আল-মুকতাদি (১০৫৬ - ফেব্রুয়ারি ১০৯৪) (আরবি: المقتدي 'অনুসারী') ছিলেন ১০৭৫ থেকে ১০৯৪ সাল পর্যন্ত বাগদাদে আব্বাসীয় খলিফা। তিনি ২৭তম আব্বাসীয় খলিফা হিসেবে তার দাদা আল-কা'ইমের উত্তরাধিকারি হন।

আল-মুকতাদি
المقتدي
अब्बासिद ख़लीफ़ा अल-मुक्तदी का सोने का दीनार (আব্বাসীয় খলিফা আল-মুক্তাদির সোনার দিনার)
আব্বাসীয় খিলাফতের ২৭তম খলিফা
বাগদাদের আব্বাসীয় খলিফা
রাজত্ব২ এপ্রিল ১০৭৫ – ৩ ফেব্রুয়ারি ১০৯৪
পূর্বসূরিআল-কা'ইম
উত্তরসূরিআল-মুস্তাজির
জন্ম১০৫৬
বাগদাদ, আব্বাসীয় খিলাফত (বর্তমান ইরাক)
মৃত্যু৩ ফেব্রুয়ারি ১০৯৪ (বয়স ৩৭–৩৮)
বাগদাদ, আব্বাসীয় খিলাফত (বর্তমান ইরাক)
স্ত্রীসারা খাতুন
মাহ-ই-মুলক খাতুন
বংশধরআল-মুস্তাজিত
রাজবংশআব্বাসীয়
পিতামুহাম্মাদ
মাতাউরজুওয়ান
ধর্মইসলাম

তিনি খলিফা আল-কায়িমের পুত্র মুহাম্মাদ ধাকিরাত এবং একজন আর্মেনিয় দাসী মেয়ের পুত্র হিসেবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।[১]

তিনি সেলজুক সুলতান প্রথম মালিক শাহ দ্বারা সম্মানিত হয়েছিলেন, যার শাসনকালে সেলজুক বিজয়ের সবটুকু বিস্তৃত পরিসর জুড়ে খিলাফত স্বীকৃতি লাভ করেছিল। ফাতেমীয়দের কাছ থেকে পবিত্র শহরগুলো উদ্ধার হওয়ার সাথে সাথে আরবরা আবারও আব্বাসীয়দের আধ্যাত্মিক অধিকারের স্বীকৃতি দেয়।

স্বর্ণমুদ্রার উপর কালিমার সাথে প্রথম মালিক শাহআল-মুকতাদির নাম মুদ্রিত করা, ৪৩৪ হিজরি/১০৯১ খ্রিস্টাব্দ (সেলজুক সালতানাতের অধিপতি হিসাবে আল-মুক্তাদিকে উদ্ধৃতি)

মালিক-শাহ তাঁর কন্যা এবং আল-মুক্তাদির মধ্যে একটি বিবাহের ব্যবস্থা করেন, সম্ভবত একটি পুত্রের জন্মের পরিকল্পনা করেছিলেন, যিনি খলিফা ও সুলতান উভয়ের দায়িত্ব পালন করতে পারবে। দম্পতির একটি ছেলে হলেও মা তার শিশুকে নিয়ে ইসফাহানের দরবারে চলে যান। বিবাহের ব্যর্থতার পরে সুলতান খলিফার রাষ্ট্রীয় বিষয়ে হস্তক্ষেপের সমালোচনা করেন এবং তাঁকে বসরায় ফিরে যাওয়ার আদেশ পাঠান। তবে অল্প সময় পরে মালিক-শাহের মৃত্যুর কারণে আদেশটি নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Bennison, Amira K. (2009) The Great Caliphs: The Golden Age of the 'Abbasid Empire. Princeton: Yale University Press, p. 47. আইএসবিএন ০৩০০১৬৭৯৮৯
আল-মুকতাদি
জন্ম: ১০৫৬ মৃত্যু: ফেব্রুয়ারি ১০৯৪
সুন্নি ইসলাম পদবীসমূহ
পূর্বসূরী
আল-কা'ইম
ইসলামের খলিফা
আব্বাসীয় খলিফা

২ এপ্রিল ১০৭৫ – ফেব্রুয়ারি ১০৯৪
উত্তরসূরী
আল মুস্তাজির