খলিফাদের তালিকা

উইকিমিডিয়ার তালিকা নিবন্ধ

এটি খলিফা হিসাবে পরিচিত ইসলামী রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতা এবং হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর রাজনৈতিক উত্তরসূরি হিসাবে ইসলামী উম্মাহর শাসকের পদবি অর্জনকারীদের তালিকা। সকল বছর খ্রিস্টাব্দ অনুসারে উল্লেখিত।

খলিফা
خَليفة
প্রথম খলিফা আবু বকর আস-সিদ্দিকের নামের হস্তশিল্প
সম্বোধনরীতিআমিরুল মুমিনীন
বাসভবনআল-মাদিনাহ আল-মুনাওয়ারাহ (মদিনা)
আল-কুফাহ (কুফা)
দিমাশক (দামেস্ক)
বাগদাদ
সামাররা
কাহিরাহ (কায়রো)
কুস্তান্তিনিয়্যেহ (কনস্টান্টিনোপল) অথবা ইস্তাম্বুল
গঠন৮ জুন ৬৩২
প্রথমআবু বকর
সর্বশেষদ্বিতীয় আবদুল মজিদ
বিলুপ্ত৩ মার্চ ১৯২৪

বৈশ্বিক খিলাফত সম্পাদনা

রাশিদুন খিলাফত (৮ জুন ৬৩২- ২৯ জানুয়ারি ৬৬১) সম্পাদনা

 
রাশিদুন খিলাফতের সর্বো‌চ্চ সীমানা (সবুজ চিহ্নিত), ৬৫৪ খ্রিষ্টাব্দ
# হস্তশিল্প/মুদ্রা নাম (এবং উপাধি) জন্ম শাসন শুরু শাসন শেষ মৃত্যু মুহাম্মাদ (স.) এর সাথে সম্পর্ক পিতা-মাতা বংশ দ্রষ্টব্য
  আবু বকর
(أبو بكر)
আস-সিদ্দিক
৫৭৩ ৮ জুন ৬৩২ (০৩-১২-১১ হিজরি)) ২২ আগস্ট ৬৩৪ বনু তাঈম
  • মুহাম্মদের নবুওয়াত লাভের পরে প্রায় চতুর্থ ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণকারী
  • ৬৩২ সালে রিদ্দার যুদ্ধ শুরু করেন
  ʿউমর ইবনে আল-খাত্তাব
(عمر بن الخطاب)
আল-ফারুক
৫৮৪ ২৩ আগসট ৬৩৪ (০৬-২২-১৩ হিজরি) ৩ নভেম্বর ৬৪৪
(গুপ্ত হত্যাকৃত)
বনু আদি
  • মুহাম্মদ (স.) এর নবুওয়াতের প্রায় ষষ্ঠ বছরে মুসলমান হয়েছিলেন
   'উসমান ইবনে 'আফফান
(عثمان بن عفان)
৫৭৯ ১১ নভেম্বর ৬৪৪ (০১-০৫-২৪ হিজরি) ২০ জুন ৬৫৬
(একটি অবরোধের পর হত্যাকৃত)
বনু উমাইয়া
  • উসমান ছিলেন আস-সাবিকুনাল আওয়ালুনের (প্রথমেই ইসলাম গ্রহণকারী) অন্তর্ভুক্ত। এছাড়াও তিনি আশারায়ে মুবাশ্‌শারার একজন এবং সেই ৬ জন সাহাবীর মধ্যে, অন্যতম যাদের উপর নবি মুহাম্মাদ অধিক সন্তুষ্ট ছিলেন।
   'আলী ইবনে আবু তালিব
(علي بن أبي طالب)
আমিরুল মুমিনীন
হায়দার
আবু তুরাব
আল-মুর্তজা
১৫ সেপ্টেম্বর ৬০১ ২০ জুন ৬৫৬ (১২-২১-৩৫ হিজরি) ২৯ জানুয়ারি ৬৬১
(নামাজ পড়াকালীন সময় কুফার মসজিদে হত্যাকৃত)
  • মুহাম্মাদ (স.) চাচাতো ভাই
  • মুহাম্মাদ (স.) কন্যা ফাতিমার স্বামী
  • মুহাম্মদ (স.) এর সমস্ত বর্তমান বংশধর আলীর মাধ্যমে
বনু হাশিম
  • ইসলামের সবচেয়ে পবিত্র কাবায় জন্মগ্রহণকৃত
  • উন্মুক্তভাবে ইসলাম গ্রহণকারী প্রথম পুরুষ
  • শিয়া মুসলিমদের দ্বারা মুহাম্মদ (স.) এর প্রথম উত্তরসূরি হিসাবে বিবেচিত
  • ইসলামের প্রথম ইমাম

হাসান ইবনে আলীর খিলাফত (৬৬১)

# হস্তশিল্প নাম (ও পদবী) জন্ম শাসন শুরু শাসন শেষ মৃত্যু মুহাম্মাদ (স.) এর সাথে সম্পর্ক পিতা-মাতা বংশ দ্রষ্টব্য
  হাসান ইবনে আলী
(الحسن بن علي)

আহলুল বাইত
আল-মুজতবা[১]
৬২৪ ৬৬১ (ছয় অথবা সাত মাস) ৬৭০ বনু হাশিম

উমাইয়া খিলাফত (৬৬১ – ৬ আগস্ট ৭৫০) সম্পাদনা

 
উমাইয়া খিলাফতের সর্বো‌চ্চ সীমানা (সবুজ চিহ্নিত), আনুমানিক ৭৫০ খ্রিষ্টাব্দ।

[২][৩]

আব্বাসীয় খিলাফত (১৫ জানুয়ারি ৭৫০ – ২০ ফেব্রুয়ারি ১২৫৮) সম্পাদনা

 
আব্বাসীয় খিলাফতের সর্বো‌চ্চ সীমানা (সবুজ চিহ্নিত), আনুমানিক ৮৫০।

(৭৫৬ থেকে উমাইয়াশাসিত ইবেরিয়ান উপদ্বীপউত্তর আফ্রিকার কিছু অংশে তারা স্বীকৃত ছিলেন না)[৪][৫]

(আব্বাসীয় শাসনের শেষের দিকে মুসলিম শাসকরা সুলতান বা অন্যান্য উপাধি ব্যবহার শুরু করেন)

মামলুক আব্বাসীয় রাজবংশ (১২৬১ – ১৫১৭) সম্পাদনা

কায়রোর খলিফা (১৩ জুন ১২৬১ – ২২ জানুয়ারি ১৫১৭ সম্পাদনা

(কায়রোর আব্বাসীয় খলিফা মূলত মামলুক সালতানাতের পৃষ্ঠপোষকতায় আনুষ্ঠানিকভাবে খলিফা ছিলেন)[৬][৭]

উসমানীয় খিলাফত (১৫১৭ – ৩ মার্চ ১৯২৪) সম্পাদনা

 
উসমানীয় খিলাফতের সর্বো‌চ্চ সীমানা, ১৬৮৩।

শাসকদের সুলতান বলে ডাকা হত, পরবর্তীতে প্রজাদের কাছ থেকে পাওয়া উপাধি ব্যবহার শুরু হয়.[৮][৯]

১৯০৮ সালে 'তরুণ তুর্কী বিপ্লব '-এর পর থেকে শুরু করে পরবর্তী সময়ে উসমানীয় সুলতানরা 'নির্বাহী ক্ষমতাবিহীন সাংবিধানিক সম্রাট' হিসেবে বিবেচিত হতেন। এসময় নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত পার্লামেন্ট ক্ষমতা ভোগ করত।

খলিফার অফিস গ্র্যান্ড ন্যাশনাল এসেম্বলির কাছে হস্তান্তর করা হয়। ১৯২৪ এর ৩ মার্চ তারা অফিস বিলুপ্ত করে এবং তুরস্ক প্রজাতন্ত্র কর্তৃক ধর্মনিরপেক্ষতাকে নীতি হিসেবে বহাল রাখে। উসমান পরিবারের বর্তমান প্রধান হলেন বায়েজিদ উসমান। খলিফার অফিস বিলুপ্তির পর তুরস্কের গ্র্যান্ড ন্যাশনাল এসেম্বলি রাষ্ট্রে ইসলামের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হিসেবে আলাদা কার্যালয় স্থাপন করে।

অ-বৈশ্বিক খিলাফত সম্পাদনা

কুতুবউদ্দিন মুবারক শাহ (১৩১৬-১৩২০)

মূল নিবনধ : কুতুবউদদিন মুবারক শাহ

আবদুল্লাহ ইবনুল জুবায়ের (৬৮০-৬৮৩)ইয়াযিদের অধিনে (৬৮৩-৬৯২) স্বাধীন খলিফা সম্পাদনা

আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের ৬৮৪ সালে উমাইয়া খিলাফতের বিরুদ্ধে একটি বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেন। মক্কায় তিনি খলিফা ঘোষিত হন। কিন্তু ৬৯২ সালে হাজ্জাজ বিন ইউসুফের ছয় মাসব্যাপী অবরোধের পর পরাজিত ও শহীদ হন।[১০]

কর্ডোবার উমাইয়া খিলাফত (৯২৯ – ১০৩১) সম্পাদনা

 
কর্ডোবা খিলাফত (সবুজ চিহ্নিত), আনুমানিক ১০০০ খ্রিষ্টাব্দ।

(তারা বিশ্বব্যপী স্বীকৃত ছিলেন না, তাদের কর্তৃত্ব স্পেনমাগরিবে সীমাবদ্ধ ছিল)[১১][১২]

ফাতেমীয় খিলাফত (৯০৯-১১৭১) সম্পাদনা

 
ফাতেমীয় খিলাফতের সর্বো‌চ্চ সীমানা (সবুজ চিহ্নিত), আনুমানিক ৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দ।

(ফাতেমীয়রা শিয়াদের ইসমাইলি শাখা থেকে উদ্ভূত। সুন্নিদের কাছে তারা স্বীকৃত নয়)[১৩][১৪]

আলমোহাদ খিলাফত (১১৪৫-১২৬৯) সম্পাদনা

 
আলমোহাদ রাজত্বের সর্বো‌চ্চ সীমানা (সবুজ চিহ্নিত), আনুমানিক ১২০০।

(ব্যাপকভাবে স্বীকৃত নয়, উত্তর আফ্রিকার অংশবিশেষ ও ইবেরিয়ান উপদ্বীপে কার্যকর ছিল)[১৫][১৬]

১৯০০-এর পর থেকে ঘোষিত অ-বৈশ্বিক খিলাফত সম্পাদনা

শরিফীয় খিলাফত (১৯২৪) সম্পাদনা

খলিফার পদ পুনরায় প্রতিষ্ঠার জন্য শেষ চেষ্টা করা হয় হুসাইন বিন আলির পক্ষ থেকে। তিনি ছিলেন হেজাজের রাজামক্কার শরিফ। ১৯২৪ এর ১১ মার্চ তিনি খিলাফত দাবি করেন এবং ৩ অক্টোবর পর্যন্ত তা বজায় ছিল। এরপর তিনি তার পুত্র আলী বিন হুসাইনকে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। আলী বিন হুসাইন খলিফার উপাধি ধারণ করেননি।[১৭]

ইসলামিক স্টেট (২০১৪ থেকে বর্তমান) সম্পাদনা

২০১৪ সালে জিহাদী সংস্থা আইসিস (পরবর্তীতে আইসিল) বৈশ্বিক খেলাফত এর ঘোষনা দেয়। আবু বকর আল বাগদাদী নিজেকে খলিফা হিসেবে দাবি করেন। তবে বর্তমানে কোনো ভূখণ্ড তাদের অধীনে নেই।

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Imam Hassan as"Duas.org 
  2. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Lane-Poole 9 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  3. Bosworth 2004, p. 4
  4. Lane-Poole 2004, pp. 12–13
  5. Bosworth 2004, pp. 6–7
  6. Bosworth 2004, p. 7
  7. Houtsma & Wensinck 1993, p. 3
  8. Lane-Poole 2004, p. 195
  9. Bosworth 2004, pp. 239–240
  10. Dictionary of Battles and Sieges: F-O edited by Tony Jacques
  11. Lane-Poole 2004, p. 21
  12. Bosworth 2004, p. 11
  13. Lane-Poole 2004, p. 71
  14. Bosworth 2004, p. 63
  15. Lane-Poole 2004, p. 47
  16. Bosworth 2004, p. 39
  17. Bosworth 2004, p. 118

গ্রন্থপঞ্জি সম্পাদনা