ব্যবহারকারী:Owais Al Qarni/মুশতাক আহমদ (পণ্ডিত)

শায়খুল হাদিস, মাওলানা

ড. মুশতাক আহমদ

দামাত বারাকাতুহুম
উপপরিচালক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
১৯৯৫
সহ-সভাপতি, জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বাংলাদেশ
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
৭ অক্টোবর ২০১৬
মহাপরিচালক, জামিয়া শায়খ যাকারিয়্যা কমপ্লেক্স
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
২০০৮
শায়খুল হাদিস, তেজগাঁও রেলওয়ে জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
২০০৪
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম (1967-12-02) ২ ডিসেম্বর ১৯৬৭ (বয়স ৫৬)
ধর্মইসলাম
জাতীয়তাবাংলাদেশি
দাম্পত্য সঙ্গীনাজমুন নাজার নাজমা
সন্তান
পিতামাতা
  • মুহাম্মাদ মূসা (পিতা)
  • হাশমাতুন নেসা (মাতা)
জাতিসত্তাবাঙালি
যুগআধুনিক
আখ্যাসুন্নি
ব্যবহারশাস্ত্রহানাফি
আন্দোলনদেওবন্দি
প্রধান আগ্রহহাদিস, ফিকহ, লেখালেখি, তাসাউফ, ইসলামের ইতিহাস
উল্লেখযোগ্য কাজ
যেখানের শিক্ষার্থী
মুসলিম নেতা
ফেসবুক
আইডিমুশতাক আহমদ
ইউটিউব
চ্যানেলমুশতাক আহমদ

ড. মুশতাক আহমদ (জন্ম: ২ ডিসেম্বর ১৯৬৭) একজন বাংলাদেশি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত, শিক্ষাবিদ, ধর্মীয় লেখক, গবেষক ও আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব। তিনি জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সহ-সভাপতি, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের উপ-পরিচালক এবং জামিয়া শায়খ যাকারিয়্যা কমপ্লেক্সের প্রতিষ্ঠাতা ও মহাপরিচালক। তার রচিত ‘তাহরীকে দেওবন্দ ’ গ্রন্থটি কওমি মাদ্রাসার পাঠ্যবই হিসেবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তিনি বাংলাদেশে কওমি মাদ্রাসায় পড়ুয়া প্রথম আলেম যিনি ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করতে সমর্থ হয়েছেন। এছাড়াও তিনি কয়েকটি মাদ্রাসার শায়খুল হাদিস [ক] এবং কয়েকটি ইসলামি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার পরিচালনার কাজে যুক্ত রয়েছেন।

জন্ম ও বংশ সম্পাদনা

মুশতাক আহমদ ১৯৬৭ সালের ২ ডিসেম্বর চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানাধীন পনশাহি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মুহাম্মদ মূসা ও মা হাশমাতুন নেসা। তার পিতা ছিলেন নারিন্দা আহসানিয়া আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এবং দেওবন্দি চিন্তাধারার ইসলামি পণ্ডিত। তার দাদার নাম ওয়াজ উদ্দিন। [১][২][৩][৪][৫]

শিক্ষাজীবন সম্পাদনা

নিজ বাড়ির সাবাহি মক্তবে তিনি শিক্ষাজীবনের সূচনা করেন। তারপর রহিমানগর উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণি পর্যন্ত অধ্যয়ন করে মাদ্রাসা শিক্ষা আরম্ভ করেন। পিতা মুহাম্মদ মূসা ছিলেন তার প্রথম শিক্ষক। পিতার কাছে ৫ মাস অধ্যয়নের পর তিনি ১৯৭৫ সাল থেকে তার মামা মুহাম্মদ ইসহাকের তত্ত্বাবধানে ৩ বছর ঢাকার আশরাফুল উলুম বড়কাটারা মাদ্রাসায় অধ্যায়ন করেন। তারপর নূর হোসাইন কাসেমীর তত্ত্বাবধানে ৩ বছর জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলূম ফরিদাবাদ মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেন। তারপর ৩ বছর তিনি অধ্যায়ন করেন দারুল উলুম হাটহাজারীতে। ১৯৮৫ সালে জামিয়া শরইয়্যাহ মালিবাগ, ঢাকা থেকে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) সমাপ্ত করেন এবং বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার মেধা তালিকায় ২য় স্থান অধিকার করেন। উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য তিনি ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ গমন করেন। সেখানে তিনি ‘তাকমীলে হাদিস’ পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ২য় স্থান লাভ করেন এবং দারুল উলুম দেওবন্দের সহকারী শিক্ষক পদের জন্য আরশাদ মাদানির পক্ষ থেকে প্রস্তাব পান। কওমি মাদ্রাসার পাশাপাশি তিনি আলিয়া মাদ্রাসায়ও পরীক্ষা দিয়েছেন। ১৯৮০ সাল থেকে দাখিল, আলিম, ফাযিল ও কামিল পরীক্ষায় অংশ গ্রহণপূর্বক সকল পরীক্ষায় ১ম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ১৯৮৬ সালে কামিল হাদিস পরীক্ষায় তিনি মেধা তালিকায় ৫ম স্থান লাভ করেন। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৮ সালে স্নাতক ও ১৯৯০ সালে স্নাতকোত্তর শেষ করেন। ১৯৯৫ সালে এম.ফিল প্রথম পর্ব পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নাম্বার লাভ করে পি.এইচ.ডি কোর্সে চলে যান। ২০০০ সালে পি.এইচ.ডি গবেষণা সম্পন্ন হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদান করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৩ তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ তাকে পুরস্কার প্রদান করেন। তিনি বাংলাদেশে কওমি মাদ্রাসায় পড়ুয়া প্রথম আলেম যিনি ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করতে সমর্থ হয়েছেন। তার শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন: দেওবন্দের আরশাদ মাদানি, সাঈদ আহমদ পালনপুরী, আবদুল হক শায়খে ছানী, নাসীর আহমদ খান, ক্বমার উদ্দীন, শাহ আহমদ শফী, নূর হুসাইন কাসেমীসহ প্রমুখ খ্যাতিমান ব্যক্তি। [২][৫]

কর্মজীবন সম্পাদনা

১৯৮৬ সালে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে দেশে প্রত্যাবর্তন করে শিক্ষকতার মাধ্যমে তিনি কর্মজীবনের করেন। তিনি ১ বছর কুমিল্লা কাসেমুল উলুম মাদ্রাসায়, তারপর ৩ বছর ঢাকা পীরজঙ্গী শামসুল উলুম মাদ্রাসায়, তারপর ৭ বছর চৌধুরীপাড়া দারুল কুরআন মাদ্রাসায়, ২ বছর দারুল উলুম রামপুরা মাদ্রাসায় হাদিসের অধ্যাপনা করেছেন। অতঃপর তেজগাঁও রেলওয়ে জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসায় ২০০৪ সাল থেকে শায়খুল হাদিস পদে দায়িত্বরত আছেন। পরবর্তীতে সোনারগাঁও উলুকান্ধী আশরাফুল উলুম মাদ্রাসা ও মুহাম্মদপুর ফাতেমাতুজ জাহরা মাদ্রাসায় শায়খুল হাদিস হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৮৭ থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত খিলগাঁও গভমেন্ট স্টাফ কোয়ার্টার জামে মসজিদে ইমামতির দায়িত্ব পালন করেন। ইমামতির সময়ে সেখানে মসজিদের জন্য জমি বরাদ্দ নেন, অতঃপর দোতালা ভবন নির্মাণ, সকাল-দুপুর মক্তবঈদগাহ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৭ সাল থেকে তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশন জামে মসজিদে খতিব হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। খতিবের দায়িত্ব পালন করার সাথে মাদ্রাসা ও মসজিদের অসমাপ্ত ভবন নির্মান, হাফেজিয়া মাদ্রাসাকে পূর্ণাঙ্গ দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) মাদ্রাসায় রূপদান, মাদ্রাসার সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা ও মাদ্রাসা কেন্দ্রিক ঈদগাহ পরিচালনার ব্যবস্থা করেন। পাশাপাশি তিনি ১৯৯৫ সাল থেকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশে জোহর ও আসর নামাযের অস্থায়ী ইমামেরও দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ১৯৯৫ সাল থেকে তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের একজন পদস্থ কর্মকর্তা। বর্তমানে তিনি ‘উপ-পরিচালক’ পদে দায়িত্ব পালন করছেন। [৬] ২০১৬ সালে তিনিসহ কয়েকজন ইসলামি পণ্ডিত জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে অধ্যাবদি এর সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। [৫][৭][৮][৯][১০]

তাসাউফ সম্পাদনা

তিনি জমির উদ্দিন নানুপুরী (সুলতান আহমদ নানুপুরীর খলিফা), মালিক শাহ আবদুল হাফিয আল মাক্কি (মুহাম্মদ জাকারিয়া কান্ধলভির খলিফা) ও সুলাইমান নুমানীর (মোহাম্মদ উল্লাহ হাফেজ্জীর খলিফা) সাথে আধ্যাত্মিক সম্পর্ক গড়ে তুলেন। তাদের প্রত্যেকেই তাকে খিলাফত[খ] প্রদান করেছেন। [৫] ২০১৭ সালে তিনি শাহ আহমদ শফীর খেলাফত পান। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

প্রকাশনা সম্পাদনা

তার রচিত গ্রন্থ সমূহের মধ্যে রয়েছে :[৫]

  1. তাহরীকে দেওবন্দ  : দারুল উলুম দেওবন্দের চিন্তাধারা, দর্শন, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও অবদান বিষয়ে বাংলাভাষায় রচিত একটি গ্রন্থ যা বহু বছর পর্যন্ত কওমি মাদ্রাসার পাঠ্যবই হিসেবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
  2. শায়খুল ইসলাম সৈয়দ হুসাইন আহমদ মাদানি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুশতাক আহমদের অভিসন্দর্ভ, যা ২০০০ সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত হয়। এই গ্রন্থটি মাদানির শিরোনামে হলেও তাতে দেওবন্দি পণ্ডিতদের চিন্তা চেতনা, তাদের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি, ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী জিহাদ, শাহ আবদুল আজিজের দারুল হারব ফতওয়া, সাইয়েদ আহমদ বেরলভীর মুজাহিদ আন্দোলন, ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহ, রেশমি রুমাল আন্দোলন, মাহমুদ হাসান দেওবন্দির মাল্টার কারাবাস ও মাদানির অবিভক্ত ভারতের দাবী ইত্যাদির উপর বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। বাংলা ভাষায় এই গ্রন্থটি মাদানির চিন্তাধারা, জীবন-কর্ম ও আকাবিরে দেওবন্দের ইতিহাসের উপর সর্বাপেক্ষা প্রমাণ্য ও বস্তুনিষ্ঠ গ্রন্থ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। [১১]
  3. ইসলামের আদেশ ও নিষেধ : এটি লন্ডনে দুইবার বিনামূল্যে বিতরন করা হয়েছে।
  4. সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামে আলেমদের অবদান : যাতে আলেমদের যুগ যুগ ধরে চলে আসা সংগ্রামের বর্ণনা প্রমাণ সহ আলোচিত হয়েছে।
  5. উলুমুল হাদিস : এই গ্রন্থটি হাদিস বিষয়ে বাংলাভাষায় প্রথম পর্যায়ের কয়েকটি গ্রন্থের একটি। যেখানে সাবলিল ভাষায় উলুমুল হাদিস বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
  6. ইসলামের দৃষ্টিতে বিদআত : বিদআতের উপর গবেষণা লব্ধ ও প্রামান্য একটি গ্রন্থ।
  7. ইসলামের দৃষ্টিতে আইন ও বিচার
  8. ওহীর মর্ম ও তাৎপর্য
  9. সৈয়দ আহমদ শহীদ জীবন ও সংগ্রাম
  10. আহকামে ইসলাম
  11. আখলাকুস সাহাবা
  12. যাকাত ও দান সাদাকা
  13. তারবিয়্যাত নামা
  14. ফুয়ুজাতে জমীরী
  15. শবগুজারীর ওযীফা ইত্যাদি

তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের লেখক পরিষদের সদস্য। [৫]

অনুবাদ ও সম্পাদনা

তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রকাশনা কার্যক্রমের আওতায় সহীহ বুখারীসহীহ মুসলিম সহ বহু মৌলিক গ্রন্থের অনুবাদে অংশগ্রহণ করেছেন। এছাড়া অনুুদিত ও সম্পাদিত গ্রন্থ :[৫]

  1. ইসলামী জীবন ( মূল: ইসলাম কিয়া হ্যায়: মানজুর নোমানী ), বাংলাদেশ লন্ডনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বইটি বিনামূল্যে বিতরন করা হয়েছে।
  2. দারুল উলুম দেওবন্দের ইতিহাস ( মূল: তারীখে দারুল উলুম দেওবন্দ : সৈয়দ মেহবুব রিজভী )
  3. উলামায়ে হিন্দ কা শানদার মাজী, ৩য় খন্ড: (মুহাম্মদ মিয়া দেওবন্দি)
  4. ঈমানী গল্প (আহলে দিল কে তড়পাদনে ওয়ালে ওয়াকেয়াত: জুলফিকার আহমদ নকশবন্দী) ইত্যাদি

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাহিত্য পত্রিকা ‘মাসিক অগ্রপথিক’ ও গবেষণা পত্রিকা ‘ত্রৈমাসিক ইসলামিক ফাউন্ডেশন পত্রিকা ’ র বহু বছর তিনি সহযোগী সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে ইফার অনুবাদ বিভাগের সম্পাদক পদে দায়িত্বরত আছেন। [৫]

অবদান সম্পাদনা

তিনি ‘দারুল উলুম দেওবন্দের চিন্তাধারা’র উপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক সেমিনার করেছেন। ১৯৮৭ সাল থেকে তিনি জনসম্মুখে কুরআনের তাফসীর (ব্যাখ্যা) উপস্থাপন করছেন এবং ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে ইসলামি অনুুুষ্ঠান শুরু করেন। ২০০৮ সালে তিনি ঢাকার উত্তরখান থানার কাঁচকুরায় ‘জামিয়া শায়খ যাকারিয়্যা কমপ্লেক্স’ প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে এখানে মক্তব, হেফয বিভাগ, কিতাব বিভাগ, ইফতা বিভাগ ও উলুমুল হাদিস বিভাগ রয়েছে। তিনি ২০১৫ সালে ‘সৈয়দা আয়েশা সিদ্দিকা বালিকা মাদ্রাসা’ নামে একটি মহিলা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন। [৫] কুমিল্লা জেলার রহিমানগরে তার প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা ‘রহিমানগর জামিয়া শায়খ যাকারিয়্যা’। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

সম্মাননা সম্পাদনা

২০১৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত কিতাব মেলায় তাকে অন্যতম সেরা লেখক সম্মাননা দেওয়া হয়। [১২]

পরিবার সম্পাদনা

তিনি কুমিল্লার ইসলামি পণ্ডিত নুরুল ইসলামের কন্যা নাজমুন নাহার নাজমার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ২৫ আগস্ট ২০২০ সালে তার স্ত্রী মৃত্যুবরণ করেন। তার ঔরসে ২ ছেলে ও ১ মেয়ে জন্মলাভ করেছে। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

আরও দেখুন সম্পাদনা

টীকা সম্পাদনা

  1. হাদিস বিভাগীয় প্রধান যিনি সহিহ বুখারীর শিক্ষাদান করেন।
  2. উত্তরসূরি মনোনীত করা।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. আলম, মোঃ মোরশেদ (২০১৪)। "হাদীস শাস্ত্র চর্চায় বাংলাদেশের মুহাদ্দিসগণের অবদান"পিএইচডি অভিসন্দর্ভ, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ৯৩, ৯৪। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুন ২০২১ 
  2. রহমান, মিরাজ (১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭)। "মাজার বরকতের স্থান বাণিজ্যকেন্দ্র নয় : ড. মাওলানা মুশতাক আহমদ"প্রিয়.কম। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-১৫ 
  3. ডেস্ক, অনলাইন (১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯)। "ডা. আকাশের আত্মহত্যার বিষয়ে আলেমদের পর্যালোচনা"যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-১৫ 
  4. ডেস্ক, ধর্ম (১১ জানুয়ারি ২০১৮)। "মাওলানা সাদ সংকটে ২ শীর্ষ আলেমের পরামর্শ"জাগোনিউজ২৪.কম। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-১৯ 
  5. বিডি.কম, আন নূর (১৫ নভেম্বর ২০২০)। "ডক্টর মাওলানা মুশতাক আহমদ দা.বা. এর সংক্ষিপ্ত জীবনী"কওমিপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-১৭ 
  6. "ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের তালিকা"তথ্য বাতায়ন 
  7. রিপোর্ট, যুগান্তর (১৭ আগস্ট ২০২০)। "কবে খুলছে কওমি মাদ্রাসা?"যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-১৮ 
  8. "বুদ্ধিভিত্তিক জ্ঞানচর্চার পুরোধা ইমাম আবু হানিফা | বাংলাদেশ প্রতিদিন"বাংলাদেশ প্রতিদিন। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-১৮ 
  9. সিরাজ, ওয়ালি উল্লাহ (২০১৭-১১-০৯)। "সাক্ষাৎকারে ড. মাওলানা মুশতাক আহমদ যে কারণে আধ্যাত্মিক চর্চা প্রয়োজন"আমাদের অর্থনীতি। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-১৮ 
  10. রিপোর্ট, বাংলা ট্রিবিউন (১২ আগস্ট ২০১৯)। "জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত"বাংলা ট্রিবিউন। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-১৮ 
  11. খসরু, আতাউর রহমান (৫ ডিসেম্বর ২০১৯)। "হুসাইন আহমদ মাদানি (রহ.)-এর জীবন ও সংগ্রাম | কালের কণ্ঠ"কালের কন্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-১৮ 
  12. ডেস্ক, ধর্ম (২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭)। "সম্মাননা পেলেন ৭ আলেম লেখক"বাংলানিউজ২৪.কম। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২১ 

গ্রন্থপঞ্জি সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

* {{ফেসবুক|id=100013257943111}} * {{ইউটিউব|c=UCcJCKagn8EDWru7lk19H_Vg|মুশতাক আহমদের}} * {{ইউটিউব|ERtZZM8LXng|মুশতাক আহমদের একটি ওয়াজ}} {{বাংলাদেশি দেওবন্দি}} {{পূর্বনির্ধারিতবাছাই:আহমদ, মুশতাক}} [[বিষয়শ্রেণী:১৯৬৭-এ জন্ম]] [[বিষয়শ্রেণী:দেওবন্দি ব্যক্তি]] [[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের ইসলামি চিন্তাবিদ]] [[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী মুফতি]] [[বিষয়শ্রেণী:চাঁদপুর জেলার ব্যক্তি]] [[বিষয়শ্রেণী:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী]] [[বিষয়শ্রেণী:সুন্নি ইসলামের পণ্ডিত]] [[বিষয়শ্রেণী:হানাফি ফিকহ পণ্ডিত]] [[বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর ইসলামের মুসলিম পণ্ডিত]] [[বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি]] [[বিষয়শ্রেণী:দারুল উলুম হাটহাজারীর প্রাক্তন শিক্ষার্থী]] [[বিষয়শ্রেণী:জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলূম ফরিদাবাদ মাদ্রাসার প্রাক্তন শিক্ষার্থী]] [[বিষয়শ্রেণী:জামিয়া শরইয়্যাহ মালিবাগ, ঢাকার প্রাক্তন শিক্ষার্থী]] [[বিষয়শ্রেণী:দারুল উলুম দেওবন্দের প্রাক্তন শিক্ষার্থী]] [[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী লেখক]] [[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী গবেষক]] [[বিষয়শ্রেণী:ইসলামি ব্যক্তিত্ব]] [[বিষয়শ্রেণী:ইসলামি চিন্তাবিদ]] [[বিষয়শ্রেণী:ইসলামের মুসলিম পণ্ডিত]] [[বিষয়শ্রেণী:ইসলামের সুন্নি মুসলিম পণ্ডিত]] [[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী ইসলামপন্থী]] [[বিষয়শ্রেণী:শাহ আহমদ শফীর শিষ্য]]