আলি
আলি ইবনে আবু তালিব ছিলেন ( আরবি: علي ابن أبي طالب, প্রতিবর্ণীকৃত: ʿAlī ibn ʾAbī Ṭālib; জন্ম: আনু. ১৩ সেপ্টেম্বর ৬০১ – আনু. ২৯ জানুয়ারি, ৬৬১ খ্রি.) [৫][৬] ইসলামের নবি মুহম্মাদ সা. এর চাচাতো ভাই, জামাতা ও সাহাবি, যিনি ৬৫৬ থেকে ৬৬১ সাল পর্যন্ত খলিফা হিসেবে গোটা মুসলিম বিশ্ব শাসন করেন। সুন্নি ইসলাম অনুসারে তিনি চতুর্থ রাশিদুন খলিফা। শিয়া ইসলাম অনুসারে তিনি মুহম্মদের ন্যায্য স্থলাভিষিক্ত ও প্রথম ইমাম।[১০][১১][১২][১৩][১৪] তিনি ছিলেন আবু তালিব ইবনে আবদুল মুত্তালিব ও ফাতিমা বিনতে আসাদের পুত্র, ফাতিমার স্বামী এবং হাসান ও হুসাইনের পিতা।[৪][১৫] তিনি আহল আল-কিসা ও আহল আল-বাইতের একজন সদস্য।[১৬][১৭]
ʿআলি ইবনে ʾআবি ত়ালিব علي ابن أبي طالب | |||||
---|---|---|---|---|---|
তালিকা
| |||||
৪র্থ খলিফা সুন্নি ইসলাম | |||||
খিলাফত | ৬৫৬–৬৬১[৪] | ||||
পূর্বসূরি | উসমান ইবনে আফফান | ||||
উত্তরসূরি | হাসান ইবনে আলি | ||||
১ম ইমাম শিয়া ইসলাম | |||||
ইমামত | ৬৩২–৬৬১ | ||||
উত্তরসূরি | হাসান ইবনে আলী | ||||
জন্ম | আনু. ১৫ সেপ্টেম্বর ৬০১ (১৩ রজব ২১ হিজরি)[৪][৫][৬] মক্কা, হেজাজ, আরব উপদ্বীপ[৪][৭] | ||||
মৃত্যু | আনু. ২৯ জানুয়ারি ৬৬১ (২১ রমজান ৪০ হিজরি) (বয়স ৫৯)[৫][৬][৮][৯] কুফা, ইরাক, রাশিদুন খিলাফত | ||||
সমাধি | |||||
দাম্পত্য সঙ্গিনী | |||||
সন্তান | |||||
| |||||
স্থানীয় নাম | عَلِيّ ٱبْن أَبِي طَالِب | ||||
বংশ | আহল আল-বাইত | ||||
বংশ | বনু হাশিম | ||||
রাজবংশ | কুরাইশ | ||||
পিতা | আবি তালিব ইবনে আব্দুল মুত্তালিব | ||||
মাতা | ফাতিমা বিনতে আসাদ | ||||
ধর্ম | ইসলাম | ||||
মৃত্যুর কারণ | আলি হত্যাকাণ্ড | ||||
সমাধি | ইমাম আলি মসজিদ, নাজাফ, ইরাক ৩১°৫৯′৪৬″ উত্তর ৪৪°১৮′৫১″ পূর্ব / ৩১.৯৯৬১১১° উত্তর ৪৪.৩১৪১৬৭° পূর্ব | ||||
স্মৃতিস্তম্ভ | ইমাম আলি মসজিদ, নাজাফ প্রদেশ, ইরাক | ||||
অন্যান্য নাম |
| ||||
পরিচিতির কারণ | জ্ঞান, প্রজ্ঞা, বীরত্ব, সাহসিকতা, নেতৃত্ব, আধ্যাত্মিকতা, দার্শনিকতা, বাগ্মিতা, ন্যায়বিচার | ||||
উল্লেখযোগ্য কর্ম | মুসহাফ আলি, আল-জাফর, নাহজুল বালাগা, গুরার আল-হিকাম ওয়া দুরার আল-কালিম, দীওয়ান আল-ইমাম আলি ইবনে আবি তালিব, সহিফা আল-আলবিয়া | ||||
প্রতিদ্বন্দ্বী | |||||
আত্মীয় | মুহম্মদ ﷺ (চাচাতো ভাই ও শ্বশুর) | ||||
সামরিক কর্মজীবন | |||||
আনুগত্য |
| ||||
কার্যকাল | ৬২৩–৬৩২ ৬৫৬–৬৬১ | ||||
যুদ্ধ/সংগ্রাম |
| ||||
আরবি নাম | |
---|---|
ব্যক্তিগত (ইসম) | আলি |
পৈত্রিক (নাসাব) | ʿআলি ইবন ʾআবি ত়ালিব ইবন আব্দুল মুত্তালিব ইবন হাশিম ইবন আব্দ মনাফ ইবন কুসাই ইবন কিলাব |
ডাকনাম (কুনিয়া) | আবুল হাসান[৪] |
উপাধি (লাক্বাব) | আবু তুরাব |
ছোটবেলায় হযরত মুহাম্মদ (সা.) তাঁর যত্ন নিতেন। হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর নিকট আত্মীয়দের আমন্ত্রণের পর আলি প্রায় ৯ থেকে ১১ বছর বয়সে ইসলামে প্রথম বিশ্বাসীদের একজন হন।[১৮] এরপর তিনি প্রকাশ্যে ইয়াওম আল-ইনজারের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং মুহাম্মদ তাকে তার ভাই, অভিভাবক[১৯] এবং উত্তরসূরি বলে অভিহিত করেন।[১৮] তিনি মুহাম্মাদকে তার জায়গায় ঘুমিয়ে লাইলাত আল-মাবিতের রাতে হিজরত করতে সাহায্য করেছিলেন। মদিনায় চলে যাওয়ার পর এবং মুসলমানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বচুক্তি প্রতিষ্ঠার পর মুহাম্মদ তাকে তার ভাই হিসেবে বেছে নেন।[২০] মদিনায় তিনি বেশিরভাগ যুদ্ধে পতাকাবাহক ছিলেন এবং সাহসিকতার জন্য বিখ্যাত হয়েছিলেন।[১৮]
মুহাম্মদ-পরবর্তী খিলাফতে তার অধিকারের বিষয়টি মুসলমানদের মধ্যে একটি বড় ফাটল সৃষ্টি করে এবং তাদের শিয়া ও সুন্নি গোষ্ঠীতে বিভক্ত করে।[২০] বিদায় হজ্জ থেকে ফিরে গাদীর খুম্মে মুহাম্মদ এই বাক্যটি উচ্চারণ করেন, "আমি যার মাওলা, এই আলী তার মাওলা।" কিন্তু মাওলার অর্থ শিয়া ও সুন্নিরা বিতর্কিত করেছিল। এই ভিত্তিতে, শিয়ারা আলী সম্পর্কিত ইমামতে এবং খিলাফত প্রতিষ্ঠায় বিশ্বাস করে এবং সুন্নিরা শব্দটিকে বন্ধুত্ব এবং ভালবাসা হিসাবে ব্যাখ্যা করে।[২০][২১] আলী যখন মুহাম্মদের মরদেহ দাফনের জন্য প্রস্তুত করছিলেন, তখন একদল মুসলমান সকীফাতে মিলিত হয় এবং আবু বকরের প্রতি আনুগত্যের অঙ্গীকার করে।[২২] আলী ছয় মাস পর আবু বকরের প্রতি আনুগত্যের অঙ্গীকার করেন, কিন্তু তৃতীয় খলিফা উসমানের নির্বাচন ব্যতীত যুদ্ধ ও রাজনৈতিক কার্যকলাপে অংশ নেননি।[২৩] তবে, তিনি তিন খলিফাকে যখনই চান ধর্মীয়, বিচারিক এবং রাজনৈতিক বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছিলেন।
উসমান মিশরীয় বিদ্রোহীদের হাতে নিহত হওয়ার পর ৬৫৬ খ্রিস্টাব্দের জুনে আলী পরবর্তী খলিফা নির্বাচিত হন, যা মুসলমানদের মধ্যে প্রথম গৃহযুদ্ধের সাথে মিলে যায়। আলী দুটি পৃথক বিরোধী শক্তির মুখোমুখি হন: মক্কায় আয়িশা, তালহা এবং জুবাইরের নেতৃত্বে একটি দল, যারা খিলাফত নির্ধারণের জন্য একটি কাউন্সিল ডাকতে চেয়েছিল; এবং লেভানতের মুয়াবিয়ার নেতৃত্বে আরেকটি দল, যারা উসমানের রক্তের প্রতিশোধ দাবি করে। হযরত আলী উটের যুদ্ধে প্রথম দলকে পরাজিত করেন; কিন্তু শেষ পর্যন্ত, প্রথম মুয়াবিয়ার, যাকে আলী সম্প্রতি সিরিয়ার গভর্নরের পদ থেকে অপসারণ করেছিলেন, সাথে সিফফিনের যুদ্ধ সামরিকভাবে অকার্যকর ছিল, এবং একটি সালিশির দিকে পরিচালিত করে যা রাজনৈতিকভাবে তার বিরুদ্ধে শেষ হয়। এই ব্যর্থতা আলীর কিছু সমর্থককে তার থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এদেরই একটি দল খারিজি নামে পরিচিত হয়, যারা পরবর্তীতে জনসাধারণের মধ্যে ত্রাস সৃষ্টি করে এবং ৬৫৮ সালে নাহরাওয়ানের যুদ্ধে আলী তাদের পরাজিত করেন[১৮]। ৬৬১ সালে খারিজি ভিন্নমতাবলম্বী ইবনে মুলজাম আলীকে কুফার মসজিদে তলোয়ারের আঘাতে হত্যা করে, যা মুয়াবিয়ার ক্ষমতা দখল এবং বংশগত উমাইয়া খিলাফত প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করে। কুফা শহরের বাইরে তাকে সমাধিস্থ করা হয়। পরে তার মাজার এবং নাজাফ শহর তার সমাধির চারপাশে নির্মিত হয়।[১৮]
মুসলিম ইতিহাস লিখনধারের উপর ধর্মীয় পার্থক্যের প্রভাবের সত্ত্বেও, সূত্রগুলি একমত যে আলি কঠোরভাবে ধর্মীয় দায়িত্ব পালন করেছিলেন এবং পার্থিব সম্পদ এড়িয়ে ছিলেন।[২০] কিছু লেখক তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দক্ষতা এবং নমনীয়তার অভাবের অভিযোগ করেছেন। উইলফার্ড মাদেলুং-এর মতে, আলী রাজনৈতিক প্রতারণার খেলায় নিজেকে জড়িত করতে চাননি, যা যদিও তাকে জীবনে সাফল্য থেকে বঞ্চিত করেছিল, কিন্তু তার সগুণগ্রাহীদের দৃষ্টিতে তিনি প্রাথমিক অদুর্নীতিগ্রস্ত ইসলামের ধর্মভীরুতার পাশাপাশি প্রাক-ইসলামিক আরবের শৌর্যের উদাহরণ হয়ে উঠেছিলেন।
আলী তার সাহস, সততা, ইসলামের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা, উদারতা এবং সকল মুসলমানের প্রতি সমান আচরণের জন্য সম্মানিত। তার অনুরাগীদের কাছে তিনি অক্ষুণ্ন ইসলাম এবং ইসলামপূর্ব বীরত্বের আদর্শ হিসেবে বিবেচিত হন। সুন্নি মুসলমানরা তাকে খলিফায়ে রাশিদুনদের (শব্দগত অর্থে 'সঠিকভাবে পথপ্রদর্শিত') মধ্যে শেষ খলিফা এবং পাক পাঞ্চাতানের অংশ হিসেবে সম্মান করেন</ref>[১৭], অন্যদিকে শিয়া মুসলমানরা তাকে তাদের প্রথম ইমাম হিসেবে পূজ্য মনে করেন, অর্থাৎ তিনি নবী মুহাম্মদের ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী বলে বিশ্বাস করেন। শিয়া মুসলমানদের সংস্কৃতিতে আলীর স্থান মুহাম্মদের পরে দ্বিতীয় বলে বিবেচিত হয়। ইরাকের নাজাফে অবস্থিত আলীর মাজার শিয়া তীর্থযাত্রীদের জন্য একটি প্রধান গন্তব্য। আলীর উত্তরাধিকার বহু গ্রন্থে সংরক্ষিত ও অধ্যয়ন করা হয়, যার মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হলো "নাহজুল আল-বালাগা"।
জন্ম ও বংশপরিচয়
সম্পাদনাআলী মক্কায় কুরাইশ বংশে আনুমানিক ৬০১ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। এই বংশের দায়িত্ব ছিল পবিত্র কাবার রক্ষণাবেক্ষণ করা। এই বংশের একটি শাখা হচ্ছে হাশেমি। আলীর মাতা ও পিতা উভয়েই হাশেমি বংশের ছিলেন। আলীর পিতা আবু তালিব কাবা'র প্রহরী এবং শক্তিশালী কুরাইশ গোত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা বানু হাশিমের শেখ ছিলেন৷ আলীর দাদা বনি হাশিম বংশের কিছু সদস্যসহ হানিফ ছিলেন বা উত্থানের পূর্বে একেশ্বরবাদী বিশ্বাস পদ্ধতির অনুসারী ছিলেন। আলী ইসলামের পবিত্রতম স্থান কাবার অভ্যন্তরে জন্মগ্রহণ করেন।[২৪] তাঁর পিতা ছিলেন আবু তালিব ইবনে আবদুল মুত্তালিব এবং মাতা ফাতিমা বিনতে আসাদ।[১৫]
১৩ রজব, শুক্রবার, আবু তালিবের স্ত্রী ফাতিমা বিনতে আসাদ কাবা প্রান্তে প্রবেশ করে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেনঃ “হে রক্ষক, আমার যন্ত্রণা কমিয়ে দিন।” হঠাৎ কাবার প্রাচীর খুলে যায় এবং তিনি যেন কোনও অদেখা বাহিনীর দ্বারা কাবার অভ্যন্তরে প্রবেশ করলেন এবং প্রাচীরটি বন্ধ হয়ে গেল। অতঃপর আলী, আবু তালিবের কনিষ্ঠ পুত্র পবিত্র কাবার অভ্যন্তরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন আলী সম্ভবত একমাত্র ব্যক্তি ছিলেন যিনি কাবার ভেতরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।[২৫][২৬][২৭]সদ্যজাত শিশু তার মায়ের সাথে তিন দিন কাবার ভিতরে অবস্থান করেছিলেন। তৃতীয় দিন তিনি দরজা দিয়ে বেরিয়ে এসে দেখলেন মুহাম্মদ বাইরে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছেন। মুহাম্মদ তাকে অভুক্ত দেখে তার মুখ থেকে প্রথম খাবার দিয়েছিলেন। তিনি যখন জন্মগ্রহণ করেছিলেন তখন মুহাম্মদ তার নাম প্রস্তাব করেছিলেন 'আলি', যার অর্থ "উন্নতমান"। এ কারণেই তার নামটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে। তার পরে তার চাচা আবু তালিবকে বললেন যে, তিনি শিশুটিকে দত্তক নিতে চান।
আবু তালিব তার ভাতিজা মুহাম্মদকে তার বাবা-মায়ের ইন্তেকালের পর লালন-পালন করেছিলেন। পরবর্তীকালে, যখন আবু তালিব দরিদ্রতায় পড়েন, তখন আলিকে প্রায় পাঁচ বছর বয়সে মুহাম্মদ (সা.) এবং তার স্ত্রী খাদিজা (রা.) তাদের কাছে নিয়ে যান এবং তাকে লালন-পালন করেন[২৫]। ইসলামের ইতিহাসে তিনি সর্বপ্রথম নবুয়ত ডাকে সাড়া দিয়ে মাত্র ১০ বছর বয়সে ইসলাম গ্রহণ করেন।[২৮] তিনিই প্রথম পুরুষ মানুষ যিনি ইসলাম ধর্মগ্রহণ করেছিলেন[২৯] ও তিনি পুরুষদের মধ্যে সর্বপ্রথম যিনি মুহাম্মাদের সাথে নামাজ আদায় করেন। আলী শুরু থেকেই মুহাম্মদের সুরক্ষায় কাজ করেছিলেন এবং মুসলমানদের প্রায় সকল যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। অকুতোভয় যোদ্ধা হিসেবে তার খ্যাতি রয়েছে। বদর যুদ্ধ বিশেষ বীরত্বের জন্য মুহাম্মদ তাঁকে জুলফিকার নামক তরবারি উপহার দেন[৩০]। খাইবারের সুরক্ষিত কামুস দুর্গ জয় করলে মুহম্মদ তাঁকে আসাদুল্লাহ বা “আল্লাহর সিংহ” উপাধিতে ভূষিত করেন[৩১]। এছাড়া নবী করিম গাদীর খুমের ভাষণ তাঁকে মুমিনদের “মওলা” হিসেবে আখ্যায়িত করেন।[৩২][৩৩]
প্রারম্ভিক বর্ষসমূহ
সম্পাদনাআলীর মা-বাবার সাথে মুহাম্মাদ(সাঃ) র ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। মুহাম্মাদ(সা) যখন এতিম হয়েছিলেন এবং পরে তার দাদা আবদুল মুত্তালিবকে হারিয়েছিলেন, আলীর বাবা তাকে তার বাড়িতে নিয়ে যান। মুহাম্মাদ(সা) খাদিজাহ বিনতে খুওয়ালিদকে বিয়ে করার দুই-তিন বছর পরে আলীর জন্ম হয়। যখন আলীর পাঁচ বছর বয়স হয়েছিল, মুহাম্মাদ(সা) আলীকে তার বাড়িতে নিয়ে গেলেন। আলীর বাবা যিনি আর্থিকভাবে সুস্থ ছিলেন, অপরিচিত লোকদের খাবার দেওয়ার জন্য পরিচিত ছিলেন যদি তারা ক্ষুধার্ত ছিল। আলী দত্তকের পরেই মুহাম্মাদ(সাঃ)র নিকট থাকতেন।
মুহাম্মাদ(সা) যেখানেই গেছেন আলী সারাক্ষণ তার সাথে ছিলেন। এমনকি হেরা পর্বতমালায়ও যখন তিনি ধ্যানের জন্য গিয়েছিলেন আলী বেশিরভাগ সময় তার সাথে যেতেন। কখনও কখনও তারা ৩ বা ৪ দিন পাহাড়ে থাকতেন। মাঝে মাঝে আলী তার খাবার সেখানে নিয়ে যেতেন। নাহজুল বালাগায় আলী বলেছেন যে, “আমি নবীজির সাথে যেতাম যেমনটা বাচ্চা উট তার মায়ের সাথে যায়।”
ইসলাম গ্রহণ
সম্পাদনাযখন মুহাম্মাদ জানিয়েছিলেন যে তিনি ওহি পেয়েছিলেন, তখন হযরত আলীর মাত্র ৯ বছর বয়সে, তাকে বিশ্বাস করে এবং ইসলামের প্রতি দাবী করে। আলী ইসলাম গ্রহণকারী প্রথম পুরুষ হন। তিনি খাদিজা পরে দ্বিতীয় ব্যক্তি, ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। ইসলাম ও মুসলমানদের ইতিহাসের পুনঃস্থাপনে সৈয়দ আলী আসগর রাজউয়ের মতে, "মুহাম্মাদ এবং খাদিজার ঘরে যমজ হয়ে আলী এবং কুরআন একসাথে বড় হয়েছিল।" কাবায় মুসলমান হিসেবে নামাজে যে তিনজন ব্যক্তিকে প্রথম দেখা যায় তারা হলেন মুহাম্মাদ, খাদিজা ও আলী, কারণ অন্য কেউ সেই সময় ইসলাম গ্রহণ করে নাই। তাই আলী পরিবারকে আহলে বাইত বলা হয়।
আলীর জীবনের দ্বিতীয় সময়টি ৬১০ সালে শুরু হয়েছিল যখন তিনি ৯ বছর বয়সে বিনা দ্বিধায় ইসলাম ঘোষণা করেছিলেন এবং ৬২২ সালে মুহাম্মাদ এর হিজরতের সাথে মদীনায় এসে শেষ করেছিলেন। শিয়া মতবাদ দৃঢ়ভাবে দাবি করে যে, আলী কোনও পুরানো মক্কানীয় ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার আগেই তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন, মুসলমানরা তাকে বহুশাস্ত্রবাদী বা পৌত্তলিক হিসাবে বিবেচনা করে। আলীর গ্রহণযোগ্যতাকে প্রায়শই ধর্মান্তরিত বলা হয় না কারণ তিনি মক্কার জনগণের মতো কোনও মূর্তি পূজারী ছিলেন না। তিনি ইব্রাহিমের ছাঁচে মূর্তি ভাঙা বলে পরিচিত ছিলেন এবং লোকদের জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে তারা নিজেদের তৈরি মূর্তিকে কেন উপাসনা করে। এটি আলীর মহান বীরত্ব ও অন্তর্দৃষ্টি দেখায়, যিনি অবিশ্বাসীদের প্রহসনার বিষয়ে চিন্তা করেননি এবং খুব অল্প বয়সেই সঠিক ও ভুল সম্পর্কে চমৎকার পরিমাণে উপলব্ধি করেছিলেন।
জুল আশিরার ভোজনোৎসব
সম্পাদনাসতর্কতার হাদীস যা মুহাম্মাদ নিকটবর্তী পরিবারগুলির দাওয়াত হিসাবেও পরিচিত (দাওয়াত দুল-আশিরাহ), হাদীসটি ছিল যাতে ইসলামের নবী মুহাম্মদ তার সতর্ক করার চেষ্টা করেছিলেন আত্মীয়দের মুসলিম হওয়ার জন্য। আল্লাহর রাসূল কে তার নিজের পরিবার থেকেই ইসলামের প্রচার শুরু করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। প্রকাশ্যে দাওয়াত দেওয়ার আগে মুহাম্মাদ তিন বছর লোককে গোপনে ইসলামে দাওয়াত করেছিলেন। তার প্রচারের চতুর্থ বছরে, যখন মুহাম্মাদকে তার নিকটাত্মীয়দের ইসলামে আসতে আমন্ত্রণ করার আদেশ দেওয়া হয়েছিল, তখন তিনি একটি অনুষ্ঠানে বনু হাশিম বংশকে জড়ো করলেন। মুহাম্মদ তাদের কাছে ইসলাম ঘোষণা করলেন এবং তাদেরকে যোগদানের আমন্ত্রণ জানান। এই উদ্দেশ্যে তিনি সকলের নিকট জিজ্ঞাসা করলেন:
আমি তার করুণার জন্য আল্লাহকে ধন্যবাদ জানাই। আমি আল্লাহর প্রশংসা করি এবং তার হেদায়েতের সন্ধান করি। আমি তাকে বিশ্বাস করি এবং আমি তার উপরে আমার ভরসা রাখি। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই; তার কোন অংশীদার নেই; আর আমি তার প্রেরিত রসূল। আল্লাহ আমাকে তার ধর্মের দিকে আহবান করার জন্য আমাকে এই আদেশ দিয়েছিলেন: আর তোমার নিকটতম আত্মীয়-স্বজনকে সতর্ক কর। অতএব, আমি আপনাকে সতর্ক করে দিচ্ছি এবং আপনাকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আহবান করছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই এবং আমিই তার রসূল। হে আবদুল মুত্তালিবের ছেলেরা, আমি তোমাদের কাছে যে জিনিস এনেছি তার চেয়ে ভাল আর কেউ আগে কখনও তোমার কাছে আসেনি। এটি গ্রহণ করে, আপনার কল্যাণ দুনিয়া ও আখেরাতে নিশ্চিত হবে। আপনার মধ্যে কে এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনে আমাকে সমর্থন করবেন? আমার সাথে এই কাজের বোঝা কে ভাগ করে নেবে? আমার ডাকে সাড়া দেবে কে? কে আমার উপ-উত্তরসূরি এবং উত্তরাধিকারী হবে? সর্বশক্তিমান আল্লাহর পথে কে আমার সাথে যোগ দেবে?[৩৪]
পুরো সমাবেশটি চুপ করে রইল, কিন্তু তরুণ আলী দারুণভাবে উঠে দাঁড়ালেন। সাহস এবং সকলের সামনে পরিচিত ধার্মিকতার বাক্যে তার দৃঢ় বিশ্বাস প্রকাশ করেছেন। তিনি কে বললেন, “যদিও এখানে উপস্থিত সকলের মধ্যে আমিই সবচেয়ে কম বয়সী, হে আল্লাহর রাসূল, আমি আপনার পাশে দাঁড়াব।” তিনি তৃতীয়বারের মত জিজ্ঞাসা করলেন আলী তখনও একমাত্র সমর্থক ছিলেন৷ মুহাম্মদ তখন আলীকে গ্রহণ করেছিলেন সুতরাং তিনিই প্রথম যুবক হয়ে ইসলামের পথে প্রবেশ করলেন। এটি দেখে বনু হাশিম বংশের সকলে মুহাম্মাদের কথায় বিদ্রূপ করে ভোজের কাছ থেকে চলে গেলেন, আবু লাহাব রসিকভাবে আবু তালিবকে বলেছিলেন, যাও এবং তোমার পুত্রের আনুগত্য কর যা আবু তালেব হাসিমুখে গ্রহণ করেছিলেন। আলী মুহাম্মদকে তার প্রচারে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং সারা জীবন এই প্রতিশ্রুতি রেখেছিলেন।
মুসলমানদের ওপর নীপিড়নকালে
সম্পাদনামক্কায় মুসলমানদের উপর অত্যাচার ও বনু হাশিম বর্জনের সময় আলী মুহাম্মদের সমর্থনে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছিলেন। আলী ইসলামের শত্রুদের অপব্যবহার থেকে মুহাম্মদকে রক্ষা করেছেন। মুহাম্মদ যখন নিকটবর্তী শহরে তায়েফের কাছে ইসলাম প্রচার করতে গিয়েছিলেন তায়েফের বাচ্চারা তার প্রতি পাথর নিক্ষেপ করেছিল এবং ‘আলি যিনি নবীকে রক্ষা করেছিলেন এবং শিশুদেরকে নবী থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছিলেন। যৌবনে আলী ছিলেন দৃঢ়ভাবে নির্মিত, শক্ত বাহু, প্রশস্ত বুক এবং খুব শক্ত সাহসী ও চকচকে চেহারার অধিকারী। তার বয়সের বা তার চেয়েও বড় শিশুরা তাকে ভয় পেত এবং যখনই তারা নবীকে উপহাস করার চেষ্টা করত, তারা সর্বদা পালিয়ে যেত যখন তারা দেখত নবীর সুরক্ষার জন্য আলী দাঁড়িয়ে আছেন। যখন মুহাম্মাদ ইসলাম প্রচার শুরু করলেন তখন আলীর অন্তর্ভুক্ত কিছু লোক ব্যতীত সবাই তার বিরোধী ছিলেন। আলী কখনই তার চাচাত ভাইয়ের সাথে সহযোগিতা করতে এবং তার প্রতি তার ভালবাসা এবং আনুগত্য স্বীকার করতে পিছপা হননি। প্রতিটি অনুষ্ঠানে তিনি মুহাম্মাদের সকল প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে ঢাল হিসাবে ছিলেন। একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় এলো যখন মুহাম্মাদের শত্রুরা দৃঢ়ভাবে তাকে এবং তার পরিবারের সদস্যদের বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পরিস্থিতি এতটাই হতাশাজনক হয়েছিল যে এমনকি তাদের জীবনও চরম বিপদে পড়েছিল। তিনি সর্বদা শৈশব থেকেই নবী মুহাম্মদকে রক্ষা করেছিলেন। মুহাম্মাদ তাকেও খুব ভালোবাসতেন। তার বাড়ির চারপাশে উপজাতিরা ঘেরাও করেছিল, যারা তাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করেছিল। তারা ঘর থেকে বেরিয়ে আসা যে কোনও ব্যক্তিকে হত্যা করতে প্রস্তুত ছিল। এমন পরিস্থিতিতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার নির্দেশে নবী মুহাম্মদ আবু বকরের সাথে মক্কা ছাড়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন এবং রাতে, মুহাম্মাদ আলীকে সকল গচ্ছিত সম্পত্তি তাদের মালিকদের কাছে হস্তান্তর করতে বললেন। মুহাম্মাদ, আলীকে তার বিছানায় শুতে বললেন, তিনি আনন্দের সাথে আদেশটি অনুসরণ করলেন এবং সঙ্গে সঙ্গে বিছানায় শুয়ে পড়লেন। আলী ছদ্মবেশ ধারণের জন্য মুহাম্মাদের বিছানায় ঘুমিয়ে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েছিলেন, ফলে একটি হত্যার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং মুহাম্মাদের হিযরত নিশ্চিত হয়। এই রাতটিকে লাইলাত আল-মবিত বলা হয়। আলী কেবলমাত্র তার নবী মুহাম্মাদের জন্য তার জীবনকে নির্দ্বিধায় ঝুঁকিপূর্ণ করেছিলেন কারণ তিনি জানতেন যে সে রাতে মুহাম্মাদের বিছানায় বিশ্রাম নেওয়ার সময় কাফেররা তাকে হত্যা করতে পারে। এটি আলীর অসাধারণ ও অতুলনীয় নির্ভীকতার পরিচয় দেয় যিনি নিজের জীবন সম্পর্কে উদ্বিগ্ন ছিলেন না, বরং তিনি তার অস্তিত্বকে মুহাম্মাদের খেদমত করার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করেছিলেন কারণ তিনি পরের দিন যারা ছিলেন তাদের মুহাম্মাদের সকল গচ্ছিত সম্পত্তি সফলভাবে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। অতঃপর তিনি পরিবারের বাকি সদস্যদের সাথে মক্কার মদীনার উদ্দেশ্যে রওনা হলেন। আলীর সাথে তার মা ফাতেমা বিনতে আসাদ, তার খালা, হামজার স্ত্রী এবং মুহাম্মাদের এর কন্যা ফাতেমা এবং আরও অনেক মহিলা ছিলেন। মক্কার কাফেররা ‘আলীকে থামানোর চেষ্টা করেছিল কিন্তু আলী লড়াই করে, কাফেরদের তাড়িয়ে দিয়েছেন এবং তারা নিরাপদে মদীনায় পৌঁছেছিলেন। মুহাম্মদ শহরের সীমানার বাইরে পরিবারের অপেক্ষায় ছিলেন। তিনি আলী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে শহরে প্রবেশ করলেন। কিছু সূত্র মতে, তিনি মদীনা পৌঁছে মুহাম্মাদের প্রথম মক্কা অনুসারীদের মধ্যে একজন ছিলেন।
মদীনায় হিজরত
সম্পাদনামহানবি হযরত মুহাম্মদ হিজরত করে মদিনা যাওয়ার সময় হযরত আলি-কে আমানতের মালের দায়িত্ব দিয়ে তার বিছানায় রেখে যান । জীবনের কঠিন ঝুঁকি সত্ত্বেও তিনি এ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেন। নবীর দেওয়া দায়িত্বের চেয়ে তিনি তাঁর জীবনের মূল্য তুচ্ছ বলে মনে করেছেন। দায়িত্ব পালনই ছিল তাঁর কাছে বড় ব্যাপার। আলী যখন মদিনায় হিজরত করেছিলেন তখন তার বয়স ২২ বা ২৩ বছর ছিল।
মুহাম্মাদ (সাঃ) এর যুগ
সম্পাদনাআলী যখন মদিনায় হিজরত করেছিলেন তখন তার বয়স ২২ বা ২৩ বছর ছিল। মুহাম্মদ(সা) যখন তার সাহাবীদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন তৈরি করছিলেন, তখন তিনি আলীকে তার ভাই হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন এবং দাবি করেছিলেন যে, "আলী ও আমি একই গাছের যখন মানুষ বিভিন্ন গাছের অন্তর্গত হয়।" দশ বছর ধরে মুহাম্মদ(সা) মদীনাতে সম্প্রদায়ের নেতৃত্বে ছিলেন, আলী তার সম্পাদক এবং প্রতিনিধি হিসাবে ছিলেন,প্রতিটি যুদ্ধে ইসলামের পতাকার আদর্শ বাহক ছিলেন, আক্রমণে যোদ্ধাদের দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং বার্তা এবং আদেশ বহন করেছিলেন। মুহম্মদ(সা)র একজন প্রতিনিধি হিসাবে এবং পরে তার ছেলে আইন অনুসারে, আলী মুসলিম সম্প্রদায়ের একজন কর্তৃত্বের অধিকারী ব্যক্তি ছিলেন৷
ফাতিমার সাথে বিবাহ
সম্পাদনামদিনায় হিজরতের দ্বিতীয় বছরে মুহাম্মাদ(সা) তার কন্যা ফাতিমার জন্য বহু বৈবাহিক প্রস্তাব পেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আল্লাহর আদেশে তাকে আলীর সাথে বিবাহের সিদ্ধান্ত নেন। বদরের যুদ্ধের বেশ কয়েকদিন আগে তার সাথে তার বিয়ে হয়েছিল। তবে তিন মাস পরে এই বিবাহ উদ্যাপিত হয়েছিল। আলীর বয়স প্রায় ২৩ বছর এবং ফাতেমার বয়স ১৮ বছর। এটি সবচেয়ে আনন্দময় এবং উদযাপিত বিবাহ ছিল। তারা ছিলেন আল্লাহর উপর সন্তুষ্ট দম্পতি। তাদের দুই পুত্র সন্তানের নাম যথাক্রমে হাসান (আল-হ়াসান ইবনে ʿআলী ইবনে ʾআবী ত়ালিব) এবং হুসাইন (হোসাইন ইবনে আলী )।
সামরিক কর্মজীবন
সম্পাদনাতাবউকের যুদ্ধ ব্যতীত আলী সমস্ত যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন এবং ইসলামের পক্ষে যুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছিলেন। সেই যুদ্ধগুলিতে মানদণ্ডী হওয়ার পাশাপাশি আলী শত্রুদের দেশে অভিযান চালিয়ে যোদ্ধাদের দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিল। আলী প্রথমে ৬২৪ সালে বদরের যুদ্ধে নিজেকে সাহসী যোদ্ধা হিসাবে প্রতিপন্ন করেছিলেন। মক্কার বীর যোদ্ধা ওয়ালিদ ইবনে উতবাকে পরাজিত করার মধ্য দিয়ে তিনি যুদ্ধ শুরু করেছিল। আলী উহুদ যুদ্ধের পাশাপাশি অন্যান্য অনেক যুদ্ধেও মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন, যেখানে তিনি জুলফিকার নামে পরিচিত দ্বিখণ্ডিত তরোয়াল চালিত করেছিলেন। উহুদ যুদ্ধ যুদ্ধের সময় মুসলিম বাহিনী ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে তিনি নবীকে রক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। তিনি খন্দকের যুদ্ধে মুসলিম বাহিনীর সেনাপতি ছিলেন, যেখানে তিনি কিংবদন্তি আরব যোদ্ধা আমর ইবনে আবদ-ওদকে পরাজিত করেছিলেন। ইহুদীদের বিরুদ্ধে খাইবার যুদ্ধ|খাইবার যুদ্ধের সময় মুসলমানরা খাইবারের শক্তিশালী ইহুদি দুর্গটি দখলের চেষ্টা করেছিল। রাসূল ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি সেই ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেবেন যিনি আল্লাহ ও তার রাসূলকে ভালবাসেন এবং তারাও তাকে ভালবাসে। পরের দিন মুহাম্মদ(সা) আলীর তুলনাহীন লড়াইয়ের ক্ষমতাকে বিশ্বাস করে তাকে দায়িত্ব দেন এবং তাকে মুসলিম নির্দেশ দিতেন। ইহুদিরা কেবল তার ইসলামের দাওয়াতকে প্রত্যাখ্যান করেছিল তাই নয়, তারা তাদের প্রখ্যাত ও সাহসী যোদ্ধা, মহারাবকে সামনে পাঠিয়েছিল, যারা আলীকে যুদ্ধার্থে আহ্বান করেছিল। আরবগণ আলীর অবিশ্বাস্য শক্তি ও শক্তি প্রত্যক্ষ করেছিলেন, যিনি তার তরোয়ালটির প্রবল আঘাতের দ্বারা মাহরবকে হত্যা করেছিলেন। অতঃপর, মুহাম্মাদ(সা) তাকে “আসাদুল্লাহ” উপাধি দিয়েছিলেন, যার অর্থ “আল্লাহর সিংহ”।
ইসলামের জন্য আত্মোৎসর্গ
সম্পাদনামুহম্মদ(সা) আলীকে কুরআনের পাঠ্য রচনাকারীদের একজন হিসাবে মনোনীত করেছিলেন, যা পূর্ববর্তী দুই দশকে মুহাম্মদ(সা)র প্রতি অবতীর্ণ হয়েছিল। ইসলাম যেভাবে আরব জুড়ে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছিল, আলী নতুন ইসলামিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেছিলেন। ৬২৮ সালে তাকে হুদায়বিয়ার সন্ধি, মুহাম্মদ(সা) ও কুরাইশের মধ্যে সন্ধি রচনা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আলী এতটাই বিশ্বাসযোগ্য ছিলেন যে মুহাম্মদ(সা) তাকে বার্তা বহন করতে ও আদেশগুলি ঘোষণা করতে বলেছিলেন। ৬৩০ খ্রিষ্টাব্দে আলি মক্কায় তীর্থযাত্রীদের বিশাল সমাবেশে কুরআনের একটি অংশ আবৃত্তি করেছিলেন যা মুহাম্মদ(সা) এবং ইসলামী সম্প্রদায়কে আরব মুশরিকদের সাথে পূর্ববর্তী চুক্তি দ্বারা আবদ্ধ ঘোষণা করে না। ৬৩০ খ্রিষ্টাব্দে মক্কা বিজয়ের সময় মুহাম্মদ (সা)আলীকে নিশ্চয়তা দিতে বলেছিলেন যে এই বিজয় রক্তহীন হবে। তিনি আলীকে বনু আউস, বানু খাজরাজ, তায়ে এবং কাবা'র সমস্ত পূজা মূর্তি ভাঙার আদেশ দিয়েছিলেন যা পুরাতন কালের শিরক দ্বারা এটি অশুচি হওয়ার পরে এটিকে পবিত্র করা হয়েছিল। ইসলামের শিক্ষার প্রচারের জন্য এক বছর পর আলীকে ইয়েমেনে প্রেরণ করা হয়েছিল। তিনি বিভিন্ন বিবাদ নিষ্পত্তি এবং বিভিন্ন উপজাতির বিদ্রোহ রোধের দায়িত্ব পালন করেন।
মুবাহিলার ঘটনা
সম্পাদনাগাদীর খুম
সম্পাদনামুহাম্মাদ(সা) ৬৩২ সালে তার শেষ তীর্থস্থান থেকে ফিরে আসার সময় তিনি আলী সম্পর্কে এমন বক্তব্য দিয়েছিলেন যা সুন্নি ও শিয়াদের দ্বারা খুব আলাদাভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তিনি গাদির খুম্মে কাফেলাটি থামিয়ে দিয়ে, প্রত্যাবর্তনকারীদেরকে সাম্প্রদায়িক নামাজের জন্য জড়ো করলেন এবং তাদের সম্বোধন শুরু করলেন। ইসলামের বিশ্বকোষ অনুসারে: আলীকে হাত ধরে মুহাম্মদ(সা) তার বিশ্বস্ত অনুসারীদের জিজ্ঞাসা করলেন, হে ঈমানদারগণ! আমি কি মুমিনদের নিকটবর্তী ছিলাম না যতটানা তারা তাদের নিজেদের নিকটবর্তী ছিল; মুমিনরা চিৎকার করে কান্না করা বলে উঠল: জ্বী ছিলেন "আল্লাহর প্রেরিত দূত!" অতঃপর তিনি ঘোষণা করলেন: "যার মধ্যে আমি মাওলা, তার মধ্যে আলীও মাওলা৷
শিয়াগণ এই বক্তব্যগুলিকে মুহাম্মাদ এর উত্তরসূরি এবং প্রথম ইমাম হিসাবে আলীর পদবি গঠন হিসাবে বিবেচনা করে; বিপরীতে, সুন্নিরা এগুলিকে মুহাম্মদ(সা) এবং আলীর মধ্যে ঘনিষ্ঠ আধ্যাত্মিক সম্পর্কের বহিঃপ্রকাশ হিসাবে গ্রহণ করে এবং তার ইচ্ছা যে আলী তার চাচাত ভাই এবং জামাই হিসাবে তার মৃত্যুর পরে তার পারিবারিক দায়িত্ব অর্পণ করে। অনেক সূফীরা এই বক্তব্যটির ব্যাখ্যা করেছেন মুহাম্মদ(সা) আধ্যাত্মিক শক্তি এবং আলীর কাছে কর্তৃপক্ষকে স্থানান্তর হিসাবে, যাকে তারা শ্রেষ্ঠত্ব হিসাবে কদর করেন।
খিলাফত
সম্পাদনাপ্রথম ফিতনা
সম্পাদনাউসমান ঘাতক কর্তৃক নিহত হলে অনেক ব্যক্তিবর্গ আলিকে হত্যার সাথে সংশ্লিষ্ট, একথা বলাবলি করতে থাকে। আলি সরাসরি এ কথা অস্বীকার করেন। পরবর্তীতে জনগণ তাকে খলিফা নিযুক্ত করতে চাইলে তিনি অস্বীকৃতি জানান। তবুও জণগণ জোরপূর্বক তাকে খলিফা মনোনীত করে। এরপরেও হত্যার সংশ্লিষ্টতা বিষয়ে আলির সম্পর্ক বিষয়ে তর্ক বিতর্ক চলতে থাকে। একপর্যায়ে তা চরম আকার ধারণ করতে থাকে এবং আয়িশা ও তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন। হত্যার প্রতিশোধ নেওবার উদ্দেশ্যে তিনি জনগণের সাথে এক হন এবং বসরার ময়দানে আলির বিরুদ্ধে যুদ্ধের আয়োজনে শরিক হন। আলির বিরুদ্ধে এ যুদ্ধে তিনি পেছন থেকে নির্দেশনা ও নেতৃত্ব দেন। ইসলামের ইতিহাসে এ যুদ্ধটি বসরার যুদ্ধ বা উটের যুদ্ধ নামে পরিচিত। যুদ্ধে আলির বিরুদ্ধবাহিনী পরাজিত হয় কিন্তু পরবর্তী ইতিহাসে এ যুদ্ধের প্রভাব ছিল ব্যাপক ও সুদূরপ্রসারী।[৩৫][যাচাই প্রয়োজন]
কুফায় গুপ্তহত্যা
সম্পাদনা৪০ হিজরীর ১৯শে রমজান বা ৬৬১ খ্রিষ্টাব্দের ২৭শে জানুয়ারি মসজিদে কুফায় নামাজ পড়ার সময় তিনি, খারেজী আব্দুর রহমান ইবনে মুলজাম কর্তৃক হামলার শিকার হন। তিনি নামাজে সেজদা দেওয়ার সময় ইবনে মুলজামের বিষ-মাখানো তরবারী দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হন।[৩৬] আলী তার পুত্রকে নির্দেশ দেন কেউ যেন খারেজীদের আক্রমণ না করে, তার বদলে তিনি নির্দেশ দেন যে, যদি তিনি বেঁচে যান, তবে যেন ইবনে মুলজামকে ক্ষমা করে দেয়া হয়; আর যদি তিনি মারা যান, তবে ইবনে মুলজামকে যেন নিজ আঘাতের সমতুল্য একটি আঘাত করা হয় (তাতে ইবনে মুলজামের মৃত্যু হোক বা না হোক।)।[৩৭] আলী হামলার দুদিন পর ২৯শে জানুয়ারি ৬৬১ খ্রিষ্টাব্দে (২১শে রমজান ৪০ হিজরী) মৃত্যুবরণ করেন।[৩৬] আল-হাসান তার নির্দেশনা অনুযায়ী কিসাস পূর্ণ করেন এবং আলীর মৃত্যুর পর ইবনে মুলজামকে সমপরিমাণ শাস্তি প্রদান করেন।
জ্ঞান সাধনা
সম্পাদনাহযরত আলী (রা.) অসাধারণ মেধার অধিকারী ছিলেন। ছোট বেলা থেকেই তিনি ছিলেন জ্ঞান তাপস ও জ্ঞান সাধক। তিনি সর্বদা জ্ঞানচর্চা করতেন। হাদিস, তাফসির,আরবি সাহিত্য ও আরবি ব্যাকরণে তিনি তাঁর যুগের সেরা ব্যাক্তিত্ব ছিলেন। কথিত আছে যে, 'হযরত মুহাম্মদ (স.) হলেন জ্ঞানের শহর, আর আলী হলেন তার দরজা '। তার রচিত 'দিওয়ানে আলী' নামক কাব্য গ্রন্থটি আরবি সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
পারিবারিক জীবন
সম্পাদনাআলীর নয়টি স্ত্রী এবং বেশ কিছু উপপত্নীর থেকে চৌদ্দোটি পুত্র ও উনিশটি কন্যা ছিল, তাদের মধ্যে হাসান, হুসাইন এবং মুহাম্মদ ইবনে আল হানাফিয়াহ ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে এবং তাদের মধ্যে মাত্র পাঁচজন বংশধর রেখে গেছেন।[৩৮] আলী, মুহাম্মদ(সা)র ছোট মেয়ে ফাতিমার কাছ থেকে চারটি সন্তান ছিলঃ হাসান, হুসাইন, জায়নব এবং উম্মে কুলসুম।
দৃষ্টিভঙ্গি
সম্পাদনাকোরআনে আলীর উল্লেখ
সম্পাদনাহযরত আলীর রাঃ শানে পবিত্র কুরআনের আয়াত নাযিল হয়েছে বলে উলামা কেরাম মনে করেন। ইবনে আসাকির হযরত ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণনা করেছেন যে,কোন ব্যক্তির গুণ বর্ণনায় এত অধিক কুরআনের বাণী অবতীর্ণ হয়নি যা হযরত আলী সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে। হযরত ইবনে আব্বাস আরও বলেছেন যে,হযরত আলীর শানে অনেক ’ আয়াত নাযিল হয়েছে এবং তাঁর গুণাবলি অত্যধিক ও প্রসিদ্ধ। পবিত্র কুরআনের নাযিলকৃত আয়াতগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি নিম্নে উল্লেখ করা হল :
১. সূরা বাকারার ২০৭ নং আয়াত
وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَشْرِي نَفْسَهُ ابْتِغَاءَ مَرْضَاتِ اللَّهِ وَاللَّهُ رَءُوفٌ بِالْعِبَادِ
"এবং মানুষের মধ্যে এমনও আছে,যে আল্লাহর সন্তোষ লাভের জন্য নিজের জীবন পর্যন্ত বিক্রয় করে দেয় এবং আল্লাহ (এরূপ) বান্দাদের প্রতি অতিশয় অনুগ্রহশীল।"
সালাবী তাঁর তাফসীর গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করার প্রস্তুতি নিলেন সেই সময় হযরত আলীকে তাঁর বিছানায় শুয়ে থাকার নির্দেশ দেন যাতে কাফির-মুশরিকরা মনে করে যে,রাসূল তাঁর নিজ ঘরেই রয়েছেন। আলী (আ.) নির্দ্বিধায় এ নির্দেশ পালন করলে মহান আল্লাহ এ আয়াত নাযিল করেন।
সূরা শূরার ২৩ নং আয়াত
قُلْ لَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ أَجْرًا إِلَّا الْمَوَدَّةَ فِي الْقُرْبَى
"বল,আমি এর বিনিময়ে তোমাদের নিকট থেকে আমার নিকটাত্মীয়দের প্রতি ভালবাসা ছাড়া আর কোন প্রতিদান চাই না।"
রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নিকটাত্মীয় আহলে বাইতের সদস্যদের প্রতি ভালবাসা পোষণকে এ আয়াত দ্বারা মহান আল্লাহ মুসলমানদের জন্য ফরয বলে ঘোষণা করেন।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস বর্ণনা করেছেন : যখন এ আয়াত নাযিল হল তখন সাহাবিগণ জিজ্ঞেস করলেন,হে রাসূলুল্লাহ! আপনার নিকটাত্মীয়,যাদেরকে ভালবাসা আমাদের ওপর ওয়াজিব করা হয়েছে তারা কারা? রাসূল (সা.) বললেন : আলী,ফাতেমা,হাসান ও হুসাইন।
সূরা মায়েদার ৫৫ নং আয়াত
إِنَّمَا وَلِيُّكُمُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ وَالَّذِينَ آمَنُوا الَّذِينَ يُقِيمُونَ الصَّلَاةَ وَيُؤْتُونَ الزَّكَاةَ وَهُمْ رَاكِعُونَ
"(হে বিশ্বাসিগণ!) তোমাদের অভিভাবক তো কেবল আল্লাহ,তাঁর রাসূল এবং সেই বিশ্বাসীরা যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে এবং রুকু অবস্থায় যাকাত প্রদান করে।"
শীয়া-সুন্নি উভয় মাযহাবের তফসীরকাররা একমত যে,আয়াতটি হযরত আলী (আ.)-এর শানে নাযিল হয়েছে। যেমন ইবনে মারদুইয়া এবং খাতীব বাগদাদী ইবনে আব্বাস সূত্রে এবং তাবরানী ও ইবনে মারদুইয়া আম্মার ইবনে ইয়াসির ও আলী ইবনে আবি তালিব সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে,আয়াতটি আলী ইবনে আবি তালিব (আ.) সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে যখন তিনি রুকু অবস্থায় যাকাত দেন।
ঘটনাটি এরূপ : একদিন হযরত আলী (আ.) মদীনার মসজিদে নামায পড়ছিলেন। এমন সময় একজন ভিক্ষুক এসে ভিক্ষা চাইল। কিন্তু কোন ভিক্ষা না পাওয়ায় সে ফরিয়াদ করল যে,রাসূলের মসজিদ থেকে সে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছে। এ সময় হযরত আলী রুকু অবস্থায় ছিলেন। তিনি সেই অবস্থায় তাঁর ডান হাতের আঙ্গুল থেকে আংটি খুলে নেওয়ার জন্য ভিক্ষুকের প্রতি ইশারা করেন। ভিক্ষুক তাঁর হাত থেকে আংটি খুলে নেয়। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে উপরিউক্ত আয়াত নাযিল হয়।
শিয়া দৃষ্টিভঙ্গি
সম্পাদনাআলী রাজনৈতিক ও আধ্যাত্মিকভাবে শিয়া সম্প্রদায়ের নিকট গুরুত্বপূর্ণ। আলী সম্পর্কিত অসংখ্য আত্মজৈবনিক সূত্র প্রায়শই সাম্প্রদায়িক ধারায় পক্ষপাতদুষ্ট, তবে তারা একমত যে তিনি ছিলেন একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান, ইসলামের জন্য নিবেদিতপ্রাণ এবং কোরআন ও সুন্নাহর অনুসারী ন্যায়পরায়ণ শাসক। আলী ইসলামের চতুর্থ খলিফা হলেও শিয়ারা তাঁকে নবীপরবর্তী প্রথম খলিফা ও ইমাম হিসেবে গণ্য করে। শিয়া মুসলমানেরা আরও বিশ্বাস করে যে, আলী ও অন্য ইমামগণ—যাদের সকলেই মুহাম্মদ(সা)এর পরিবার তথা আহল আল-বাইতের অন্তর্ভুক্ত—হলেন মুহম্মদ(সা)র ন্যায্য উত্তরাধিকারী।
সূফী দৃষ্টিভঙ্গি
সম্পাদনাمظهر العجائب مولى المؤمنين كرم الله وجهه
ইতিহাসলিখনধারা
সম্পাদনাআরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনাউদ্ধৃতি
সম্পাদনা- ↑ https://sunnah.com/bukhari:4947
- ↑ https://www.islamweb.net/ar/fatwa/10967/
- ↑ https://sunnah.com/nasai:5627
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;Britannica
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ ক খ গ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;Iranica
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ ক খ গ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;Al-Islam
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ Rahim, Husein A.; Sheriff, Ali Mohamedjaffer (১৯৯৩)। Guidance From Qur'an (ইংরেজি ভাষায়)। Khoja Shia Ithna-asheri Supreme Council। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১৭।
- ↑ Shad, Abdur Rahman. Ali Al-Murtaza. Kazi Publications; 1978 1st Edition. Mohiyuddin, Dr. Ata. Ali The Superman. Sh. Muhammad Ashraf Publishers; 1980 1st Edition. Lalljee, Yousuf N. Ali The Magnificent. Ansariyan Publications; January 1981 1st Edition.
- ↑ Sallaabee, Ali Muhammad। Ali ibn Abi Talib (volume 2)। পৃষ্ঠা 621। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫।
- ↑ Madelung, Wilferd (১৯৯৭)। The Succession to Muhammad: A Study of the Early Caliphate। Cambridge University Press। আইএসবিএন 0-521-64696-0।
- ↑ Nasr 2006, পৃ. 38
- ↑ Campo 2009, পৃ. 676
- ↑ Tabataba'ei 1975, পৃ. 34
- ↑ Nasr, পৃ. 143–144
- ↑ ক খ Sallabi, Dr Ali M (২০১১)। Ali ibn Abi Talib (volume 1)। পৃষ্ঠা 52–53।
- ↑ Algar, H.। "Al-E Aba"। Encyclopædia Iranica। I/7। পৃষ্ঠা 742। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মে ২০১৪।
- ↑ ক খ Ahl al-Bayt, Encyclopedia of Islam
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;:1
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ Momen, Moojan (১৯৮৫)। An Introduction to Shiʻi Islam: The History and Doctrines of Twelver Shiʻism (ইংরেজি ভাষায়)। Yale University Press। পৃষ্ঠা ১২। আইএসবিএন 978-0-300-03531-5।
- ↑ ক খ গ ঘ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;:0
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ Al-Tabataba'i, Muhammad H.; Ṭabāṭabāʼī, Muḥammad Ḥusayn; Tabataba'i, Muhammad Husayn; Al-Taba-Tabai, Muhammad-Husayn; Ṭabāṭabā'ī, Muḥammad Ḥusain al-; al-Ṭabāṭabāʼī, Muḥammad Ḥusayn; Ṭabāṭabā'ī, Sayyid Muḥammad Ḥusayn; Tabatabai, Seyyed Muhammad Husayn (১৯৭৫)। Shiʻite Islam (ইংরেজি ভাষায়)। State University of New York Press। পৃষ্ঠা ৪০। আইএসবিএন 978-0-87395-272-9।
- ↑ Madelung, Wilferd (১৯৯৭)। The Succession to Muhammad: A Study of the Early Caliphate (ইংরেজি ভাষায়)। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা ২৬–২৭, ৩০–৪৩, ৩৫৬–৩৬০। আইএসবিএন 978-0-521-64696-3।
- ↑ The encyclopaedia of Islam. Volume I, Volume I, (English ভাষায়)। Leiden; London: E. J. Brill ; Luzac। ১৯৫৪। পৃষ্ঠা ৩৮১–৩৮৬। আইএসবিএন 978-90-04-08114-7। ওসিএলসি 495469456।
- ↑ Biographies of the Prophet's companions and their successors, Ṭabarī, translated by Ella Landau-Tasseron, pp. 37–40, Vol:XXXIX.
- ↑ ক খ Afsaruddin ও Nasr 2023।
- ↑ Shah-Kazemi 2015b।
- ↑ Gleave 2008।
- ↑ ফয়সাল, ফেরদৌস (২০২৩-০৫-০৮)। "হজরত আলী (রা.)–র সাহসে এসে মিশেছে পাণ্ডিত্ব"। Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-২৪।
- ↑ লেখা (২০২১-০৫-১১)। "পুরুষদের মধ্যে প্রথম মুসলমান আলী ইবনে আবু তালিব (রা.)"। Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-২৪।
- ↑ Pratidin, Bangladesh (২০২০-১২-০৪)। "ইসলাম ধর্ম প্রচারে চার খলিফা"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-২৪।
- ↑ লেখা (২০২৩-১২-২১)। "শত্রুদের প্রতি আলী (রা.)-র সংযত প্রতিবাদ"। Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-২৪।
- ↑ Razwy, Sayed Ali Asgher। A Restatement of the History of Islam and Muslims। পৃষ্ঠা 274–276।
- ↑ Tahir-ul-Quadri, Muhammad। The Ghadir Declaration।
- ↑ রাজউই, সৈয়দ আলী আসগর। A Restatement of the History of Islam & Muslims। পৃষ্ঠা ৫৪–৫৫।
- ↑ Black 1994, পৃ. 34 ( ইংরেজি ভাষায়)
- ↑ ক খ Tabatabaei 1979, পৃ. 192
- ↑ Kelsay 1993, পৃ. 92
- ↑ The encyclopaedia of Islam. Volume I, Volume I, (English ভাষায়)। Leiden; London: E. J. Brill ; Luzac। ১৯৫৪। পৃষ্ঠা ৩৮৫। আইএসবিএন 978-90-04-08114-7। ওসিএলসি 495469456।
গ্রন্থপঞ্জি
সম্পাদনা- Muslim Jama'at, Ahmadiyya (২০০৯)। পাক্ষিক আহ্মদী - নব পর্যায় ৭১ বর্ষ | ১৩তম সংখ্যা | ১৫ই জানুয়ারি ২০০৯ইং | The Fortnightly Ahmadi - New Vol: 71 Issue: 13 Date: 15th January 2009। Ahmadiyya Muslim Jama'at, Bangladesh.।
- ইসহাক, ইবনে (১১ মে ২০২১)। "পুরুষদের মধ্যে প্রথম মুসলমান আলী ইবনে আবু তালিব (রা.)"। দৈনিক প্রথম আলো।
- Wellhausen Julius (১৯০১)। Die Religios Politischen Oppositionsparteien Im Alten Islam।
- Kenney, Jeffrey Thomas; Kenney, Jeffrey T. (২০০৬-১০-১২)। Muslim Rebels: Kharijites and the Politics of Extremism in Egypt (ইংরেজি ভাষায়)। Oxford University Press, USA। আইএসবিএন 978-0-19-513169-7।
- Wellhausen, J. (১৯২৭)। The Arab Kingdom And Its Fall। Osmania University, Digital Library Of India। By The University Of Calcutta.।
- "Supplications (Du`a) Hardback"। Muhammadi Trust (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৫-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-১৯।
- Esposito, John L.; Esposito, Director of the Center for Muslim-Christian Understanding John L. (২০০৩-০৫-১৫)। The Oxford Dictionary of Islam (ইংরেজি ভাষায়)। Oxford University Press, USA। আইএসবিএন 978-0-19-512559-7।
- Watt, William Montgomery (১৯৬১)। Muhammad: Prophet and Statesman (ইংরেজি ভাষায়)। Oxford University Press। আইএসবিএন 978-0-19-881078-0।
- Abdul-Rauf, Muhammad (১৯৯৬)। Imam Ali Ibn Abi Talib: The First Intellectual Muslim Thinker (ইংরেজি ভাষায়)। Al Saadawi Publications। আইএসবিএন 978-1-881963-49-3।
- Hadrat'Ali (১৯৯৬)। Living and Dying with Grace: Counsels of Hadrat Ali (ইংরেজি ভাষায়)। Shambhala। আইএসবিএন 978-1-57062-211-3।
- Crone, Patricia (২০০৫)। Medieval Islamic Political Thought (ইংরেজি ভাষায়)। Edinburgh University Press। আইএসবিএন 978-0-7486-2194-1।
- Jurdāq, Jūrj (১৯৮২)। The Voice of Human Justice (ইংরেজি ভাষায়)। Islamic Seminary। আইএসবিএন 978-0-941724-24-1।
- Kattānī, Sulaymān (১৯৮৩)। Imam ʻAlī Source of Light, Wisdom, and Might (ইংরেজি ভাষায়)। Muhammadi Trust of Great Britain and Northern Ireland। আইএসবিএন 978-0-9506986-6-3।
- Kattānī, Sulaymān (১৯৯১)। Imam ʻAlī: A Beacon of Courage (ইংরেজি ভাষায়)। Islamic Education Center। আইএসবিএন 978-0-9506986-6-3।
- Salim, Mahmoud (১৯৯৬)। The BATTLES of Badr and Uhud. Adapted from the Arabic by Amal Khatab (ইংরেজি ভাষায়)। Ta-Ha Publishers Limited। আইএসবিএন 978-1-897940-39-6।
- Lakhani, M. Ali; Shah-Kazemi, Reza; Lewisohn, Leonard (২০০৬)। The Sacred Foundations of Justice in Islam: The Teachings of ʻAlī Ibn Abī Ṭālib (ইংরেজি ভাষায়)। World Wisdom, Inc। আইএসবিএন 978-1-933316-26-0।
- Madelung, Wilferd (১৯৯৭)। The Succession to Muhammad: A Study of the Early Caliphate (ইংরেজি ভাষায়)। Cambridge University Press। আইএসবিএন 978-0-521-64696-3।
- Muṭahharī, Murtaḍā (১৯৯৭)। Glimpses of the Nahj Al-Balaghah (ইংরেজি ভাষায়)। Department of Translation and Publication, Islamic Culture and Relations Organization। আইএসবিএন 978-964-472-071-0।
- "Polarization Around the Character of 'Ali ibn Abi Talib"। web.archive.org। ২০০৭-১০-১১। Archived from the original on ২০০৭-১০-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-১৯।
- Rogerson, Barnaby (২০১০-১১-০৪)। The Heirs Of The Prophet Muhammad: And the Roots of the Sunni-Shia Schism (ইংরেজি ভাষায়)। Little, Brown Book Group। আইএসবিএন 978-0-7481-2470-1।
- Rogerson, Barnaby (২০০৮)। The Heirs of Muhammad: Islam's First Century and the Origins of the Sunni-Shia Split (ইংরেজি ভাষায়)। Overlook Press। আইএসবিএন 978-1-59020-022-3।
- Shah-Kazemi, Reza (২০০৭-০৩-১৫)। Justice and Remembrance: Introducing the Spirituality of Imam Ali (ইংরেজি ভাষায়)। Bloomsbury Academic। আইএসবিএন 978-1-84511-526-5।
- Al-Tabataba'i, Muhammad H.; Ṭabāṭabāʼī, Muḥammad Ḥusayn; Tabataba'i, Muhammad Husayn; Al-Taba-Tabai, Muhammad-Husayn; Ṭabāṭabā'ī, Muḥammad Ḥusain al-; al-Ṭabāṭabāʼī, Muḥammad Ḥusayn; Ṭabāṭabā'ī, Sayyid Muḥammad Ḥusayn; Tabatabai, Seyyed Muhammad Husayn (১৯৭৫)। Shiʻite Islam (ইংরেজি ভাষায়)। State University of New York Press। আইএসবিএন 978-0-87395-272-9।
- Esposito, Ed (১৯৯৯)। The Oxford History of Islam (ইংরেজি ভাষায়)। Oxford University Press, USA। আইএসবিএন 978-0-19-510799-9।
- Hossein, Modarressi; Tabataba'i, Hossein Modarressi (২০০৩)। Tradition and Survival: A Bibliographical Survey of Early Shi'ite Literature (ইংরেজি ভাষায়)। Oneworld Publications। আইএসবিএন 978-1-85168-331-4।
আরও পড়ুন
সম্পাদনা- "Encyclopaedia of Islam online"। Encyclopaedia of Islam online (English ভাষায়)। ২০০৭। আইএসএসএন 1573-3912। ওসিএলসি 219379457।
- Halm, Heinz (২০০৪)। Shiism। Internet Archive। Edinburgh : Edinburgh University Press। আইএসবিএন 978-0-7486-1888-0।
- F. E. Peters (২০০৩)। The monotheists। Internet Archive। Princeton University Press। আইএসবিএন 978-0-691-11460-6।
- Shaban, M. A. (১৯৭১)। Islamic history, a new interpretation। Internet Archive। Cambridge [Eng.] University Press। আইএসবিএন 978-0-521-08137-5।
- TĐabatĐabaơi, MuhĐammad HĐusayn (১৯৮৭)। The Qurơan in Islam : its impact and influence on the life of Muslims। Internet Archive। London : Zahra। আইএসবিএন 978-0-7103-0265-6।
- Lewinstein, Keith (২০০১)। "Review of The Succession to Muhammad: A Study of the Early Caliphate"। Journal of the American Oriental Society। 121 (2): 326–327। আইএসএসএন 0003-0279। ডিওআই:10.2307/606600।
- Newman, Andrew J. (১৯৯৯)। "Review of The Succession to Muhammad: A Study of the Early Caliphate"। Iranian Studies। 32 (3): 403–405। আইএসএসএন 0021-0862।
- Hinds, Martin (১৯৭১)। "Kûfan Political Alignments and their Background in the Mid-Seventh Century a.d."। International Journal of Middle East Studies (ইংরেজি ভাষায়)। 2 (4): 346–367। আইএসএসএন 1471-6380। ডিওআই:10.1017/S0020743800001306।
- Yarshater, Ehsan (১৯৯৭)। Encyclopedia Iranica (ইংরেজি ভাষায়)। Mazda Publishers, Incorporated। আইএসবিএন 978-1-56859-050-9।
- Meri, Josef W. (২০০৬)। Medieval Islamic Civilization: A-K, index (ইংরেজি ভাষায়)। Taylor & Francis। আইএসবিএন 978-0-415-96691-7।
- None (২০০৫)। Encyclopedia of religion। Internet Archive। Detroit : Macmillan Reference USA। আইএসবিএন 978-0-02-865733-2।
- The encyclopaedia of Islam. Volume I, Volume I, (English ভাষায়)। Leiden; London: E. J. Brill ; Luzac। ১৯৫৪। আইএসবিএন 978-90-04-08114-7। ওসিএলসি 495469456।
- Watt, W. Montgomery (২০১২-০৪-২৪)। "Abū Bakr"। Encyclopaedia of Islam, Second Edition (ইংরেজি ভাষায়)। Brill।
- Madelung, W. (২০১২-০৪-২৪)। "S̲h̲īʿa"। Encyclopaedia of Islam, Second Edition (ইংরেজি ভাষায়)। Brill।
- Gibb, Hamilton Alexander Rosskeen (১৯৫৪)। The Encyclopaedia of Islam (ইংরেজি ভাষায়)। Brill। আইএসবিএন 978-90-04-11211-7।
- Mosāheb, Ġolāmhosejn (২০০১)। Dājerat'ol-ma'āref-e fārsi: bachš-e awwal š-l. Ğ. 2 (ফার্সি ভাষায়)। Entešārāt-e Amir Kabir. Ketābhā-je Ğibi। আইএসবিএন 978-964-303-044-5।
- Daftary, Farhad (২০০৮-১২-০১)। "ʿAlids"। Encyclopaedia of Islam, THREE (ইংরেজি ভাষায়)। Brill।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- The Secret of Imam Ali's Force of Attraction
- ইউটিউবে Al-Nebras (The Lantern) - A film depicting various events and occurrences in the life of Imam Ali
- Ali ibn Abi Talib by I. K. Poonawala and E. Kohlberg in Encyclopædia Iranica
- Ali, article in Encyclopædia Britannica Online
- "হযরত আলী (রাঃ): বহুগুণে গুণান্বিত এক খলিফা"। ইতিবৃত্ত (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৬-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-১৯।
- Pratidin, Bangladesh (২০২০-০৯-০৪)। "হজরত আলী (রা.)-এর পরিবারে যত মর্মস্পর্শী ঘটনা | বাংলাদেশ প্রতিদিন"। Bangladesh Pratidin। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-১৯।
- "হযরত আলী (আ.)-এর গুণাবলী | Al Shia"। bn.al-shia.org। ২০২২-০৬-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-১৯।
- "আলী ইবন আবী তালিব (রাঃ)"। ইসলামিক অনলাইন মিডিয়া। ২০১৫-০৫-২০। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-১৯।
- "আলী (আ.)-এর গোপনে দাফন"। alhassanain.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-১৯।
- "হযরত আলী (আ.)'র কয়েকটি বিস্ময়কর ক্ষমতা ও অলৌকিক জ্ঞান"। Parstoday। ২০১৭-০৬-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-১৯।
আলী কুরাইশ এর ক্যাডেট শাখা জন্ম: আনু. ৬০০ মৃত্যু: আনু. ২৮ জানুয়ারি ৬৬১
| ||
সুন্নি ইসলাম পদবীসমূহ | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী উসমান ইবন আফফান |
ইসলামের খলিফা ৪র্থ রাশেদীন ৬৫৬ |
উত্তরসূরী হাসান ইবনে আলী |
শিয়া ইসলামী পদবীসমূহ | ||
পূর্বসূরী মুহাম্মাদ শেষ নবী হিসেবে |
বারো ইমামজায়েদি ইমামকায়সানাইটস ইমামবাতিনিয়া ইসমাইলি ইমামগণ ৬৩২–৬৬১ |
উত্তরসূরী হাসান ইবনে আলী ইমাম হিসেবে |
Asās/Wāsihin মুস্তালি ইসমাইলিজম ইসমাইলি ৬৩২–৬৬১ | ||
নিজারি ইসমাইলি ইসমাইলি ইমামগণ ৬৩২–৬৬১ |
উত্তরসূরী হাসান ইবনে আলী মুস্তাউদা হিসেবে | |
উত্তরসূরী হোসাইন ইবনে আলী ইমাম হিসেবে | ||
রাজনৈতিক দপ্তর | ||
পূর্বসূরী মুহাম্মদ |
— TITULAR — মুহাম্মাদের স্থলাভিষেক ৬৩২–৬৫৬ |
খেলাফতের নির্বাচন |
পূর্বসূরী উসমান ইবন আফফান |
খুলাফায়ে রাশেদীন ৬৫৬–৬৬১ |
উত্তরসূরী হাসান ইবনে আলী |
উপজাতীয় উপাধি | ||
পূর্বসূরী আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব |
বনু হাশিমের প্রধান ৬৫৩–৬৬১ |
উত্তরসূরী ? |
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |