত
সম্পাদনামিনায়, হজযাত্রীরা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত শুধুমাত্র তিনটি স্তম্ভের মধ্যে সবচেয়ে বড় টিকে সাতটি পাথর নিক্ষেপ করার মাধ্যমে শয়তানকে প্রতীকী পাথর নিক্ষেপ (রামি আল-জামারাত) করেন, যা জামারাত আল-আকাবাহ নামে পরিচিত।[৬৪] বাকি দুটি স্তম্ভে (জামারাহ) এ দিনে পাথর মারা হয় না।[৬৫] বলা হয় এই স্তম্ভ শয়তানের প্রতিনিধিত্ব করে।[৬৬] হজযাত্রীরা বহু-স্তরের জামারাত সেতুতে ঢালে আরোহণ করে, যেখান থেকে তারা জামারাতে তাদের নুড়ি নিক্ষেপ করতে পারে। নিরাপত্তার কারণে, ২০০৪ সালে স্তম্ভগুলিকে লম্বা দেয়াল দ্বারা প্রতিস্থাপিত করা হয়, যাতে নুড়ি সংগ্রহের জন্য নিচে ধারক অববাহিকা ছিল।[৬৭][৬৮]
পশু কুরবানি
সম্পাদনাশয়তানকে পাথর ছুড়ে মারার পর ইব্রাহিম ও ইসমাইলের ঘটনা স্মরণে পশু কুরবানি দেওয়া হয়। ঐতিহ্যগতভাবে হজযাত্রীরা নিজেরাই পশু জবাই করতেন বা জবাইয়ের তত্ত্বাবধান করতেন। বর্তমানে অনেক হজযাত্রী বৃহত্তর হজ শুরু হওয়ার আগে মক্কায় একটি কোরবানি ভাউচার কিনে থাকেন, যা ১০ তারিখে হজযাত্রীকে শারীরিকভাবে উপস্থিত না থেকেই আল্লাহর নামে একটি পশু জবাই করার সুযোগ দেয়। আধুনিক কসাইখানাগুলো মাংসের প্রক্রিয়াকরণ সম্পূর্ণ করে, যা তারপর সারা বিশ্বের দরিদ্র লোকদের জন্য দাতব্য হিসেবে পাঠানো হয়।[৫৬] মক্কায় যখন কুরবানি হয়, তখন একই সময়ে বিশ্বব্যাপী মুসলমানরা ঈদুল আযহা নামে একটি তিন দিনের বিশ্বব্যাপী উৎসবে অনুরূপ ত্যাগ স্বীকার করেন।[১১]
চুল অপসারণ
সম্পাদনাপশু কোরবানি করার পর, হজের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম হল মাথার চুল কামানো বা ছাঁটা (যা হালাক নামে পরিচিত)। সকল পুরুষ হজযাত্রীরা ঈদুল আযহার দিনে তাদের মাথা ন্যাড়া করেন বা তাদের চুল ছাঁটাই করেন এবং মহিলা হজযাত্রীরা তাদের চুলের প্রান্ত কাটেন।[৬৯][৭০][৭১]
তাওয়াফ জিয়ারত/ইফাদাহ
সম্পাদনাএকই দিন বা পরের দিন, হজযাত্রীরা হজের অপরিহার্য অংশ তাওয়াফ আল-ইফাদাহ নামে পরিচিত আরেকটি তাওয়াফের জন্য মক্কার পবিত্র মসজিদে পুনরায় যান।[৭০] এটি হজের একটি বাধ্যতামূলক অংশ, আল্লাহর প্রতি সাড়া দিতে এবং তাঁর প্রতি ভালোবাসা দেখানোর জন্য তাড়াহুড়ো করার প্রতীক। ১০ তারিখের রাতটা মিনায় ফিরেই কাটে।
হজের চতুর্থ দিন: ১১ই জিলহজ্জ
সম্পাদনা১১ জিলহজ্জের দুপুর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত (এবং আবার পরের দিন), হজযাত্রীরা আবার মিনায় তিনটি স্তম্ভের প্রতিটিতে সাতটি নুড়ি নিক্ষেপ করে। এটি সাধারণত "শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ" নামে পরিচিত।[৬৪]
হজের পঞ্চম দিন: ১২ই জিলহজ্জ
সম্পাদনা১২ জিলহুজে, ১১ জিলহজ্জের মতো স্তম্ভগুলিকে পাথর ছুঁড়ে মারার একই প্রক্রিয়া ঘটে।[৬৪] ১২ তারিখ সূর্যাস্তের আগে হজযাত্রীরা মক্কার উদ্দেশ্যে মিনা ত্যাগ করতে পারেন।
মিনায় হজের শেষ দিন: ১৩ই জিলহজ্জ
সম্পাদনাযদি ১২ তারিখে সূর্যাস্তের আগে রওনা হতে না পারে বা আরও বেশি সময় থাকতে পছন্দ করে, তাহলে তাদের মক্কায় ফিরে যাওয়ার আগে ১৩ তারিখে আবার পাথর নিক্ষেপের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে হবে।[৬৪]
তাওয়াফ আল-বিদা / বিদায়ী তাওয়াফ
সম্পাদনাবিদায়ী তাওয়াফ (Farewell Tawaf) হলো একটি ইসলামী আচার, যা মক্কা শরীফে পবিত্র কাবা ঘরের চারপাশে সাতবার প্রদক্ষিণ করার একটি বিশেষ প্রক্রিয়া। এটি সাধারণত হজ বা উমরাহ সম্পন্ন করার পর মক্কা ত্যাগ করার আগে পালন করা হয়। বিদায়ী তাওয়াফকে তাওয়াফ আল-ওয়াদা নামেও পরিচিত, যার অর্থ “বিদায়ের তাওয়াফ”। এটি ইসলামী বিধান অনুযায়ী একটি সুন্নত এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আচার হিসেবে বিবেচিত। [৭২]
মদিনার উদ্দেশ্যে যাত্রা
সম্পাদনাহজের জন্য তাদের যাত্রার সময়, হজযাত্রীরা ঐতিহ্যগতভাবে মদিনা শহরেও ভ্রমণ করেন (প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার (২৮০ মা) উত্তর-পূর্বে), বিশেষ করে মসজিদে নববিতে প্রার্থনা করার জন্য,[৭৩] যাতে রয়েছে নবী মুহাম্মদের কবর।[৫৬] মসজিদে কুবা এবং মসজিদ আল-কিবলাতাইনও সাধারণত পরিদর্শন করা হয়।[৭৪]
তাৎপর্য
সম্পাদনামুসলমানদের কাছে হজ্জ ধর্মীয় তাৎপর্যের পাশাপাশি সামাজিক তাৎপর্যের সাথে জড়িত।[৭৫] এই তীর্থযাত্রা সম্পাদনের বাধ্যবাধকতা কেবল তখনই পূরণ হয় যদি এটি ইসলামি বর্ষপঞ্জির শেষ মাসের অষ্টম থেকে দ্বাদশ তারিখে করা হয়। যদি একটি নির্দিষ্ট বছরে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমান সুস্থ থাকে এবং তাদের জীবন ও সম্পদ নিরাপদ থাকে, তবে তাদের একই বছরে হজ করতে হবে। বিলম্ব করা গুনাহের কাজ বলে বিবেচিত হয় যদি না বিলম্ব তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরের কোনো কারণে হয়।[৭৬][তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
একটি বাধ্যতামূলক ধর্মীয় কর্তব্য ছাড়াও, হজকে একটি আধ্যাত্মিক যোগ্যতা হিসেবে দেখা হয় যা মুসলমানদের আত্ম-নবায়নের সুযোগ প্রদান করে।[৭৫] হজ বিচার দিবসের একটি অনুস্মারক হিসাবে কাজ করে, যখন মানুষ আল্লাহর সামনে দাঁড়াবে বলে মুসলমানরা বিশ্বাস করে।[৭৭] হাদিস গ্রন্থে (মুহাম্মদের বাণী) হজ পালনের সফল সমাপ্তির পরে একজন হজযাত্রীর অর্জনের বিভিন্ন গুণাবলী বর্ণনা করে।[n ৩] সফল তীর্থযাত্রার পরে, হজযাত্রীরা তাদের নামের উপসর্গ হিসেবে 'আল-হাজ্জি' উপাধি দিয়ে রাখতে পারে এবং মুসলিম সমাজে এটি সম্মানের সাথে গৃহীত হয়। [৭৮] তবে, ইসলামিক পণ্ডিতরা পরামর্শ দেন যে হজ একজন মুসলমানের ধর্মীয় প্রতিশ্রুতি নির্দেশ করে, এবং তাদের সামাজিক মর্যাদার পরিমাপ করা উচিত নয়।[৭৮] হজ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের তাদের জাতি, বর্ণ ও সংস্কৃতি নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে এবং একত্রিত করে, যা সাম্যের প্রতীক হিসেবে কাজ করে।[৫][৬৯]
ইসলামি তীর্থযাত্রায় অংশগ্রহণের প্রভাবের উপর ২০০৮ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, মুসলিম সম্প্রদায় হজের অভিজ্ঞতার পরে আরও ইতিবাচক এবং সহনশীল হয়ে ওঠে। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির জন এফ কেনেডি স্কুল অফ গভর্নমেন্টের সাথে একযোগে পরিচালিত এস্টিমেটিং দ্য ইমপ্যাক্ট অফ দ্য হজ: রিলিজিয়ন অ্যান্ড টলারেন্স ইন ইসলামস্ গ্লোবাল গ্যাদারিং শিরোনামের গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, হজ "জাতিগত গোষ্ঠী এবং ইসলামের মধ্যে সমতা ও সম্প্রীতির বিশ্বাস বাড়ায়। সম্প্রদায় এবং নারী শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের বৃহত্তর গ্রহণযোগ্যতাসহ মহিলাদের প্রতি আরও অনুকূল মনোভাবের দিকে পরিচালিত করে" এবং "হাজিরা বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে শান্তি, সমতা এবং সম্প্রীতির প্রতি বিশ্বাস বৃদ্ধি করে।"[৭৯]
ম্যালকম এক্স, নাগরিক অধিকার আন্দোলনের সময়কার একজন মার্কিন কর্মী, ১৯৬০-এর দশকে তাঁর হজে যে সমাজতাত্ত্বিক পরিবেশের অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা নিম্নরূপ বর্ণনা করেছেন:
সারা বিশ্ব থেকে হাজার হাজার তীর্থযাত্রী সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তারা নীল চোখের স্বর্ণকেশী থেকে কালো চামড়ার আফ্রিকান সব রঙের ছিল। কিন্তু আমরা সবাই একই আচার-অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছিলাম, একতা ও ভ্রাতৃত্বের চেতনা প্রদর্শন করছিলাম যা আমেরিকায় আমার অভিজ্ঞতা আমাকে বিশ্বাস করতে চালিত করেছিল যে শ্বেতাঙ্গ এবং অ-শ্বেতাঙ্গের মধ্যে কখনও যার অস্তিত্ব থাকতে পারে না। আমেরিকাকে ইসলাম বুঝতে হবে কারণ এটিই একমাত্র ধর্ম যা তার সমাজ থেকে জাতিগত সমস্যা মুছে ফেলে। আমার কাছ থেকে আসা এই শব্দগুলি শুনে আপনি হতবাক হতে পারেন। কিন্তু এই তীর্থযাত্রায়, আমি যা দেখেছি এবং অভিজ্ঞতা পেয়েছি, তা আমাকে আমার পূর্বে ধারণ করা অনেক চিন্তা-চেতনাকে পুনর্বিন্যাস করতে বাধ্য করেছে।[৮০]
হজ ও ওমরাহর মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা- উভয়ই ইসলামি তীর্থ-অনুষ্ঠান, প্রধান পার্থক্য হল তাদের গুরুত্বের স্তর এবং পালনের পদ্ধতি।[৮১]
- হজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি। এটা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য তাদের জীবনে একবার ফরজ, যদি তারা শারীরিকভাবে সুস্থ এবং আর্থিকভাবে সক্ষম হয়।[৮২]
- একটি মনোনীত ইসলামি মাসে নির্দিষ্ট দিনে হজ করা হয়। তবে যে কোনো সময় ওমরাহ করা যায়।
- যদিও উভয়ের আচার-অনুষ্ঠানগুলো একইরকম, ওমরাহ কয়েক ঘণ্টারও কম সময়ে সম্পাদন করা যেতে পারে যেখানে হজ বেশি সময়সাপেক্ষ, এবং আরও আচার-অনুষ্ঠান জড়িত।
ব্যবস্থা ও সুযোগ-সুবিধা
সম্পাদনাহজ্জ সংক্রান্ত বেশিরভাগ বিষয় হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় দ্বারা পরিচালিত হয়। প্রতি বছর ক্রমবর্ধমান হজযাত্রীদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা সৌদি আরব সরকারের জন্য একটি ব্যবস্থাপনাগত চ্যালেঞ্জ তৈরি করে, যেটিতে ১৯৫০ এর দশক থেকে $১০০ বিলিয়নের বেশি ব্যয় করতে হয়েছে।[২৮][৩২] হজ্জযাত্রার সুবিধা বৃদ্ধি করতে আবাসন, পরিবহন, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যসেবার মতো প্রধান সমস্যাগুলি সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচী প্রবর্তনের মাধ্যমে সুরাহা করেছে এবং ব্যাপকভাবে উন্নত করেছে, যার ফলশ্রুতিতে হজযাত্রীরা এখন আধুনিক সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করে এবং স্বাচ্ছন্দ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্পাদন করে।[৫৬] সৌদি সরকার প্রায়ই হজযাত্রীদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণযোগ্য পর্যায়ে রাখার জন্য বিভিন্ন দেশের জন্য কোটা নির্ধারণ করে এবং হজের সময় সামগ্রিক নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য বিশাল নিরাপত্তা বাহিনী এবং সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা করে।[২৮][৩২][৮৩][৮৪] পাকিস্তানে প্রদত্ত হজ ভর্তুকি বা মালয়েশিয়ায় অবস্থিত তাবুং হাজির মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং সরকারী কর্মসূচি হজযাত্রীদের ভ্রমণের খরচ মেটাতে সহায়তা করে।[৮৫] ২০১৪ সালে হজের জন্য, হজযাত্রীদের সহায়তার জন্য পাকিস্তানের বিমানবন্দরগুলিতে বিশেষ হজ তথ্য ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছিল।[৮৬] পাকিস্তান (এবং পরবর্তীকালে ভারত) থেকে যাওয়া হজযাত্রীদের সুবিধার জন্য মসজিদগুলোতে উর্দু চিহ্নও চালু করা হয়েছিল।[৮৭]
প্রযুক্তিগত সমাধান
সম্পাদনাসৌদি সরকার হজযাত্রীর যাত্রার নিরাপত্তা রক্ষা এবং অভিজ্ঞতা বাড়াতে প্রযুক্তি ব্যবহার করে। সম্প্রতি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ই-ব্রেসলেট প্রোগ্রাম চালু করেছে যা হজযাত্রীদের প্রয়োজনীয় তথ্য সংরক্ষণ করে এবং যা তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানে সহায়তা করে।[৮৮] ২০১৮ সালে সৌদি সাইবার সিকিউরিটি, প্রোগ্রামিং ও ড্রোন ফেডারেশন বা এসএএফসিএসপি সৌদি আরবের পশ্চিমে জেদ্দায় হজ হ্যাকাথন ইভেন্টের আয়োজন করেছিল, যেখানে ১০০ টিরও বেশি দেশ থেকে ২,৯৫০ জন অংশগ্রহণ করেছিল। ইভেন্টের লক্ষ্য ছিল হজযাত্রীদের জন্য সমাধান প্রদানের জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার অন্বেষণ করা।[৮৯][৯০] ২০১৯ সালে, হজযাত্রীদের ফতোয়া এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপদেশ প্রদানের জন্য "ফতোয়া রোবট" পরিষেবা চালু করা হয়েছিল।[৯১] হজ কর্তৃপক্ষ হজযাত্রীদের তাদের স্মার্টফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন সেবা প্রদানের জন্য দুটি ইন্টারেক্টিভ অ্যাপ চালু করেছে। নয়টি ভাষায় উপলব্ধ পরিষেবাগুলো জরুরী পরিষেবা কেন্দ্র, পবিত্র স্থান, মুদ্রা বিনিময়, রেস্তোরাঁ এবং বাসস্থান খুঁজে পেতে হজযাত্রীদের সহায়তা করে।[৯২]
ভিসার প্রয়োজনীয়তা
সম্পাদনামুসলিম হিসেবে হজে অংশ নিতে সৌদি আরবে প্রবেশ করতে হলে ভিসার শর্ত পূরণ করতে হবে।[৯৩][৯৪] সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় প্রচারাভিযান এবং কোম্পানির মাধ্যমে হজ ও ওমরাহ হজযাত্রীদের কয়েক মিনিটের মধ্যে ই-ভিসা পেতে সক্ষম করে ভিসা প্রদান সহজ করার পরিকল্পনা করছে।[৯৫] আসন্ন ওমরাহ মৌসুমের জন্য, হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত একটি বিশেষ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ইলেকট্রনিকভাবে ভিসা ইস্যু করা যাবে।[৯৬] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভ্রমণকারী যাত্রীদেরকে অবশ্যই লাইসেন্সপ্রাপ্ত হজ এজেন্সি থেকে একটি প্যাকেজ কিনতে হবে। উপসাগরীয় সহযোগী সংস্থার দেশগুলোর নাগরিকদের সৌদি আরবে প্রবেশের জন্য ভিসার প্রয়োজন নেই এবং এর বিপরীত ক্ষেত্রেও। সৌদি ভিসাধারী ব্যক্তিরা মুসলিম না হলে জায়গাটিতে প্রবেশ করতে পারবেন না।
মক্কা যাত্রাপথ উদ্যোগ
সম্পাদনামক্কা যাত্রাপথ উদ্যোগ হল সৌদি সরকারের একটি উদ্যোগ, যা হজযাত্রীদের সৌদি আরবে প্রবেশের সুবিধার্থে তাদের দেশের বিমানবন্দরে এটি সম্পন্ন করে। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগটি ২০১৮ সাল থেকে এটি বাস্তবায়িত হয়ে আসছে।[৯৭] ২০১৯ সালে এই উদ্যোগটি মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং তিউনিসিয়ার বিমানবন্দর থেকে প্রায় ২২৫,০০০ জন হজযাত্রীকে পরিষেবা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।[৯৮] প্রদত্ত পরিষেবাগুলির মধ্যে রয়েছে:
- ভিসা প্রদান।
- হজযাত্রীদের স্বাস্থ্যের অবস্থা প্রয়োজনীয়তা মেনে চলছে তা নিশ্চিত করা এবং সম্ভাব্য হজযাত্রীরা বৈশ্বিক মহামারী সংক্রান্ত পরিস্থিতির সাথে সম্পর্কিত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তা নিশ্চিত করা।[৯৯]
- হজযাত্রীদের বিমানবন্দরে মালপত্র কোডযুক্ত করা ও বাছাই করা এবং পৌঁছানোর পর সরাসরি হজযাত্রীদের হোটেলে পৌঁছে দেওয়া।[৯৮]
পরিবহন
সম্পাদনাঐতিহ্যগতভাবে, মক্কার হজ্জযাত্রা ছিল মূলত পরিবহনের মাধ্যম হিসেবে উট ব্যবহার করে একটি ভূমিস্থ যাত্রা। ঊনবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে (১৮৫০-এর দশকের পরে), মক্কায় হজ্জযাত্রায় স্টিমশিপ ব্যবহার করা শুরু হয় এবং সমুদ্র পথে ভ্রমণকারী হজযাত্রীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।[১০০] এটি কিছু সময়ের জন্য অব্যাহত ছিল,[১০১] যতদিন না বিমান ভ্রমণ প্রাধান্য পায়; মিশর ১৯৩৭ সালে হজযাত্রীদের জন্য প্রথম বিমান পরিষেবা চালু করে।[১০২][১০৩] বর্তমানে অনেক এয়ারলাইন্স এবং ট্রাভেল এজেন্ট হজ প্যাকেজ প্রদান করে এবং হজযাত্রীদের জন্য পরিবহন ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করে।[১০৪] জেদ্দার বাদশাহ আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং মদিনার যুবরাজ মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ বিমানবন্দর বিপুল সংখ্যক হজযাত্রীদের সহায়তার জন্য হজযাত্রী টার্মিনালগুলিকে উৎসর্গ করেছে।[১০৫][১০৬] বিশ্বের অন্যান্য আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, যেমন নতুন দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দর, হায়দ্রাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, করাচির জিন্নাহ এবং জাকার্তার সোয়েকার্নো-হাট্টা বিমানবন্দরেও হজযাত্রীদের সেবার জন্য নিবেদিত টার্মিনাল বা অস্থায়ী সুবিধা রয়েছে যখন তারা হজের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন এবং বাড়ি ফিরে আসে।[১০৭] হজের সময় অনেক এয়ারলাইন্স বিপুল সংখ্যক হজযাত্রী থাকার কারণে অতিরিক্ত ফ্লাইট চালায়।[৩২][১০৫]
আনুষ্ঠানিক হজের দিনগুলিতে হজযাত্রীরা মেট্রো, বাস বা পায়ে হেঁটে বিভিন্ন স্থানের মধ্যে ভ্রমণ করেন। সৌদি সরকার কঠোরভাবে এই ভারী যানজটপূর্ণ এলাকায় যানবাহন প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করে। তবে, ভারী যানবাহন এবং পথচারীদের যানজটের কারণে যাত্রায় অনেক ঘন্টা সময় লাগতে পারে। ২০১০ সালে, সৌদি সরকার আরাফাত, মুজদালিফা এবং মিনার মধ্যে হজযাত্রীদের জন্য একটি একচেটিয়া শাটল ট্রেন হিসাবে আল মাশায়ের আল মুগাদ্দাসাহ মেট্রো লাইন পরিচালনা শুরু করে। শুধুমাত্র হজের দিনগুলিতে পরিচালিত হওয়া এ পরিষেবাটি আরাফাত থেকে মুজদালিফা পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ "নাফরাহ" এর সময়কার ভ্রমণের সময়কে মিনিটে সংক্ষিপ্ত করে। এর সীমিত ক্ষমতার কারণে, মেট্রোর ব্যবহার সমস্ত হজযাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত নয়।
জলবায়ু সংকট
সম্পাদনাবৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির অর্থ হল ভবিষ্যতে হজ করা লোকেরা তাপ এবং আর্দ্রতার কারণে "চরম বিপদের" সম্মুখীন হতে পারে।[১০৮][১০৯][১১০] অনুমিত তাপমাত্রা ১.৫° থেকে ২° বেড়ে গেলে অংশগ্রহণকারীদের স্বাস্থ্যের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে, যাদের মধ্যে অনেকেই বয়স্ক।[১১১][১১২] ২০২১ সালে উম্মাহ ফর আর্থ এবং গ্রিনপিস মিডল ইস্ট গবেষণা প্রকাশ করেছে, যা জলবায়ু সংক্রান্ত ক্রিয়াকলাপের পরামর্শ দিয়েছে যার মধ্যে সৌর শক্তির জন্য মসজিদে হারামকে অভিযোজিত করা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।[১১৩]
সবুজ হজ ক্যাম্প
সম্পাদনা২০১১ সালে হুসনা আহমেদ হজের জন্য প্রথম সবুজ গাইড তৈরি করেন।[১০৯] ২০১৯ সালে সৌদি আরব পরিবেশ প্রযুক্তিবিদ মাগদা আবু রাসের পৃষ্ঠপোষকতায় একটি পরিবেশ বান্ধব হজ্জ উদ্যোগ চালু করেছে।[১১৪] একটি দিক প্লাস্টিক ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করেছিল এবং শিরোনাম ছিলপ্লাস্টিক ছাড়া হজ করা।[১১৪] প্রকল্পটি মিনায় ৩০টি ক্যাম্পে বাস্তবায়িত হয় যেখানে হজযাত্রীদের তাদের বর্জ্য বাছাই করতে উৎসাহিত করা হয়। এছাড়া, এটির আয় দাতব্য উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়।[১১৫] এই প্রকল্পের কয়েকটি উদ্দেশ্য রয়েছে:
- পরিবেশগত ক্ষতি হ্রাস।
- কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা উন্নত করা।
- হজযাত্রীদের এবং ক্যাম্পের নিরাপত্তা রক্ষা করা।[১১৫]
আধুনিক যানজট-নিয়ন্ত্রণ সমস্যা
সম্পাদনাসাম্প্রতিক বছরগুলোতে হজযাত্রীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে ভিড়ের কারণে অসংখ্য দুর্ঘটনা এবং মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আধুনিক সময়ে হজের সময় প্রথম বড় দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯৯০ সালে, যখন একটি টানেলে পদদলিত হয়ে ১,৪৬২ জনের মৃত্যু হয়েছিল।[১১৬] পরবর্তীতে, নিরাপত্তা উন্নত করার জন্য বিভিন্ন ভিড়-নিয়ন্ত্রণ কৌশল গ্রহণ করা হয়েছিল। বেশি ভিড়ের কারণে কিছু আচার-অনুষ্ঠান আরও প্রতীকী হয়ে উঠেছে। উদাহরণস্বরূপ, কালো পাথরে চুম্বন করার আর আবশ্যক নয়। এর পরিবর্তে, হজযাত্রীরা কাবার চারপাশের প্রতিটি বৃত্তে এটির দিকে কেবল নির্দেশ করে থাকেন। এছাড়াও, নুড়ি নিক্ষেপের জন্য ব্যবহৃত বড় স্তম্ভগুলিকে পাথর ধারণের জন্য নিম্নস্থ অববাহিকা সহকারে ২০০৪ সালে লম্বা দেয়ালে পরিবর্তন করা হয়েছিল।[৬৭][৬৮] আরেকটি উদাহরণ হল যে, পশু কোরবানি এখন সৌদি কর্তৃপক্ষের দ্বারা নিযুক্ত কসাইখানায় করা হয়, সেখানে হজযাত্রীরা উপস্থিত থাকেন না।[৪৯][১১৭][১১৮] ৭০ এবং ৮০ এর দশকে অনেক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, এটি একটি পদদলিত বা অবরোধের কারণে হয়েছিল।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও, হজ চলাকালীন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে কারণ হজযাত্রীরা পদদলিত হন বা বহু দর্শনার্থীর ওজনে র্যাম্প ভেঙে যায়। সৌদি কর্তৃপক্ষের মতে, ২০১৫ সালের হজের সময়, পদদলিত হওয়ার ফলে ৭৬৯ জন নিহত এবং ৯৩৪ জন আহত হয়েছিল।[১১৯][১২০] অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের একটি প্রতিবেদনে অন্যান্য দেশের সরকারী প্রতিবেদন থেকে জানা যায় সব মিলিয়ে কমপক্ষে ২,৪১১ জন মারা গেছে, যা এটিকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে মারাত্মক পর্বে পরিণত করেছে।[১২১][১১৯] ২০১৩ এবং ২০১৪ সালে হজের সময় জনসমাগমের কারণে মার্স ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে উদ্বেগ উত্থাপিত হয়েছিল।[১২২][১২৩] সৌদি স্বাস্থ্যমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল-রাবিয়া বলেছিলেন, কর্তৃপক্ষ এখনও পর্যন্ত হজযাত্রীদের মধ্যে মার্স-এর কোনো ঘটনা শনাক্ত করতে পারেনি।[১২৪] মার্স-এর কয়েকটি ঘটনা সত্ত্বেও তিনি আরও বলেন যে, সৌদি আরব ২০১৪ সালের তীর্থযাত্রার জন্য প্রস্তুত।[১২৫][১২৬] [হালনাগাদ প্রয়োজন]
২০১৭ সালে নভেম্বর মাসে, সৌদি কর্তৃপক্ষ দুটি পবিত্র স্থানে সেলফি নিষিদ্ধ করেছিল।[১২৭]
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে, সৌদি আরব সাময়িকভাবে বিদেশী হজযাত্রীদের মক্কা এবং মদিনায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল দেশটিতে কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধ করার জন্য।[১২৮] এটি পরে সাময়িকভাবে ওমরাহকে স্থগিত করে।[১২৯] জুন মাসে, সৌদি সরকার ঘোষণা করে যে, সৌদি আরবে বসবাসকারী শুধুমাত্র "খুব সীমিত সংখ্যক" হজযাত্রীদের হজে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে।[১৮]
হজ এবং সৌদি অর্থনীতি
সম্পাদনা২০১৪ সালে, সৌদি আরব হজ থেকে $৮.৫ বিলিয়ন পর্যন্ত আয় করেছে বলে আশা করা হয়।[১৩০] তেল ও গ্যাসের পর সৌদি আরবের রাজস্বের সর্বোচ্চ উৎস হজ এবং বিক্রির জন্য তেল ও গ্যাসের পরিমাণ কমে যাওয়ায় দেশটি হজের ওপর বেশি নির্ভর করবে বলে আশা করা হচ্ছে।[১৩১]
এছাড়াও, ২০২৫ সাল নাগাদ ধর্মীয় পর্যটন প্রায় ১২ মিলিয়ন মুসলমান থেকে বৃদ্ধি পেয়ে বছরে প্রায় ১৭ মিলিয়ন হবে বলে হজযাত্রীদের থাকার জন্য এই এলাকায় বিলাসবহুল হোটেল ব্যবসা বৃদ্ধির জন্ম দিয়েছে। আবরাজ আল-বাইত ফার্ম হোটেল, বিপণিকেন্দ্র এবং অ্যাপার্টমেন্ট তৈরি করতে চায় যার আনুমানিক মূল্য তিন বিলিয়ন ডলার বলে অনুমান করা হয়।[১৩২] সৌদি আরবের দূতাবাসের মতে, সৌদি সরকার পরিদর্শনকারী হজযাত্রীদের সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে স্যানিটেশন, আবাসন, পরিবহন এবং কল্যাণকে উন্নীত করে এমন প্রোগ্রাম প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং যুক্তরাজ্যের মতো দেশের বেশিরভাগ হজযাত্রীরা তাদের দেশে লাইসেন্সপ্রাপ্ত হজ এজেন্সি থেকে প্যাকেজ কেনার সিদ্ধান্ত নেন। এটি দেশটিতে হজযাত্রীদের আগমনের প্রবাহকে পরিচালনা করতে সহায়তা করে এবং হজযাত্রীদের সৌদি আরবের সরকারের সাথে সরাসরি লেনদেন করার পরিবর্তে তাদের পরিষেবার জন্য দায়বদ্ধ একটি ব্যবসার সাথে সরাসরি কাজ করার অনুমতি দেয়।[১৩৩]
২০২০ সালের জুলাই মাসে, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল প্রতিবেদন করেছে যে, কোভিড-১৯ মহামারী অনুসরণ করে, সৌদি কর্তৃপক্ষ মক্কায় পাঁচ দিনের অনুষ্ঠানে জনসমাগম কমিয়ে ১০,০০০ জনেরও কম করেছে, যারা ইতিমধ্যে দেশটিতে বসবাস করছে। এতে আরও বলা হয়েছে যে আতিথেয়তা এবং আবাসন শিল্প যা সম্পূর্ণভাবে হজ রাজস্বের উপর নির্ভর করে, সেগুলোর রাজস্ব আদায় মারাত্মক ক্ষতির মুখোমুখি হবে।[১৩৪] (এছাড়াও দেখুন: হজ্জের উপর কোভিড মহামারীর প্রভাব।)
হজযাত্রীদের বার্ষিক সংখ্যা
সম্পাদনাগত ৯২ বছরে হজযাত্রীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিদেশী হজযাত্রীদের সংখ্যা প্রায় ২,৮২৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে; যা ১৯২০ সালের ৫৮,৫৮৪ জন থেকে ২০১২ সালে ১,৭১২,৯৬২ জন হয়েছে।[১৩৬] মসজিদ আল-হারামের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ কাজের কারণে, কর্তৃপক্ষ ২০১৩ সালে হজযাত্রীদের সংখ্যা সীমিত করেছিল।[১৩৭][১৩৮]
১৯৪০ থেকে ১৯৪৫ সালের মধ্যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফলে বিদেশী হজযাত্রীদের সৌদি আরবে আসা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল;[১৩৯] দেশটি কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলা করতে ২০২০ এর পর থেকে সমস্ত হজ্জযাত্রা কঠোরভাবে সীমাবদ্ধ করে।
নিম্নলিখিত সংখ্যক হজযাত্রী প্রতি বছর হজ পালনের জন্য সৌদি আরবে আসেন:
গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি | হিজরি সন | স্থানীয় হজযাত্রী | বিদেশি হজযাত্রী | সর্বমোট |
---|---|---|---|---|
১৯২০ | ১৩৩৮ | ৫৮,৫৮৪[১৪০] | ||
১৯২১ | ১৩৩৯ | ৫৭,২৫৫[১৪০] | ||
১৯২২ | ১৩৪০ | ৫৬,৩১৯[১৪০] | ||
১৯৫০ | ১৩৬৯ | ১০০,০০০ (আনু.)[১৪১] | ||
১৯৫০এর দশক | ১৫০,০০০ (আনু.)[১৪২] | |||
১৯৬০এর দশক | ৩০০,০০০ (আনু.)[১৪২] | |||
১৯৭০এর দশক | ৭০০,০০০ (আনু.)[১৪২] | |||
১৯৮০এর দশক | ৯০০,০০০ (আনু.)[১৪২] | |||
১৯৮৯ | ১৪০৯ | ৭৭৪,৬০০[১৪৩] | ||
১৯৯০ | ১৪১০ | ৮২৭,২০০[১৪৩] | ||
১৯৯১ | ১৪১১ | ৭২০,১০০[১৪৩] | ||
১৯৯২ | ১৪১২ | ১,০১৫,৭০০[১৪৩] | ||
১৯৯৩ | ১৪১৩ | ৯৯২,৮০০[১৪৩] | ||
১৯৯৪ | ১৪১৪ | ৯৯৭,৪০০[১৪৩] | ||
১৯৯৫ | ১৪১৫ | ১,০৪৬,৩০৭[১৪৩] | ||
১৯৯৬ | ১৪১৬ | ৭৮৪,৭৬৯ | ১,০৮০,৪৬৫[১৪৩][১৪৪] | ১,৮৬৫,২৩৪ |
১৯৯৭ | ১৪১৭ | ৭৭৪,২৬০ | ১,১৬৮,৫৯১[১৪৩][১৪৪] | ১,৯৪২,৮৫১ |
১৯৯৮ | ১৪১৮ | ৬৯৯,৭৭০ | ১,১৩২,৩৪৪ | ১,৮৩২,১১৪[১৪৩][১৪৫] |
১৯৯৯ | ১৪১৯ | ৭৭৫,২৬৮ | ১,০৫৬,৭৩০ | ১,৮৩১,৯৯৮ |
২০০০ | ১৪২০ | ৪৬৬,৪৩০[১৪৬] | ১,২৬৭,৩৫৫ | ১,৭৩৩,৭৮৫[১৪৬] |
২০০১ | ১৪২১ | ৪৪০,৮০৮ | ১,৩৬৩,৯৯২ | ১,৮০৪,৮০০[১৪৭] |
২০০২ | ১৪২২ | ৫৯০,৫৭৬ | ১,৩৫৪,১৮৪ | ১,৯৪৪,৭৬০ |
২০০৩ | ১৪২৩ | ৪৯৩,২৩০ | ১,৪৩১,০১২ | ১,৯২৪,২৪২[১৪৮] |
২০০৪ | ১৪২৪ | ৪৭৩,০০৪[১৪৯] | ১,৪১৯,৭০৬[১৫০] | ১,৮৯২,৭১০[১৪৯] |
২০০৫ | ১৪২৫ | ১,০৩০,০০০ (আনু.) | ১,৫৩৪,৭৬৯ | ২,৫৬০,০০০ (আনু.)[১৫১] |
২০০৬ | ১৪২৬ | ৫৭৩,১৪৭ | ১,৫৫৭,৪৪৭ | ২,১৩০,৫৯৪[১৫২] |
২০০৬ | ১৪২৭ | ৭২৪,২২৯ | ১,৬৫৪,৪০৭ | ২,৩৭৮,৬৩৬[১৫৩] |
২০০৭ | ১৪২৮ | ৭৪৬,৫১১ | ১,৭০৭,৮১৪ | ২,৪৫৪,৩২৫[১৫৪][১৫৫] |
২০০৮ | ১৪২৯ | ১,৭২৯,৮৪১[১৫৬] | ||
২০০৯ | ১৪৩০ | ১৫৪,০০০ | ১,৬১৩,০০০ | ২,৫২১,০০০[১৫৭] |
২০১০ | ১৪৩১ | ৯৮৯,৭৯৮ | ১,৭৯৯,৬০১ | ২,৮৫৪,৩৪৫[১৫৮] |
২০১১ | ১৪৩২ | ১,০৯৯,৫২২ | ১,৮২৮,১৯৫ | ২,৯২৭,৭১৭[১৫৯] |
২০১২ | ১৪৩৩ | ১,৪০৮,৬৪১ | ১,৭৫২,৯৩২ | ৩,১৬১,৫৭৩[১৬০] |
২০১৩ | ১৪৩৪ | ৬০০,৭১৮[১৬১] | ১,৩৭৯,৫৩১[১৬২] | ১,৯৮০,২৪৯[১৬১] |
২০১৪ | ১৪৩৫ | ৬৯৬,১৮৫[১৬১] | ১,৩৮৯,০৫৩[১৬৩] | ২,০৮৫,২৩৮[১৬১] |
২০১৫ | ১৪৩৬ | ৫৬৭,৮৭৬[১৬১] | ১,৩৮৪,৯৪১[১৬৪] | ১,৯৫২,৮১৭[১৬১] |
২০১৬ | ১৪৩৭ | ৫৩৭,৫৩৭[১৬৫] | ১,৩২৫,৩৭২[১৬৫] | ১,৮৬২,৯০৯[১৬৫] |
২০১৭ | ১৪৩৮ | ৬০০,১০৮ | ১,৭৫২,০১৪ | ২,৩৫২,১২২[১৬৬] |
২০১৮ | ১৪৩৯ | ৬১২,৯৫৩ | ১,৭৫৮,৭২২ | ২,৩৭১,৬৭৫[১৬৭] |
২০১৯ | ১৪৪০ | ৬৩৪,৩৭৯ | ১,৮৫৫,০২৭ | ২,৪৮৯,৪০৬[১৬৮] |
২০২০ | ১৪৪১ | ১,০০০[১৬৯] | ||
২০২১ | ১৪৪২ | ৫৮,৭৪৫[১৭০][১৭১] | ০[১৭০] | ৫৮,৭৪৫[১৭১] |
২০২২ | ১৪৪৩ | ১১৯,৪৩৪[১৭২] | ৭৭৯,৯১৯[১৭২] | ৮৯৯,৩৫৩[১৭২] |
চিত্রশালা
সম্পাদনা-
মক্কার আল-মসজিদ আল-হারামে প্রার্থনারত হজযাত্রী।
-
বৃহত্তম জামারাহ (স্তম্ভ) এই স্তম্ভগুলি ইসলামে শয়তানকে চিত্রিত করে এবং উপাসনাকারীরা এতে পাথর ছুড়ে মারে।
-
জমজম কূপ পরিদর্শনকারী হজযাত্রীরা।
-
মক্কার মসজিদে হারামের মধ্যে সাফা পর্বত।
-
মক্কার মসজিদে হারামের মধ্যে মারওয়া পর্বত।
-
মিনায় তাঁবু।
-
হজ্জের সময় আরাফাত পাহাড়ে হাজীদের দোয়া করা।
-
মক্কা থেকে কয়েক মাইল দূরে আরাফাত পাহাড়।
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনাটীকা
সম্পাদনা- ↑ আয়াত গুলোতে বলা আছে: "আর স্মরণ কর, যখন ইবরাহীমকে তার রব কয়েকটি বাণী দিয়ে পরীক্ষা করলেন, অতঃপর সে তা পূর্ণ করল। তিনি বললেন, ‘আমি তোমাকে মানুষের জন্য নেতা বানাব’। সে বলল, ‘আমার বংশধরদের থেকেও’? তিনি বললেন, ‘যালিমরা আমার ওয়াদাপ্রাপ্ত হয় না’আর স্মরণ কর, যখন আমি কাবাকে মানুষের জন্য মিলনকেন্দ্র ও নিরাপদ স্থান বানালাম এবং (আদেশ দিলাম যে,) ‘তোমরা মাকামে ইবরাহীমকে সালাতের স্থানরূপে গ্রহণ কর’। আর আমি ইবরাহীম ও ইসমাঈলকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম যে, ‘তোমরা আমার গৃহকে তাওয়াফকারী, ‘ইতিকাফকারী ও রুকূকারী-সিজদাকারীদের জন্য পবিত্র কর’।আর স্মরণ কর, যখন ইবরাহীম বলল, ‘হে আমার রব, আপনি একে নিরাপদ নগরী বানান এবং এর অধিবাসীদেরকে ফল-মুলের রিয্ক দিন যারা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান এনেছে’। তিনি বললেন, ‘যে কুফরী করবে, তাকে আমি স্বল্প ভোগোপকরণ দিব। অতঃপর তাকে আগুনের আযাবে প্রবেশ করতে বাধ্য করব। আর তা কত মন্দ পরিণতি’।আর স্মরণ কর, যখন ইবরাহীম ও ইসমাঈল কাবার ভিত্গুলো উঠাচ্ছিল (এবং বলছিল,) ‘হে আমাদের রব, আমাদের পক্ষ থেকে কবূল করুন। নিশ্চয় আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী’। (২:১২৪–১২৭)" এবং ‘আর মানুষের নিকট হজ্জের ঘোষণা দাও; তারা তোমার কাছে আসবে পায়ে হেঁটে এবং কৃশকায় উটে চড়ে দূর পথ পাড়ি দিয়ে’।‘যেন তারা নিজদের কল্যাণের স্থানসমূহে হাযির হতে পারে এবং তিনি তাদেরকে চতুষ্পদ জন্তু থেকে যে রিয্ক দিয়েছেন তার উপর নির্দিষ্ট দিনসমূহে আল্লাহর নাম স্মরণ করতে পারে। অতঃপর তোমরা তা থেকে খাও এবং দুস্থ-দরিদ্রকে খেতে দাও’।‘তারপর তারা যেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়, তাদের মানতসমূহ পূরণ করে এবং প্রাচীন ঘরের তাওয়াফ করে’।" (২২:২৭–২৯)
- ↑ ইবনে জুবায়ের বিশ্বাসীদের কঙ্কাল লক্ষ্য করেছেন যারা পথে পিপাসায় মারা গিয়েছিল। সপ্তদশ শতকে, মিশরীয় তীর্থযাত্রীদের একটি দল ১,৫০০ জনেরও বেশি লোক এবং ৯০০টি উট হারিয়েছিল। ১৯২৪ সালে সিরিয়ার তীর্থযাত্রীদের একটি দলের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ মারা গিয়েছিল এবং দুই বছর পরে, ১২,০০০ জন যাত্রার সময় মারা গিয়েছিল বলে মনে করা হয়। [মালিস রুথভেন এর ইসলাম ইন দ্যা ওয়ার্ল্ড । গ্রান্টা পাবলিকেশন্স, ২০০৬. পৃ.২. আইএসবিএন ১-৮৬২০৭-৯০৬-৪.]
- ↑ যেমন একটি হাদীসে বলা হয়েছে: আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশে হজ্জ করলো এবং অশালীন কথাবার্তা ও গুনাহ হতে বিরত রইল, সে ঐ দিনের মত নিষ্পাপ হয়ে হাজ্জ হতে ফিরে আসবে যেদিন তাকে তার মা জন্ম দিয়েছিল।" সহীহ বুখারী, ২:২৬:৫৯৬ (ইংরেজি)
উদ্ধৃতি
সম্পাদনা- ↑ মুহাম্মদ তাকি আল-মোদাররেসি (২৬ মার্চ ২০১৬)। ইসলামের আইন (পিডিএফ) (ইংরেজি ভাষায়)। এনলাইট প্রেস। পৃষ্ঠা ৪৭১। আইএসবিএন 978-0-9942409-8-9। ২ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১৭।
- ↑ লং, ম্যাথু (২০১১)। ইসলামী বিশ্বাস, অনুশীলন এবং সংস্কৃতি। মার্শাল ক্যাভেনডিশ কর্পোরেশন। পৃষ্ঠা ৮৬। আইএসবিএন 978-0-7614-7926-0। ১৬ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ নিগোসিয়ান, এস.এ. (২০০৪)। ইসলাম: এর ইতিহাস, শিক্ষা ও আমল। ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ১১০। আইএসবিএন 0-253-21627-3।
- ↑ বার্কলে সেন্টার ফর রিলিজিয়ন, পিস অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স - ইসলাম ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২ অক্টোবর ২০১১ তারিখে "ইসলামী অনুশীলন" এর উপর ড্রপ-ডাউন প্রবন্ধ দেখুন
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ নিগোসিয়ান, এস.এ. (২০০৪)। ইসলাম: এর ইতিহাস, শিক্ষা ও আমল। ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ১১১। আইএসবিএন 0-253-21627-3।
- ↑ হুকার, এম.বি. (২০০৮)। ইন্দোনেশীয় সারিয়াহ: ইসলামী আইনের একটি জাতীয় বিদ্যালয়ের সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হচ্ছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় স্টাডিজ ইনস্টিটিউট। পৃষ্ঠা ২২৮। আইএসবিএন 978-981-230-802-3। ১৭ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ ধর্মীয় অধ্যয়নে দৃষ্টিভঙ্গি: তৃতীয় খণ্ড। এইচইবিএন পাবলিশার্স পিএলসি। ২০১৪। পৃষ্ঠা ৩৯৫। আইএসবিএন 978-978-081-447-2। ২৮ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ জিলহজ মাসের ১৩ তারিখ, heliohost.org, ২৮ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০১৫
- ↑ "হজ পবিত্র তীর্থযাত্রা"। salamislam.com। ৩ জানুয়ারি ২০২১। ৩১ মে ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০২২।
- ↑ ক্যারেন আর্মস্ট্রং (২০০২)। ইসলাম: সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। আধুনিক গ্রন্থাগার ক্রনিকলস (সংশোধিত আপডেট সংস্করণ)। মর্ডান লাইব্রেরী। পৃষ্ঠা ১০–১২। আইএসবিএন 0-8129-6618-X।
- ↑ ক খ "ঈদ-উল-আযহা"। বিবিসি। ৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯। ৪ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১২।
- ↑ সহীহ বুখারী হাদীস নং-৭৩২-৭৩৩
- ↑ ইসলামী বিশ্বাস ও আচার-আচরণ। ব্রিটানিকা এডুকেশনাল পাবলিশিং। ২০১০। পৃষ্ঠা ৭৩। আইএসবিএন 978-1-61530-060-0।
- ↑ "হজ্জ পরিসংখ্যান"। পরিসংখ্যানের জন্য সাধারণ কর্তৃপক্ষ, সৌদি আরব। ২০১৭। ২০ জুন ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "১৪১৭ হজ্জে রেকর্ড সংখ্যক হজযাত্রীর আগমন"। সৌদি আরবের রাজকীয় দূতাবাস। ১৫ এপ্রিল ১৯৯৭। ১৮ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ "হজ্জে পৌঁছেছেন রেকর্ড সংখ্যক হজযাত্রী"। সৌদি আরবের রাজকীয় দূতাবাস। ৬ ডিসেম্বর ২০০৮। ১২ জুন ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০০৯।
- ↑ "৩,১৬১,৫৭৩ হজযাত্রীরা এ বছর হজ পালন করছেন"। সৌদি আরবের রাজকীয় দূতাবাস। ২৭ অক্টোবর ২০১২। ২৬ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৩।
- ↑ ক খ "হজ যাত্রায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করছে সৌদি আরব"। লাইভ গ্লোবাল করোনাভাইরাস নিউজ। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। ২২ জুন ২০২০। Archived from the original on ২২ জুন ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-১৫।
- ↑ এএফপি (২০২১-০৭-২০)। "মক্কায় 'অভিভাবক' প্রথা উঠে যাওয়ায় হজ্জে অংশ নিলেন নারীরা"। ভয়েস অফ আমেরিকা। ২০ জুলাই ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২০।
- ↑ মোসে ফ্লোরেন (২০০৫)। লেট সামারিটান হিব্রু: এর বিভিন্ন প্রকারের একটি ভাষাগত বিশ্লেষণ। ব্রিল। পৃষ্ঠা ১৩৮। আইএসবিএন 978-90-04-13841-4। ২ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ "হজ্জ"। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা। ২০১৪। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১৪।
- ↑ হায়কাল, মুহাম্মদ হুসাইন (১৯৯৪)। মুহাম্মদের জীবনী। দ্য আদার প্রেস। পৃষ্ঠা ২৯। আইএসবিএন 978-983-9154-17-7। ২৭ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ ক খ পিটার্স, এফ.ই. (১৯৯৪)। হজ: মক্কা ও পবিত্র স্থানগুলিতে মুসলমানদের তীর্থযাত্রা। প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস। পৃষ্ঠা ৪–৭। আইএসবিএন 0-691-02120-1। ২৩ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ আল মুবারকপুরী, সাফি উর রহমান (২০০২)। "আরবদের ধর্মবিশ্বাস"। সীলমোহরযুক্ত অমৃত: মহানবীর জীবনী। দারুস সালাম। পৃষ্ঠা ৪৫। আইএসবিএন 9960-899-55-1। ২ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ Husayn Haykal, Muhammad (২০০৮)। The Life of Muhammad। Islamic Book Trust। পৃষ্ঠা 439–40। আইএসবিএন 978-983-9154-17-7। ২৭ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ Encyclopedia of Islam।
- ↑ Peters, F. E. (১৯৯৪)। The Hajj: The Muslim Pilgrimage to Mecca and the Holy Places। Princeton University Press। পৃষ্ঠা 164। আইএসবিএন 978-0-691-02619-0। ২২ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ ক খ গ Campo, Juan E., সম্পাদক (২০০৯)। "Hajj"। Encyclopedia of Islam। Facts On File। পৃষ্ঠা 283। আইএসবিএন 978-0-8160-5454-1। ৬ এপ্রিল ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ ক খ গ Singer, Amy (২০০২), Constructing Ottoman Beneficence: An Imperial Soup Kitchen in Jerusalem, SUNY Press, পৃষ্ঠা 141, আইএসবিএন 978-0-7914-5351-3, ৬ এপ্রিল ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ১৯ অক্টোবর ২০২০
- ↑ ক খ Philipp, Thomas (১৯৯৮), The Mamluks in Egyptian Politics and Society, Cambridge University Press, পৃষ্ঠা 102–104, আইএসবিএন 978-0-521-59115-7, ৬ এপ্রিল ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ১৯ অক্টোবর ২০২০
- ↑ Peters, F. E. (১৯৯৪)। The Hajj: The Muslim Pilgrimage to Mecca and the Holy Places। Princeton University Press। পৃষ্ঠা 71। আইএসবিএন 978-0-691-02619-0। ২২ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ ক খ গ ঘ Tourism and the Less Developed World: Issues and Case Studies। CABI। ২০০১। পৃষ্ঠা 156। আইএসবিএন 978-0-85199-433-8। ২৭ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ ক খ Reynolds, Gabriel said (২০১২)। The Emergence of Islam: Classical Traditions in Contemporary Perspective। Fortress Press। পৃষ্ঠা 33। আইএসবিএন 978-1-4514-0812-6। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ Caring for Muslim Patients। Radcliffe Publishing। ২০০৮। পৃষ্ঠা 95। আইএসবিএন 978-1-85775-812-2। ২৯ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০১৪।
- ↑ "Principal Islamic Days of Observance according to Umm al-Qura Calendar"। The Umm al-Qura Calendar of Saudi Arabia। ২০১৪। ২৮ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০১৪।
- ↑ Penprase, Bryan E (২০১০)। The Power of Stars: How Celestial Observations Have Shaped Civilization। Springer Science & Business Media। পৃষ্ঠা 142। আইএসবিএন 978-1-4419-6803-6। ২৬ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ "Hajj celebrated by Muslims in Mecca - video"। The Guardian। ১৫ অক্টোবর ২০১৩। ২৯ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১৪।
- ↑ "Hajj today"। The Daily Star। ১৪ অক্টোবর ২০১৩। ২৯ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১৪।
- ↑ "Islamic State militants are enemies of humanity: Saudi Grand Mufti"। Dawn। ৩ অক্টোবর ২০১৪। ১৬ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১৪।
- ↑ "Hajj Performed: 2 million pilgrims pray for world peace"। The Daily Star। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫। ১৬ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫।
- ↑ "Rituals of the hajj – World – Dunya News"। ৯ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- ↑ ক খ Hilleary, Cecily। "Muslims Mark Most Important Day of Hajj in Saudi Arabia"। ২০ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- ↑ "Hajj 2017: When is it and how long does it take?"। Al Jazeera। ৩১ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ van Gent, Robert Harry। "The Umm al-Qura Calendar of Saudi Arabia"। ১৭ মে ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০২১।
- ↑ Campo, Juan E., সম্পাদক (২০০৯)। "Hajj"। Encyclopedia of Islam। Facts On File। পৃষ্ঠা 282। আইএসবিএন 978-0-8160-5454-1। ২১ জুলাই ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ ক খ Neusner, Jacob (২০০০)। World Religions in America: An Introduction। Westminster John Knox Press। পৃষ্ঠা 178। আইএসবিএন 978-0-664-25839-9। ৬ এপ্রিল ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ ক খ "ihram"। Encyclopædia Britannica। ২০১৪। ৭ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ "Ihram – Summary"। Hajj Portal। ২১ জুলাই ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৩।
- ↑ ক খ গ Mohamed, Mamdouh N. (১৯৯৬)। Hajj to Umrah: From A to Z। Amana Publications। আইএসবিএন 0-915957-54-X।
- ↑ ক খ "The Philosophy of Hajj Rituals"। ৩ জানুয়ারি ২০২১। ১১ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০২২।
- ↑ ক খ Long, Matthew (২০১১)। Islamic Beliefs, Practices, and Cultures। Marshall Cavendish Corporation। পৃষ্ঠা 89। আইএসবিএন 978-0-7614-7926-0। ২৩ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ Long, David E. (১৯৭৯)। The Hajj Today: A Survey of the Contemporary Pilgrimage to Makkah। SUNY Press। পৃষ্ঠা 16। আইএসবিএন 0-87395-382-7। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ ক খ গ Long, David E. (১৯৭৯)। The Hajj Today: A Survey of the Contemporary Pilgrimage to Makkah। SUNY Press। পৃষ্ঠা 17। আইএসবিএন 978-0-87395-382-5। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ ক খ Adelowo, E. Dada, সম্পাদক (২০১৪)। Perspectives in Religious Studies: Volume III। Ibadan: HEBN Publishers Plc। পৃষ্ঠা 401। আইএসবিএন 978-978-081-447-2। ১ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ "Pilgrims complain of Zamzam water shortage in Makkah"। Arab News। ৭ জুলাই ২০১৪। ২২ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ ক খ গ ঘ "Hajj"। Royal Embassy of Saudi Arabia। ১৫ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১৪।
- ↑ Reyshahri, Mohammad। "Hajj in Quran and Hadith"। lib.eshia। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ ক খ "the reason for naming Tarwiyah day"। farsnews। ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫। ১২ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫।
- ↑ Reyshahri, Mohammad। "Enclopedia of Imam Husain based on Quran and Hadith"। lib.eshia। ১ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ ক খ গ Perspectives in Religious Studies: Volume III। HEBN Publishers Plc। ২০১৪। পৃষ্ঠা 403। আইএসবিএন 978-978-081-447-2। ৩ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ ক খ গ Long, David E. (১৯৭৯)। The Hajj Today: A Survey of the Contemporary Pilgrimage to Makkah। পৃষ্ঠা 19। আইএসবিএন 0-87395-382-7। ৪ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ Sahih Muslim-Hadith No 2941.2944
- ↑ Sahih Bukhari Hadith No: 732,733, and 734
- ↑ ক খ গ ঘ al-Hasani, Abu Qanit al-Sharif (২০০৯)। The Guiding Helper: Main Text and Explanatory Notes। Lulu.com। পৃষ্ঠা 220। আইএসবিএন 978-1-4452-3791-6। ২ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ "easyhajj.co.uk"। easyhajj.co.uk। ১১ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ Nigosian (২০০৪)। Islam: Its History, Teaching, and Practices। Indiana University Press। পৃষ্ঠা 112। আইএসবিএন 0-253-21627-3।
- ↑ ক খ Islamic Beliefs, Practices, and Cultures। Marshall Cavendish Corporation। ২০১১। পৃষ্ঠা 90। আইএসবিএন 978-0-7614-7926-0। ২৩ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ ক খ Large-Scale Disasters: Prediction, Control, and Mitigation। Cambridge University Press। ২০০৮। পৃষ্ঠা 54। আইএসবিএন 978-1-139-47229-6। ২৯ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ ক খ "Hajj: pilgrimage to Mecca"। BBC। ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯। ৩ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ ক খ Long (১৯৭৯)। The Hajj Today: A Survey of the Contemporary Pilgrimage to Makkah। পৃষ্ঠা 21। আইএসবিএন 0-87395-382-7। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ Sahih Muslim Hadith no:2985,2994
- ↑ Sheikho, Mohammad Amin; Al-Dayrani, A. K. John Alias (২০১৭-০৭-১৯)। Pilgrimage "Hajj": The Fifth High Grade of Al-Taqwa (ইংরেজি ভাষায়)। BookRix। আইএসবিএন 978-3-7309-9606-5। ৮ জুলাই ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২২।
- ↑ Al Masry, Ahmed (সেপ্টেম্বর ১৫, ২০০৬)। "Muslim pilgrims flock to Medina after performing Hajj"। aa.com.tr। Anadolu Agency। ৬ এপ্রিল ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০২১।
- ↑ Norani Noridin; Nordin Yusof (২০০৮)। A life that matters: a spiritual experience। The Other Press। পৃষ্ঠা 32। আইএসবিএন 978-967-5062-02-5। ৬ এপ্রিল ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ ক খ Caring for Muslim Patients। Radcliffe Publishing। ২০০৮। পৃষ্ঠা 96। আইএসবিএন 978-1-85775-812-2। ২৯ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ Musharraf 2012, পৃ. 204–205।
- ↑ Powell, William (১৯৮২)। Saudi Arabia and Its Royal Family। Lyle Stuart। পৃষ্ঠা 113। আইএসবিএন 978-0-8184-0326-2। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ ক খ Andrea Schulte-Peevers (২০১০)। Oman, UAE & Arabian Peninsula। Lonely Planet। পৃষ্ঠা 67। আইএসবিএন 978-1-74179-145-7। ২৬ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ Kremer, Michael; Khwaja, Asim Ijaz (এপ্রিল ২০০৮)। "Estimating the Impact of the Hajj: Religion and Tolerance in Islam's Global Gathering"। Papers.ssrn.com। এসএসআরএন 1124213 ।
- ↑ Malcolm X; Alex Haley (১৯৯৯)। The Autobiography of Malcolm X। Ballantine Books। পৃষ্ঠা 346। আইএসবিএন 978-0-345-35068-8। ২৯ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
- ↑ Gannon, Martin Joseph; Baxter, Ian W. F. (১১ জুন ২০১৭)। "Travelling for Umrah: destination attributes, destination image, and post-travel intentions" (পিডিএফ): 448–465। আইএসএসএন 0264-2069। ডিওআই:10.1080/02642069.2017.1333601। ২৭ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০১৯।
- ↑ Edgar, Scott. "The Five Pillars of Islam in the Hadith." Studia Antiqua 2, no. 1 (2002). https://scholarsarchive.byu.edu/studiaantiqua/ ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৮ জুলাই ২০১৮ তারিখে
- ↑ "Dhaka seeks reconsidering 20pc cut in Hajj pilgrims quota"। The Daily Star। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪। ৭ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ "Hajj pilgrimage 2011: by numbers"। The Daily Telegraph। ৩ নভেম্বর ২০১১। ১১ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ "History of Haj Announcement India"। Government of Uttar Pradesh, India। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ "First Hajj flight leaves for Jeddah"। The News International। ২৯ আগস্ট ২০১৪। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ "Pakistani pilgrims praise Saudi authorities for introducing Urdu signage at Holy Mosques"। Arab News PK (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-১১-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০৬।
- ↑ "Hajj safety: Saudi Arabia introduces hi-tech bracelets for all pilgrims"। Al Arabiya। জুলাই ২০১৬। ৮ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০১৯।
- ↑ "With 2,950 participants from 100 countries, Hajj Hackathon makes Guinness Record"। Al Arabiya। ২ আগস্ট ২০১৮। ৮ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০১৯।
- ↑ "Saudi Arabia looks to technology to make hajj pilgrims safer – Huff Point"। ৮ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০১৯।
- ↑ "Saudi ministry offers Hajj hotline and 'Fatwa Robot' service"। Arab News। ১১ আগস্ট ২০১৯। ১২ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Hajj chiefs launch two smart apps to help pilgrims"। Arab News। ৭ আগস্ট ২০১৯। ১০ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ umrahexpert। "Hajj Visa | Umrah Expert"। www.umrahexpert.co.uk। ৩ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০১৭।
- ↑ "Entry requirements – Saudi Arabia travel advice – GOV.UK"। Government of the United Kingdom। ২ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০১৭।
- ↑ "Hajj and Umrah e-visas to be issued in minutes"। EZ Hajj Groups। ১২ মার্চ ২০১৯। ১০ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ "e-visa for Umrah in less than 24 hours"। Saudigazette। ১৭ আগস্ট ২০১৯। ২২ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Mecca Road Initiative launches for second year to ease Hajj journey"। Al Arabiya। ৮ জুলাই ২০১৯। ১৫ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১৯।
- ↑ ক খ "Nearly 37,000 Hajj pilgrims arrive in Saudi Arabia via Makkah Route initiative"। Arab News। ১৪ জুলাই ২০১৯। ১৫ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "Makkah Route: Health services presented to Hajjis in their home countries"। Arab News। ২১ জুলাই ২০১৯। ৩০ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০১৯।
- ↑ The Hajj: Pilgrimage in Islam। Cambridge University Press। ২০১৬। পৃষ্ঠা 178। আইএসবিএন 978-1-107-61280-8। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
- ↑ Elfenbein, Caleb Heart Iyer (২০০৮)। Differentiating Islam: Colonialism, Sayyid Qutb, and Religious Transformation in Modern Egypt। পৃষ্ঠা 209। আইএসবিএন 978-0-549-98771-0। ২১ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০১৪।
- ↑ Long, David E. (১৯৭৯)। The Hajj Today: A Survey of the Contemporary Pilgrimage to Makkah। SUNY Press। পৃষ্ঠা 48। আইএসবিএন 0-87395-382-7। ১৮ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ Miller, M. B. (২০০৬)। "Pilgrims' Progress: The Business of the Hajj": 189–228। আইএসএসএন 0031-2746। ডিওআই:10.1093/pastj/gtj009।
- ↑ Tourism and the Less Developed World: Issues and Case Studies। CABI। ২০০১। পৃষ্ঠা 157। আইএসবিএন 978-0-85199-433-8। ৩১ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০১৪।
- ↑ ক খ "Air Travel"। Royal Embassy of Saudi Arabia। ২০১৩। ১০ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০১৪।
- ↑ "Pilgrims Start Arriving From India, Pakistan as Haj Terminal Is Officially Opened"। Arab News। ২২ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
- ↑ "New Delhi Indira Gandhi International Airport (DEL) Information"। World Guides। TravelSmart Ltd। ২০১৪। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০১৪।
- ↑ "Study: Climate change could pose danger for Muslim pilgrimage"। MIT News | Massachusetts Institute of Technology (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-২৪।
- ↑ ক খ "With hajj under threat, it's time Muslims joined the climate movement"। the Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৮-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-২৪।
- ↑ "How climate change is affecting Hajj"। The Muslim News। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-২৪।
- ↑ Saeed, Fahad; Schleussner, Carl-Friedrich (২০২১-০২-০১)। "From Paris to Makkah: heat stress risks for Muslim pilgrims at 1.5 °C and 2 °C": 024037। আইএসএসএন 1748-9326। ডিওআই:10.1088/1748-9326/abd067 ।
- ↑ Henson, Jeff Masters, Bob (২০২১-০৭-১৫)। "More warming a threat to the Hajj - and human habitation - in the Middle East » Yale Climate Connections"। Yale Climate Connections (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-২৪।
- ↑ Mahmood, Zainab (২০২২-১০-০৫)। "Is the climate emergency making Hajj even more exclusive?"। gal-dem। ২০২২-১১-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-২৪।
- ↑ ক খ "حج / تطبيق مبادرة "حج بلا بلاستيك" في موسم حج هذا العام وكالة الأنباء السعودية"। ২০২০-০১-০২। ২ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-২৪।
- ↑ ক খ "Saudi Arabia expands 'Green Haj'"। Gulf News। ৬ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Glance at major hajj-related incidents in Saudi Arabia"। Associated Press। ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৫।
- ↑ "Rituals of Haj Sacrifice"। Consulate General of India, Jeddah। ৩ অক্টোবর ২০১৩। ২৮ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০১৫।
- ↑ "The Saudi Project for Use of Hajj Meat"। ADAHI। ২১ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০১৫।
- ↑ ক খ "Saudi crush was deadliest hajj tragedy ever"। Associated Press। ১০ অক্টোবর ২০১৫। ১৪ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৫।
- ↑ "Hajj stampede: Saudis face growing criticism over deaths"। BBC। ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫।
- ↑ "AP count: Over 2,400 killed in Saudi hajj stampede, crush"। AP NEWS (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৫-১২-১০। ১৫ নভেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-১৫।
- ↑ Katz, Andrew (১৬ অক্টোবর ২০১৩)। "As the Hajj Unfolds in Saudi Arabia, A Deep Look Inside the Battle Against MERS"। Time। ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ অক্টোবর ২০১৩।
- ↑ Eaves, Elisabeth (৯ জুন ২০১৪)। "WHO's Maurizio Barbeschi Talks About MERS and Mass Events"। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৪।
- ↑ Branswell, Helen (৭ নভেম্বর ২০১৩)। "Spain reports its first MERS case; woman travelled to Saudi Arabia for Hajj"। The Vancouver Sun। The Canadian Press। ৯ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০১৩।
- ↑ Barasheed, Osamah; Rashid, Harunor (নভেম্বর ২০১৪)। "Influenza Vaccination Among Australian Hajj Pilgrims: Uptake, Attitudes, and Barriers": 384–390। ডিওআই:10.1111/jtm.12146 । পিএমআইডি 25145836।
- ↑ "Hajj pilgrimage to continue despite deadly MERS Epidemic"। news.biharprabha.com। Indo-Asian News Service। ২৫ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০১৪।
- ↑ "Selfie at Mecca at Median banned by Saudi Kingdom"। theindependent.in। ২৬ নভেম্বর ২০১৭। ৮ জুলাই ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Coronavirus: Saudi Arabia suspends entry for pilgrims visiting holy sites"। BBC News। ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০। ২৯ এপ্রিল ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০২০।
- ↑ Shahul H Ebrahim, MD, PhD, Ziad A Memish, MD, FRCPC, 28 February 2020. Saudi Arabia`s measures to curb the COVID-19 outbreak: temporary suspension of the Umrah pilgrimage, Journal of Travel Medicine, https://doi.org/10.1093/jtm/taaa029 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৮ জুলাই ২০২২ তারিখে
- ↑ "Saudi Arabia: $8.5 billion income from hajj expected"। Al-Arabiya English। ২৬ আগস্ট ২০১৪। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- ↑ Walker, Stuart (২০২০-১২-৩০)। Design and Spirituality: A Philosophy of Material Cultures (ইংরেজি ভাষায়)। Routledge। আইএসবিএন 978-1-000-24595-0। ৮ জুলাই ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০২২।
- ↑ Butt, Riazat (১৪ নভেম্বর ২০১০)। "Mecca makeover: how the hajj has become big business for Saudi Arabia"। The Guardian। ২৬ জুন ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুলাই ২০১৮।
- ↑ "US Hajj Company: For Hajj & Umrah Packages"। EZ Hajj Groups। ১৪ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০২২।
- ↑ "Saudi Arabia's Latest Challenge: Containing Covid-19 During the Hajj"। Wall Street Journal। ২৫ জুলাই ২০২০। ২৬ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০২০।
- ↑ McCarthy, Niall। "Chinese New Year: The World's Largest Human Migration Is About To Begin"। Forbes।
- ↑ "Number of foreign Hajis grows by 2,824 percent in 92 years"। The News International। ২ নভেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ "Reduction in Hajj 2013 Quota" (সংবাদ বিজ্ঞপ্তি)। Ministry of External Affairs, Government of India। ৮ জুলাই ২০১৩। ২৮ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ "Saudi Arabia cuts Hajj Quota for foreign pilgrims by 20 percent"। Yahoo News। ১৯ জুন ২০১৩। ৬ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩।
- ↑ Supratman, Frial Ramadhan (২০২০-১২-৩০)। "Hajj and the chaos of the Great War: Pilgrims of the Dutch East Indies in World War I (1914-1918)": 167–178। আইএসএসএন 2502-3489। ডিওআই:10.15575/jw.v5i2.8584।
- ↑ ক খ গ "Number of foreign Hajis grows by 2,824 percent in 92 years"। The News International। ২ নভেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ Long, Matthew (২০১১)। Islamic Beliefs, Practices, and Cultures। Marshall Cavendish Corporation। পৃষ্ঠা 86। আইএসবিএন 978-0-7614-7926-0। ১৬ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ ক খ গ ঘ The Hajj: Pilgrimage in Islam। Cambridge University Press। ২০১৬। পৃষ্ঠা 132। আইএসবিএন 978-1-107-61280-8। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ Tourism and the Less Developed World: Issues and Case Studies। CABI Publishing। ২০০১। পৃষ্ঠা 156। আইএসবিএন 978-0-85199-433-8। ২৭ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ ক খ "Record number of pilgrims arrive for 1417 Hajj"। Royal Embassy of Saudi Arabia। ১৫ এপ্রিল ১৯৯৭। ১৮ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ "Final statistics for Hajj 1418 pilgrims"। Royal Embassy of Saudi Arabia। ৮ এপ্রিল ১৯৯৮। ৩ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ ক খ "Ministry of Pilgrimage figures released for 1420 Haj"। Royal Embassy of Saudi Arabia। ২০ মার্চ ২০০০। ৩১ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ "Successful culmination of Hajj 1421"। Royal Embassy of Saudi Arabia। ৯ মার্চ ২০০১। ১১ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ "Tragic deaths reported in crowding at Mina"। Royal Embassy of Saudi Arabia। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০০৩। ৭ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ ক খ "Culmination of 1424 Hajj witnesses stampede deaths"। Royal Embassy of Saudi Arabia। ১ ফেব্রুয়ারি ২০০৪। ৫ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ "Hajj proceeding without incident"। Royal Embassy of Saudi Arabia। ৩০ জানুয়ারি ২০০৪। ৫ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ "Prince Abdulmajeed declares Hajj 1425 a success"। Royal Embassy of Saudi Arabia। ২৫ জানুয়ারি ২০০৫। ২৬ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০০৯।
- ↑ "Number of Hajj pilgrims tops 2 million"। Royal Embassy of Saudi Arabia। ১০ জানুয়ারি ২০০৬। ১৬ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ "More than 2.3 million pilgrims perform the Hajj this year"। Royal Embassy of Saudi Arabia। ৩০ ডিসেম্বর ২০০৬। ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০০৯।
- ↑ "More than 1.7 million pilgrims have arrived in Saudi Arabia for the Hajj"। Royal Embassy of Saudi Arabia। ১৭ ডিসেম্বর ২০০৭। ২ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০০৯।
- ↑ "How Many Attended the Hajj?"। Crossroads Arabia। ২৩ ডিসেম্বর ২০০৭। ২৫ ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Record number of pilgrims arrive for Hajj"। Royal Embassy of Saudi Arabia। ৬ ডিসেম্বর ২০০৮। ১২ জুন ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০০৯।
- ↑ "2,521,000 million pilgrims participated in Hajj 1430"। Royal Embassy of Saudi Arabia। ২৯ নভেম্বর ২০০৯। ১২ জুন ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০০৯।
- ↑ "2.8 million pilgrims participated in Hajj 1431"। Royal Embassy of Saudi Arabia। ১৮ নভেম্বর ২০১০। ১৫ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০১০।
- ↑ "2,927,717 pilgrims performed Hajj this year"। Royal Embassy of Saudi Arabia। ৬ নভেম্বর ২০১১। ২৮ জুন ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১২।
- ↑ "3,161,573 pilgrims perform Hajj this year"। Royal Embassy of Saudi Arabia। ২৭ অক্টোবর ২০১২। ২৬ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৩।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ "2018-1439 Hajj Statistics" (পিডিএফ)। General Authority for Statistics Kingdom of Saudi Arabia। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০২০।
- ↑ "1,379,531 pilgrims from 188 countries arrived for Hajj"। Royal Embassy of Saudi Arabia। ১৩ অক্টোবর ২০১৩। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪।
- ↑ "Small increase in foreign pilgrims"। Royal Embassy of Saudi Arabia। ২ অক্টোবর ২০১৪। ৯ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ "1,384,941 foreign pilgrims participated in Hajj"। Royal Embassy of Saudi Arabia। ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
- ↑ ক খ গ "Saudi Arabia says Hajj 2016 receives 1.8 million pilgrims"। Al Arabiya English। ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬। ৯ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
- ↑ "Haj Statistics"। General Authority for Statistics, Kingdom of Saudi Arabia। ২০১৭। ২০ জুন ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Haj Statistics"। General Authority of Statistics, Kingdom of Saudi Arabia। ২২ আগস্ট ২০১৮। ১৮ এপ্রিল ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ "Around 2.5 million pilgrims take part in Hajj this year"। Arab News। ১০ আগস্ট ২০১৯। ১৬ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Saudi Arabia to restrict domestic haj pilgrims amid coronavirus fears"। Reuters। ২৩ জুন ২০২০। ৫ মে ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০২২।
- ↑ ক খ "Saudi Arabia says hajj to be limited to 60,000 in kingdom"। Associated Press। ১২ জুন ২০২১। ৫ মে ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০২২।
- ↑ ক খ "Hajj Statistics 1442 (2021)" (পিডিএফ)। General Authority for Statistics।
- ↑ ক খ গ "GASTAT: A total of 899,353 pilgrims perform Hajj"। Saudi Gazette (English ভাষায়)। ২০২২-০৭-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-২০।
আরও পড়ুন
সম্পাদনা- Bianchi, Robert R. (২০০৪)। Guests of God: Pilgrimage and Politics in the Islamic World। Oxford University Press। আইএসবিএন 978-0-19-517107-5।
- Hammoudi, Abdellah (২০০৬)। A Season in Mecca: Narrative of a Pilgrimage। Hill and Wang। আইএসবিএন 978-0-8090-7609-3।
- Khan, Qaiএর দশকra, "Hajj & 'Umra", in Muhammad in Hiএর দশকtory, Thought, and Culture: An Encyclopedia of the Prophet of God (2 volএর দশক.), edited by C. Fitzpatrick and A. Walker, এর দশকanta Barbara, ABC-CLIO, 2014, Vol. I, pp. 239–245.
- Patler, Nicholas (২০১৭)। From Mecca to Selma: Malcolm X, Islam, and the Journey tnto the American Civil Rights Movement। The Islamic Monthly। ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- Trojanow, Ilija (২০০৭)। Mumbai to Mecca: A Pilgrimage to the Holy Sites of Islam। Haus Publishing। আইএসবিএন 978-1-904950-29-5।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- হজ: একটি সাংস্কৃতিক ইতিহাস – অনলাইন প্রদর্শনী
- ম্যাপিং ফেইথ: দ্য পিলগ্রিমেজ টু মক্কা ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ আগস্ট ২০২৩ তারিখে – সিএনএন ইন্টারেক্টিভ ফিচার
- PBএর দশক দ্বারা ভার্চুয়াল হজ
- The Hajj Goeএর দশক High Tech – টাইম ম্যাগাজিনের ছবির প্রবন্ধ
- ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে গুগল আর্থের মাধ্যমে হজের ক্রম ব্যাখ্যা করা হয়েছে