মুন্সীগঞ্জ জেলা

বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের একটি জেলা
(মুন্সিগঞ্জ জেলা থেকে পুনর্নির্দেশিত)

মুন্সীগঞ্জ বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। মুন্সীগঞ্জ ঢাকা বিভাগের একটি জেলা। মুন্সীগঞ্জের প্রাচীন নাম বিক্রমপুর

মুন্সীগঞ্জ
জেলা
উপরে-বাম থেকে ঘড়ির কাঁটার দিকে: ইদ্রাকপুর কেল্লা, বাবা আদম মসজিদ, সোনারং জোড় মথ, মেঘনা মুন্সীগঞ্জের কাছে, ধলেশ্বরী নদীর তীরে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা
ডাকনাম: বিক্রমপুর
বাংলাদেশে মুন্সীগঞ্জ জেলার অবস্থান
বাংলাদেশে মুন্সীগঞ্জ জেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৩°২৭′৩৬″ উত্তর ৯০°৩২′২৪″ পূর্ব / ২৩.৪৬০০০° উত্তর ৯০.৫৪০০০° পূর্ব / 23.46000; 90.54000 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগঢাকা বিভাগ
প্রতিষ্ঠা১লা মার্চ, ১৯৮৪
সরকার
 • জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানমোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ (সভাপতি মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ))
আয়তন
 • মোট৯৫৪.৯৬ বর্গকিমি (৩৬৮.৭১ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (2011)[]
 • মোট১৫,০২,৪৪৯
 • জনঘনত্ব১,৬০০/বর্গকিমি (৪,১০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
 • মোট৫৫.১%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৩০ ৫৯
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

অবস্থান ও আয়তন

সম্পাদনা

মুন্সীগঞ্জ জেলার আয়তন ৯৫৪.৯৬ বর্গ কিমি। এর বৃহত্তম থানা- শ্রীনগর (২০৩ বর্গ কিমি), ক্ষুদ্রতম থানা- লৌহজং (১৩০ বর্গ কিমি)। মুন্সীগঞ্জ জেলার উত্তরে ঢাকা জেলানারায়ণগঞ্জ জেলা, দক্ষিণে মাদারীপুর জেলা, শরীয়তপুর জেলাপদ্মা নদী, পূর্বে মেঘনা নদী, কুমিল্লা জেলাচাঁদপুর জেলা, পশ্চিমে ঢাকা জেলাফরিদপুর জেলা। অবস্থান: ২৩°২৩´ থেকে ২৩°৩৮´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°১০´ থেকে ৯০°৪৩´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। মোট আয়তন ২৩৫৯৭৪ একর যার মধ্যে ১৩৮৪৭২ একর চাষযোগ্য এবং ৫৬০৯ একর নিচু জমি। মুন্সীগঞ্জ সমতল এলাকা নয়। জেলার কিছু কিছু অঞ্চল যথেষ্ট উচু যদিও জেলায় কোনো পাহাড় নেই। মুন্সীগঞ্জের বেশির ভাগ এলাকা নিম্নভূমি বলে বর্ষায় পানিতে অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ে।

ইতিহাস

সম্পাদনা

প্রাচীনকালে নিঃসন্দেহে মুন্সীগঞ্জ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কেন্দ্র ছিল। অঞ্চলটি খ্রিস্টীয় দশ শতকের শুরু থেকে তেরো শতকের প্রথম পর্যন্ত চন্দ্র, বর্মন ও সেন রাজাদের রাজধানী ছিল। মুন্সীগঞ্জ উল্লেখ ‘স খলু শ্রী বিক্রমপুর সমাবাসিত শ্রীমজ্জয়স্কন্ধবারাত’ (বিজয় অথবা রাজধানীর রাজকীয় স্থান যা মুন্সীগঞ্জে অবস্থিত)-রূপে শ্রীচন্দ্রের তাম্রশাসনে সর্বপ্রথম দেখা যায় এবং পরবর্তী বর্মন ও সেন রাজবংশের শাসনামলে এ মর্যাদা অব্যাহত ছিল। এমনকি সেনদের শাসনামলে, যাঁরা বলতে গেলে প্রায় সমগ্র বঙ্গের ওপর প্রাধান্য বিস্তার করেছিলেন, মুন্সীগঞ্জ তাদের রাজধানী রূপে বলবৎ ছিল এবং নদীয়ায় মুসলমান আক্রমণকারী বখতিয়ার খলজীর হাতে পরাজিত হওয়ার পর লক্ষ্মণসেন এ অঞ্চলে এসেছিলেন। তার দুই পুত্র বিশ্বরূপসেন ও কেশবসেন স্বল্পকালের জন্য এ অঞ্চল শাসন করেছিলেন। বিশ্বরূপসেন ও কেশবসেনের তাম্রশাসনগুলিতে রাজধানী রূপে মুন্সীগঞ্জের উল্লেখ না থাকলেও তারা যে ভূমি দান করেছিলেন তার অবস্থান ছিল মুন্সীগঞ্জ ভাগে। এতে এ অঞ্চলের ওপর তাদের কর্তৃত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। মুন্সীগঞ্জের খ্যাতি ১২৮০ খ্রিষ্টাব্দের প্রথম দিক পর্যন্ত বিদ্যমান ছিল। এসময় দনুজমাধব দশরথদেব কিংবা জিয়াউদ্দীন বরনীর দনুজ রায় সুবর্ণ গ্রামের (সোনারগাঁও) সন্নিকটে তার রাজধানী স্থানান্তর করেন। তখন থেকে সমগ্র সুলতানি আমলে এ অঞ্চলটি বিস্মৃতির পাতায় থেকে যায়। এরপর মোঘল যুগে রাজস্ব তালিকায় শুধু পরগনা হিসেবে এর নামের উল্লেখ পুনরায় দেখা যায়। মোঘল আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জের জমিদার চাঁদ রায় ও কেদার রায় এর (বাংলার বারো ভূঁইয়াদের উল্লেখযোগ্য দুজন) বীরোচিত প্রতিরোধ মুন্সীগঞ্জকে কিছুটা স্বল্পস্থায়ী গৌরব প্রদান করে।

মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি

সম্পাদনা

১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ ছাত্রজনতা সরকারি অস্ত্রাগার থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র লুট করে এবং পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ৯ মে পাকবাহিনী গজারিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে চার শতাধিক নিরীহ গ্রামবাসিকে গুলি করে হত্যা করে এবং ১৪ মে কেওয়ার এলাকায় হামলা করে কিছুসংখ্যক যুবককে হত্যা করে। এর আগে ৩১ মার্চ পাকবাহিনী নারায়ণগঞ্জ জেলায় আক্রমণ চালালে মুন্সীগঞ্জ জেলার তরুণরা নারায়ণগঞ্জবাসীদের সঙ্গে মিলিতভাবে আক্রমণ প্রতিহত করে। জুলাই মাসে ধলাগাঁও এলাকায় শত শত যুবককে রিক্রুট করে ট্রেনিং দেওয়া হয় এবং তারা বিভিন্ন অপারেশনে অংশ নেয়। ১১ আগস্ট মুক্তিযোদ্ধারা শ্রীনগর থানা, ১৪ আগস্ট লৌহজং থানা নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে টংগিবাড়ী থানা আক্রমণ করে প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ হস্তগত করে। মুক্তিযোদ্ধারা উপজেলার শিবরামপুর এলাকায় আক্রমণ চালিয়ে পাকবাহিনীর তিনটি গানবোট ডুবিয়ে দেয় এবং এতে বেশসংখ্যক পাকসেনা নিহত হয়। গোয়ালিমান্দ্রাতে মুক্তিযোদ্ধারা ৬ জন রাজাকারকে হত্যা করে এবং পরে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে এক সম্মুখ লড়াইয়ে প্রায় ৩৫ জন পাকসেনা নিহত হয়। পাকবাহিনী শেখর নগর গ্রামের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয় এবং নিরীহ লোকদের হত্যা করে। ওই বছরের ২৭ রমজান শবে কদর রাতে ১১৫ জন মুক্তিযোদ্ধা পাকসেনাদের ওপর সম্মিলিত আক্রমণ চালিয়ে মুন্সীগঞ্জ শহর দখল করে নেয়। ৪ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা টংগিবাড়ী থানা দখল করে এতে এলাকাটি ১৫ নভেম্বর তারিখে সম্পূর্ণ হানাদারমুক্ত হয় এবং সবশেষে ১১ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জ সম্পূর্ণ শত্রুমুক্ত হয়।

এক নজরে মুন্সীগঞ্জ

পুরুষ ৭,২১,৭৫২ জন
মহিলা ৭,২৪,১০৮ জন
শিক্ষার হার ৫৬.১%
মোট উপজেলা ৬টি
পৌরসভার সংখ্যা ২টি
ইউনিয়ন সংখ্যা ৬৮টি
ওয়ার্ড/গ্রাম সরকার ৬০৩টি
প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারী ৫০৪টি, বেসরকারী রেজিঃকৃত ৩৪টি =মোট ৬১০ টি
মাধ্যমিক বিদ্যালযের সংখ্যা সরকারী ৩টি, বেসরকারী ৮৫টি, বেসরকারী জুনিয়র ১১টি =মোট ৯৯টি
মাদ্রাসা দাখিল ২২টি, আলিম ৫টি, ফাজিল ১টি, কামিল ১টি =মোট ২৯টি
কলেজ সরকারী ৪টি, বেসরকারী ৯টি =মোট ১৩টি
মোট গ্রামের সংখ্যা ৯৭০টি
মৌজার সংখ্যা ৬৭১টি
আদর্শ গ্রাম ৮টি
কমিউনিটি সেন্টার ৪টি
জেলা হাসপাতাল ১টি
উপজেলা হাসপাতাল ৬টি
উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র ২৪টি
মসজিদ ৮৫০টি
মন্দির ১০৮টি
গীর্জা ১টি
হিমাগার ৬১টি
বিদ্যুৎ বিতরণ উপকেন্দ্র ৪টি
ফায়ার সার্ভিস ২টি
খাদ্য গুদাম ৭টি
প্রেসক্লাব ১টি
শিল্পকলা একাডেমী ১টি
সাংস্কৃতিক সংগঠন ৩৩টি
লাইব্রেরী ২টি
শিশু পার্ক ১টি
স্টেডিয়াম ২টি
সিনেমা হল ১৩টি
ডাক বাংলো ৭টি
গাভীর খামার ৫০৯টি
ছাগলের খামার ৪৯টি
ভেড়ার খামার ৬৩টি
মুরগীর খামার ৩২৯টি
রাস্তার সংখ্যা ৫৬৪টি
মহাসড়কের সংখ্যা ২টি
রাস্তার দৈর্ঘ্য ১৪৬০ কিঃ মিঃ
ব্রীজের সংখ্যা ৬৬৫টি
প্রধান সেতু ৩টি
ফেরী ঘাট ৩টি

নামকরণ

সম্পাদনা

মোঘল শাসনামলে মুন্সীগঞ্জ এর নাম ছিলো ইদ্রাকপুর। ষোড়শ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে ইদ্রাকপুর কেল্লার ফৌজদারের নাম ছিলো ইদ্রাক। ধারণা করা হয় তার নাম অনুসারেই তখন এখানকার নাম হয়েছিলো ইদ্রাকপুর। চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সময়ে রামপালের কাজী কসবা গ্রামের মুন্সী এনায়েত আলীর জমিদারভুক্ত হওয়ার পর তার মুন্সী নাম থেকে ইদ্রাকপুরের নাম মুন্সীগঞ্জ হিসেবে অভিহিত হয়। আবার অনেকের মতে, মোঘল শাসনামলে এলাকার ফৌজদারী আদালতের প্রধান হায়দার আলী মুন্সীর নামানুসারে মুন্সীগঞ্জ নামের উৎপত্তি।

জলবায়ু

সম্পাদনা

মুন্সীগঞ্জের জলবায়ু সমভাবাপন্ন। তবে আর্দ্রতা ও দূষনযুক্ত এলাকার সংখ্যাও নেহাত কম নয়। এখানকার জলবায়ু ঋতু বিশেষে পরিবর্তনশীল। শীতকালে শীতের তীব্রতা দেশের অন্যান্য স্থানের মতো তত প্রবল নয়। এলাকাটি নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলভূক্ত।

জনসংখ্যা

সম্পাদনা

মুন্সীগঞ্জ জেলার জনসংখ্যা ১২,৯৩,৯৭২ জন; পুরুষ ৬৫৫৫৮৫ জন ও মহিলা ৬৩৮৩৮৭ জন।

মুসলিম ১১৮১০১২ জন, হিন্দু ১১০৮০৪ জন , বৌদ্ধ ১৯২২ জন , খ্রিস্টান ১০৩ জন এবং অন্যান্য ৩০৮ জন।

শিক্ষা

সম্পাদনা

শিক্ষার হার ৬১.২০%; পুরুষ ৬১.০৮%, মহিলা ৫৯.১২%। কলেজ ১৬টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৮৮টি, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫৪৯টি, মাদ্রাসা ২৯টি। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে কে কে গভঃ ইন্সটিটিউশন (১৯৪২), আলবার্ট ভিক্টোরিয়া যতীন্দ্র মোহন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মুন্সীগঞ্জ (১৮৯২) যা ১৯৯১ সালে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ নির্বাচিত হয়, বিক্রমপুর টংগীবাড়ী সরকারি কলেজ, মুন্সীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৮৫) যেখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ, মুন্সীগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় (১৯৬৮), সরকারি হরগঙ্গা কলেজ (১৯৩৮), সরকারি শ্রীনগর কলেজ (১৯৭০), রংমেহার উচ্চ বিদ্যালয় প্রভৃতি।

প্রশাসনিক এলাকাসমূহ

সম্পাদনা
 
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা, ধলেশ্বরী নদীতীর

মুন্সীগঞ্জ জেলায় ছয়টি উপজেলা রয়েছে। ৬ টি উপজেলার মধ্যে ৬৭ টি ইউনিয়ন রয়েছে।

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা
জনসংখ্যা = ৩,৯৯,৫৬০

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় মোট ইউনিয়নের সংখ্যা ০৯ টি।
শিলই, আধারা, বাংলাবাজার, পঞ্চসার, রামপাল, বজ্রযোগীনি, চরকেওয়ার, মোল্লাকান্দি, মহাকালি

টংগিবাড়ী উপজেলা
জনসংখ্যা = ১,৯৭,১৭৩

টংগিবাড়ী উপজেলায় মোট ইউনিয়নের সংখ্যা ১৩ টি।
রংমেহার, পাঁচগাও, কাঠাদিয়া-শিমুলিয়া, সোনারং-টংগিবাড়ী, বেতকা, আব্দুল্লাপুর, যশলং, কামারখাড়া, দিঘিরপাড়, হাসাইল-বানারী, আউটশাহী, আড়িয়ল, বালিগাঁও

শ্রীনগর উপজেলা
জনসংখ্যা = ২,৫৯,৮৮৭

শ্রীনগর উপজেলায় মোট ইউনিয়নের সংখ্যা ১৪ টি।
শ্রীনগর, শ্যামসিদ্ধি, ষোলঘর, কুকুটিয়া, তন্তর, আটপাড়া, রাঢ়ীখাল, ভাগ্যকুল, বাঘড়া, কোলাপাড়া, পাটাভোগ, হাঁসাড়া, বীরতারা, বাড়ৈখালী

লৌহজং উপজেলা
জনসংখ্যা = ১,৬৭,৭৪৩

লৌহজং উপজেলায় মোট ইউনিয়নের সংখ্যা ১০ টি।
মেদিনীমন্ডল, খিদিরপাড়া, বৌলতলী, কলমা, গাওদিয়া, বেজগাঁও, কনকসার, লৌহজং-তেউটিয়া, কুমারভোগ, হলদিয়া

গজারিয়া উপজেলা
জনসংখ্যা = ১,৩৮,১০৮

গজারিয়া উপজেলায় মোট ইউনিয়নের সংখ্যা ৮ টি।
টেংগারচর, বালুয়াকান্দি, ভবেরচর, বাউশিয়া, গজারিয়া, হোসেন্দী, ইমামপুর, গুয়াগাছিয়া

সিরাজদিখান উপজেলা
জনসংখ্যা = ২,৪১,৮০৪

সিরাজদিখান উপজেলায় মোট ইউনিয়নের সংখ্যা ১৪ টি।
চিত্রকোট, শেখর নগর, রাজানগর, কেয়াইন, বাসাইল, রশুনিয়া, লতব্দী, বালুচর, ইছাপুর, বয়রাগাদি, মালখানগর, মধ্যপাড়া, জৈনসার, কোলা।

অর্থনীতি

সম্পাদনা

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৩৪.৬৪%, অকৃষি শ্রমিক ২.১৭%, শিল্প ৪.৬৯%, ব্যবসা ২৩.১৭%, পরিবহন ও যোগাযোগ ৩.৭৫%, নির্মাণ ২.২৭%, ধর্মীয় সেবা ১.১৯%, চাকরি ১২.৮৭%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ৫.৯৫% এবং অন্যান্য ৯.৩%।

অর্থনৈতিক দিক দিয়ে মুন্সীগঞ্জ খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। কয়েক বছরে এখানে অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় নগরী গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

নাম মোট সংখ্যা
কৃষি ও খাদ্য ১৮
শিক্ষা ৭৮
পরিবার পরিকল্পনা
স্বাস্থ্য
দারিদ্র মোচন ২৯০
পুনর্বাসন ৬৪৭
সড়ক ও যোগাযোগ ৮০

শিল্প প্রতিষ্ঠান

সম্পাদনা

১। হিমাগার- ৬৭টি

২। সিমেন্ট ফ্যাক্টরী - ৬টি

৩। লবণ ফ্যাক্টরী - ২টি

৪। কাগজ ফ্যাক্টরী - ২টি

৫। টিস্যু - ১টি (বসুন্ধরা)

৬। জাহাজ নির্মাণ শিল্প- ৩টি

৭। ম্যাচ ফ্যাক্টরী - ২টি

পত্র-পত্রিকা

সম্পাদনা
ক্রম নং শিরোনাম সম্পাদক
০১ সাপ্তাহিক মুন্সীগঞ্জের বাণী মোঃ আব্দুল হাকিম
০২ আমার বিক্রমপুর শিহাব আহমেদ
০৩ সাপ্তাহিক বিক্রমপুর মোহাম্মদ সেলিম
০৪ সাপ্তাহিক মুন্সীগঞ্জ সংবাদ শহীদ ই হাসান তুহিন
০৫ দৈনিক মুন্সীগঞ্জের কাগজ মোহাম্মদ আরফিন
০৬ সাপ্তাহিক মুন্সীগঞ্জ সংবাদ
০৭ দৈনিক রজত রেখা শাহিন মোহাম্মদ আমানুল্লাহ
০৮ দৈনিক মুন্সীগঞ্জের খবর অ্যাড. সোহানা তাহমিনা
০৯ দৈনিক সভ্যতার আলো নাসির উদ্দিন উজ্জ্বাল

উৎসব লোকসংস্কৃতি দুর্গাপূজা, নববর্ষ, চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে যাত্রা, পালাগান, কবিগান, কীর্তনলীলা, বাউল গানের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। শ্যামসিদ্ধির মেলা এবং ঐতিহ্যবাহী ঝুলন মেলার প্রচলন রয়েছে। এছাড়া রথ যাত্রা, নৌকাবাইচ, লাঠি খেলা প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার

সম্পাদনা

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়নের রঘুরামপুর গ্রামে মাটির নিচে চাপা পড়ে থাকা হাজার বছরের পুরনো বৌদ্ধ বিহারের সন্ধান মিলেছে। প্রত্নসম্পদ ও ঐতিহাসিক নিদর্শন উদ্ধারে চালানো খনন কাজের মাধ্যমে এ বৌদ্ধ বিহার আবিষ্কৃত হয়। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এ তথ্য জানিয়েছেন বিক্রমপুর অঞ্চলে প্রত্নতত্ত্ব খনন ও ঐতিহাসিক নিদর্শন আবিষ্কার নিয়ে গবেষণা পরিচালক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এরই মধ্যে বৌদ্ধ বিহারের পাঁচটি ভিক্ষু কক্ষ উন্মোচিত হয়েছে। একেকটি ভিক্ষু কক্ষের পরিমাপ ৩ দশমিক ৫ মিটার (দৈর্ঘ্য) ও ৩ দশমিক ৫ মিটার (প্রস্থ)। ধারণা করা হচ্ছে, বৌদ্ধ ধর্মের জ্ঞান তাপস অতীশ দ্বীপঙ্করের সঙ্গে এ বৌদ্ধ বিহারের সম্পর্ক রয়েছে।

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে জেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২৩ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১৪ 

আরও দেখুন

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা