শ্রীনগর উপজেলা
শ্রীনগর বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জ জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
শ্রীনগর | |
---|---|
উপজেলা | |
বাংলাদেশে শ্রীনগর উপজেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°৩২′৮″ উত্তর ৯০°১৭′২৮″ পূর্ব / ২৩.৫৩৫৫৬° উত্তর ৯০.২৯১১১° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
জেলা | মুন্সীগঞ্জ জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ২০২.৯৮ বর্গকিমি (৭৮.৩৭ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ২,৫৯,৮৮৭ |
• জনঘনত্ব | ১,৩০০/বর্গকিমি (৩,৩০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৪৯.৫% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৩০ ৫৯ ৮৪ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
অবস্থানসম্পাদনা
উত্তরে সিরাজদিখান উপজেলা এবং ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিণে পদ্মা নদী, লৌহজং উপজেলা ও মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলা, পূর্বে সিরাজদিখান উপজেলা ও লৌহজং উপজেলা, পশ্চিমে পদ্মা নদী, ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলা ও দোহার উপজেলা।
প্রশাসনিক এলাকাসম্পাদনা
শ্রীনগর উপজেলা প্রতিষ্ঠার তারিখ ১২ আগস্ট ১৯৮৩। উপজেলার আয়তন ২০২ বর্গ কিলোমিটার। ইউনিয়নের সংখ্যা ১৪টি। গ্রাম ১৪৭টি, মৌজা ১০২টি, ওয়ার্ড/গ্রাম সরকার ১২৬টি।
ইউনিয়নগুলো হলো:
শ্রীনগর, শ্যামসিদ্ধি, ষোলঘর, কুকুটিয়া, তন্তর, আটপাড়া, রাঢ়ীখাল, ভাগ্যকুল, বাঘড়া, কোলাপাড়া, পাটাভোগ, হাসাড়া, বীরতারা, বাড়ৈখালী
ইতিহাসসম্পাদনা
শ্রীনগররের প্রাচীন নাম রায়েসবর। নবাব মীর কাসিম কর্তৃক নিযুক্ত বাংলা বিহার উড়িশ্যার গভর্নর লালা কীর্তিনারায়ণ বসু রায়েসবরের শ্রীবৃদ্ধি করে এর নামকরণ করেন শ্রীনগর। তিনি শ্রীনগর তথা বিক্রমপুরে একটি মনোরম প্রাসাদ নির্মাণ করেন যা বর্তমানে শ্রীনগর পাইলট স্কুল ভবন হিসেবে পরিচিত। শ্রীনগররের সাংষ্কৃতিক অঙ্গন প্রাচীন কাল হতেই সরগরম। এখানে যাত্রা, থিয়েটর,পালাগান, জারিগান, সারিগাণ,প্রাচীন কাল হতেই প্রচলিত। উপমহাদেশ খ্যাত শ্রীনগরের রথযাত্রার উৎসবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে জনসমাবেশ ঘটত। নিপুণ কারুকার্য খচিত কাঠ ও টিনের মনোরম ঘরবাড়ি এবং আসবাবপত্র তৈরি এ অঞ্চলের প্রধান ঐতিহ্য। কাঠের কারুকার্যময় পানসি নৌকা, মাটির তৈরি নানা রকম খেলনা, পুতুল,হাড়ি-পাতিল প্রভৃতির জন্য এ অঞ্চল বিখ্যাত। শ্রীনগর তাঁতশিল্প দেশের অন্যতম ঐতিহ্য।এছাড়া শ্রীনগরে তৈরি তামা কাসার জিনিসপত্র বিখ্যাত।
জনসংখ্যার উপাত্তসম্পাদনা
- লোকসংখ্যা: ২,৫৯,৮৮৭ জন
- পুরুষ: ১,২৭,৩৭৪ জন
- মহিলা: ১,৩২,৫১৩ জন
- পরিবারের সংখ্যা: ৩৬,৩৪৪টি
- শিশুমৃত্যুর হার: ৩.৩৩ জন (প্রতি হাজারে)
- জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার: ২.০১%
শিক্ষাসম্পাদনা
- সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়: ৯২টি
- বেসরকারি রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়: ৪টি
- নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়: ১টি
- মাধ্যমিক বিদ্যালয়: ২১টি
- মহাবিদ্যালয়: ৪টি
- মাদ্রাসা: ৫টি
- ভোকেশনাল ইনস্টিটিউশন: ১টি
- শিক্ষার হার: ৪৯.৫%
অর্থনীতিসম্পাদনা
বেশিরভাগ প্রবাসী মানুষদের হতে আয়। এছাড়া ব্যবসা, কৃষিও রয়েছে।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বসম্পাদনা
- আবদুল হালিম চৌধুরী জুয়েল, বীর বিক্রম,ক্রিকেটার।
- জগদীশচন্দ্র বসু, পদার্থবিদ
- হুমায়ুন আজাদ, বিশিষ্ট ভাষাবিদ ও লেখক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার অধ্যাপক
- সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলাদেশী লেখক, প্রাবন্ধিক ও শিক্ষক
- চাষী নজরুল ইসলাম, চলচ্চিত্র পরিচালক
- আব্দুল জাব্বার খান, চলৎচিত্র পরিচালক, অভিনেতা। বাঙলাদেশের বাংলা ভাষায় প্রথম চলতচিত্র নির্মাণ করেন "মুখ ও মুখোশ"। বাঙলাদেশের চলৎচিত্রএর জনক বলা হয় তাকে।
দর্শনীয় স্থানসম্পাদনা
বিবিধসম্পাদনা
- সরকারি উপজেলা হাসপাতাল: ১টি
- পাকা রাস্তা: ৮.০০ কিলোমিটার
- কাঁচা রাস্তা: ১৫৫.০০ কিলোমিটার
- মোট জমির পরিমাণ: ১,৫৯,৩১২.৫৩ একর
- কৃষি জমির পরিমাণ: ১,৫১,৭০৪.৯৩ একর
- খেয়া ঘাট/ নৌকা ঘাট: ৩টি
- হাট-বাজার: ২৬টি
- ডাকঘর: ২১টি
- মসজিদ: ৩৭০টি
- মন্দির: ৫৫টি
- নদ-নদী: ২টি
- ব্যাংক শাখা: ১৬টি
- টেলিফোন এক্সচেঞ্জ: ১টি
- ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প: ২৮টি।
আরও দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে শ্রীনগর"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২০ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১৫।
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |