সহীহ মুসলিম
সহীহ মুসলিম (আরবি: صحيح مسلم) হাদিস বিষয়ক একটি সুপ্রসিদ্ধ গ্রন্থ। এটি কুতুব আল-সিত্তাহ অর্থাৎ হাদীস বিষয়ক প্রধান ছয়টি গ্রন্থের দ্বিতীয় গ্রন্থ।[১][২]
![]() | |
লেখক | মুসলিম বিন হাজ্জাজ |
---|---|
ধারাবাহিক | সিহাহ সিত্তাহ |
ধরন | হাদিসের সংকলন |
বর্ণনাসম্পাদনা
‘সহীহ মুসলিম’ হাদিসের অন্যতম একটি গ্রন্থের নাম। ইমাম মুসলিম বিন হাজ্জাজ ইবনে মুসলিম আল কুশাইরী হলেন এই মহান গ্রন্থের সংকলক। বর্তমান ইরানের বৃহত্তর খোরাসান প্রদেশের নিশাপুরে ২০৪ হিজরিতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যুবরণ করেন ২৬১ হিজরির ২৬ শে রজব এবং নিশাপুরেই তাকে দাফন করা হয়।
তার অন্যান্য সংকলনের মধ্যে সহীহ মুসলিম হলো সবচেয়ে প্রসিদ্ধ ও গ্রহণযোগ্য। মুসলিম হাদীস বিশারদদের সর্ব সম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোরআন মাজিদের পর পৃথিবীর বুকে বিশুদ্ধতম দ্বিতীয় গ্রন্থ হলো ‘সহীহ মুসলিম’। শক্তিশালী পরিকল্পনার পাশাপাশি অত্যন্ত যত্নের সাথে গুছিয়ে ইমাম মুসলিম তৈরি করেছেন সংকলনটি। উক্ত কর্মটি সম্পন্ন করতে তার সময় লেগেছে প্রায় পনেরো বছর। এই গ্রন্থ সংকলনে তার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও সযত্ন সুন্দর বিন্যাসকে বিবেচনা করে তার যুগের পশ্চিমা বহু মুহাদ্দিস সহীহ মুসলিমকে সহীহ বুখারী’র উপর প্রাধান্য দিয়ে তাকে ‘শ্রেষ্ঠ হাদীস গ্রন্থ’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন। তাদের অন্যতম একজন হাফিজুল হাদীস আবু আলী নায়সাবুরী বলেন: ‘আসমানের নিচে ইলমে হাদীস সংক্রান্ত ইমাম মুসলিমের কিতাব অপেক্ষা বিশুদ্ধতম কোন কিতাব নাই। হাদিসের এ গ্রন্থ সংকলনের ক্ষেত্রে ইমাম মুসলিম তার একান্ত আস্থাভাজন ছাত্রদের সহযোগিতাও নিয়েছেন। তার ছাত্র আহমদ বিন সালামা বলেন, ‘ইমাম মুসলিমের সাথে তার ‘সহীহ’ সংকলনের ক্ষেত্রে আমি পনেরো বছর কাজ করেছি,
হাদিস সংখ্যাসম্পাদনা
এতে প্রায় ১২ হাজার হাদীস রয়েছে (পুনরুক্তসহ)। পুনরাবৃত্তি বাদ দিলে হাদীসের সংখ্যা হবে প্রায় ৪০০০।’ ইমাম মুসলিম পনেরো বছর সাধনার পর তার মুখস্থ তিন লক্ষাধিক হাদীস থেকে বাছাই করে বিশুদ্ধ হাদীসের এ সংকলনটি তৈরি করেছেন।[১]
ব্যাখ্যা গ্রন্থসম্পাদনা
- ফাতহুল মুলহিম - শাব্বির আহমদ উসমানি
- তাকমিলাতু ফাতহুল মুলহিম - মুহাম্মদ তাকি উসমানি
- আল মুফহাহ- ইমাম আবুল আব্বাস আহমদ ইবনে উমার
আরও দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "Sahih Muslim (7 Vol. Set)"। 05 September 2015। ১ জুন ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০১৭।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৩০ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।