আবুল হায়াত
আবুল হায়াত (জন্মঃ ৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৪) হলেন একজন খ্যাতিমান বাংলাদেশী নাট্যাভিনেতা ও লেখক। তিনি বহুবছর ধরে টিভি নাটকে, সিনেমায় আর বিজ্ঞাপনে সফলতার সাথে অভিনয় করে আসছেন। জনপ্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদ রচিত প্রচুর নাটকে তিনি অংশ নিয়েছেন। 'মিসির আলি' তার একটি স্মরণীয় চরিত্র। তার প্রথম নাটক ইডিপাস ১৯৬৯ সালে বের হয়েছিল। [১][২] এর পর একে একে ৫০০ এরও অধিক নাটকে অভিনয় করেছেন।
আবুল হায়াত | |
---|---|
জন্ম | |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | ![]() |
মাতৃশিক্ষায়তন | চট্টগ্রাম কলেজ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | অভিনেতা, পরিচালক, প্রকৌশলী |
কর্মজীবন | ১৯৬৯ – বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | মাহফুজা খাতুন শিরিন (বি. ১৯৭০) |
সন্তান | বিপাশা হায়াত নাতাশা হায়াত |
পুরস্কার | জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (২০০৭) |
তিনি অভিনেত্রী বিপাশা হায়াতের পিতা। তিনি অনেকগুলো বাংলা চলচ্চিত্রে ও অভিনয় করেছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি মাঝে মাঝে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় কলাম লিখে থাকেন। প্রথম আলোতে তার কলামের নাম 'এসো নীপবনে'।
প্রাথমিক জীবনসম্পাদনা
১৯৪৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।[৩] আবুল হায়াতের বাবা আব্দুস সালাম ছিলেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে ওয়াজিউল্লাহ ইন্সটিটিউটের সাধারণ সম্পাদক। স্কুল জীবন কাটে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট ও রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয়ে। সেখান থেকে মেট্রিকুলেশন (বর্তমান এসএসসি) পাস করে চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি হন। চট্টগ্রাম কলেজ থেকে আইএসসি পাস করে ১৯৬২ সালে বুয়েটে ভর্তি হন। বুয়েটে পড়ার সময় শেরেবাংলা হলে থাকতেন। এরপর বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট থেকে ১৯৬৭ সালে পাস করে ১৯৬৮ সালেই ঢাকা ওয়াসার প্রকৌশলী পদে যোগ দেন।
অভিনয় জীবনসম্পাদনা
১৯৬৯ সালে ইডিপাস নাটকে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে প্রথমবারের মতো টিভি পর্দায় তার অভিনয়ের অভিষেক ঘটে।
উল্লেখযোগ্য কাজসম্পাদনা
চলচ্চিত্রসম্পাদনা
টেলিভিশনসম্পাদনা
- এই সব দিন রাত্রি (১৯৮৫)
- একা একা (১৯৮৭)
- দ্বিতীয় জন্ম (১৯৮৭)
- অয়োময় (১৯৮৮)
- বহুব্রীহি (১৯৮৮)
- সৈকতে সারস (১৯৮৮)
- হিমু (১৯৯৪)
- নক্ষত্রের রাত (১৯৯৪)
- আজ রবিবার (১৯৯৬)
- নিমফুল (১৯৯৭)
- ঘটনা সামান্য (১৯৯৭)
- অতিথি (১৯৯৮)
- মিলিনিয়াম বোম্ব (১৯৯৯)
- হাউজফুল (২০০৮-২০০৯)
- এফএনএফ (২০১০)
- ফ্ল্যাশ ব্যাক (২০১১/III)
- হাউস ৪৪
- প্রণেয় (২০১৭)
- যখন কখনও (২০১৮)
- দ্বিতীয় কৈশোর (২০১৯)
- মিস শিউলি (২০১৯)
- শহরনামা (২০২১)
- শেষ প্রান্তে (২০২১)
- আমি কান পেতে রই (২০২১)
- হৈ চৈ পরিবার (২০২১) - অভিনয়ে:- ফারুক আহমেদ, মিশু সাব্বির, শেহতাজ মনিরা হাসেম, সুমন পাটোয়ারী, মায়মুনা ফেরদৌস মম, রোদসী সিদ্দিকা, মিলি মুন্সী, ললনা নূর, সায়মা স্মৃতি, রিমু রেজা খন্দকার, হিমে হাফিজ পরিচালনা:- মাহমুদুর রহমান হিমি
ওয়েব ধারাবাহিকসম্পাদনা
- আয়নাবাজি অরিজিনাল সিরিজ (2017)
- ফেলুদা - নয়ন রহস্য (2019)
পারিবারিক জীবনসম্পাদনা
১৯৭০ সালে আবুল হায়াতের সঙ্গে বিয়ে হয় তার মেজ বোনের ননদ “মাহফুজা খাতুন শিরিনের” সঙ্গে। ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর জন্ম নেয় তাদের প্রথম সন্তান বিপাশা হায়াতের। ছয় বছর পর জন্ম নেয় নাতাশা।
সাহিত্য জীবনসম্পাদনা
১৯৯১ সালের বই মেলায় তার প্রথম উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়। উপন্যাসটির নাম ছিল আপ্লুত মরু। এরই ধারাবাহিকতায় একে একে বের হয়,
পুরস্কার ও সম্মাননাসম্পাদনা
মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারসম্পাদনা
সাল | নাটকের নাম | বিভাগ | ফলাফল |
---|---|---|---|
২০১১ | শনিবার রাত ১০টা ৪০ মিনিট | শ্রেষ্ঠ টিভি অভিনয়শিল্পী (সমালোচক) | বিজয়ী |
১৯৯৯ | উন্মেষ | শ্রেষ্ঠ নাট্যকার (সমালোচক) | বিজয়ী |
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "Acting is like mathematics - Bipasha Hayat"। ২০০৬-০৬-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১১-২০।
- ↑ ক খ দিলু আলী (১৪ মার্চ ২০১৩)। "আবুল হায়াত ও 'বনফুলের ঘ্রাণ'"। দৈনিক জনকন্ঠ। ২০২০-০৪-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৫-২৭।
- ↑ ক খ "আবুল হায়াত"। বিডিনিউজ২৪.কম। ২০১৬-০৬-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৫-২৭।
- ↑ "বইমেলায় তারকাদের বই"। সংগ্রহের তারিখ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
অনুপ্রেরণা ও সফলতার গল্প-pranbontajibon ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৮ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে
ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে আবুল হায়াত (ইংরেজি)