শিবচর উপজেলা
শিবচর বাংলাদেশের মাদারীপুর জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা যা ১৯টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এটি ঢাকা বিভাগের অধীন মাদারীপুর জেলার ৪টি উপজেলার মধ্যে একটি এবং মাদারীপুর জেলার সর্ব উত্তরে অবস্থিত। শিবচর উপজেলার উত্তরে পদ্মা নদী ও মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলা, শ্রীনগর উপজেলা ও ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলা, দক্ষিণে রাজৈর উপজেলা ও মাদারীপুর সদর উপজেলা, পূর্বে শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলা, পশ্চিমে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলা। শিবচর উপজেলার উপর দিয়ে পদ্মা নদী, কুমার নদী, ময়নাকাটা নদী ও আড়িয়াল খাঁ নদী প্রবাহিত হয়েছে।
শিবচর | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে শিবচর উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°২০′৪৫″ উত্তর ৯০°৯′৫১″ পূর্ব / ২৩.৩৪৫৮৩° উত্তর ৯০.১৬৪১৭° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
জেলা | মাদারীপুর জেলা |
বরহামগঞ্জ থানা | ১৯৩০ |
সংসদীয় আসন | মাদারীপুর-১ |
সরকার | |
• উপজেলা নির্বাহী অফিসার [১] | আব্দুল্লাহ আল মামুন |
আয়তন | |
• মোট | ৩৩২.৯০ বর্গকিমি (১২৮.৫৩ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[২] | |
• মোট | ৩,৩০,৬৮৩ |
• জনঘনত্ব | ৯৯০/বর্গকিমি (২,৬০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৪৩.৫% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৭৯৩০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৩০ ৫৪ ৮৭ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
শিবচর পদ্মা বিধৌত নিম্ম পলল ভূমি এলাকা। এর ভু-ভাগ বেলে দোআঁশ মাটি দ্বারা গঠিত। এটি একটি কৃষিপ্রধান অঞ্চল।[৩]
ব্রিটিশ শাসনামলে ১৯৩০ সালে শিবচর থানা প্রতিষ্ঠা করা হয়।[৪] বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৮৩ সালে শিবচর থানাকে উপজেলায় উন্নীত করা হয়। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শিবচর উপজেলার সংসদীয় আসন মাদারীপুর-১। শিবচর উপজেলা নিয়ে গঠিত মাদারীপুর-১ আসনটি জাতীয় সংসদে ২১৮ নং আসন হিসেবে চিহ্নিত।
পটভূমি
সম্পাদনাশিব শঙ্কর নামে এক ধার্মিক ব্যক্তি এই অঞ্চলে বাস করত, সে দেব-দেবির উপাসক হিসাবে খুব প্রসিদ্ধ ব্রাহ্মণ ছিলেন। ধর্মীয়ভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের হলেও তিনি সকল ধর্মের মানষের কাছে জনপ্রিয় ছিলেন। তার নামেই শিবচর নামকরণ করা হয়।[২][৪] ঐতিহাসিকদের মতে, প্রাচীনকালে এ অঞ্চল ইদিলপুর নামে পরিচিত ছিল যা অতিপ্রাচীনকালে কোটালীপাড়ার অন্তর্ভুক্ত ছিল। একসময় এ অঞ্চলের প্রশাসনিক নাম ছিল নাব্যমন্ডল। খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতকে ইদিলপুর ও কোটালীপাড়া ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য বিখ্যাত ছিল। গ্রিকবীর আলেকজান্ডারের ভারত আক্রমণের সময় ৩২৭ খ্রিস্টপূর্বে কোটালীপাড়া অঞ্চলে গঙ্গারিডাই জাতি স্বাধীনভাবে রাজত্ব করত। তারপর এ অঞ্চল (৩২০-৪৯৬ খ্রিঃ) গুপ্ত সম্রাটদের অধীনে ছিল। ৫০৭-৮ খ্রীষ্টাব্দের কিছু আগে রাজত্ব করেছেন দ্বাদশাদিত্য - মহারাজাধিরাজ বৈন্যগুপ্ত নামক এক রাজা। ৫২৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ৬০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করছেন গোপচন্দ্র, ধর্মাদিত্য এবং নরেন্দ্রাদিত্য সমাচারদেব।[৫][৬] রাজা শশাঙ্কের মৃত্যুর পর খড়গ বংশ ও দেব রাজবংশ এ অঞ্চল শাসন করে।[৭] পাল রাজবংশের (৭৫০-১১৬২ খ্রিঃ) রাজা দ্বিতীয় বিগ্রহপালের রাজত্বকালে (৯৬৯–৯৯৫ খ্রিঃ) হরিকেলের (পূর্ব ও দক্ষিণ বাংলা) কান্তিদেব ‘মহারাজাধিরাজ’ উপাধি গ্রহণ করে একটি পৃথক রাজ্য স্থাপন করেন এবং এই অঞ্চল শাসন করে।[৮] পরবর্তীকালে চন্দ্র রাজবংশ দশম ও এগার শতকে স্বাধীনভাবে এই অঞ্চল শাসন করে।[৯] সেন রাজবংশের (১০৯৮-১২৩০ খ্রিঃ) পতনের পর চন্দ্রদ্বীপ রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়, মাদারীপুর তথা শিবচর উপজেলা চন্দ্রদ্বীপ রাজ্যের অধীনে ছিল।
সুলতান জালালউদ্দিন ফাতেহ শাহ (১৪৮১-১৪৮৫ খ্রিঃ) ফরিদপুর ও চন্দ্রদ্বীপের একাংশ দখল করে ফতেহাবাদ পরগণা গঠন করেন। সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহ (১৪৯৩-১৫১৯ খ্রিঃ) ফতেহাবাদের জনপ্রিয় শাসক ছিলেন। ১৫৩৮ হতে ১৫৬৩ সাল পর্যন্ত শেরশাহ ও তার বংশধরগণ শাসন করেন। ১৫৬৪ হতে ১৫৭৬ সালে পর্যন্ত কররানী রাজবংশ রাজত্ব করে, তারপর ১৫৭৬ হতে ১৬১১ সাল পর্যন্ত বারো ভূঁইয়ার অন্যতম অন্যতম বিক্রমপুরের চাঁদ রায়, কেদার রায়ের অধীনে ছিল এ অঞ্চল। মুঘল সাম্রাজ্য ও নবাবী শাসন চলে ১৭৬৫ সাল পর্যন্ত।[১০] মুঘল আমলে সৃষ্ট জালালপুর (বর্তমান মাদারীপুর) পরগণার অধীনে ছিল শিবচর।[৪]
ব্রিটিশ শাসনামলে এ অঞ্চল ১৭৯৭ সালে সৃষ্ট বাকেরগঞ্জ জেলার অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৮৫৪ সালের ২রা নভেম্বর মাদারীপুর মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হলে শিবচর অঞ্চল মাদারীপুর মহকুমাধীন ছিল। ১৮৫৯ সালে ফরিদপুর জেলা সৃষ্টি হলে মাদারীপুর মহকুমাকে বাকেরগঞ্জ জেলা থকে আলাদা করে ১৮৭৫ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর ফরিদপুর জেলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৯৩০ সালে মাদারীপুর থানার উত্তরাংশের কয়েকটি ইউনিয়ন নিয়ে বরহামগঞ্জ থানা প্রতিষ্ঠা করা হয়, যা পরবর্তীতে শিবচর নামে পরিবর্তিত হয়।[৪][৫] যদিও ১৮৭৪ সালের ১৬ই সেপ্টেম্বর প্রকাশিত ক্যালকাটা গেজেট থেকে মাদারীপুর মহকুমার থানা হিসেবে মাদারীপুর, পালং, ডামুড্যা, গোসাইরহাট ও শিবচর থানার নাম পাওয়া যায় এবং প্রতিটি থানায় সাব-রেজিস্টার কার্যালয়ের উল্লেখও ছিল।[১১] ব্রিটিশ শাসনামলে ফরায়েজি আন্দোলনের নেতা হাজী শরীয়তউল্লাহ’র (১৭৮১-১৮৪০) জন্ম শিবচরের বাহাদুরপুরে। তিনি ১৮২০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৮৫০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ধর্মীয় কুসংস্কার, নীলকর ও জমিদারদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন। শরীয়ত উল্লাহর মৃত্যুর পর তারই পুত্র দুদু মিয়া (১৮১৯-১৮৬২) ফরায়েজি আন্দোনের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন।[১২] বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ১৯৭১ সালে ১৭ই মে আনুমানিক বেলা ১১টায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ৪০-৪২ জনের একটি দল মাদারীপুর ক্যাম্প থেকে লঞ্চযোগে শিবচরের উৎরাইল এলাকা থেকে স্থানীয় রাজাকারদের সঙ্গে নিয়ে কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে চরশ্যামাইল হয়ে একে একে গুয়ালতা, বাহরেচর ও উমেদপুরে নির্বিচারে গুলি করে মানুষ হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও হামলা চালায় এবং শিবচর থানায় ঘাঁটি স্থাপন করে। এ ঘটনার পর থেকে ১৭ মে শিবচরে গণহত্যা দিবস পালিত হয়।[১৩] সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে মুক্তিবাহিনী শিবচর বাজারে অবস্থিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ক্যাম্প গুড়িয়ে দেয়। ২৪ নভেম্বর রাত ৩টায় এরিয়া কমান্ডার মোঃ মোসলেমউদ্দিন খানের নেতৃত্বে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাসহ ভাঙ্গা ও সদরপুর থানার ২৫০ জন মুক্তিযোদ্ধা চারটি গ্রুপে ভাগ হয়ে শিবচর থানা আক্রমণ করে। প্রায় ১৬ ঘণ্টা স্থায়ী সম্মুখযুদ্ধ ২৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও রাজাকার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এবং শিবচরকে মুক্তাঞ্চল ঘোষণা করা হয়। এ যুদ্ধে শিবচরের আ. ছালাম, ভাঙ্গার মোশাররফ হোসেন, সদরপুরের দেলোয়ার হোসেন ও সহযোগী ১১বছর বয়সের কিশোর ইস্কান্দারসহ চারজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয় এবং ১৮ জন পাকিস্তান বাহিনীর সেনা ও রাজাকার নিহত হয়।[১৪] শিবচর উপজেলার বড়কেশবপুরের আব্দুস সালেক বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা।[১৫] বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৮৪ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি শিবচর থানাকে উপজেলায় উন্নীত করা হয়।
ভূগোল
সম্পাদনাশিবচর উপজেলার ভৌগোলিক অবস্থান ২৩°১৫´ থেকে ২৩°৩০´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°০৫´ থেকে ৯০°১৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ।[১৬] এর মোট আয়তন ৩৩২.৯০ বর্গ কিলোমিটার।[২] শিবচর উপজেলার কেন্দ্র থেকে উত্তরে মুন্সীগঞ্জ, পশ্চিমে ফরিদপুর, পূর্বে শরীয়তপুর ও দক্ষিণে মাদারীপুর জেলা সদর অবস্থিত। এর উত্তরে মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং, শ্রীনগর ও ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলা, দক্ষিণে রাজৈর ও মাদারীপুর সদর উপজেলা, পূর্বে শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলা এবং পশ্চিমে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা অবস্থিত।[১৬]
ভৌগোলিক ভাবে শিবচর (মাদারীপুর) পূর্বাঞ্চলীয় সক্রিয় গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র বদ্বীপে অবস্থিত।[১৭] এ অঞ্চল গাঙ্গেয় প্লাবনভূমি অর্থাৎ পদ্মা বিধৌত নিম্ম পলল ভূমি এলাকা।[১৮] বাংলাদেশের কৃষি-প্রতিবেশ অঞ্চল ১৪-তে অন্তর্ভুক্ত এলাকাটি শুষ্ক মৌসুমে ভিজা থাকে এবং বর্ষা মৌসুমে গভীরভাবে প্লাবিত হয় ও প্রায় প্রত্যেক বছরেই কম-বেশি বন্যা কবলিত হয়।[১৯]
শিবচর উপজেলার উপর দিয়ে পদ্মা নদী, কুমার নদী, ময়নাকাটা নদী ও আড়িয়াল খাঁ নদী প্রবাহিত হয়েছে। পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদীর মাধ্যমে শিবচর উপজেলা দ্বিখন্ডিত হয়েছে। এক সময় এ নদী দুটি ছিল শিবচর উপজেলায় যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। বর্তমানেও পদ্মা নদীর শিবচরের তীরে অবস্থিত কাওড়াকান্দি ঘাট দিয়ে ফেরিযোগে বাস ট্রাক সহ মানুষ পাড়াপাড় হয়। ময়নাকাটা নদী উপজেলা শহরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।[২০] এছাড়া এ উপজেলায় পদ্মা বিল, মির্জার চর বিল, হাসেমদি বিল ও বড় কেশবপুর বিল উল্লেখযোগ্য।[১৬] পদ্মা বিল শিবচরের মধ্য দিয়ে শরীয়তপুর জেলায় প্রবাহিত হয়েছে।
প্রশাসন
সম্পাদনা১৮৫৪ সালে সৃষ্ট মাদারীপুর মহকুমার অধীনে ১৯৩০ সালে বরহামগঞ্জ থানা গঠন করা হয় যা পরবর্তীতে শিবচর নামে পরিবর্তিত হয়। ১৯৮৪ সালে মাদারীপুর জেলা হিসেবে স্বীকৃতি পায় এবং তখন শিবচর থানা উপজেলায় রুপান্তরিত হয়। শিবচর উপজেলায় ১টি পৌরসভা, ৯টি ওয়ার্ড, ১৭টি মহল্লা, ১৯টি ইউনিয়ন, ১০১টি মৌজা ও ৫১৯টি গ্রাম রয়েছে। ইউনিয়নগুলো হলো দত্তপাড়া ইউনিয়ন, দ্বিতীয়খন্ড ইউনিয়ন, শিবচর ইউনিয়ন, নিলখী ইউনিয়ন, বন্দরখোলা ইউনিয়ন, চরজানাজাত ইউনিয়ন, মাদবরেরচর ইউনিয়ন, পাঁচ্চর ইউনিয়ন, সন্যাসিরচর ইউনিয়ন, কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়ন, কুতুবপুর ইউনিয়ন, কাদিরপুর ইউনিয়ন, ভান্ডারীকান্দি ইউনিয়ন, বহেরাতলা দক্ষিণ ইউনিয়ন, বহেরাতলা উত্তর ইউনিয়ন, বাঁশকান্দি ইউনিয়ন, উমেদপুর ইউনিয়ন, ভদ্রাসন ইউনিয়ন, শিরুয়াইল ইউনিয়ন।[২০]
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় ১৯৯৭ সালের ২৬শে অক্টবর তৎকালীন শিবচর ইউনিয়নকে তৃতীয় শ্রেণীর (গ-শ্রেণী) পৌরসভায় রূপান্তরিত করে এবং পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেন মোসলেম উদ্দিন খান।[২১] ১৯৯৯ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি প্রথম পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আঃ লতিফ মোল্লা শিবচর পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বর্তমানে মোঃ আওলাদ হোসেন খান পৌরসভার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পৌরসভাটি বর্তমানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রথম শ্রেণীর (ক-শ্রেণী) পৌরসভা হিসেবে স্বীকৃত।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শিবচরের সংসদীয় আসন মাদারীপুর-১। শিবচর উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনটি জাতীয় সংসদে ২১৮ নং আসন হিসেবে চিহ্নিত। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর অনুষ্ঠিত ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেই শিবচরের সংসদীয় আসনটি তৈরি করা হয়। প্রথম নির্বাচনে এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী। ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চৌধুরী শামসুল হুদা,[৩] ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আবুল খায়ের চৌধুরী, ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির আবুল খায়ের চৌধুরী, ফেব্রু ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী তবে ১৯৯১ উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নূর-ই-আলম চৌধুরী, ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ তারিখে বিএনপির আবুল খায়ের চৌধুরী, জুন ১৯৯৬ তারিখে আওয়ামী লীগের নূর-ই-আলম চৌধুরী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[২২] ২০১৮ সালের সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নূর-ই-আলম চৌধুরী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এ আসন থেকে নির্বাচিত হন।
অর্থনীতি
সম্পাদনাশিবচরের জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি যা মোট আয়ের ৬৩.৯৫%, অকৃষি শ্রমিক ২.১৬%, শিল্প ০.৮১%, ব্যবসা ১৪.৫৭%, পরিবহন ও যোগাযোগ ২.১৮%, চাকরি ৬.১৬%, নির্মাণ ১.২২%, ধর্মীয় সেবা ০.১৫%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.৭১% এবং অন্যান্য ৮.০৯%।[১৬] এছাড়াও এখানে চীনাবাদাম, ডাল, পিঁয়াজ, রসুন, পান, সরিষা বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয়। রবি ও খরিফ ফসল হিসেবে চীনাবাদাম চাষ হয়।[২৩] ২০০১ সালের ভূমি জরিপ অনুসারে শিবচরের ৬৫.৭৭ শতাংশ বসবাসকারীর কৃষিভূমির মালিকানা রয়েছে। শিবচরের প্রধান কৃষিজ ফসল ধান, পাট, গম, ডাল, আখ, পিঁয়াজ, রসুন, সরিষা, পান, চীনাবাদাম ও শাকসবজি। ফলের মধ্যে আম, জাম, বেল, তেঁতুল, কলা সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয়। উপজেলার অনেক ইউনিয়নে গবাদি পশু পালন, মৎস খামার ও নার্সারি রয়েছে।
শিবচর উপজেলার বিভিন্ন শিল্প ও কলকারখানা, কুটিরশিল্প অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ উপজেলায় শিল্প ও কলকারখানা তেমনভাবে গড়ে উঠেনি। কুটিরশিল্পের মধ্যে রয়েছে লৌহশিল্প, দারুশিল্প, মৃৎশিল্প, সূচিশিল্প, বাঁশের কাজ, বেতের কাজ। প্রধান রপ্তানি পণ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল চীনাবাদাম, ডাল, পিঁয়াজ, রসুন, পান, সরিষা।[১৬]
সংস্কৃতি ও খেলাধুলা
সম্পাদনামাদারীপুরের সংস্কৃতির ক্ষেত্রে শিবচর অঞ্চল বিশেষ উল্লেখযোগ্য। বর্ধিত হিন্দু গ্রামগুলোতে ছিল শৌখিন নাট্য দল, যাত্রা দল। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল উমেদপুরের ভোলানাথ অপেরা পার্টি। এ যাত্রা দলে দুই জন ইংরেজ নাট্যকর্মীও ছিল। যারা বঙ্কিমচন্দ্রের চন্দ্রশেখর চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।[৫] শিবচরে বসবাসকারী বিভিন্ন সম্প্রদায় তাদের নিজ নিজ রীতি-নীতি মনে চলে। বাংলাদেশের অন্য অনেক অঞ্চলের মত বিয়ের অনুষ্ঠানে ডুলি এবং পালকির প্রচলন ছিল। শিবচরে মূলত গাজীর গান, কীর্তন, পাঁচালি গান, ধুয়াগান, বাউল গান, প্রবাদ-প্রবচন, ছড়া, ছিলকা, হেয়ালি, ধাঁধা, জারিগান উল্লেখযোগ্যভাবে পরিচিত। বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন: পালকি, ঘোড়ার গাড়ি, গরুর গাড়ি।[১৬]
শিবচরে ক্রিকেট ও ফুটবল খেলা বেশি জনপ্রিয়। এছাড়াও ব্যাডমিন্টন, এ্যাথলেটিকস্, ভলিবল, সাঁতার, কাবাডি স্বাধীনতার পূর্ব থেকেই এ অঞ্চলে প্রচলিত। আঞ্চলিকভাবে হা-ডু-ডু, গোল্লাছুট, বউ ছি, লুকোচুরি খেলা হয়।
শিক্ষা
সম্পাদনা২০১১ সালের হিসেব অনুযায়ী শিবচরের গড় সাক্ষরতার হার শতকরা ৪৩.৫% (পুরুষ ৪৪.৬%, নারী ৪২.২%)।[২] এ উপজেলায় ১১৮ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫৩ টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১১ টি কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪৮ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৭৯ টি মাদ্রাসা, ০৬ টি কলেজ, ০২ টি কারিগরি কলেজ রয়েছে।[২০]
উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে সরকারি বরহামগঞ্জ কলেজ (১৯৬৪), রিজিয়া বেগম মহিলা কলেজ (১৯৮৪), নুরুল আমিন ডিগ্রি কলেজ (১৯৯৪), ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ (২০০১), বয়রাতলা আদর্শ কলেজ (২০০১), শিবচর নন্দকুমার ইনস্টিটিউশন (১৯১০), ভদ্রাসন জি.সি. একাডেমি (১৯১৮),মালেক ঢালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাঁচ্চর উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২০), আর.এম. উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৩০), দত্তপাড়া টি.এন. একাডেমি (১৯৩৪), মুন্সী কাদিরপুর উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৫০), টেকেরহাট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৫২), ভান্ডারীকান্দি এ.এম. উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৫৩), কাঁঠালবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬১), রাজার চর উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৭২), শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় (১৯৭৪), বাহাদুরপুর শরিয়াতিয়া আলিয়া মাদ্রাসা (১৯৪০) প্রভৃতি।[১৬] এ উপজেলার ইউনিয়নগুলোর মধ্যে, উমেদপুর ইউনিয়নের শিক্ষার হার প্রায় ৪৮.৮% ও কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের ৩৩.১%।
শিবচর উপজেলার শিক্ষা ব্যবস্থা বাংলাদেশের অন্য সব শহরের মতই। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় প্রধানত পাঁচটি ধাপ রয়েছে: প্রাথমিক (১ থেকে ৫), নিম্ন মাধ্যমিক (৬ থেকে ৮), মাধ্যমিক (৯ থেকে ১০), উচ্চ মাধ্যমিক (১১ থেকে ১২) এবং উচ্চ শিক্ষা। প্রাথমিক শিক্ষা সাধারণত ৫ বছর মেয়াদী হয় এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় সমাপনী পরীক্ষার মাধ্যমে শেষ হয়, ৩ বছর মেয়াদী নিম্ন মাধ্যমিক শিক্ষা সাধারণত নিম্ন মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি), ২ বছর মেয়াদী মাধ্যমিক শিক্ষা মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি), ২ বছর মেয়াদী উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সাধারণত উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার মাধ্যমে শেষ হয়।
মূলত বাংলা ভাষায় পাঠদান করা হয় তবে ইংরেজি ব্যাপকভাবে পাঠদান ও ব্যবহৃত হয়। অনেক মুসলমান পরিবার তাদের সন্তানদের বিশেষায়িত ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেমন মাদ্রাসাতে প্রেরণ করেন। মাদ্রাসাগুলোতেও প্রায় একই ধরনের ধাপ উত্তীর্ণ হতে হয়। উচ্চ মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হওয়ার পর কোন শিক্ষার্থী সাধারণত উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে। শিবচরে উচ্চ মাধ্যমিকের পর উচ্চ শিক্ষার জন্য বেশ কয়েকটি কলেজ রয়েছে যা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিএ ও এমএ ডিগ্রি প্রদান করে।
স্বাস্থ্য
সম্পাদনাসামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য হার তুলনামূলক কম হলেও এটি মূলত দারিদ্র্যতার সাথে সম্পর্কিত হওয়ায়, এর উন্নতির সাথে সাথে বর্তমানে স্বাস্থ্য সেবাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিবচর অঞ্চলে অপুষ্টি, পরিবেশগত স্যানিটেশন সমস্যা, ডায়াবেটিস, সংক্রামক রোগ প্রভৃতি বেশি দেখা যায়। উপজেলায় ৫০ শয্যা বিশিষ্ট একটি সরকারি হাসপাতালের সাথে সাথে ৩টি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। ১৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, ১টি পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিক, ৫টি উপ-স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়াও ৩১টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে।[২০]
যোগাযোগ ব্যবস্থা
সম্পাদনাবাংলাদেশের জাতীয় মহাসড়ক এন৮ (ঢাকা - মাওয়া ফেরীঘাট (আর৮১২) - ফেরী - ভাঙ্গা (এন৮০৪, এন৮০৫) - বরিশাল (এন৮০৯) - পটুয়াখালী) শিবচরকে ঢাকা থেকে শিবচর হয়ে মাদারীপুর-বরিশাল-পটুয়াখালীর সাথে সংযোগ স্থাপন করেছে। এছাড়া জেলা সড়ক জেড৮০১১ (পাঁচ্চর-শিবচর-মাদারীপুর সড়ক) শিবচর উপজেলার সাথে সদর উপজেলার সংযোগ স্থাপন করেছে এবং জেলা সড়ক জেড৮০১২ (কাওড়াকান্দি-জাজিরা-শরীয়তপুর সড়ক) শিবচর উপজেলার সাথে জাজিরা হয়ে শরীয়তপুরের সাথে সংযোগ স্থাপন করেছে।
শিবচর থেকে ঢাকাগামী অধিকাংশ বাস সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ও কদমতলী বাস টার্মিনালে এসে থামে। শিবচর জিরো পয়েন্ট থেকে মাদারীপুর জেলা সদরের দূরুত্ব ৩২ কিলোমিটার, রাজধানী ঢাকার দূরত্ব ৫৮ কিলোমিটার।
২০১১ সালের হিসেব অনুযায়ী এ উপজেলায় ১৬৭ কিলোমিটার পাকারাস্তা, ১২৪ কিলোমিটার আধা-পাকারাস্তা ও ৪৯৭ কিলোমিটার কাঁচারাস্তা রয়েছে।[২০] এ উপজেলায় কোন রেললাইন বা ট্রেন যোগাযোগের ব্যবস্থা নেই। ঢাকা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল হতে মাদারীপুর লঞ্চ টার্মিনালে নৌপথ নিয়মিত নৌযাতায়াতের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া এক ইউনিয়ন হতে অন্য ইউনিয়নে চলাচল বা অভ্যন্তরীন নৌযাতায়াতের এর জন্য স্থানীয় নৌযান রয়েছে।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব
সম্পাদনা- হাজী শরীয়তুল্লাহ (১৭৮০-১৮৪০) - ধর্মীয় সংস্কারক ও ফরায়েজী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা
- পীর মুহসীনউদ্দীন দুদু মিয়া (১৮১৯-১৮৬২) - ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন ও ফরায়েজী আন্দোলনের অন্যতম প্রধান নেতা
- আবা খালেদ রশীদ উদ্দিন (১৮৮৪-১৯৫৬) - বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও রাজনীতিবিদ
- খান বাহাদুর আবদুর রহমান খাঁ (১৮৯০-১৯৬৪) - শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক; যুক্ত বঙ্গের এডিপিআই(১৯৩৯-৪৫), জগন্নাথ কলেজ এর প্রিন্সিপাল(১৯৪৮-৫৬) ও রেক্টর(১৯৫৬)
- ফজলুর রহমান খান - স্থপতি; মরণোত্তর স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার (১৯৯৯) প্রাপ্ত
- রাজিয়া মাহবুব - সাহিত্যিক; ইউনেস্কো পুরস্কার (১৯৫৭) প্রাপ্ত; বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৮১) প্রাপ্ত
- ফরহাদ হোসেন (অধ্যাপক)
- ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী - রাজনীতিবিদ
- নূর-ই-আলম চৌধুরী - রাজনীতিবিদ
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ প্রতিবেদক, বিশেষ (২০২৪-০৮-২০)। "সিটি মেয়রসহ ১ হাজার ৮৭৬ জনপ্রতিনিধিকে অপসারণ"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২০।
- ↑ ক খ গ ঘ COMMUNITY REPORT: MADARIPUR (পিডিএফ) (ইংরেজি ভাষায়)। ঢাকা: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। ফেব্রুয়ারি ২০১৫। আইএসবিএন 978-984-33-8597-0। ২৭ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০২০।
- ↑ ক খ মিয়া, আবদুল জাব্বার (১৯৯৪)। মাদারীপুর জেলা পরিচিতি। মাদারীপুর: মিসেস লীনা জাব্বার।
- ↑ ক খ গ ঘ খান, শামসুজ্জামান (জুন ২০১৬)। বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি গ্রন্থমালা : মাদারীপুর। ঢাকা: বাংলা একাডেমি। পৃষ্ঠা ২৫। আইএসবিএন 984-07-5532-3।
- ↑ ক খ গ মাহমুদ, লিখন (২০১৭)। মাদারীপুর ইতিবৃত্ত। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মাদারীপুর।
- ↑ "গোপচন্দ্র"। বাংলাপিডিয়া। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-০৫।
- ↑ রায়, কৃষ্ণেন্দু। "খড়গ বংশ"। বাংলাপিডিয়া। ১ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-০৬।
- ↑ শাহনাওয়াজ, ড. একে এম (২০১৫-০৯-০৮)। "পাল রাজবংশের যাত্রা শুরু | অনুশীলন"। ইত্তেফাক। ২০২০-০২-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-০৫।
- ↑ Sailendra Nath Sen (১৯৯৯)। Ancient Indian History and Civilization। New Age International। পৃষ্ঠা 277–287। আইএসবিএন 978-81-224-1198-0।
- ↑ "মাদারীপুর জেলা"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-১০।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ খান, শামসুজ্জামান (ডিসেম্বর ২০১৩)। বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি গ্রন্থমালা : শরীয়তপুর। ঢাকা: বাংলা একাডেমি। পৃষ্ঠা ২৫। আইএসবিএন 984-07-5325-8।
- ↑ "ফরায়েজী আন্দোলন"। বাংলাপিডিয়া। ৯ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-৩১।
- ↑ "১৭ মে মাদারীপুর জেলার শিবচর গণহত্যা দিবস"। প্রিয়.কম। ২০১৪-০৫-১৭। ২০২০-০৯-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-০৫।
- ↑ আহমেদ, ইমতিয়াজ (২০১৯-১২-০৭)। "মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনান যুদ্ধাহত ওহাব মুন্সী"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-০৫।
- ↑ "মুক্তিযুদ্ধে শিবচর"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (ইংরেজি ভাষায়)। ৩১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-৩১।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ "শিবচর উপজেলা"। বাংলাপিডিয়া। ১৮ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-৩১।
- ↑ "বঙ্গীয় বদ্বীপ"। বাংলাপিডিয়া। ১ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-০৫।
- ↑ "প্লাবনভূমি"। বাংলাপিডিয়া। ২৩ এপ্রিল ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-০৫।
- ↑ "পিট মৃত্তিকা"। বাংলাপিডিয়া। ১ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-০৫।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "এক নজরে শিবচর"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (ইংরেজি ভাষায়)। ৩১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-৩১।
- ↑ "শিবচর পৌরসভা ::"। shibcharpourashava.gov.bd। ৩১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-৩১।
- ↑ "বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জানুয়ারি ১, ২০১৯" (পিডিএফ)। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১ জানুয়ারি ২০১৯। ২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০২০।
- ↑ "চীনাবাদাম"। বাংলাপিডিয়া। ১ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-৩১।