ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ (সংক্ষেপে ইবি, আরবি: الجامعة الإسلامية بنغلاديش) স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত প্রথম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।[২][৩] এটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া নামেই অধিক পরিচিত। বাংলাদেশের সংবিধানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সকল ধর্মের ও বর্ণের দেশী-বিদেশী ছাত্র-ছাত্রী-শিক্ষকের সমন্বয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, ব্যবসা প্রশাসন, আইন, সামাজিক বিজ্ঞান এবং মানবিক ও কলা অনুষদীয় বিষয়ের পাশাপাশি দেশে শুধুমাত্র এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতেই ধর্মতত্ব ও ইসলামী আইনের উপর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী প্রদান করা হয়।[৪][৫] শুরুর দিকে বিশ্ববিদ্যালয়টি আর্থিকভাবে ইসলামী সম্মেলন সংস্থার সাহায্যে পরিচালিত হয়ে আসলেও বর্তমানে এটি বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে। ইসলামী শিক্ষার সাথে আধুনিক শিক্ষার সমন্বয় করে দেশের উচ্চশিক্ষায় ভূমিকা রেখে উন্নত জাতি গঠনের লক্ষ্যে ১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া জেলায় প্রতিষ্ঠানটি স্থাপন করা হয়।[৬] ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৮৬ সালের ২৮ জুন তাদের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে ৮টি অনুষদের অধীনে ৩৬টি বিভাগ চালু আছে। [৭][৮]
![]() | |
ধরন | সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, সহশিক্ষা |
---|---|
স্থাপিত | ২২ নভেম্বর ১৯৭৯ |
আচার্য | রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন |
উপাচার্য | শেখ আব্দুস সালাম[১] |
শিক্ষার্থী | ১৮,০০০ (প্রায়) |
স্নাতক | ১৩,৫০০ (প্রায়) |
স্নাতকোত্তর | ২,৫০০ (প্রায়) |
অবস্থান | , , |
শিক্ষাঙ্গন | শহুরে (১৭৫ একর) |
সংক্ষিপ্ত নাম | ইবি |
অধিভুক্তি | বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন |
ওয়েবসাইট | www |
![]() | |
![]() |
ইতিহাসসম্পাদনা
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে একটি ইসলামী বিদ্যাপীঠ স্থাপনের উদ্যোগ অনেক পুরনো। সর্বপ্রথম ১৯২০ সালে মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী চট্টগ্রামের পটিয়ায় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে ফান্ড গঠন করেন। ১৯৩৫ সালে মাওলানা শওকত আলি মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১৯৪১ সালে মাওলা বক্স কমিটি ইউনিভার্সিটি অব ইসলামিক লার্নিং প্রতিষ্ঠার জন্য সুপারিশ করে। ১৯৪৬-৪৭ সালে সৈয়দ মোয়াজ্জেম উদ্দীন কমিটি এবং ১৯৪৯ সালে মওলানা মুহাম্মদ আকরাম খাঁ কমিটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য সুপারিশ করে। ১৯৬৩ সালের ৩১ মে ড. এস. এম. হোসাইন-এর সভাপতিত্বে "ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন" গঠন করা হয়।
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সরকার ১ ডিসেম্বর ১৯৭৬ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়। ১৯৭৭ সালের ২৭ জানুয়ারি প্রফেসর এম. এ. বারীকে সভাপতি করে ৭ সদস্যবিশিষ্ট ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পরিকল্পনা কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ২০ অক্টোবর ১৯৭৭ সালে রিপোর্ট পেশ করে।[৩] কমিটির সুপারিশে ধর্মতত্ত্ব ও ইসলামি অধ্যয়ন অনুষদের অধীন (১) আল-কুরআন ওয়া উলূমুল কুরআন, (২) উলূমুত তাওহীদ ওয়াদ দা‘ওয়াহ, (৩) আল হাদীস ওয়া উলূমুল হাদীস, (৪) আশ-শরীয়াহ ওয়া উসূলুস শরীয়াহ, এবং (৫) আল ফালসাফাহ ওয়াত তাসাউফ ওয়াল আখলাক বিভাগ, মানবিক ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের অধীন (১) আরবী ভাষা ও সাহিত্য, (২) বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, (৩) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, (৪) অর্থনীতি, (৫) লোক প্রশাসন, (৬) তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব, (৭) ভাষাতত্ত্ব ও বাণিজ্য বিভাগ এবং বিজ্ঞান অনুষদের অধীন (১) পদার্থ বিজ্ঞান, (২) গণিত, (৩) রসায়ন, (৪) উদ্ভিদবিদ্যা এবং (৫) প্রাণিবিদ্যা বিভাগ প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করা হয়।[৩]
৩১ মার্চ-৮ এপ্রিল ১৯৭৭ সালে মক্কায় ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মুসলিম বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানদের এক সম্মেলনে বিভিন্ন মুসলিম রাষ্ট্রে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করা হয়। এই সুপারিশের ভিত্তিতে ২২ নভেম্বর ১৯৭৯ সালে কুষ্টিয়া শহর থেকে ২৪ কিলোমিটার দক্ষিণে ঝিনাইদহ শহর থেকে ২২ কিলোমিটার উত্তরে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পাশে শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুর নামক স্থানে ১৭৫ একর জমিতে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।[৩] পরের বছর ১৯৮০ সালের ২৭ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয়। এরপর ১৯৮১ সালের ৩১ জানুয়ারি তৎকালীন প্রকল্প পরিচালক এ. এন. এম মমতাজ উদ্দিন চৌধুরীকে প্রথম উপাচার্য নিয়োগ করা হয় এবং দুটি অনুষদের অধীনে চারটি বিভাগে মোট ৩০০ জন ছাত্র নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্র শুরু হয়।
এরশাদ সরকার ১৯৮২ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ (সংশোধনী) ১৯৮২ (৪২)-এর ৪ (বি) ধারা অনুসারে শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুরে নির্মাণ কাজ স্থগিত করেন এবং ১৯৮৩ সালের ১৮ জুলাইয়ের এক আদেশে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে গাজীপুরের বোর্ড বাজারে স্থানান্তর করেন। কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ শুরু হয় আন্দোলন, এ আন্দোলনে কুষ্টিয়ার বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী নেতা গ্রেফতার হন এবং দীর্ঘদিন কারাবরণ করেন। প্রবল আন্দোলনের এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে ১৯৮৯ সালের ৩ জানুয়ারি মন্ত্রীসভার বৈঠকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
১৯৯০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে গাজীপুর থেকে কুষ্টিয়ায় স্থানান্তর করা হয়। তখন শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুরে ক্যাম্পাসের কাজ শেষ হয় নাই। এইজন্য বিকল্প ব্যবস্থায় কুষ্টিয়া শহরের পি.টি.আই ভবনে ধর্মতত্ত্ব ও ইসলামি অধ্যয়ন অনুষদ, কুষ্টিয়া মেডিকেল স্কুলে মানবিক ও সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ এবং শহরের অন্যান্য ভবনে শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু করা হয়। ১৯৯০-৯১ শিক্ষাবর্ষে একযোগে আরো ৫টি নতুন বিভাগ প্রবর্তিত হয়। সাধারণ ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে ১৯৯০-৯১ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবারের মতো ছাত্রী ও ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির রেওয়াজ চালু করা হয়। ১৯৯২ সালের ১ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ক্যাম্পাস শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুরে শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।
১৯৯৩ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর ডিগ্রী প্রদানের জন্য এমফিল এবং পিএইচডি কার্যক্রম শুর হয়। ১৯৯৭-৯৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রচলিত ৩ বছরের পরিবর্তে ৪ বছরের অনার্স কোর্স এবং ২০০৬-২০০৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে গ্রেডিং পদ্ধতি চালু করা হয়। ১৯৯০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম নারী শিক্ষক নিয়োগ ও ১৯৯০-১৯৯১ শিক্ষাবর্ষে প্রথম ছাত্রী ভর্তি করা হয়। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে শিক্ষার্থী ভর্তি ও শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়।[৯]
প্রশাসনসম্পাদনা
আচার্য | রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন |
উপাচার্য | অধ্যাপক শেখ আব্দুস সালাম |
উপ-উপাচার্য | অধ্যাপক ডঃ মোঃ মাহবুবুর রহমান।[১০] |
কোষাধ্যক্ষ | অধ্যাপক ডঃ মোঃ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া।[১১] |
রেজিস্ট্রার | এইচ এম আলী হাসান (ভারপ্রাপ্ত)।[১২] |
প্রক্টর | অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন।[১৩] |
ছাত্র উপদেষ্টা | শেলীনা নাসরীন।[১৪] |
উপাচার্যের তালিকাসম্পাদনা
- এ এন এম মমতাজ উদ্দিন চৌধুরী (৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯ থেকে ২৭ ডিসেম্বর ১৯৮৮)[১৫][১৬]
- মুহম্মদ সিরাজুল ইসলাম (২৮ ডিসেম্বর ১৯৮৮ থেকে ১৭ জুন ১৯৯১)
- মুহাম্মাদ আব্দুল হামিদ (১৮ জুন ১৯৯১ থেকে ২১ মার্চ ১৯৯৫)
- মুহাম্মাদ ইনাম-উল হক (৯ মে ১৯৯৫ থেকে ২ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭)
- কায়েস উদ্দিন (৩ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭ থেকে ১৯ অক্টোবর ২০০০)
- মুহাম্মাদ লুৎফর রহমান (২০ অক্টোবর ২০০০ থেকে ৩ নভেম্বর ২০০১)
- মুহাম্মাদ মুস্তাফিজুর রহমান (১০ ডিসেম্বর ২০০১ থেকে ২ এপ্রিল ২০০৪)
- এম রফিকুল ইসলাম (৩ এপ্রিল ২০০৪ থেকে ১০ জুলাই ২০০৬)
- ফয়েজ মুহাম্মাদ সিরাজুল হক (১০ অগাস্ট ২০০৬ থেকে ৮ মার্চ ২০০৯)
- এম আলাউদ্দিন (৯ মার্চ ২০০৯ থেকে ২৭ ডিসেম্বর ২০১২)
- আব্দুল হাকিম সরকার (২৭ ডিসেম্বর ২০১২ থেকে ৩০ জুন ২০১৬)
- মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী (২১ অগাস্ট ২০১৬ থেকে ২০ অগাস্ট ২০২০)
- শেখ আব্দুস সালাম (৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০- বর্তমান)।
উপ-উপাচার্যের তালিকাসম্পাদনা
- কামাল উদ্দিন
- মোঃ শাহিনুর রহমান
- মাহবুবুর রহমান(বর্তমান)
অনুষদসম্পাদনা
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ টি অনুষদের অধীনে ৩৬টি বিভাগ রয়েছে। এছাড়াও ২০২৩ সালে প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম অনুসারে প্রস্তাবিত বিভাগসহ মোট ৫৯টি বিভাগ চালু করা হবে।[১৭] অনুষদগুলি হল:
ধর্মতত্ত্ব ও ইসলামী শিক্ষা অনুষদসম্পাদনা
ডিগ্রী প্রদান করে: বিটিআইএস (অনার্স), এমটিআইএস, এমফিল ও পিএইচডি।
এই অনুষদের অধীন তিনটি বিভাগ রয়েছে। বিষয়ের মাধ্যম হচ্ছে আরবি, ইংরেজি ও বাংলা।
নং | বিভাগের নাম | শিক্ষা ও পরীক্ষার মাধ্যম | প্রতিষ্ঠার বছর | আসন |
---|---|---|---|---|
০১ | আল কুরআন ও ইসলামী শিক্ষা | আরবি, ইংরেজি, বাংলা | ১৯৮৬ | ৮০ |
০২ | দাওয়াহ ও ইসলামী শিক্ষা | আরবি, ইংরেজি, বাংলা | ১৯৮৬ | ৮০ |
০৩ | আল হাদীস ও ইসলামী শিক্ষা | আরবি, ইংরেজি, বাংলা | ১৯৯২ | ৮০ |
প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদসম্পাদনা
ডিগ্রী প্রদান করে: বি.এস-সি.ইঞ্জি:/ বি. ইঞ্জি:, এম.এস-সি ইঞ্জি:/এম. ইঞ্জি:, এমফিল। ও পিএইচডি।
প্রয়োগ/প্রকৌশল বিজ্ঞান সহ এই অনুষদের অধীনে পাঁচটি বিভাগ রয়েছে ও শিক্ষা ও পরীক্ষার মাধ্যম হল ইংরেজি।
নং | বিভাগের নাম | শিক্ষা ও পরীক্ষার মাধ্যম | প্রতিষ্ঠার বছর | আসন |
---|---|---|---|---|
০১ | তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল | ইংরেজি | ১৯৯৫ | ৫০ |
০২ | কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল | ইংরেজি | ১৯৯৫ | ৫০ |
০৩ | ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল | ইংরেজি | ১৯৯৫ | ৫০ |
০৪ | তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি | ইংরেজি | ১৯৯৮ | ৫০ |
০৫ | জৈবচিকিৎসা প্রকৌশল | ইংরেজি | ২০১৭ | ৫০ |
০৬ | পারমাণবিক প্রকৌশল | ইংরেজি | প্রস্তাবিত | ৫০ |
০৭ | বস্তু বিজ্ঞান ও প্রকৌশল | ইংরেজি | প্রস্তাবিত | ৫০ |
০৮ | বিস্ফোরক প্রকৌশল | ইংরেজি | প্রস্তাবিত | ২০ |
০৯ | বৈমানিক প্রকৌশল | ইংরেজি | প্রস্তাবিত | ৩০ |
১০ | পেট্রোলিয়াম এবং খনিজ সম্পদ প্রকৌশল | ইংরেজি | প্রস্তাবিত | ৩০ |
জীববিজ্ঞান অনুষদসম্পাদনা
ডিগ্রী প্রদান করে: বি.ফার্ম, এম.ফার্ম, বি. এসসি (অনার্স), এমএসসি ও পিএইচডি
প্রয়োগ/জীব বিজ্ঞানসহ এই অনুষদের অধীনে তিনটি বিভাগ রয়েছে ও শিক্ষা ও পরীক্ষার মাধ্যম হল ইংরেজি।
নং | বিভাগের নাম | শিক্ষা ও পরীক্ষার মাধ্যম | প্রতিষ্ঠার বছর | আসন |
---|---|---|---|---|
০১ | জৈব প্রযুক্তি ও জীন প্রকৌশল | ইংরেজি | ১৯৯৮ | ৫০ |
০২ | ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি | ইংরেজি | ১৯৯৮ | ৫০ |
০৩ | ফার্মেসী | ইংরেজি | ২০১৭ | ৫০ |
০৪ | জনস্বাস্থ্য | ইংরেজি | প্রস্তাবিত | ৫০ |
০৫ | অণুজীব বিজ্ঞান | ইংরেজি | প্রস্তাবিত | ৫০ |
০৬ | প্রাণরসায়ন ও আণবিক জীববিজ্ঞান | ইংরেজি | প্রস্তাবিত | ৫০ |
বিজ্ঞান অনুষদসম্পাদনা
ডিগ্রী প্রদান করে: বি.এসসি (অনার্স), এমএসসি, এমফিল ও পিএইচডি।
পদার্থ/গাণিতিক বিজ্ঞানসহ এই অনুষদের অধীনে তিনটি বিভাগ রয়েছে ও শিক্ষা ও পরীক্ষার মাধ্যম হল ইংরেজি।
নং | বিভাগের নাম | শিক্ষা ও পরীক্ষার মাধ্যম | প্রতিষ্ঠার বছর | আসন |
---|---|---|---|---|
০১ | গণিত | ইংরেজি | ২০০৭ | ৫০ |
০২ | পরিসংখ্যান | ইংরেজি | ২০০৯ | ৫০ |
০৩ | ভূগোল ও পরিবেশ | ইংরেজি | ২০১৭ | ৫০ |
০৪ | শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান | ইংরেজি | ২০২২ | ২৫ |
০৫ | পদার্থবিজ্ঞান | ইংরেজি | প্রস্তাবিত | ৫০ |
০৬ | উদ্ভিদবিজ্ঞান | ইংরেজি | প্রস্তাবিত | ৫০ |
০৭ | প্রাণিবিজ্ঞান | ইংরেজি | প্রস্তাবিত | ৫০ |
০৮ | রসায়ন | ইংরেজি | প্রস্তাবিত | ৫০ |
০৯ | ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা | ইংরেজি | প্রস্তাবিত | ৫০ |
১০ | দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা | ইংরেজি | প্রস্তাবিত | ৫০ |
ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদসম্পাদনা
ডিগ্রী প্রদান করে: বিবিএ, এমবিএ, এমফিল ও পিএইচডি।
এই অনুষদের অধীনে ছয়টি বিভাগ রয়েছে ও শিক্ষা ও পরীক্ষার মাধ্যম হল ইংরেজি।
নং | বিভাগের নাম | শিক্ষা ও পরীক্ষার মাধ্যম | প্রতিষ্ঠার বছর | আসন |
---|---|---|---|---|
০১ | হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা | ইংরেজি | ১৯৮৬ | ৭৫ |
০২ | ব্যবস্থাপনা | ইংরেজি | ১৯৮৬ | ৭৫ |
০৩ | অর্থসংস্থান ও ব্যাংকিং | ইংরেজি | ২০০৯ | ৭৫ |
০৪ | বিপণন | ইংরেজি | ২০১৫ | ৭৫ |
০৫ | মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা | ইংরেজি | ২০১৭ | ৭৫ |
০৬ | পর্যটন ও আতিথেয়তা ব্যবস্থাপনা | ইংরেজি | ২০১৭ | ৭৫ |
০৭ | ব্যাংকিং ও বীমা | ইংরেজি | প্রস্তাবিত | ৭৫ |
০৮ | আন্তর্জাতিক ব্যবসা | ইংরেজি | প্রস্তাবিত | ৭৫ |
০৯ | ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম | ইংরেজি | প্রস্তাবিত | ৭৫ |
কলা অনুষদসম্পাদনা
ডিগ্রী প্রদান করে: বিএ (অনার্স), এমএ, এম.ফিল ও পিএইচডি।
এই অনুষদের অধীন পাঁচটি বিভাগ রয়েছে ও বিষয়ের মাধ্যম হচ্ছে আরবি, ইংরেজি ও বাংলা।
নং | বিভাগের নাম | শিক্ষা ও পরীক্ষার মাধ্যম | প্রতিষ্ঠার বছর | আসন |
---|---|---|---|---|
০১ | আরবি ভাষা ও সাহিত্য | আরবি, ইংরেজি, বাংলা | ১৯৯১ | ৮০ |
০২ | বাংলা | বাংলা, ইংরেজি | ১৯৯১ | ৮০ |
০৩ | ইংরেজি | ইংরেজি | ১৯৯১ | ১০০ |
০৪ | ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি | বাংলা, ইংরেজি | ১৯৯১ | ৮০ |
০৫ | চারুকলা | ইংরেজি, বাংলা | ২০১৯ | ৩০ |
০৬ | ইতিহাস | ইংরেজি, বাংলা | প্রস্তাবিত | ৮০ |
০৭ | দর্শন | ইংরেজি, বাংলা | প্রস্তাবিত | ৮০ |
০৮ | ভাষাবিদ্যা | ইংরেজি | প্রস্তাবিত | ৮০ |
০৯ | থিয়েটার ও পরিবেশন শিল্পকলা | ইংরেজি, বাংলা | প্রস্তাবিত | ৮০ |
১০ | সঙ্গীত | ইংরেজি, বাংলা | প্রস্তাবিত | ৮০ |
১১ | বিশ্ব ধর্ম | ইংরেজি, বাংলা | প্রস্তাবিত | ৮০ |
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদসম্পাদনা
ডিগ্রি প্রদান করে: বিএ (অনার্স), বি.এস.এস (অনার্স), এমএ, এম.এস.এস., এমফিল ও পিএইচডি।
এই অনুষদের অধীন সাতটি বিভাগ রয়েছে ও বিষয়ের মাধ্যম হচ্ছে ইংরেজি।
নং | বিভাগের নাম | শিক্ষা ও পরীক্ষার মাধ্যম | প্রতিষ্ঠার বছর | আসন |
---|---|---|---|---|
০১ | অর্থনীতি | ইংরেজি | ১৯৮৯ | ৭৫ |
০২ | লোকপ্রশাসন | ইংরেজি, বাংলা | ১৯৯১ | ৭৫ |
০৩ | রাষ্ট্রবিজ্ঞান | ইংরেজি, বাংলা | ২০১৫ | ৭৫ |
০৪ | লোকাচার বিদ্যা | ইংরেজি, বাংলা | ২০১৫ | ৮০ |
০৫ | উন্নয়ন অধ্যয়ন | ইংরেজি | ২০১৭ | ৭৫ |
০৬ | সমাজকল্যাণ | ইংরেজি | ২০১৭ | ৭৫ |
০৭ | গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা | ইংরেজি | ২০২১ | ৩০ |
০৮ | সমাজবিজ্ঞান | ইংরেজি, বাংলা | প্রস্তাবিত | ৭৫ |
০৯ | নৃবিজ্ঞান | ইংরেজি | প্রস্তাবিত | ৭৫ |
১০ | আন্তর্জাতিক সম্পর্ক | ইংরেজি, বাংলা | প্রস্তাবিত | ৭৫ |
আইন অনুষদসম্পাদনা
ডিগ্রী প্রদান করে: এলএলবি (অনার্স), এলএলএম, এমফিল ও পিএইচডি।
এই অনুষদের অধীন তিনটি বিভাগ রয়েছে ও বিষয়ের মাধ্যম হচ্ছে আরবি, ইংরেজি ও বাংলা।
নং | বিভাগের নাম | শিক্ষা ও পরীক্ষার মাধ্যম | প্রতিষ্ঠার বছর | আসন |
---|---|---|---|---|
০১ | আইন | ইংরেজি, বাংলা | ১৯৯০ | ৮০ |
০২ | আল-ফিকহ ও আইন বিভাগ | ইংরেজি, আরবি, বাংলা | ২০০৩ | ৮০ |
০৩ | আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা | ইংরেজি, বাংলা | ২০১৭ | ৮০ |
ইনস্টিটিউটসম্পাদনা
বর্তমানে আইইউতে একটি ইনস্টিটিউট রয়েছে, ইনস্টিটিউট অফ ইসলামিক এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (ইসলামি শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট)। বিএড, এমএড, ডিপ্লোমা, ডিপ্লোমা ইন লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন সায়েন্স, জুনিয়র ডিপ্লোমা ইন চাইনিজ ল্যাঙ্গুয়েজ প্রোগ্রাম এই ইনস্টিটিউট দ্বারা পরিচালিত হয়। ২০২৩ সালের মধ্যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন অনুমোদিত প্রোগ্রাম অনুযায়ী ইবি-তে মোট তিনটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হবে।
- ইসলাম শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট
- আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট
- শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটারসম্পাদনা
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটার ছাত্রদের দ্বারা ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ২১ অক্টোবর ২০২১ সালে, ইবি থিয়েটার তার ৩০ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করে। ছাত্র শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে প্রতিনিয়ত নাটক মঞ্চস্থ হয়। সম্প্রতি ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ পথনাটক 'জুতা আবিষ্কার' প্রদর্শিত হয়। [১৮]
হলসমূহসম্পাদনা
বিশ্ববিদ্যালয়ে আটটি হল আছে। ছাত্রদের জন্য পাঁচটি এবং ছাত্রীদের জন্য তিনটি আবাসিক হল রয়েছে। এছাড়াও ২টি ১০ তলা ছাত্র হল, ও ১টি ১০ তলা ছাত্রী হল নির্মাণাধীন রয়েছে[১৯]।পাশাপাশি শেখ রাসেল হলের আরেকটি ১০ তলা ব্লক নির্মাণাধীন রয়েছে।
- সাদ্দাম হোসেন হল (মোট সিট ৪৭৫ টি)
- শহীদ জিয়াউর রহমান হল (মোট সিট ৪০০ টি)
- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল (মোট সিট ৩৬৬ টি)
- লালন শাহ হল (মোট সিট ৩৬৮ টি)
- শেখ রাসেল হল (মোট সিট ২৬০ টি)
- খালেদা জিয়া হল (মোট সিট ৩৯৮ টি)
- দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল (মোট সিট ২৬০ টি)
- বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল (মোট সিট ৪৮০ টি)
র্যাঙ্কিংসম্পাদনা
- আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিং
ওয়েবমেট্রিক্স ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং ওয়েবসাইট অনুযায়ী ২০২২ সালের সংস্করণে,সমগ্র পৃথিবীর বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলাদেশ ২১৮৮তম স্থানে রয়েছে। ২০২১-২০২২ সেশনে 4icu.org ওয়েবসাইট দ্বারা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বব্যাপী ১৩৮০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৯৫৬৭ তম অবস্থানে ।[২০] আরেকটি দিক হল edurank.org ওয়েবসাইটটি ১৬৯৫৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের ৬২০৯তম অবস্থানে রয়েছে।[২১] রাশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিং ওয়েবসাইট ২০২০ খ্রিস্টব্দ বিশ্বব্যাপী ২৮০০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ৪৩৫৫তম অবস্থানে রয়েছে।[২২]
- জাতীয় র্যাঙ্কিং
২০২২ সালে www.webometrics.info ওয়েবসাইট, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ বাংলাদেশী পাবলিক-প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলোর মধ্যে ৩৬ তম স্থানে এসেছে। 4icu.org ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ৩৯ তম স্থানে রয়েছে।[২০] রাশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিং ওয়েবসাইট ২০২০ সালে বাংলাদেশের ১২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১৬তম অবস্থানে রয়েছে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি।[২২] edurank.org ওয়েবসাইটটি বাংলাদেশের ১২৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশকে ২৩তম স্থানে রাখে।[২১]
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গসম্পাদনা
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে, বাংলাদেশের অনেক উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি রয়েছে, যেমন ছাত্র এবং শিক্ষক।
উল্লেখযোগ্য শিক্ষকসম্পাদনা
- এ এন এম মমতাজ উদ্দিন চৌধুরী - ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য এবং প্রকল্প পরিচালক, বাংলাদেশ।
- মাইমুল আহসান খান - আইনশাস্ত্র এবং তুলনামূলক আইনের পণ্ডিত এবং সাবেক অধ্যাপক।
- মোঃ আব্দুস সাত্তার - প্রাক্তন উপাচার্য, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
- আবুল আহসান চৌধুরী - লেখক, গবেষক ও সাবেক অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ।
- মোঃ শাহিনুর রহমান - গবেষক, লেখক, শিক্ষাবিদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, লোকসাহিত্যিক, গায়ক এবং সাবেক উপ-উপাচার্য। [২৩]
- ফয়েজ মুহাম্মাদ সিরাজুল হক - একাডেমিক এবং প্রাক্তন ভাইস চ্যান্সেলর, আইইউ।
- হারুন-উর-রশিদ আসকারি - বাঙালি-ইংরেজি লেখক, কথাসাহিত্যিক, কলামিস্ট, একাডেমিক, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং দ্বাদশ উপাচার্য, আইইউ।
- এম. আলাউদ্দিন - শিক্ষাবিদ, রসায়নবিদ এবং প্রাক্তন ভাইস চ্যান্সেলর, আইইউ।
- শামসুজ্জামান খান, বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক ও বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক।
- এবিএম শওকত আলী - লেখক, পদার্থবিদ এবং কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল, প্রাক্তন সহকারী অধ্যাপক।
- কামাল উদ্দিন - ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপ-উপাচার্য।
- খোন্দকার আবু নাসর মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ -ইসলামী ব্যক্তিত্ব,ইসলামিক বক্তা, লেখক, গবেষক ও শিক্ষাবিদ- আল হাদিস ও ইসলামি অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক
উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থীসম্পাদনা
- আব্দুর রহমান আনওয়ারী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের দাওয়াহ ও ইসলামি অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। এ বিভাগের অধ্যাপক, সভাপতি, ধর্মতত্ত্ব ও ইসলামি শিক্ষা অনুষদের ডিন ছিলেন।[২৪][২৫] তিনি বাংলাপিডিয়ার একজন লেখক ছিলেন।[২৬]
- আহমদ আবদুল কাদের –– ইসলামি চিন্তাবিদ ও রাজনীতিবিদ, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব (জ. ১৯৫৫)
- ফাহিমা খাতুন - বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের সদস্য (জঃ ১৯৯২)
- মেহেদি হাসান রয়েল—বাংলাদেশ ফুটবল জাতীয় দলের আক্রমণভাগের খেলোয়াড়।
- মোহাম্মদ শামসুদ্দিন—বাংলাদেশী দৌড়বিদ।
- মোহাম্মদ আলী মনি - গবেষক, ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়। [২৭]
উদ্ভাবন এবং অর্জনসম্পাদনা
- এডি সাইন্টিফিক ইনডেক্স নামের আন্তর্জাতিক সংস্থার ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে প্রকাশিত বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ১৭ জন শিক্ষক স্থান পায়।[২৮]
- ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল (ইইই) বিভাগের এমএসসি শিক্ষার্থী নিয়াজ মুস্তাকিম ইন্টেলিজেন্ট স্মার্ট এবং ভার্সেটাইল হোম সিকিউরিটি সিস্টেম ডিজাইন করেছিলেন। এটি দৈনন্দিন কাজে যেমন দরজা খোলা এবং বন্ধ করা, লাইট সুইচ করা এবং শীতাতপনিয়ন্ত্রণ চালু এবং বন্ধ করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে, সেইসাথে গ্যাস লিক এবং আগুনের মতো বিপদে সতর্ক করতে পারবে এই যন্ত্র। [২৯]
- ইভিনিং প্রিমরোজ (সূর্যমুখীর একটি বিশেষ প্রজাতি, শীতপ্রবণ দেশের একটি ফুল) বাংলাদেশের আবহাওয়ায় জৈবপ্রযুক্তি ও জিন প্রকৌশল বিভাগের গবেষকরা চাষ করেন। ড. জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে প্রায় দেড় বছর চেষ্টা করার পর গবেষকরা টিস্যু কালচারের মাধ্যমে দেশের জলবায়ুতে এই ফুল চাষ করতে সক্ষম হয়েছেন। গবেষক দলের অন্য সদস্যরা হলেন অধ্যাপক আনোয়ারুল হক স্বপন, বিভাগের শিক্ষার্থী মোস্তফা শাকিল, জুবায়ের হুসাইন, সদরুল হাসান চৌধুরী, জহুরুল ইসলাম, জুলকার নাইন প্রমুখ। [৩০]
ইউনিভার্সিটি স্কুল অ্যান্ড কলেজসম্পাদনা
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিশুদের জন্য ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে মাধ্যমিক স্তরের এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার একটি 'ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ' রয়েছে। স্কুল এবং কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে সাধারণ ছাত্রদের গ্রহণ করে।[৩১]
গ্যালারিসম্পাদনা
আরও দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব। "ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য অধ্যাপক সালাম"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-৩০।
- ↑ "Islamic University"। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন। ২০০৭-১০-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৫-১৭।
- ↑ ক খ গ ঘ "ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়"। banglapedia.org।
- ↑ "ইসলামী জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত ইবির ধর্মতত্ত্ব অনুষদ"। দৈনিক সংগ্রাম। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১০।
- ↑ "বৈচিত্রময় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১০।
- ↑ THE ISLAMIC UNIVERSITY ACT, 1980
- ↑ Engineer, Nazmus Shahadat, Senior Software। "Islamic University"। iu.ac.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-২৫।
- ↑ "ইবিতে খোলা হলো সাংবাদিকতা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগ"। SAMAKAL (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-২৫।
- ↑ "আজ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস"। দৈনিক সংগ্রাম। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-১৩।
- ↑ "ইবির নতুন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান"। banglanews24.com। ২০২১-০৬-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৪।
- ↑ "IU gets new treasurer"। New Age (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৪।
- ↑ "ইবির সবাই পাচ্ছেন করোনার টিকা"। ittefaq। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১৪।
- ↑ "ইবির নতুন প্রক্টর জাহাঙ্গীর | কালের কণ্ঠ"। Kalerkantho। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-২৫।
- ↑ সংবাদদাতা, ইবি। "ইবিতে প্রথম নারী ছাত্র উপদেষ্টা ড. শেলীনা নাসরীন"। DailyInqilabOnline। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-২৮।
- ↑ Engineer, Nazmus Shahadat, Senior Software। "Islamic University"। iu.ac.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২৫।
- ↑ bdnewshour24.com। "ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৮ বছর | banglanewspaper"। bdnewshour24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২৫।
- ↑ "ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্গানোগ্রাম অনুমোদন -- মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ-শিক্ষা মন্ত্রণালয়"। www.shed.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৪।
- ↑ "ইবিতে পথনাটক 'জুতা আবিষ্কার' প্রদর্শিত"। দৈনিক ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-২৫।
- ↑ Deshkal, Shampratik। "ইবিতে দুইটি আবাসিক হলের কাজের উদ্বোধন"। Shampratik Deshkal। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-০৯।
- ↑ ক খ "Islamic University | Ranking & Review"। www.4icu.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-১৫।
- ↑ ক খ "Islamic University: Ranking 2020, Acceptance Rate, Tuition"। EduRank.org - Discover university rankings by location (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-১১-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-১৫।
- ↑ ক খ "Islamic University Kushtia | Admission | Tuition | University"। www.unipage.net। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-১৫।
- ↑ "M. Shahinoor Rahman"। Wikipedia (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০৬-২০।
- ↑ "ইবিতে পি.এইচ.ডি সেমিনার অনুষ্ঠিত"। Bartabazar.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-০৫।
- ↑ "কাতারে আলনূর সেন্টারের বাংলা ভাষা সন্ধ্যা | বাংলাদেশ প্রতিদিন"। Bangladesh Pratidin (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-০৫।
- ↑ "লেখকবৃন্দ - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-০৫।
- ↑ "Mohammad Ali Moni"। Wikipedia (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০৩-১৫।
- ↑ বিশ্বসেরা গবেষকের তালিকায় ইবির ১৭ শিক্ষক, বাংলা ট্রিবিউন, ১৩ অক্টোবর ২০২১
- ↑ Aman, Amanur; Eagle, rew (২০১৭-০৯-১৯)। "Low-cost device for securing homes"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-১২।
- ↑ "ইভিনিং প্রিমরোজ দেশেই ফুটবে"। SAMAKAL (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-১২।
- ↑ "IU Lab School holds receptions"। The Daily Observer।