ফরজ
এই নিবন্ধটি এমনভাবে লেখা হয়েছে যে মনে হচ্ছে এটি একটি ব্যক্তিগত ভাবনা বা মতামত সম্বলিত রচনা এবং হয়তো নিবন্ধটির পরিচ্ছন্নকরণ প্রয়োজন। (এপ্রিল ২০২১) |
এই নিবন্ধটি অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত।(জানুয়ারি ২০১৮) |
ফরজ (আরবি: فَرَضْ) সরাসরি মুসলিম সমাজের সাথে সম্পৃক্ত, একটি আরবি শব্দ যা অবশ্য কর্তব্য কোন ধর্মীয় আচারকে নির্দেশ করে। ইসলাম ধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল-কুরআনের সূরা আন-নূর এর ১নং আয়াতে ব্যবহারের কারণে, ফরজকে একটি কুরআনিক শব্দেও অভিহিত করা হয়।
سُوۡرَۃٌ اَنۡزَلۡنٰہَا وَفَرَضۡنٰہَا وَاَنۡزَلۡنَا فِیۡہَاۤ اٰیٰتٍۭ بَیِّنٰتٍ لَّعَلَّکُمۡ تَذَکَّرُوۡنَ
অনুবাদ; একটি সূরাহ্ --এটি অবতারণ করেছি এবং এটিকে অবশ্য-পালনীয় (ফরজ) করেছি, আর এত অবতারণ করেছি সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর। [সূূূরা আন-নূূর, আয়াত ১][১]
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
সম্পাদনাফার্সি, তুর্কি, উর্দু, হিন্দি ভাষায়ও ফরজ একই অর্থে ব্যবহৃত হয়। ইসলাম ধর্মে ফরজ বলতে বুঝায়– আল্লাহ তাঁর অনুসারীদের উপর যেসব কাজ আবশ্যক করেছেন। যে সকল মুসলমান এই আবশ্যক কাজগুলো পালন করবেন তারা মুক্তি ও সওয়াব অর্জন করবেন।
শ্রেণিবিভাগ
সম্পাদনাফিকাহ্ ফরজকে দুই শ্রেণিতে ভাগ করেছে।
ফরজ-এ-আইন
সম্পাদনা- সকল মুসলমানকে ব্যক্তিক পর্যায় থেকে এই কাজগুলো পালন করতে হবে। যেমন- প্রতিদিনের নামাজ, রমজান মাসের রোজা ও জীবনে অন্তত একবার হজ্জ (যদি সামর্থ থাকে),যাকাত আদায়।
ফরজ-এ-কিফায়াহ
সম্পাদনা- কোন সম্প্রদায় বা উম্মাহর উপর আরোপিত কর্তব্য। যেমন- জানাজার নামাজ, সম্প্রদায়ের সকল সদস্যকে অংশগ্রহণ করতে হয় না বরং সেখান থেকে যথেষ্ট পরিমাণ মানুষ অংশগ্রহণ করলেই চলে।[২]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "সূরা আন-নূর শ্লোক/আয়াত 1 | 24:1 النور - Quran O"। qurano.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১৭।
- ↑ সাত্তার, মাওলানা শাহ আবদুস। "সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত সালাত"। দৈনিক কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মে ২০১৮।