হরিশচন্দ্রের দীঘি

বাংলাদেশের জলাশয়

হরিশচন্দ্রের দীঘি মুন্সীগঞ্জ জেলার রামপালে অবস্থিত একটি প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন ও বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন দীঘি। স্থানীয়ভাবে দীঘিটি মাঘী পূর্ণিমা দীঘি নামেও পরিচিত। জনশ্রুতি অনুসারে, এ অঞ্চলে দীঘিটি খনন করেছিলেন রাজা হরিশচন্দ্র।

হরিশচন্দ্রের দীঘি
ধরনপ্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন
অবস্থানরামপাল
অঞ্চলমুন্সীগঞ্জ জেলা
মালিকবাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর
সূত্র নংBD-C-35-64

ইতিহাস সম্পাদনা

১০৯১ থেকে ১১০৩ পর্যন্ত পাল বংশীয় রাজা শূরপালের ভাই রামপাল বিক্রমপুর অঞ্চল শাসন করেন সেসময় তার নামানুসারে রামপাল গ্রামের নামকরণ করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়ে থাকে। পাল বংশের রাজাগণ বিভিন্ন অঞ্চলে বিভক্ত ছিলেন তবে তাদের মধ্যে হরিশচন্দ্র রাজার রাজত্ব রংপুর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল ও তিনি সাভারের কাঁঠালবাড়ী থেকে তার রাজ্য পরিচালনা করতেন বলে মনে করা হয়।

দীঘিটি কে খনন করেছিলেন সে সম্পর্কে ইতিহাসবিদগণ সঠিক তথ্য উদ্‌ঘাটন করতে পারেননি। তবে মনে করা হয় রাজা হরিশচন্দ্রের শাসনামলেই দীঘিটি খনন করা হয়েছিল।[১]

কিংবদন্তি সম্পাদনা

কিংবদন্তি অনুসারে, এ দীঘিটিকে ঘিরে অনেক গল্প প্রচলিত। বর্তমানে প্রতি বছর এখানে মাঘী পূর্ণিমাতে মেলার আয়োজন করা হয়। মেলায় আগত অনেক লোকই বিশ্বাস করে, এ দীঘিটিতে কোন অলৌকিক শক্তি রয়েছে। এমন বিশ্বাস থেকে আগতরা বিভিন্ন উপঢৌকন দিয়ে দীঘিটির পূজা করে থাকে। জনশ্রুতি অনুসারে, ব্রিটিশ শাসনামলে এ দীঘির পানি সম্পূর্ণ সেচার জন্য বেশ কিছুদিন চেষ্টা করার পর তারা তাদের চেষ্টা বন্ধ করে করে দেয় পানি না কমার কারণে।[২]

চিত্রশালা সম্পাদনা

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "বিক্রমপুরে রাজা হরিশ চন্দ্রের দীঘি – munshiganjnews.com – মুন্সীগঞ্জ নিউজ ডটকম"। ১৮ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০১৬ 
  2. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০১৬