বাড়ৈখালী ইউনিয়ন
বাড়ৈখালী ইউনিয়ন বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জ জেলার অন্তর্গত শ্রীনগর উপজেলার একটি ইউনিয়ন।[১]
বাড়ৈখালী ইউনিয়ন | |
---|---|
ইউনিয়ন | |
বাংলাদেশে বাড়ৈখালী ইউনিয়নের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°৩২′১০″ উত্তর ৯০°১৭′৩৬″ পূর্ব / ২৩.৫৩৬১১° উত্তর ৯০.২৯৩৩৩° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
জেলা | মুন্সীগঞ্জ জেলা |
উপজেলা | শ্রীনগর উপজেলা |
ইউনিয়ন | বাড়ৈখালী |
আয়তন | |
• মোট | ২৫.৯৪ বর্গকিমি (১০.০২ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা | |
• মোট | ২০,৪৬০ (২,০১১) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৫২.৮১ |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
ভৌগোলিক উপাত্ত
সম্পাদনাবাড়ৈখালী ইউনিয়নের মোট আয়তন ৬৪১০ একর। [২] গ্রাম - ৫ টি, মৌজা - ৬ টি [৩]
গ্ৰামগুলোর নাম হলো - মদনখালী,বাড়ৈখালী ,শিবরামপুর,শ্রীধরপুর,খাহ্রা,
খাল ও নদী
সম্পাদনাইছামতি নদীর তীরে বাড়ৈখালী গ্রাম অবস্থিত। যদিও নদীটি এখন তার ঐতিহ্য হারিয়েছে-কিন্তু একসময় এই নদীটি প্রমত্তা ছিল। এখান দিয়ে ইস্টিমার চলতো, গোয়ালন্দ হয়ে সেই ইস্টিমার কলকাতা পর্যন্ত যাতায়াত করতো। বর্তমানে নদীটি সরু হয়ে গেছে। ঢাকার সাথে সরাসরি পাকা রাস্তা হয়ে যাওয়ায় এই নদীটির প্রয়োজনীয়তাও ফুরিয়েছে। এই ইছামতি নদীর একটি শাখা বাড়ৈখালী গ্রামটিকে দুইভাগ করে দিয়ে আড়িয়ল বিলে গিয়ে মিশেছে। একটি হচ্ছে পশ্চিম বাড়ৈখালী আর একটি হচ্ছে পূর্ব বাড়ৈখালী। এছাড়া গ্রামের ভেতর দিয়ে উল্লেখ করার মত তেমন কোন খাল নদী প্রবাহিত হয়নি। ছোট ছোট নালা মূলক নদী থেকে বেশ কয়েকটি কেটে নেওয়া হয়েছে। সেগুলো জমিতে সেচ কাজের জন্য। বর্ষাকালে এই নালা গুলোই খালের মত দেখতে হয় এবং সেরকম কাজ দেয়। বাড়ৈখালীর প্রান্ত সীমানা শিবরামপুর, খাহ্রা, মদনখালীর পাশদিয়ে ইছামতি নদীটি প্রবাহিত হয়ে পাশে সিরাজদিখান ও নবাবগঞ্জ উপজেলার সাথে বাড়ৈখালীর শ্রীনগর উপজেলাকে বিছিন্ন করে দিয়েছে।
বাড়ৈখালী এমনিতেই নীচু এলাকা, সারা বছরই আগে এখানে পানি থাকতো, নৌকা ব্যবহার হতো, চারদিকে ছিল থৈ থৈ পানি হয়তো সেই কারণেই তখন খাল কাটার প্রয়োজন হয়নি। তবে সেচ কাজের সুবিধার জন্য বাড়ৈখালী দক্ষিন হাটি চকে একটি খাল কাটতে হয়েছিল যেটিকে কাটা খাল নামে অভিহিত করা হয়।
জনসংখ্যার উপাত্ত
সম্পাদনা২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বাড়ৈখালী ইউনিয়নে মোট জনসংখ্যা ২০৪৬০ জন ।
নিচে গ্ৰামভিত্তিক জনসংখ্যার উপাত্ত দেওয়া হলো:-
গ্রামের নাম | জনসংখ্যা |
বাড়ৈখালী | ৬,৯৭০ জন |
শ্রীধরপুর | ৪,০২২ জন |
শিবরামপুর | ২,৬৪৮ জন |
খাহ্রা | ৩,৬১০ জন |
মদনখালী | ৩,২১০ জন |
তথ্য সূত্র- আদমশুমারী ২০১১ প্রতিবেদন।
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় মদনখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল
শিক্ষা
সম্পাদনাশিক্ষার হার - ৯২.৮১% [২]
- প্রাথমিক বিদ্যালয় - ৬ টি
- মাধ্যমিক বিদ্যায় - ৩ টি
- মাদরাসা - ৬ টি[৩]
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি
সম্পাদনা- সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী - লেখক, প্রাবন্ধিক ও শিক্ষক
- আমানুল ইসলাম চৌধুরী - সাবেক সচিব, বাংলাদেশ রেলওয়ে; সাবেক চেয়ারম্যান, ডেসা; সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা [৩]
দর্শনীয় স্থান
সম্পাদনামদনখালী-খাহ্রা- প্রাকৃতিক বানরের চারণ ভূমি। মদনখালীর পার ঘেঁষে চোখ জুড়ানো আড়িয়াল বিলের মনোরম দৃশ্য [৩]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ baraikhaliup.munshiganj.gov.bd https://baraikhaliup.munshiganj.gov.bd/bn/site/view/Leaders। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-২৪।
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য) - ↑ ক খ "শ্রীনগর উপজেলা"। বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ ক খ গ ঘ "বাড়ৈখালী ইউনিয়ন"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০১৯।