কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ

বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলায় অবস্থিত সরকারি মেডিকেল কলেজ

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলায় অবস্থিত চিকিৎসা বিষয়ক উচ্চ শিক্ষা দানকারী একটি প্রতিষ্ঠান। সরাসরি সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানটি ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়; যা বর্তমানে দেশের একটি অন্যতম প্রধান চিকিৎসাবিজ্ঞান বিষয়ক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানে ১ বছর মেয়াদী হাতে-কলমে শিখনসহ (ইন্টার্নশিপ) স্নাতক পর্যায়ের ৫ বছর মেয়াদি এম.বি.বি.এস শিক্ষাক্রম চালু রয়েছে; যেখানে প্রতিবছর ১০০ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়ে থাকে।[১]

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের বহির্বিভাগ ভবন
ধরনসরকারি মেডিকেল কলেজ
স্থাপিত২০১১; ১৩ বছর আগে (2011)
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি
শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা
অধ্যক্ষঅধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ
৬০ (২০১৭)
প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ
২০
শিক্ষার্থী৩০৫
অবস্থান,
২৩°৫৩′১৬″ উত্তর ৮৯°০৮′৩১″ পূর্ব / ২৩.৮৮৭৭২২৪° উত্তর ৮৯.১৪২০৩০৪° পূর্ব / 23.8877224; 89.1420304
শিক্ষাঙ্গন২০ একর (৮১,০০০ মি) (শহুরে)
ভাষাবাংলা
সংক্ষিপ্ত নাম
  • KuMC
  • কুষমেক
ওয়েবসাইটwww.kumc.edu.bd
মানচিত্র
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ

অবস্থান

সম্পাদনা

ঢাকা- কুষ্টিয়া মহাসড়কের হাউজিং অংশে ২০১৩ সালে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাসের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রথম দিকে কুষ্টিয়া ম্যাটসের একাডেমিক ভবনে সকল প্রশাসনিক কার্যক্রম চলে আসছিলো। ২০২২ সালের ৩রা এপ্রিল কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাসে নিয়মিত ক্লাস এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়।

ইতিহাস

সম্পাদনা

১৯৭৮-১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ সরকার দেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নের লক্ষ্যে বগুড়া, কুমিল্লা, দিনাজপুর, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, খুলনা, নোয়াখালী এবং পাবনায় মেডিকেল কলেজ স্থাপনের পরিকল্পনা করেছিল। পরবর্তীতে পরিকল্পনাটি স্থগিত করা হয়েছিল।

বাংলাদেশ সরকার মেডিকেল শিক্ষার সুবিধার জন্য আরও মেডিকেল কলেজের প্রয়োজনীয়তা মনে করেছিল। সেই অনুসারে কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, গোপালগঞ্জ এবং কিশোরগঞ্জে চারটি নতুন মেডিকেল কলেজ স্থাপনের পরিকল্পনা করেছিল। যেগুলোর প্রতিটি কলেজ প্রতিবছর ৫২ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে এমন ধারণক্ষমতা কলেজ স্থাপনের পরিকল্পনা করেছিল।

২০১১ সালে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল। ২০১১ সালেই কলেজটি সাধারণ হাসপাতালের একটি অংশ হিসেবে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছিল। কলেজের সাথে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল রয়েছে। ২০২৩ সালে ১৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কলেজ উদ্ভোধন করেন।

 

অধ্যক্ষবৃন্দ

সম্পাদনা
ক্রমিক নং নাম সময়কাল
অধ্যাপক ডাঃ ইফতেখার মাহমুদ ২০১১-২০১৫ (অক্টোবর)
ডাঃ জামাল উদ্দিন মোল্লা ২০১৫ (নভেম্বর) - ২০১৭ (জানুয়ারি)
অধ্যাপক ডাঃ মীর মাহফুজুল হক চৌধুরী ২০১৭ (জানুয়ারি) - ২০১৭ (অক্টোবর)
অধ্যাপক ডাঃ এস এম মোস্তানজিদ ২০১৭ (অক্টোবর) - ২০২০(ফেব্রুয়ারি)
অধ্যাপক ডাঃ আশরাফুল হক দারা

২০২০( ফেব্রুয়ারি) - ২০২০ (জুলাই)

অধ্যাপক ডাঃ সালেক মাসুদ মিয়া

২০২০ ( ৫ জুলাই)- ২০২০(২১ জুলাই)

অধ্যাপক ডাঃ শমসেদ বেগম

২০২০ ( ২২ জুলাই) -

ডাঃ দেলদার হোসেন -
অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান - বর্তমান

অবকাঠামো

সম্পাদনা

ঢাকা- কুষ্টিয়া মহাসড়কের হাউজিং অংশে ২০১৩ সালে ২০ একর (৮১,০০০ মি) জায়গার উপর ২৭৫ কোটি টাকা ব্যায়ে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাসের নির্মাণ কাজ শুরু হয়।[২]

 
২০১৬ সালে তোলা প্রশাসনিক ভবনের একাংশ
 
২০২২ সালে তোলা কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের সামনের একাংশ

২০২২ সালের ৩রা এপ্রিল থেকে স্থায়ী ক্যম্পাসে কলেজের নিয়মিত ক্লাস এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়।

অনুষদ ও বিভাগ

সম্পাদনা

সুযোগ-সুবিধা

সম্পাদনা

আবাসন সুবিধা

সম্পাদনা

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে ছেলেদের জন্য এবং মেয়েদের জন্য আলাদা আবাসনের ব্যবস্থা রয়েছে। ছেলেদের আবাসিক হলের নাম রিফাত-মিলন ছাত্রাবাস এবং মেয়েদের আবাসিক হলের নাম রহিমা-আফসার ছাত্রীনিবাস। দুটি হলই চারতলা বিশিষ্ট। এছাড়া ইন্টার্ন ডাক্তারদের জন্য আলাদা ভবনের নির্মান কাজ চলমান আছে।

 
রিফাত-মিলন ছাত্রাবাস
 
রহিমা-আফসার ছাত্রীনিবাস

সহ-শিক্ষা কার্যক্রম ও সংগঠন

সম্পাদনা
  • সন্ধানী, কুষমেক শাখা (রক্ত, অঙ্গদান দাতব্য সংস্থা)[৩]
  • কুষমেক ফটোগ্রাফি ক্লাব[৪]
  • কুষমেক বিতর্ক ক্লাব
  • কুষমেক সাংস্কৃতিক সমিতি
  • হিউম্যানস অফ কুষমেক

কৃতি শিক্ষক ও শিক্ষার্থী

সম্পাদনা

চিত্রশালা

সম্পাদনা

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "ভর্তিচ্ছু ছাত্র ছাত্রীদের জন্য বিস্তারিত নির্দেশনা" (পিডিএফ)। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার - স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২২ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ নভেম্বর ২০১৫ 
  2. "কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ নির্মাণে অনিয়ম" 
  3. "Sandhani Central Committee"Sandhani। ২০১৬-১১-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০১-১৯ 
  4. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০২০ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা