স্ফুলিঙ্গ (চলচ্চিত্র)
স্ফুলিঙ্গ ২০২১ সালের বাংলাদেশি বাংলা নাট্য চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটির কাহিনি, চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনা করছেন তৌকির আহমেদ।[১] এটি তৌকির আহমেদ পরিচালিত সপ্তম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। ছায়াছবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গড়া উঠতি স্বাধীন সঙ্গীতদলের সদস্যদের নিজ পারিবারিক বন্ধন, প্রেম ও দ্বন্দ্বের পাশাপাশি তাদের দেশপ্রেমে শেখ মুজিবের আদর্শ, অতীতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া তাদের বয়সী তরুণদের মনোবল ও বিভিন্ন পরিস্থিতির সাথে বর্তমান সময়ের তারুণ্যের সমান্তরাল গল্পের চিত্রায়ণ ঘটেছে। চিত্র্যনাট্যের মূল চরিত্রসমূহে অভিনয় করেছেন শ্যামল মাওলা, জাকিয়া বারী মম, পরীমনি, মামুনুর রশীদ, আবুল হায়াত, শহীদুল আলম সাচ্চু, রওনক হাসান, ফখরুল বাশার মাসুম ও হাসনাত রিপন।
স্ফুলিঙ্গ | |
---|---|
পরিচালক | তৌকীর আহমেদ[১] |
প্রযোজক | স্বপ্নের বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন[২] |
রচয়িতা | তৌকীর আহমেদ |
চিত্রনাট্যকার | তৌকীর আহমেদ[১] |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার | পিন্টু ঘোষ রোকন ইমন[৩] |
চিত্রগ্রাহক | এনামুল হক সোহেল[৪] |
সম্পাদক | অমিত দেবনাথ[৫] রঙ বিন্যাস: |
প্রযোজনা কোম্পানি | নক্ষত্র চলচ্চিত্র |
পরিবেশক | অভি কথাচিত্র[৬] বায়োস্কোপ ফিল্মস ইউএসএ[৭] |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৫২ মিনিট |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
২০২০ সালের ১১ ডিসেম্বর হতে স্বপ্নের বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের প্রযোজনায় নক্ষত্র চলচ্চিত্রের ব্যানারে ছবির মুখ্য চিত্রগ্রহণ শুরু হয়।[২] বাংলাদেশের গাজীপুরের বিভিন্ন স্থান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও মানিকগঞ্জে ২৬ কার্যদিবসে চলচ্চিত্রটির সম্পূর্ণ চিত্রগ্রহণ করা হয়েছিল। পিন্টু ঘোষ ও রোকন ইমন চলচ্চিত্রটির সঙ্গীতায়োজন ও সঞ্চালন করেছেন। কলকাতায় এটির চিত্রগ্রহণ পরবর্তী সম্পাদনা করা হয়। ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে অভি কথাচিত্রের পরিবেশনায় বাংলাদেশে এবং ২০২২ সালের ১৮ মার্চ বায়োস্কোপের পরিবেশনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাগৃহে কাহিনিচিত্রটির বাণিজ্যিক মুক্তি দেয়া হয়। গল্প বর্ণনায় মন্থরতা বাদে চলচ্চিত্রটি বিষয় নির্বাচনে নতুনত্ব, পরিচ্ছন্ন নির্মাণ, সংলাপ, শিল্পীদের পরিমিত ও বিশ্বাসযোগ্য অভিনয়, এবং মৌলিক সঙ্গীতের জন্য সমালোচকদের ইতিবাচক অভ্যর্থনা অর্জন করে। চলচ্চিত্রটি শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে।
কাহিনি
সম্পাদনাসমসাময়িক বাংলাদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পার্থ, আইরিন ও জাফর। পার্থ অর্থনীতির ছাত্র। পড়ালেখার পাশাপাশি কবিতা লিখে আর গান গায়। আইরিন ও জাফর তাদের আরো কিছু সহপাঠি মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উঠতি একটি সঙ্গীতদলের সদস্য। জাফর দলটির মূল গায়ক। এক কনসার্টে তাদের পরিচিত সঙ্গীতশিল্পী রাজু নিজের সাথে সঙ্গীত পরিবেশন করতে আহবান জানায়। ঘটনাচক্রে জাফরের জায়গায় পার্থ দলটির হয়ে পরিবেশন করে। রাজু তাদের ভাল পরিবেশনা দেখে বাংলাদেশের বিজয় দিবসে আসন্ন একটি কনসার্টে অংশ নেয়ার আমন্ত্রণ জানায়। আইরিন পার্থকে তাদের ব্যান্ডে যোগ দেয়া আর বিজয় দিবসের কনসার্টে নতুন মৌলিক গান লেখার আমন্ত্রণ জানায়। আইরিনের প্রেমে মগ্ন জাফর, বিষয়টি মেনে নিতে পারেনা। নতুন গান লেখার জন্য দলের সবাইকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও শেখ মুজিবুর রহমানের বিভিন্ন বই পড়তে দেয় পার্থ, নিজেও পড়া শুরু করে। অনুপ্রেরণা নিতে ৭ মার্চের ভাষণ দেখে সে। বইপড়ার সময় জাফর বাদে সবাই নিজেকে প্রশিক্ষণরত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কল্পনা করে।
পার্থ তার প্রেমিকা দিবা'র বাসায় তার মুক্তিযোদ্ধা বাবার সাথে দেশ নিয়ে আলাপ করে। তার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে আলাপে মগ্ন হয় পার্থ। অতীতে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞ চালায়, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও শরণার্থীদের সাহায্যে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেন ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’-এ 'বাংলা দেশ' গানটি গাইছেন জর্জ হ্যারিসন এবং অন্যরা। বর্তমানে এক কনসার্টে পার্থ এই গানটি পরিবেশন করে শ্রোতাদের প্রশংসা পায়। শ্রেণীকক্ষে পার্থ'দের শিক্ষক দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন পছন্দ করেন না, এইগানকে তিনি 'পলিটিক্যাল গান' তকমা দিয়ে পার্থকে বিশ্ববিদ্যালয় 'পড়ালেখার জায়গা পলিটিক্সের জায়গা নয়' বলে গান গাইতে নিরুৎসাহিত করেন। তিনি প্রায়ই পার্থকে ক্লাসে অপদস্থ করেন। গভীর রাতে গাড়িতে পার্থ এবং তার বন্ধু নিষিদ্ধ পানীয় নিয়ে ঘরে ফিরছে, পথে গাড়ি থামিয়ে পুলিশ জেরা করে। অতীতে ১৯৭১-এ একটি বাসের অন্যান্য যাত্রীদের মাঝে দুই তরুণ মুক্তিযোদ্ধা। বাস থামিয়ে পাকিস্তানি সেনারা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরিচয় জানতে চাইলে মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের ছাত্র দাবী করে, পরিচয়পত্র দেখায়।
পার্থ'র বাবা তার পেনশনের টাকা পাচ্ছেন না। কথা বলতে সরকারী হিসাবরক্ষণ কার্যালয়ে যান, কিন্তু উৎকোচের চাহিদার কারণে টাকা তুলতে পারেন না। পার্থকে নিয়ে সেই কর্তার সাথে দেখা করেন। ঘুষ না দেয়ায় সেই কর্তা আবারো পার্থ'র বাবার পেনশনের টাকা ছাড় করতে গরিমসি দেখান, পার্থ উত্তেজিত হয়ে হিসাবরক্ষকের গায়ে হাত তোলেন, অন্যরা তাকে থামায়। বিষণ্ন পার্থ ঘরে ফিরে শেখ মুজিবের সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশে জনসাধারণের কল্যাণে কাজ করার ভাষণ দেখেন। তাদের সঙ্গীতদল বিজয় দিবসের কনসার্টের জন্য নির্বাচিত হয়। আইরিনের বাসায় এজন্য পার্টি রাখা হয়। ক্লান্ত পার্থ আইরিনের বাসায় ঘুমিয়ে পড়ে। এসময় দিবা'র বাবা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরদিন সকালে হাসপাতালে গিয়ে পার্থ দিবাকে মোবাইল ফোন বন্ধ রাখা আর বিপদের সময় আসতে না পারার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে। দিবার বাবা তার কেবিন থেকে হাসপাতালের বারান্দায় পার্থ আর দিবা'র আলাপ শুনে তাদের প্রেমের বিষয়টি আঁচ করতে পারেন। তিনি দিবার সাথে আসিফের বিয়ে ঠিক করেন।
পার্থ দেশাত্মবোধক গান লিখে সুর করে ফেলে, কিন্তু জাফরের পছন্দ হয়না। জাফরের বাবা আজমত পার্থ'র শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশপ্রেমের রাজনীতি ঠেকাতে পরামর্শ দেন। এসময় আইরিন ও অন্যান্যরা জাফরের সাথে দেখা করতে আসে। পার্থকে বাদ দিয়েই কনসার্টে দেশের গান গাওয়ার পরিকল্পনা করে, কিন্তু জাফর 'না' করে দেয়। দলের সবাই জাফরকে ছাড়াই কনসার্টে গাওয়ার স্বিদ্ধান্ত নেয়। সবাই চলে গেলে জাফর আইরিনকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। আইরিন জাফরকে প্রত্যাখ্যান করে চলে আসে। আইরিন তার মায়ের সাথে কমবয়সি এক ছেলের সাথে সখ্যতা, পারিবারিক আর আবেগের দুরত্বের কারণে অবষাদগ্রস্থ ও বিষণ্ণ হয়ে পড়ে।
দিবা আসিফকে তার প্রেমের কথা জানায়। এরমাঝে পার্থকে পরীক্ষায় ইচ্ছাকৃত অকৃতকার্য করা হয়, এটা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন শুরু হয়। এই পরিস্থিতিতে পার্থ'র বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন, পার্থ আর দিবা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। টাকা ধার নিতে পার্থ আইরিনের কাছে গেলে, তাকে মদ্যপ অবস্থায় পায়, টাকা না পেয়ে ফিরে আসে। অতীতে তরুন মুক্তিযোদ্ধারা সিদ্ধিরগঞ্জ অপারেশন করতে গিয়ে পাক-বাহিনির হাতে ধরা পড়ে। তাদের জেরা আর নির্যাতন করে। তরুণ মুক্তিযোদ্ধাদের অস্বীকৃতির পর তাদের হত্যা করা হয়। বর্তমানে পার্থকে পুলিশ আইরিনের ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার করে। জেলে বসে পার্থ তার বাবার মৃত্যু সংবাদ পান। পুলিশ তাকে জেরা করে, নির্যাতন চালায়। দিবা পার্থ'কে জেল থেকে মুক্ত করার জন্য আসিফকে বিয়ে করার শর্তে মামলায় লড়তে প্রস্তাব দেয়। মামলায় প্রমাণ হয় পার্থ নয়, জাফর আইরিনকে ধর্ষণ করেছিল। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে তদন্ত করে পার্থকে ইচ্ছাকৃতভাবে অকৃতকার্য করার প্রমাণ পায়। আজমতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ বিরোধী কর্মকান্ডের তদন্ত শুরু হয়, তদন্ত এড়াতে দেশ ছেড়ে যাওয়ার সময় আজমতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আসিফ শর্ত ভেঙ্গে দিবাকে পার্থ'র কাছে দিয়ে আসেন। বিজয় দিবসের কনসার্টে পার্থ, আইরিন, দিবা আর সঙ্গীতদলের সবাই মিলে রাজুর সাথে দেশের গান পরিবেশন করে।
কুশীলব
সম্পাদনা- শ্যামল মাওলা[৯] - পার্থ[১০]
- স্ফুলিঙ্গের কেন্দ্রীয় চরিত্র। পুরো কাহিনি পার্থকে ঘিরে আবর্তিত।[১০] বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির ছাত্র। একইসাথে একটি উঠতি সঙ্গীতদলের সদস্য। দিবাকে ভালবাসেন। সাম্যবাদী আদর্শের কারণে বাবার পেনশনের টাকা উদ্ধারে ঘুষ চাওয়া কর্মকর্তার প্রতি মারমুখী হন। নিজের স্বাধীনচেতা মনোভাবের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের সাথে তার আদর্শিক দ্বন্দ্ব থাকে। কবিতা ও গান লেখা ও গাওয়ার জন্য আইরিন তাকে দলের মূল পুরুষকন্ঠ হিসেবে গাইতে বলেন। আইরিনের ধর্ষণ মামলায় তাকে প্রধান আসামী বানানো হয়। অতীতের গল্পে সে একজন মুক্তিযোদ্ধা। পাক হানাদার বাহিনি তাকে হত্যা করে। এটি ছিল যেকোনো ছায়াছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে শ্যামল মাওলার প্রথম কাজ।[১১][৪] অভিনয়ের প্রস্তুতির জন্য শ্যামল মঞ্চে গান গাওয়া শিখেছিলেন।[১২]
- মামুনুর রশীদ[১৩] - পার্থ'র বাবা, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক।
- সরকারী বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন, বর্তমানে অবসর নিয়েছেন। পেনশনের টাকা পাওয়ার সরকারী অফিসে ধরনা দেন। সংশ্লিষ্ট কর্তা ঘুষ চাওয়ায় পেনশনের টাকা তুলতে পারেন না। পার্থকে নিয়ে পেনশনের টাকা উদ্ধার করতে যান। কর্মকর্তাদের হয়রানির জন্য অসুস্থ হয়ে পরেন। মামুনুর রশীদ তৌকিরের নির্দেশনায় ছায়াছবিতে কাজ করার জন্য উদগ্রীব ছিলেন। স্ফুলিঙ্গের মাধ্যমে প্রথম বার তৌকিরের পরিচালনায় কাজ করেন।[১৩]
- বর্তমানে পার্থ'র প্রেমিকা। ধীর স্থির শান্ত স্বভাবের মেয়ে, বাবার সাথে থাকেন। সচ্ছল আইনজীবি আসিফের সাথে তার বিয়ে ঠিক হয়। তবুও পার্থ'র প্রতি অনুরক্ত। আইরিনকে ধর্ষণের মামলায় পার্থকে গ্রেফতার করা হলেও তার প্রতি বিশ্বস্ত থাকেন। পরবর্তীতে সঙ্গিতদলের গায়িকা হিসেবে যোগ দেন।[৪] অতীতে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসায় নিয়োজিত সেবিকা।[১৫][১৬] এটি তৌকিরের পরিচালনায় পরীমনি'র প্রথম অভিনীত চরিত্র।[১৭]
- জাকিয়া বারী মম[১৮] - আইরিন[১৯]
- বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। অভিজাত ও স্বাধীনচেতা। পড়ালেখার পাশাপাশি একটি সঙ্গীতদলের সদস্য। স্বাধীন জীবন-যাপনে অভ্যস্ত। পার্থকে নতুন সদস্য হিসেবে সঙ্গীতদলের মূলকন্ঠ হিসেবে নিতে আগ্রহী, একই ব্যান্ডের জাফর তার প্রেমে আকর্ষিত হলেও জাফরের প্রতি সে অনাগ্রহী। বাবাহারা, মায়ের সাথে বড় হলেও আবেগের দুরত্বের কারণে একাকী। অতীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন মুক্তিযোদ্ধা। মম এই চরিত্রে রূপদানের মাধ্যমে দারুচিনি দ্বীপ মুক্তির ১৩ বছর পর পুনরায় তৌকিরের পরিচালনায় অভিনয় করেন।[১৮][৪]
- হাসনাত রিপন[২০] - জাফর
- বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী ধনী বাবার একমাত্র সন্তান। আইরিন পার্থদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন। সঙ্গীতদলের মূলকন্ঠ আর বেশিভাগ যন্ত্রের যোগানদাতা সদস্য হিসেবে পার্থ'র লেখা গান ও প্রধান কন্ঠ হিসেবে তাকে মেনে নিতে পারেন না। দলে পার্থ'র প্রতি আইরিনের সহানুভূতি তাকে বিগড়ে দেয়। আইরিনের প্রতি দূর্বলতা থাকে। ভালবাসার কথা জানালেও আইরিন কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হন। আইরিনকে ধর্ষণ করে পার্থকে মামলায় ফাসিয়ে দেন। অভিনয়ের পাশাপাশি হাসনাত এই ছবির শিল্প নির্দেশক ছিলেন।[২০]
- আবুল হায়াত - বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক
- পার্থদের অর্থনীতি পাঠ দেন। পার্থ'র স্বাধীনচেতা প্রশ্ন করলে তাকে 'কমিউনিস্ট' বলে ব্যঙ্গ করেন। পার্থরা এক অনুষ্ঠানে বাংলা দেশ গান গাইলে, এটাকে পলিটিক্যাল গান বলে মন্তব্য করেন। ছাত্রদের সাথে তার আদর্শিক দ্বন্দ্ব থাকে। পার্থকে ইচ্ছাকৃত ভাবে পরীক্ষায় অকৃতকার্য করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী মনোভাব নিয়ে চলেন, জাফরের বাবার সাথে ভাল সম্পর্ক ধরে রাখেন। আবুল হায়াত নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করেছেন।[১০]
- শহীদুল আলম সাচ্চু[১৩] - আজমত
- জাফরের বাবা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী মনোভাব নিয়ে চলেন। স্ত্রীকে প্রহার করেন। পার্থকে পরীক্ষায় আটকে দেয়ার মন্ত্রণা দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পার্থ'র শিক্ষকের সাথে তার ভাল সম্পর্ক। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ কর্মকান্ড তার অপছন্দ।
- রওনক হাসান - আসিফ
- একজন কেতাদুরস্থ, বিদেশফেরত ও প্রতিষ্ঠিত আইনজীবি। দিবা'র বাবা আসিফের সাথে দিবার বিয়ে দিতে চান। দিবা পার্থকে ভালবাসে জানার পরেও দিবার অনুরোধে পার্থর হয়ে মামলায় লড়েন। শর্ত দেন মামলায় জিতলে দিবা তাকে বিয়ে করবে, তবে মামলায় জিতে দিবাকে পার্থ'র কাছে দিয়ে আসেন। রওনক হাসান এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য চিত্রনাট্য না পড়েই, শুধুমাত্র তৌকিরের পরিচালনায় অভিনয়ের জন্য সম্মতি দিয়েছিলেন।[১৩]
- ফখরুল বাশার মাসুম[১০] - দিবা'র বাবা
- একজন কবি ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধা।[৫] পার্থর সাথে আদর্শিক মিল আছে। পার্থর সাথে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আলাপ করেন। বিজয় দিবসের একটি কনসার্টে দেশাত্মবোধক গান করার জন্য পার্থকে উৎসাহ দেন। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর পার্থর সাথে দিবা'র প্রেমের ব্যাপার জেনে ফেলেন। পার্থকে পছন্দ করলেও আসিফের সাথে দিবা'র বিয়ে ঠিক করেন।
- পিন্টু ঘোষ - রাজু[২১]
- একজন জ্যৈষ্ঠ সঙ্গীতশিল্পী। পার্থ, আইরিন, জাফরদের বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক সঙ্গীতদলের সবাই তার ভক্ত। রাজু একটি কনসার্টে তাদের সাথে পরিবেশনা করেন। সঙ্গীতে ভাল করার উৎসাহ দেয়ার পাশাপাশি আইরিনদের দলকে বাংলাদেশের বিজয় দিবসের একটি কনসার্টে পরিবেশনার জন্য সুযোগ করে দেন। ২০০৫ সাল হতে তিনটি নাটকে অভিনয় করলেও এটি যেকোন চলচ্চিত্রে পিন্টু ঘোষের প্রথম অভিনয়।[৪] স্ফুলিঙ্গে অভিনয় ছাড়াও পিন্টু, রোকন ইমনের সাথে মিলে সকল মৌলিক গানের সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা এবং গানে কন্ঠ দিয়েছেন।[২১]
এছাড়াও আইরিনের বিত্তবান মায়ের চরিত্রে করভী মিজান,[১০] সরকারী হিসাবরক্ষণ অফিসের কর্তার চরিত্রে ঝুনা চৌধুরী, জেরাকারী পুলিশকর্তার চরিত্রে এ কে আজাদ সেতু,[২২][১৬], সঙ্গীতদলের সদস্য হিসেবে লোচন পলাশ, রিফাত নোবেল ও চন্দ্রাবতী ইভা[১১] জাফরের নিগৃহীত মায়ের ভূমিকায় মিলি বাশার, অবিদ রেহান সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, পুলিশ, মুক্তিযোদ্ধা, রাজাকার, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনির সদস্য ও অন্যান্য গৌণ ভূমিকায় ৫০ জন শিল্পী স্ফুলিঙ্গে অভিনয় করেছেন।[২১][২৩]
প্রযোজনা
সম্পাদনাস্ফুলিঙ্গ তৌকির আহমেদ পরিচালিত সপ্তম চলচ্চিত্র। তৌকির করোনা মহামারির সংগনিরোধের সময় যুক্তরাষ্ট্রে থাকাকালীন দুইমাস সময় নিয়ে চিত্রনাট্য লিখেন। অভিনয়শিল্পী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে মঞ্চ ও টেলিভিশনের নিয়মিত শিল্পীদের প্রাধান্য দিয়েছেন।[২৪] ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর মুখ্য অভিনয়শিল্পীদের নাম প্রকাশসহ চলচ্চিত্রটি নির্মাণের ঘোষণা আসে।[৩][২৫] ঘোষণায় ফজলুর রহমান বাবু থাকলেও শেষ পর্যন্ত তিনি অভিনয় করতে পারেননি।[১৬] আবুল হায়াত, শহীদুল আলম সাচ্চু ও রওনক হাসান প্রত্যেকে তৌকিরের ফাগুন হাওয়ায় কাজ করেছিলেন,[২৬] স্ফুলিঙ্গের জন্য তাদের পুনরায় নেয়া হয়।[২৫] ১১ ডিসেম্বর হতে মুখ্য চিত্রগ্রহণ শুরু হয়।[২] সিংহভাগ দৃশ্যধারণ করা হয় গাজীপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে। গৃহমধ্যস্থ দৃশ্যধারণ রাজেন্দ্রপুরের নক্ষত্রবাড়িতে।[২৭] বাহিরের চিত্রগ্রহণ করা হয় মধুমতি মডেল টাউন, শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ, কাপাসিয়ায় শীতলক্ষ্যা নদী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,[২৩] গাজীপুরের রাজাপুরের চেনাসুখানিয়া গ্রাম,[৯] ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় খাড়েরা গ্রামে সূর্যমুখী ফুল চাষের এলাকায়।[২৪] কতিপয় দৃশ্যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত একটি বাসের ব্যবহার হয়েছে। এদৃশ্যগুলি মানিকগঞ্জ হতে গৃহীত। এনামুল হক সোহেলের চিত্রগ্রহণে[৪] সম্পূর্ণ চলচ্চিত্রায়ণ ২৬ দিনের মধ্যে শেষ হয়।[২৪] অমিত দেবনাথের সম্পাদনা শেষে[৪] আরীব আহমেদ ও মৌসুমী রায় চৌধুরী কর্তৃক ছবির সংলাপ ইংরেজিতে ভাষান্তর ও যুক্ত করা হয়।[২৮] চিত্রগ্রহণ পরবর্তী কিছু সম্পাদনার কাজ কলকাতায় করা হয়েছে।[২৯]
সঙ্গীত
সম্পাদনাস্ফুলিঙ্গ | |||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পিন্টু ঘোষ, মুত্তাকী হাসিব, সুকন্যা মজুমদার ঘোষ, বাসমা কাজী ও রোকন ইমন কর্তৃক চলচ্চিত্র সঙ্গীত | |||||||||
মুক্তির তারিখ | ২০২১ | ||||||||
ঘরানা | চলচ্চিত্র সঙ্গীত | ||||||||
দৈর্ঘ্য | ১৬:১৫ | ||||||||
সঙ্গীত প্রকাশনী | টাইগার মিডিয়া | ||||||||
প্রযোজক | পিন্টু ঘোষ ও রোকন ইমন | ||||||||
|
স্ফুলিঙ্গে সুরারোপ, সঞ্চালন এবং পরিচালনা করেন পিন্টু ঘোষ[২] ও রোকন ইমন।[৩] পিন্টু এর আগে তৌকিরের অজ্ঞাতনামা, হালদা ও ফাগুন হাওয়ায় সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন।[৩০] চলচ্চিত্রের জন্য ৩ মৌলিক গানের পাশাপাশি ১৯৭১ সালে ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’-এ জর্জ হ্যারিসনের গাওয়া ‘বাংলা দেশ’ গানটি নতুন করে সঙ্গীতায়োজন করা হয়।[৩১] এছাড়াও লালনের ‘দিন থাকিতে দ্বীনের সাধন’, শাহ আবদুল করিমের ‘বসন্ত বাতাসে সই গো’, হাসন রাজার ‘বন্ধে মায়া লাগাইছে’, আপেল মাহমুদের ‘তীর হারা এক ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দেবো রে’, ক্ষ্যাপা বাউলের 'দুনিয়াটা পাগল খানা', রিজভির 'পরিপাটি রাস্তায়' গানগুলি চিত্রনাট্যে ব্যবহার করা হয়েছে।[৫] মৌলিক গানগুলি টাইগার মিডিয়ার পরিবেশনায় সরাসরি ইউটিউবে প্রকাশিত হয়।[৩২]
'তোমার নামে' শিরোনামের গানে সুরারোপের পাশাপাশি গানটির কথা পিন্টু ঘোষ রচিত ছিল। ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত গানটি পিন্টু ঘোষ, মুত্তাকী হাসিব, সুকন্যা মজুমদার ঘোষ, বাসমা কাজী ও রোকন ইমনের কন্ঠে ধারণকৃত।[৩][৩৩] মুক্তাকি হাসিব 'বাংলা দেশ' গানের পুনর্নির্মাণে কন্ঠ দিয়েছেন।[৩১] 'বুঝিনা' শিরোনামের গানটি পিন্টু ঘোষের কথায় সুকন্যা মজুমদার ঘোষ ও পিন্টু ঘোষের দ্বৈতকন্ঠে গাওয়া এবং ২০২১ সালের ১৬ মার্চ প্রকাশিত হয়।[৩৪] সোমেশ্বর অলি রচিত 'এক মুজিব' গানটি মুত্তাকী হাসিব ও পিন্টু ঘোষের দ্বৈতকন্ঠে গাওয়া।[৩১] গানটি ছবি মুক্তির পর ২০২১ সালের জাতীয় শোক দিবসে উম্মুক্ত করা হয়।[৩৫]
সঙ্গীত তালিকা
সম্পাদনাসকল গানের সুরকার পিন্টু ঘোষ ও রোকন ইমন।
স্ফুলিঙ্গ: চলচ্চিত্র সঙ্গীত | ||||
---|---|---|---|---|
নং. | শিরোনাম | গীতিকার | শিল্পী | দৈর্ঘ্য |
১. | "তোমার নামে" | পিন্টু ঘোষ | পিন্টু ঘোষ, মুত্তাকী হাসিব, সুকন্যা মজুমদার ঘোষ, বাসমা কাজী ও রোকন ইমন | ০৪:৩১ |
২. | "এক মুজিব" | পিন্টু ঘোষ | মুত্তাকী হাসিব ও পিন্টু ঘোষ | ০৩:১০ |
৩. | "বুঝিনা" | সোমেশ্বর অলি | সুকণ্যা মজুমদার ঘোষ ও পিন্টু ঘোষ | ০৪:৩৭ |
৪. | "বাংলা দেশ" | জর্জ হ্যারিসন | মুত্তাকী হাসিব | ০৩:৫৭ |
মোট দৈর্ঘ্য: | ১৬:১৫ |
প্রচারণা ও মুক্তি
সম্পাদনাস্ফুলিঙ্গের প্রচারণা চলচ্চিত্রটির ট্রেলার, পোস্টার প্রকাশ ও কলাকুশলীদের সাক্ষাৎকারের মাঝে সীমাবদ্ধ ছিল। তৌকিরের পরিচালিত অন্যান্য ছায়াছবিগুলির মতই বড় পরিসরে চলচ্চিত্রটির প্রচারণা হয়নি।[২৪] ২০২১ সালের ২৪ জানুয়ারি 'প্রথম বর্ণন' ভিডিও প্রকাশের মাধ্যমে এটির প্রচারণা শুরু হয়েছিল।[৩৬] ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ, মুক্তিযুদ্ধের অগ্নিঝরা সময় ও বর্তমান তারুণ্যের ভাবনা দিয়ে সাজানো ট্রেলার প্রকাশিত হয় ১ মার্চে।[৩৭]
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড ২০২১ সালের ১৪ মার্চ চলচ্চিত্রটিকে প্রদর্শনের ছাড়পত্র দেয়।[৩৮] এটির পরিকল্পিত মুক্তির তারিখ দুইবার পিছিয়ে যায়। প্রথমত ১৭ মার্চ ও পরে ১৯ মার্চ বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহসমূহে মুক্তির জন্য পরিকল্পিত ছিল।[৩৯][৪০] ২৪ মার্চ চলচ্চিত্রটির প্রথম প্রদর্শনীর পর[৪১][১১] বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে অভি কথাচিত্রের পরিবেশনায় ৩৫টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়।[৬][৮] প্রেক্ষাগৃহ ছাড়া চলচ্চিত্রটি পরবর্তীতে ভিডিও চাহিদা-সেবা টফি'তে উম্মুক্ত করা হয়েছিল।[৪২] বাংলাদেশের বাইরে ২০২২ সালের ১৮ মার্চ বায়োস্কোপ ফিল্মস ইউএসএ ডিস্ট্রিবিউশনের পরিবেশনায় যুক্তরাষ্ট্রের ২৩টি প্রেক্ষাগৃহে স্ফুলিঙ্গের আন্তর্জাতিক মুক্তি দেয়া হয়।[৭]
অর্জন
সম্পাদনাসমালোচকদের অভ্যর্থনা
সম্পাদনাস্ফুলিঙ্গ মূলত চলচ্চিত্র সমালোচকদের, দর্শক এবং চলচ্চিত্র বোদ্ধাদের কাছ থেকে ইতিবাচক অভ্যর্থনা অর্জন করেছিল।[১৭] এছাড়াও ভিন্ন সমালোচকদের পর্যালোচনায় মিশ্র মূল্যায়ন লাভ করে।
কালের কন্ঠে মার্জিয়া আক্তার "সেলুলয়েডে জাতির জনকের দর্শন ও চিন্তা এবং একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধের সঙ্গে বর্তমান তারুণ্যের মেলবন্ধন তথা যোগসূত্র তৈরি"র জন্য তৌকিরকে কৃতিত্ব দিয়েছেন। ছবির সঙ্গীত; আলোক ও শব্দ বিন্যাস, সম্পাদনা; মূখ্য চরিত্রে শ্যামল মাওলা, পরিমনি ও মম আর প্বার্শচরিত্রাভিনেতাদের অনবদ্য ও বিশ্বাসযোগ্য অভিনয়ের প্রশংসা করেন, প্রশংসার পাশাপাশি চিত্রগ্রহণ সম্পর্কে "একই লোকেশনে বার বার শ্যুটিং নান্দনিকতা ও বিশ্বাস যোগ্যতায় ছেদ ঘটিয়েছে"; ক্ষেত্রবিশেষে চিত্রগ্রহণে আপোষ করার কারণে "চলচ্চিত্রের চলমানতা সবসময় অনুভূত হয়নি" মন্তব্য করেন।[১০] সারাবাংলা.নেট-এ মোমিন রহমান "‘স্ফুলিঙ্গ’ আসলে সত্যিকারের চলচ্চিত্র ও ফর্মুলাভিত্তিক চলচ্চিত্রের মিশেল" আখ্যা দিয়েছেন। তিনি অমিত দেবনাথের সম্পাদনা, সংলাপ ও শ্যামল মাওলা'র অভিনয়ের প্রশংসা করেন; তবে কাহিনিবিন্যাস ও চিত্রনাট্যে দুর্বলতা দেখেছেন।[৫] সমকাল পত্রিকায় এক মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় সালাহউদ্দিন লাভলু স্ফুলিঙ্গকে একটি পরিচ্ছন্ন ভাবে নির্মিত ছায়াছবি হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি সকল শিল্পীদের অভিনয় বিশেষ করে পরিমনিকে তার পরিমিত অভিনয়ের জন্য বাহবা দিয়েছেন। আলাদা করে নির্মাণ ব্যবস্থাপনা আর সঙ্গীত পরিচালনার জন্য তৌকির ও পিন্টু সম্পর্কে ইতিবাচক মন্তব্য করেন। খামতি হিসেবে ছবির প্রথমার্ধ তার কাছে ধীরগতির মনে হয়েছে। তার ভাষ্যে "প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত যে টানটান গতি থাকা দরকার, সেই জায়গায় একটু দুর্বলতা ছিল।"[৪৩] বাংলা মুভি ডেটাবেজে-এ রহমান মতি স্ফুলিঙ্গকে তৌকীর আহমেদের বিষয় নির্বাচনে সম্পূর্ণ নতুন একটি ছবি হিসেবে বর্ণনা করেছেন। "‘স্ফুলিঙ্গ’ মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে তারুণ্যের ফ্রেমে বেঁধে পরিবেশন করা হয়েছে। দৃষ্টিকোণ অনেকটাই নতুন..." মর্মে মন্তব্য করেছেন। নেপথ্য সঙ্গীত ও মন্থর গতি বাদে সামগ্রিকভাবে চলচ্চিত্রটি তার কাছ থেকে রেটিং পায়।[৪৪]
পুরস্কার
সম্পাদনাস্ফুলিঙ্গের সংলাপ রচনার জন্য তৌকীর আহমেদ ৪৬তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আসরে শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতার পুরস্কার পেয়েছেন।[৪৫]
পুরস্কার | প্রদানের তারিখ | বিভাগ | প্রাপক | ফলাফল | সূত্র. |
---|---|---|---|---|---|
৪৬তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার | ৯ মার্চ ২০২৩ | শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা | তৌকীর আহমেদ | বিজয়ী | [৪৬] |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ আহসান, সোহেল (২০২১-০১-১২)। "আমি গতানুগতিক ছবি নির্মাণ করি না"। দৈনিক যুগান্তর। ২০২১-১১-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৬।
- ↑ ক খ গ ঘ "কাল শুটিংয়ে যাচ্ছে তৌকীরের 'স্ফুলিঙ্গ', মুক্তি মার্চে"। এনটিভি অনলাইন। ২০২০-১২-১০। ২০২১-১১-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৬।
- ↑ ক খ গ ঘ "'স্ফুলিঙ্গ' সিনেমার প্রথম গান প্রকাশ"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ২০২১-০২-১৫। ২০২১-১১-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-১৭।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ ফেরদৌস, আফজালুর (২০২১-০৩-০৩)। "সময় এখন স্ফুলিঙ্গ'র"। সিনেগল্প। ২০২২-০৮-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-২১।
- ↑ ক খ গ ঘ রহমান, মোমিন (২০২১-০৪-০৩)। "'স্ফুলিঙ্গ'-এ আগুন নেই"। সারাবাংলা.নেট। ২০২২-০১-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-১৫।
- ↑ ক খ "যেসব সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে তৌকীর আহমেদের স্ফুলিঙ্গ"। জাগো নিউজ। ২০২১-০৩-২৪। ২০২১-১১-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-১৭।
- ↑ ক খ গ রহমান, শামস (২০২২-০৩-২৫)। "যুক্তরাষ্ট্রের ২৩ থিয়েটারে মুক্তি পেল 'স্ফুলিঙ্গ'"। ঠিকানা। ২০২২-০৭-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-২৬।
- ↑ ক খ "প্রেক্ষাগৃহে মম–শ্যামল–পরীমনিদের সিনেমা"। প্রথম আলো। ২০২১-০৩-২৬। ২০২১-১১-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-১৭।
- ↑ ক খ "তৌকীরের 'স্ফুলিঙ্গ'তে নায়ক শ্যামল মাওলা"। দৈনিক যুগান্তর। ২০২০-১২-১০। ২০২১-০৮-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-২৩।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ আক্তার, মার্জিয়া (২০২১-০৪-০৭)। "'স্ফুলিঙ্গ' সিনেমার ভালো মন্দ"। কালের কণ্ঠ। ২০২২-০১-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-১৫।
- ↑ ক খ গ "যমজ প্রদর্শনী, 'স্ফুলিঙ্গ' উদ্যাপন"। প্রথম আলো। ২০২১-০৩-২৫। ২০২১-১১-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-১৭।
- ↑ "মুক্তির অপেক্ষায় মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র 'স্ফুলিঙ্গ'"। ডিবিসি নিউজ। ২০২১-০৩-২৫। ২০২২-০১-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-২৩।
- ↑ ক খ গ ঘ "তৌকীরের নতুন সিনেমা 'স্ফুলিঙ্গ', শিল্পী নির্বাচনে দেখালেন চমক"। দৈনিক সমকাল। ২০২০-১২-১০। ২০২২-০১-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-১৫।
- ↑ "'স্ফুলিঙ্গ' সিনেমায় 'দিবা' চরিত্রে দেখা যাবে পরীমনিকে"। দৈনিক জনকন্ঠ। ২০২০-১২-২০। ২০২২-০১-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-১৩।
- ↑ নীলা, রোদেলা (২০২১-০৩-৩১)। "নিজের প্রত্যাশা পূরণে কতোটা সফল তৌকীর আহমেদ: প্রসঙ্গ স্ফুলিঙ্গ"। বাংলা মুভি ডেটাবেজ। ২০২২-০১-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-১৫।
- ↑ ক খ গ নীলা, রোদেলা (২০২১-০৩-২১)। "কতটা জ্বলে উঠতে পেরেছে তৌকীর আহমেদের 'স্ফুলিঙ্গ'?"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২০২৩-০১-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০৯।
- ↑ ক খ "জ্যোতি ছড়াচ্ছে 'স্ফুলিঙ্গ'"। যায় যায় দিন। ২০২১-০৪-০১। ২০২১-১১-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-১৭।
- ↑ ক খ "১৩ বছর পর তৌকীরের সিনেমায় মম"। প্রথম আলো। ২০২০-১২-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-১৭।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ মানিক, খান (২০২১-০৩-০৫)। "আইরিন চরিত্রটি আমার মনে গেঁথে আছে"। দেশ রূপান্তর। ২০২২-০১-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-১৫।
- ↑ ক খ "'স্ফুলিঙ্গ' সিনেমায় নেতিবাচক চরিত্রে হাসনাত রিপন"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ২০২০-১২-১৫। ২০২২-০১-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-১৬।
- ↑ ক খ গ সরকার, সুধাময় (২০২১-০২-২৮)। "চলচ্চিত্রাভিনয়ে পিন্টু ঘোষ"। বাংলা ট্রিবিউন। ২০২২-০১-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-১৫।
- ↑ "একজন নির্ভরযোগ্য অভিনেতা এ কে আজাদ সেতু"। দৈনিক যুগান্তর। ২০২১-০৮-২০। ২০২১-১১-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-২৬।
- ↑ ক খ "২৩ দিনে ৯৮ শতাংশ কাজ শেষ করেছেন তৌকীর"। প্রথম আলো। ২০২১-০১-০৭। ২০২২-০১-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-১৫।
- ↑ ক খ গ ঘ সিদ্দিক, হাবিবুল্লাহ (২০২১-০৩-২৮)। "আমি আনস্মার্ট থাকতে চাই: তৌকীর আহমেদ"। দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড। ২০২১-১১-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-১৭।
- ↑ ক খ "তৌকীরের পরের ছবি 'স্ফুলিঙ্গ'"। প্রথম আলো। ২০২০-১২-১০। ২০২১-১১-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-১৮।
- ↑ "'ফাগুন হাওয়ায়'র প্রশংসায় তারকারা"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ২০১৯-০২-১৭। ২০১৯-০২-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-২৩।
- ↑ "২৪ দিনে শুটিং শেষ, মুক্তি মার্চেই : তৌকীর আহমেদ"। এনটিভি অনলাইন। ২০২১-০১-০৩। ২০২১-০১-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৬।
- ↑ "'স্ফুলিঙ্গ' ছবিতে তৌকীরের ছেলে!"। দৈনিক ইত্তেফাক। ২০২১-০৩-২৫। ২০২২-০১-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-২৪।
- ↑ "'স্ফুলিঙ্গ' মুক্তির দিনক্ষণ চূড়ান্ত"। দৈনিক ইনকিলাব। ২০২১-০২-১৯। ২০২২-০১-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-১৩।
- ↑ "পিন্টু ঘোষের 'আদেশ দিয়ে' প্রকাশ্যে"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ২০২১-০৭-০৮। ২০২২-০১-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-২২।
- ↑ ক খ গ "স্ফুলিঙ্গের তিন গানে প্রশংসিত হাসিব"। ঢাকা পোস্ট। ২০২১-০৪-০৩। ২০২১-১১-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-১৭।
- ↑ "সূর্যমুখী ফুলের সঙ্গে পরী-শ্যামলের রোমান্স"। ঢাকা পোস্ট। ২০২১-০৩-১৬। ২০২১-১১-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-১৮।
- ↑ "প্রশংসায় 'স্ফুলিঙ্গ'র প্রথম গান, সম্পর্কের জটিল আভাস"। চ্যানেল আই অনলাইন। ২০২১-০২-১৫। ২০২২-০১-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-১৩।
- ↑ "বুঝিনা"। টাইগার মিডিয়া লিমিটেড। ২০২১-০৩-১৬। ১৮ নভেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-১৭ – ইউটিউব-এর মাধ্যমে।
- ↑ "এক মুজিব"। টাইগার মিডিয়া লিমিটেড। ২০২১-০৮-১৫। ২০২১-১১-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-১৪ – ইউটিউব-এর মাধ্যমে।
- ↑ "'স্ফুলিঙ্গ' সিনেমার ফার্স্টলুকে ধরা দিলেন পরীমনি"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ২০২১-০১-২৫। ২০২১-১১-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-১৭।
- ↑ "'স্ফুলিঙ্গ'র ট্রেলার প্রকাশ্যে, সিনেমা মুক্তি ১৯ মার্চ"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ২০২১-০৩-০২। ২০২১-১১-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-১৭।
- ↑ "মুক্তির জন্য তৈরি 'স্ফুলিঙ্গ'"। বাংলা ট্রিবিউন। ২০২১-০৩-১৫। ২০২১-১১-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-১৭।
- ↑ "দুই বছর পর সিনেমা হলে ফিরছেন তৌকীর আহমেদ"। এনটিভি অনলাইন। ২০২১-০২-১২। ২০২১-০২-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৬।
- ↑ "মুক্তি পাচ্ছে না তৌকীর আহমেদের 'স্ফুলিঙ্গ', কেন?"। এনটিভি অনলাইন। ২০২১-০৩-১৬। ২০২২-০১-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-১৪।
- ↑ "'স্ফুলিঙ্গ' ভালো লাগলে দেখতে বলুন, খারাপ লাগলে না করুন"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ২০২১-০৩-২৫। ২০২১-১১-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-১৭।
- ↑ "ফ্রিতে টফিতে দেখা যাবে পরী অভিনীত 'স্ফুলিঙ্গ'"। চ্যানেল আই অনলাইন। ২০২১-১১-২৮। ২০২১-১১-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-২৮।
- ↑ লাভলু, সালাহউদ্দিন (২০২১-০৪-০১)। "স্ফুলিঙ্গ এবং..."। দৈনিক সমকাল। ২০২২-০১-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-১৬।
- ↑ মতি, রহমান (২০২১-০৪-০২)। "মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও তারুণ্যের 'স্ফুলিঙ্গ'"। বাংলা মুভি ডেটাবেজ। ২০২২-০১-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-১৬।
- ↑ "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলেন সাব্বির-সিয়াম-বাঁধন-তামান্না"। দৈনিক সমকাল। ২০২৩-০১-২৯। ২০২৩-০৪-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-০৬।
- ↑ "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দিলেন প্রধানমন্ত্রী"। ঢাকা ট্রিবিউন। ২০২৩-০৩-০৯। ২০২৩-০৪-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-০৬।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- বাংলা মুভি ডেটাবেজে স্ফুলিঙ্গ
- দাপ্তরিক ওয়েবসাইট (ইংরেজি)
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে স্ফুলিঙ্গ (ইংরেজি)