খেলাফত মজলিস
খেলাফত মজলিস হলো বাংলাদেশের একটি ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল। দলটির বর্তমান আমীর আবদুল বাছিত আজাদ, মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের। দলটির নির্বাচনী প্রতীক দেওয়াল ঘড়ি।[১]
খেলাফত মজলিস | |
---|---|
![]() | |
আমীর | আবদুল বাছিত আজাদ |
মহাসচিব | আহমদ আবদুল কাদের |
প্রতিষ্ঠা | ৮ ডিসেম্বর ১৯৮৯ |
সদর দপ্তর | ১৬ বিজয়নগর(৫ম তলা), ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছাত্র শাখা | বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস |
যুব শাখা | ইসলামী যুব মজলিস |
মহিলা শাখা | বাংলাদেশ ইসলামী মহিলা মজলিস |
শ্রমিক শাখা | শ্রমিক মজলিস |
ভাবাদর্শ | সর্ব-ইসলামবাদ খিলাফত |
স্লোগান | খেলাফত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণ আন্দোলন গড়ে তুলুন |
নির্বাচনী প্রতীক | |
দেওয়াল ঘড়ি | |
ওয়েবসাইট | |
khelafat-majlis | |
বাংলাদেশের রাজনীতি রাজনৈতিক দল নির্বাচন |
ইতিহাস
সম্পাদনা৮ ডিসেম্বর ১৯৮৯ সালে ঢাকায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে তৎকালীন আজিজুল হকের নেতৃত্বাধীন খেলাফত আন্দোলন, আহমদ আবদুল কাদেরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী যুব শিবির, তমদ্দুন মজলিসের সংগঠক ভাষাসৈনিক মাসউদ খানের নেতৃত্বে ভাসানীর ন্যাপের একাংশ একীভূত হয়ে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস আত্মপ্রকাশ করে।
দলটি ৯০’র স্বৈরাচার পতন আন্দোলন, ভারতের বাবরী মসজিদ ধ্বংসের প্রতিবাদ ও মসজিদটি পুনঃনির্মাণের দাবীতে অযোধ্যা অভিমুখে লংমার্চ, ৯৪ সালের নাস্তিক-মুরতাদ তাসলিমা নাসরিন বিরোধী আন্দোলন, ১৯৯৯ সালে শান্তিচুক্তির নামে সন্ত্রাসীদের হাতে পার্বত্য চট্টগ্রামের কর্তৃত্ব তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে লংমার্চ, শেখ হাসিনা সরকার বিরোধী ৪ দলীয় জোটের আন্দোলন, ১/১১ পরবরতী তত্ত্বাধায়ক সরকারের স্বৈরাচারি শাসন বিরোধী আন্দোলনসহ বিভিন্ন আন্দোলনে অংশ নিয়েছে।
২০০৮ সালে খেলাফত মজলিস বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন থেকে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য নিবন্ধন লাভ করে।[২] নিবন্ধন নং ৩৮, প্রতিক হচ্ছে দেয়াল ঘড়ি।
খেলাফত মজলিস বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক দল ছিলো। দীর্ঘ ২২ বছর এই জোটে থাকার পর ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে দলটি বিএনপি জোট ছাড়ার ঘোষণা দেয় । বর্তমানে দলটি "সমমনা ইসলামী দলসমূহ" নামক জোটের শরীক।[৩][৪][৫]
খেলাফত মজলিস চায় বাংলদেশে ইসলামের আলোকে ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে। এজন্য ৭ দফা মৌল কর্মসূচি ও ২৫ দফা আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মসূচির ভিত্তিতে দলটি তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। ছাত্র, যুব, মহিলা, শ্রমজীবি, ডাক্তার, সাংবাদিক সহ সকল পেশাজীবি অঙ্গনে এ দলটির শাখা রয়েছে।[৬]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "খেলাফতের আমীর হলেন বানিয়াচংয়ের আব্দুল বাছিত আজাদ"। যায় যায় দিন (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৫।
- ↑ "খেলাফত মজলিস"। জাগরণীয়া। ১৯ আগস্ট ২০১৮। ২৭ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ দিগন্ত, Daily Nayadiganta-নয়া। "যে কারণ দেখিয়ে ২০ দলীয় জোট ছাড়লো খেলাফত মজলিস"। Daily Nayadiganta (নয়া দিগন্ত) : Most Popular Bangla Newspaper। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৫।
- ↑ "বিএনপি জোট ছাড়ল খেলাফত মজলিস"। সমকাল।
- ↑ "ঐক্য বিনষ্টকারী কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান সমমনা ইসলামী দলগুলোর"। Bangla Tribune। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১১-১৯।
- ↑ "খেলাফত মজলিসের জন্ম-ভাঙন ও উত্থান-পতন"। deshnews.net || দেশনিউজ.নেট (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-১২-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৫।