বাংলাদেশ সরকার
বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পরিচালিত হয়, যিনি অন্যান্য মন্ত্রীগণকে বাছাই করেন। প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য মন্ত্রীগণ সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণ কমিটির সদস্যপদ লাভ করেন, যা মন্ত্রিসভা নামে পরিচিত।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার | |
---|---|
এক নজরে | |
নেতা | বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী |
নিয়োগকর্তা | বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি |
মূল গঠন | বাংলাদেশের মন্ত্রিসভা |
সদর দপ্তর | বাংলাদেশ সচিবালয় |
ওয়েবসাইট | www |
১৯৭১ এ অস্থায়ী সরকার গঠন এবং অস্থায়ী সংবিধান প্রণয়নের পর থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশের সরকার ব্যবস্থা কমপক্ষে পাঁচবার পরিবর্তিত হয়েছ। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ব্যবস্থা সংসদীয় পদ্ধতির। এই পদ্ধতিতে প্রধানমন্ত্রীর হাতে সরকারের প্রধান ক্ষমতা ন্যস্ত থাকে। প্রধানমন্ত্রী হলো সরকারের মধ্যমণি। বহুদলীয় গণতন্ত্র পদ্ধতিতে এখানে জনগণের সরাসরি ভোটে জাতীয় সংসদের সদস্যরা নির্বাচিত হন। নির্বাহী (executive) ক্ষমতা সরকারের হাতে ন্যস্ত। আইন প্রণয়ন করা হয় জাতীয় সংসদে। বাংলাদেশের সংবিধান ১৯৭২ সালে ১৬ ডিসেম্বর প্রণীত হয়, এবং এখন পর্যন্ত এতে ১৭টি সংশোধনী যোগ করা হয়েছে।[১]
[২]
দপ্তর | নাম | দল | দায়িত্বগ্রহণের সময় |
---|---|---|---|
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি | মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন | আওয়ামী লীগ | ২৪ এপ্রিল ২০২৩ |
প্রধান উপদেষ্টা | ড. মুহাম্মদ ইউনূস[৩] | স্বতন্ত্র | ৮ আগস্ট ২০২৪ |
সংসদ স্পিকার | পদশূন্য[৪] | পদশূন্য ৬ আগস্ট থেকে | |
প্রধান বিচারপতি | সৈয়দ রিফাত আহমেদ[৫] | দল নিরপেক্ষ | ১১ আগস্ট ২০২৪ |
নির্বাহী বিভাগ
বাংলাদেশের সরকার নির্বাহী বিভাগ পরিচালনা করে। প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী সভার সদস্যরা বিভিন্ন নির্বাহী সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।
রাষ্ট্রপতি
সাংবিধানিক ভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সংসদীয় পদ্ধতিতে সর্বোচ্চ পদমর্যাদার অধিকারী হলেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতি হওয়ার ন্যূনতম বয়স ৩৫ বছর। জাতীয় সংসদ সদস্যদের ভোটে তিনি নির্বাচিত হন। স্পিকার (সংসদের পঞ্চদশ সংশোধনীর পূর্বে ছিল প্রধান বিচারপতি) রাষ্ট্রপতিকে শপথ বাক্য পাঠ করান। নির্বাচিত হওয়ার পর শপথ গ্রহণের পর থেকে তার মেয়াদকাল ৫ বছর। আবার রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করতে পারেন স্পিকারের নিকট পদত্যাগ পত্র দাখিলের মাধ্যমে। রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৫০(২) ধারা মতে ধারাবাহিক ২ বারের অধিক মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। তিনি জাতীয় সংসদের অধিবেশন আহ্বান করেন। ৫৬(৩) অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ ও ৯৫(১) অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে তাকে প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশ নিতে হয় না। একই সঙ্গে তার ওপর আদালত এর কোনো এখতিয়ার বারিত। রাষ্ট্রপতির অনুপস্থিতিতে তার দায়িত্ব পালন করবেন স্পিকার স্বয়ং। রাষ্ট্রপতি প্রধামন্ত্রীর পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করবেন। তার নিকট কোনো বিল পেশ করার ১৫ দিনের মধ্যে তা অনুমোদন করতে হয় নচেৎ তা স্বয়ংক্রিয় ভাবে অনুমোদিত হয়ে যায়। তবে অর্থ বিল এ সম্মতি দানে তিনি বিলম্ব করতে পারবেন না। দুই-তৃতীয়াংশ সংসদ সদস্যের ভোটের মাধ্যমে শারীরিক বা মানসিক কোনো কারণে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করা যায়। তার সরকারি বাসভবন বঙ্গভবন মতিঝিল এর দিলকুশায় অবস্থিত। তার নিরাপত্তায় বিশেষ বাহিনী হলো প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (PGR) ও স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (SSF)।
প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের সরকারপ্রধান অথবা মন্ত্রিপর্ষদের প্রধান হলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সংবিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা প্রযুক্ত হবে। এই পদ ছাড়াও অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপ-মন্ত্রীদিগকেও নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। যে সংসদ-সদস্য সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন হিসেবে রাষ্ট্রপতির নিকট প্রতীয়মান হবেন, রাষ্ট্রপতি তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করবেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে হলে বয়স ন্যূনতম ২৫ বছর হতে হবে। জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা বা নেত্রী যিনি প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। বাংলাদেশ সংবিধানের প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভা সংবলিত ৫৫ ও ৫৬ নং ধারা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদের শীর্ষে থাকবেন এবং মন্ত্রিপরিষদের সভায় সভাপতিত্ব করবেন।[৬] তিনি একইসাথে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভাপতি/চেয়ারপার্সন। তার জন্য বরাদ্দ সরকারি বাসভবনের নাম গণভবন, যা ঢাকার শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঢাকার তেজগাঁওয়ে অবস্থিত।
মন্ত্রিসভা
স্থানীয় সরকার
আইন বিভাগ
এই অনুচ্ছেদটি সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। |
বাংলাদেশের আইনসভার নাম জাতীয় সংসদ। এটি এক কক্ষীয়, এবং ৩০০ জন সংসদ সদস্য জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হন। এছাড়া নারীদের জন্য ৫০ টি সংরক্ষিত আসনের বিধান রয়েছে, যেসব আসন সংসদ সদস্যদের মাধ্যমে বণ্টিত হয়।
বিচার বিভাগ
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দেশের সর্বোচ্চ আদালত। বেশিরভাগ মামলা প্রথমত নিম্ন আদালতে রায় দেয়ার পর সুপ্রিম কোর্টে স্থানান্তরিত হয়। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর রায় কার্যকর করতে আর কোন বাধা থাকে না, তবে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত অপরাধী কে রাষ্ট্রপতি চাইলে জীবন ভিক্ষা দিতে পারে।
বিচার কক্ষের বিবরণ
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- ↑ "Nasim swipes at Khaleda"। bdnews24.com। জুলাই ১৮, ২০১১। ১৯ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১১।
- ↑ Constitutional amendments, বাংলাপিডিয়া হতে।
- ↑ "Muhammad Yunus takes oath as head of Bangladesh's interim government"।
- ↑ "রাষ্ট্রপতির আদেশে সংসদ ভেঙে দেয়া হয়েছে"। বণিক বার্তা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগষ্ট ২০২৪।
- ↑ "প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ"। বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগষ্ট ২০২৪।
- ↑ "গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান"। bdlaws.minlaw.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-০৬।
বাংলাদেশ বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |