তামিম ইকবাল
তামিম ইকবাল খান (জন্ম ২০ মার্চ ১৯৮৯) হলেন একজন বাংলাদেশী ক্রিকেটার। ২০০৭ সালে তামিম ইকবালের একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে এবং একই বছর তিনি তার প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলেন। তিনি ডিসেম্বর ২০১০ থেকে সেপ্টেম্বর ২০১১ পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সহ-অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন সংস্করণেই তার সেঞ্চুরি রয়েছে এবং প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০ হাজার রান করেন।[৩] ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৬০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন এবং সেই সাথে রানাসিংহে প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম সনাথ জয়াসুরিয়ার করা ২৫১৪ রানের রেকর্ড ভেঙে একই ভেন্যুতে সর্বোচ্চ রানের অধিকারী হিসেবে নিজের নাম লেখান।[৪][৫]
![]() | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | তামিম ইকবাল খান[১] | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ | ২০ মার্চ ১৯৮৯|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | তামিম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি (১.৭৫ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বা হাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডান হাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | আকরাম খান (চাচা), নাফিস ইকবাল (ভাই) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৫১) | ৪ জানুয়ারি ২০০৮ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ বনাম জিম্বাবুয়ে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৮৩) | ৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ বনাম জিম্বাবুয়ে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২২ জানুয়ারি ২০২১ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টি২০আই অভিষেক (ক্যাপ ১৭) | ১ সেপ্টেম্বর ২০০৭ বনাম কেনিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টি২০আই | ৯ মার্চ ২০২০ বনাম জিম্বাবুয়ে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৭–বর্তমান | চট্টগ্রাম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১১ | নটিংহ্যামশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১২ | চিটাগাং কিংস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৩ | দুরন্ত রাজশাহী | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১২ | ওয়েম্বা ইউনাইটেড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১২-২০১৩ | ওয়েলিংটন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১২/১৩ | পুনে ওয়ারিয়র্স ইন্ডিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৩ | সেন্ট লুসিয়া জুকস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৫-২০১৬ | চিটাগাং ভাইকিংস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৬-বর্তমান | পেশোয়ার জালমি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৭[২] | এসেক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৭ | স্পিন গর টাইগার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৭-২০১৯ | কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৮-বর্তমান | নঙ্গরহার লিওপার্ডস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৯-বর্তমান | ঢাকা প্লাটুন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএন ক্রিকইনফো, ২২ জানুয়ারি ২০২১ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত বিবরণ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয়তা | বাংলাদেশী | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
দাম্পত্য সঙ্গী | আয়েশা সিদ্দিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সন্তান | ১ পুত্র ও ১ কন্যা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মাতা | নুসরাত ইকবাল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পিতা | ইকবাল খান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বাসস্থান | ঢাকা, বাংলাদেশ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শিক্ষা | সানশাইন গ্রামার স্কুল (ও লেভেল এবং এ লেভেল) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পেশা | ক্রিকেটার |
২০১১ সালে তামিম ইকবাল উইজেন ক্রিকেটার্স অ্যালামন্যাক এ বর্ষসেরা ৪ ক্রিকেটারের মধ্যে অন্যতম ও ২য় বাংলাদেশী হিসেবে উইজডেন এ বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটার নির্বাচিত হন। তিনি চট্টগ্রাম বিভাগ ক্রিকেট দল এর হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলে থাকেন। তামিম ইকবালই একক বাংলাদেশী হিসেবে সীমিত ওভারের সংস্করণে সর্বোচ্চ রানের মালিক এবং একমাত্র বাংলাদেশী হিসেবে ক্রিকেটের তিন সংস্করণেই সেঞ্চুরির অধিকারী।[৬] এছাড়াও তামিম ইকবাল একমাত্র বাংলাদেশী হিসেবে ক্রিকেটের তিন সংস্করণ মিলিয়ে ২০টি সেঞ্চুরির অধিকারী।
বর্তমানে তিনি টেস্ট, ওডিআই ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে বাংলাদেশী হিসেবে সর্বোচ্চ রানের অধিকারী খেলোয়াড়।[৭] তিনি ২য় বাংলাদেশী হিসেবে টেস্টে ৩০০০ রান ও ওয়ানডেতে ৫০০০ রানের রেকর্ডধারী এবং ১ম বাংলাদেশী হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ১০০০ রানের মাইলফলক অতিক্রম করেন। তিনি ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে তার ২০০তম একদিনের ক্রিকেট ম্যাচ খেলেছিলেন। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে তামিম ইকবাল প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে ২০১৯-২০ বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ টুর্নামেন্টে ইস্ট জোন টিমের হয়ে ১ম শ্রেণির ক্রিকেটে অপরাজিত ৩৩৪ রানের ইনিংস খেলেন।[৮]
ব্যক্তিগত জীবনসম্পাদনা
তামিম ১৯৮৯ সালের ২০ মার্চ চট্টগ্রামের কাজীর দেওরিতে বিখ্যাত খান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[৯] তার বাবা ইকবাল খান ও মা নুসরাত ইকবাল। তার বাবা ছিলেন ফুটবলার ও ক্রিকেটার। ২০০০ সালে মারা যান তিনি। বড় ভাই সাবেক ক্রিকেটার নাফিস ইকবাল। তাদের একটি ছোট বোন আছে। ক্রিকেটার আকরাম খান তার চাচা।[১০][১১]
ক্রিকেট জীবনসম্পাদনা
তার উচ্চতা ৫'৮" । ২০০৯ মৌসুমের জুলাই-আগস্ট মাসে বাংলাদেশের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তামিম ইকবাল তার প্রথম টেস্ট শতক করেন। খেলোয়াড় ও ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে বিবাদের কারণে ক্যারিবীয় দলটি অবশ্য খানিকটা দুর্বল ছিল। ৭ জন খেলোয়াড়ের টেস্ট অভিষেক হয় এ ম্যাচে। তামিমের ব্যাটিং বাংলাদেশকে এক ঐতিহাসিক বিজয় এনে দেয়। এটি ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট বিজয় এবং দেশের বাইরের মাটিতেও প্রথম টেস্ট জয়।
তামিম ১২৮ রানে তার ইনিংস শেষ করেন এবং অসাধারণ ক্রীড়াশৈলীর কারণে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার জিতে নেন। এরপূর্বে প্রথম ইনিংসেও তিনি ৩৩ রান করেছিলেন। নিজের ইনিংস সম্পর্কে বলতে গিয়ে তামিম বলেন, "উইকেট যথেষ্ট ফ্ল্যাট ছিল। আপনি যদি খেলায় ঠিকমত মনোনিবেশ করতে পারেন এবং সোজা ব্যাটে খেলেন, নিশ্চয়ই আপনি বড় স্কোর করতে পারবেন। আমার বয়স এখন বিশ এবং টেস্ট খেলেছি মাত্র ১১টি। আশা করছি, এরকম আরো অনেক ইনিংস আমি দলকে উপহার দিতে পারবো।[১২][১৩]
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে উইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে নেমে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১২০০০ রানের রেকর্ড গড়েন তামিম ইকবাল। প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক শতক আসে আয়ারল্যান্ড দলের বিপক্ষে। ভারত, শ্রীলঙ্কা নিয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ত্রি-দেশীয় সিরিজের আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রশিক্ষক জেমি সিডন্স তার সম্পর্কে বলেছেন, "তামিম ইকবালের আন্তর্জাতিকমানের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হবার যোগ্যতা আছে"।[১৪]
২৫শে জানুয়ারি তামিম, জুনায়েদ সিদ্দিকীকে সঙ্গী করে ভারতের বিপক্ষে ১৫১ রানের রেকর্ড জুটি গড়েন। ১৩ই মার্চ, ২০১০ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে ৮৬ রানের একটি অনবদ্য ইনিংস খেলে তামিম ১০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। শুধুমাত্র শচীন তেন্ডুলকর এবং মোহাম্মদ আশরাফুল তারচেয়েও কম বয়সে এ মাইলফলক স্পর্শ করতে পেরেছিলেন। এই টেস্টেরই দ্বিতীয় ইনিংসে ও পরের টেস্টের প্রথম ইনিংসে তামিম পরপর দু'টো সেঞ্চুরি করেন (১০৩ ও ১০৮)।
২০১২ সালে এশিয়া কাপে তামিম ইকবাল ৪টি ম্যাচেই হাফ-সেঞ্চুরি করেন এবং বাংলাদেশ ২য় বারের মতো কোনো ত্রি-দেশীয় ক্রিকেট সিরিজের ফাইনালে উঠে।[১৫]
পাকিস্তান সিরিজ, ২০১৫সম্পাদনা
২ মে, ২০১৫ তারিখে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ১ম টেস্টের ২য় ইনিংসে ইমরুল কায়েসকে (১৫০) সাথে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৩১২ রান তোলেন। বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এটি ২য় সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েন।[১৬][১৭] এরফলে তারা টেস্টের ২য় ইনিংসে ১৯৬০ সালে কলিন কাউড্রে ও জিওফ পুলারের গড়া ২৯০ রানের রেকর্ড ভঙ্গের মাধ্যমে নতুন রেকর্ড গড়েন।[১৮] খেলায় তিনি ২০৬ রান করেন যা তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ টেস্ট শতরান। এ রান সংগ্রহের ফলে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের গড়া সর্বোচ্চ ২০০ রানের রেকর্ড ভঙ্গ করে নিজের করে নেন। পরবর্তীতে সাকিব আল হাসানের দৃঢ়তাপূর্ণ অপরাজিত ৭৫* রানের সুবাদে তার দল ৫৫৫/৬ তোলে ও খেলাটি নিষ্প্রাণ ড্রয়ে পরিণত হয়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার হিসেবে দেড় হাজার মার্কিন ডলার লাভ করেন।
ভারত সিরিজ, ২০১৫সম্পাদনা
১০-১৪ জুন, ২০১৫ তারিখে সফরকারী ভারত দলের বিপক্ষে তামিম ইকবাল বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হন।[১৯] নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বৃষ্টিবিঘ্নিত একমাত্র টেস্টের প্রথম ইনিংসে তিনি এ কীর্তিগাঁথা রচনা করেন।
জাতীয় দলের অধিনায়কসম্পাদনা
২০২০ সালের ৮ মার্চ মাসরাফির অবসর গ্রহণের পরে তামিমকে বাংলাদেশের একদিনের আন্তর্জাতিক (ওডিআই) দলের অধিনায়ক ঘোষণা করা হয়।
ক্রিকেট বিশ্বকাপসম্পাদনা
তিনি ২০০৭ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট অংশগ্রহণ করেন এবং ভারতের বিপক্ষে প্রথম খেলায় ৫৩ বলে ৫১ রান করেন, যা ভারতীয় দলকে পরাজিত করতে সবিশেষ অবদান রাখে।
২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ৪ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখে বিসিবি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ দলের ১৫-সদস্যের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে।[২০] এতে তিনিও দলের অন্যতম সদস্য মনোনীত হন। ৫ মার্চ, ২০১৫ তারিখে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ৪র্থ খেলায় তিনি ৯৫ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন। মাহমুদুল্লাহকে সাথে নিয়ে ও পরবর্তীতে সাকিব, মুশফিকের অনন্য নৈপুণ্যে ঐ খেলায় বাংলাদেশ দল বিশাল রান তাড়া করে ৬ উইকেটের কৃতিত্বপূর্ণ জয়লাভ করে।[২১] এর ফলে বাংলাদেশ সফলভাবে একদিনের আন্তর্জাতিকে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে বিজয়ী হয়।[২২] এছাড়াও তিনি সাকিবের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশী ক্রিকেটার হিসেবে একদিনের আন্তর্জাতিকে ৪,০০০ রান সংগ্রহ করেন।
উইজডেনের বর্ষসেরা ক্রিকেটারসম্পাদনা
২০১১ সালে তামিম উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমেনাক ম্যাগাজিন কর্তৃক বছরের সেরা পাঁচ ক্রিকেটারের একজন হিসেবে নির্বাচিত হন। গ্রেম সোয়ান ও বীরেন্দ্র শেবাগকে পেছনে ফেলে তামিম এ খেতাব জিতে নেন।
আন্তর্জাতিক শতকসমূহসম্পাদনা
টেস্ট শতকসম্পাদনা
তামিম ইকবালের টেস্ট শতক | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
# | রান | খেলা | প্রতিপক্ষ | শহর/দেশ | মাঠ | সাল | ফলাফল |
১ | ১২৮ | ১১ | ওয়েস্ট ইন্ডিজ | কিংসটাউন, সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইনস | আর্নোস ভেল স্টেডিয়াম | ২০০৯ | জয় |
২ | ১৫১ | ১৪ | ভারত | ঢাকা, বাংলাদেশ | শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম | ২০১০ | পরাজয় |
৩ | ১০৩ | ১৮ | ইংল্যান্ড | লন্ডন, ইংল্যান্ড, যুক্তরাজ্য | লর্ড’স ক্রিকেট গ্রাউন্ড | ২০১০ | পরাজয় |
৪ | ১০৮ | ১৯ | ইংল্যান্ড | ম্যানচেস্টার, ইংল্যান্ড, যুক্তরাজ্য | ওল্ড ট্রাফোর্ড ক্রিকেট গ্রাউন্ড | ২০১০ | পরাজয় |
৫ | ১০৯ | ৩৬ | জিম্বাবুয়ে | খুলনা, বাংলাদেশ | শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম | ২০১৪ | জয় |
৬ | ১০৯ | ৩৭ | জিম্বাবুয়ে | চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ | জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম | ২০১৪ | জয় |
৭ | ২০৬ | ৩৮ | পাকিস্তান | খুলনা, বাংলাদেশ | শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম | ২০১৫ | ড্র |
৮ | ১০৪ | ৪৪ | ইংল্যান্ড | ঢাকা, বাংলাদেশ | শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম | ২০১৬ | জয় |
৯ | ১২৬ | ৫৭ | নিউজিল্যান্ড | হ্যামিল্টন, নিউজিল্যান্ড | সেডন পার্ক | ২০১৯ | পরাজয় |
ওডিআই শতকসম্পাদনা
তামিম ইকবালের ওডিআই শতক | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
# | রান | খেলা | প্রতিপক্ষ | শহর/দেশ | মাঠ | সাল | ফলাফল |
১ | ১২৯ | ২৭ | আয়ারল্যান্ড | ঢাকা, বাংলাদেশ | শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম | ২০০৮ | জয় |
২ | ১৫৪ | ৬০ | জিম্বাবুয়ে | বুলাওয়ে, জিম্বাবুয়ে | কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব | ২০০৯ | জয় |
৩ | ১২৫ | ৭৪ | ইংল্যান্ড | ঢাকা, বাংলাদেশ | শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম | ২০১০ | পরাজয় |
৪ | ১১২ | ১১৯ | শ্রীলঙ্কা | হাম্বানতোতা, শ্রীলঙ্কা | মহিন্দ রাজাপক্ষ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম | ২০১৩ | পরাজয় |
৫ | ১৩২ | ১৪২ | পাকিস্তান | ঢাকা, বাংলাদেশ | শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম | ২০১৫ | জয় |
৬ | ১১৬* | ১৪৩ | পাকিস্তান | ঢাকা, বাংলাদেশ | শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম | ২০১৫ | জয় |
৭ | ১১৮ | ১৫৬ | আফগানিস্তান | ঢাকা, বাংলাদেশ | শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম | ২০১৬ | জয় |
টি২০ শতকসম্পাদনা
তামিম ইকবালের টি২০ শতক | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
# | রান | খেলা | প্রতিপক্ষ | শহর/দেশ | মাঠ | সাল | ফলাফল |
১ | ১০৩* | ৪৯ | ওমান | ধর্মশালা, ভারত | হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট সংস্থা স্টেডিয়াম | ২০১৬ | জয় |
টি২০ শতকসম্পাদনা
তামিম ইকবাল ২০১৬ সালের ১৩ মার্চ টি২০ বিশ্বকাপে ওমানের বিপক্ষে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সেঞ্চুরি করেন ৷ তিনি বাংলাদশের হয়ে প্রথম এক হাজার ক্লাবে পৌঁছান ৷
জাতীয় দলের অধিনায়কসম্পাদনা
মাশরাফি বিন মর্তুজা একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক পদ থেকে সরে দাড়ালে ৮ মার্চ ২০২০ তারিখে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জাতীয় দলের দায়িত্বভার তার কাঁধে তুলে দেয়।[২৩] এছাড়া এর আগে শ্রীলঙ্কা সফরেও ওডিআই দলের নেতৃত্ব দেন তিনি।[২৪]
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ Tamim Iqbal Profile, ESPN Cricinfo, সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০০৭
- ↑ "Tamim Iqbal: Bangladesh international leaves Essex for personal reasons"। ১১ জুলাই ২০১৭ – www.bbc.co.uk-এর মাধ্যমে।
- ↑ "Tamim ton leads Bangladesh to 90-run win"। International Cricket Council। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০১৭।
- ↑ "Tamim becomes first Bangladesh player to reach 6k ODI runs"। The Daily Star। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "Tamim's journey to 6000 ODI runs"। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "Tamim Iqbal: Bangladesh opener hits 1st ton of 2016 World T20, becomes 11th player to hit tons in all 3 formats"। Zee News। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০১৬।
- ↑ "Batting records – Combined Test, ODI and T20I records – Cricinfo Statsguru – ESPNcricinfo"।
- ↑ "Tamim Iqbal hits 334 not out, Bangladesh's best in first-class cricket"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ "শুভ জন্মদিন তামিম ইকবাল - Bhorer Kagoj"। www.bhorerkagoj.com।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব। "'আব্বার মৃত্যুর সময় তামিমই ছিল পাশে'"। Prothomalo।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ চট্টগ্রামের ‘খান পরিবার’ থেকে উঠে আসছে আরেক ক্রিকেটার (ভিডিও), যুগান্তর, ১৩ মে ২০২০
- ↑ Cricinfo staff (৮ জুলাই ২০০৯), ওয়েস্ট ইন্ডিজের রিপ্লেসমেন্ট স্কোয়াড, Cricinfo.com, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-১৮
- ↑ সাকিব, মাহমুদউল্লাহ বুঝতেই দিলেন না মুর্তজার অনুপস্থিতি, Cricinfo, ১৩ জুলাই ২০০৯, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-১৮
- ↑ [১] খন্দোকার মিরাজুর রহমান (৩ জানুয়ারি ২০১০)
- ↑ "Nasir breaks the trend, and the four-finger salute"। ESPNcricinfo।
- ↑ "Record opening stand stuns Pakistan"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১ মে ২০১৫।
- ↑ "Tamim double-ton tops up record stand"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১৫।
- ↑ "Centurion Kayes overcomes wicketkeeping ordeal, Bangladesh v Pakistan, 1st Test, Khulna, 4th day May 2, 2015"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১৫।
- ↑ "Tamim surpasses Bashar for Bangladesh record"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০১৫।
- ↑ Isam, Mohammad। "Soumya Sarkar in Bangladesh World Cup squad"। ESPNCricinfo। ESPN। ৭ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ Fuloria, Devashish (৫ মার্চ ২০১৫)। "The top-order show a Bangladesh chase needed"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৫।
- ↑ "Seniors set up Bangladesh's highest chase"। ESPN Cricinfo। ৫ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৫।
- ↑ "Tamim Iqbal to take over as Bangladesh ODI captain"। ESPNcricinfo। ৮ মার্চ ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০২০।
- ↑ "Tamim ready for captaincy after 'last-minute call'"। www.icc-cricket.com। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০১৯।
আরও পড়ুনসম্পাদনা
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
ক্রীড়া অবস্থান | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী মুশফিকুর রহিম |
টেস্টে বাংলাদেশী ক্রিকেটারদের সর্বোচ্চ রান ২০৬ |
উত্তরসূরী নির্ধারিত হয়নি |