এন্ড্রু কিশোর
এন্ড্রু কিশোর কুমার বাড়ৈ (মঞ্চনাম এন্ড্রু কিশোর হিসাবেই অধিক পরিচিত; ৪ নভেম্বর ১৯৫৫ - ৬ জুলাই ২০২০) ছিলেন একজন বাংলাদেশী গায়ক।[১][৩][৪] তিনি বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের বহু চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন, যে'জন্য তিনি 'প্লেব্যাক সম্রাট' নামে পরিচিত। তার সবচেয়ে জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে "জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প", "হায়রে মানুষ রঙ্গীন ফানুস", "ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে", "আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি", "আমার বুকের মধ্যে খানে", "আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন", "ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা", "সবাই তো ভালোবাসা চায় "
এন্ড্রু কিশোর | |
---|---|
প্রাথমিক তথ্য | |
জন্মনাম | এন্ড্রু কিশোর কুমার বাড়ৈ[১] |
জন্ম | রাজশাহী, বাংলাদেশ | ৪ নভেম্বর ১৯৫৫
মৃত্যু | ৬ জুলাই ২০২০[২] | (বয়স ৬৪)
ধরন | লোকসঙ্গীত, পপ, চলচ্চিত্রের গান |
পেশা | নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী |
কার্যকাল | ১৯৭৭–২০২০ |
কিশোর ছয় বছর বয়স থেকে সঙ্গীতের তালিম নেওয়া শুরু করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তিনি রাজশাহী বেতারে নজরুল, রবীন্দ্র, লোকসঙ্গীত ও দেশাত্মবোধক গান শাখায় তালিকাভুক্ত হন। চলচ্চিত্রে তার প্রথম গান মেইল ট্রেন (১৯৭৭) চলচ্চিত্রের "অচিনপুরের রাজকুমারী নেই"। তিনি বড় ভাল লোক ছিল (১৯৮২) চলচ্চিত্রের "হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস" গানের জন্য শ্রেষ্ঠ পুরুষ কণ্ঠশিল্পী বিভাগে তার প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এরপর তিনি সারেন্ডার (১৯৮৭), ক্ষতিপূরণ (১৯৮৯), পদ্মা মেঘনা যমুনা (১৯৯১), কবুল (১৯৯৬), আজ গায়ে হলুদ (২০০০), সাজঘর (২০০৭) ও কি যাদু করিলা (২০০৮) চলচ্চিত্রের গানের জন্য আরও সাতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।[৫] এছাড়া তিনি পাঁচবার বাচসাস পুরস্কার ও দুইবার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার লাভ করেন। সঙ্গীতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক (মরণোত্তর), ২০২৪ ভূষিত করে। এছাড়াও অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেছেন এন্ড্রু কিশোর।
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনাএন্ড্রু কিশোর ১৯৫৫ সালের ৪ঠা নভেম্বর রাজশাহী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ক্ষীতিশ চন্দ্র বাড়ৈ এবং মাতা মিনু বাড়ৈ রাজশাহীর একটি হাসপাতালে চাকরি করতেন ।মায়ের কাছে পড়াশোনায় হাতেখড়ি হয়েছিল। তার শৈশব-কৈশোর ও যৌবনকাল কেটেছে রাজশাহী।[১][৩] তার মাতা ছিলেন সংগীত অনুরাগী, তার প্রিয় শিল্পী ছিলেন কিশোর কুমার। প্রিয় শিল্পীর নামানুসারে তার সন্তানের নাম রাখেন ‘কিশোর’। মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতেই তিনি সংগীতাঙ্গনেই পা রাখেন।[১][৩][৬]
এন্ড্রু কিশোর আব্দুল আজিজ বাচ্চুর অধীনে প্রাথমিকভাবে সঙ্গীত পাঠ গ্রহণ শুরু করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর কিশোর নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, আধুনিক, লোক ও দেশাত্মবোধক গান শ্রেণিতে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী ছিলেন। কিশোর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগে পড়াশোনা করেছেন।
নেপথ্য সঙ্গীত জীবন
সম্পাদনাএন্ড্রু কিশোরের চলচ্চিত্রে নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৭ সালে আলম খান সুরারোপিত মেইল ট্রেন চলচ্চিত্রের "অচিনপুরের রাজকুমারী নেই" গানের মধ্য দিয়ে।[৭] তার রেকর্ডকৃত দ্বিতীয় গান বাদল রহমান পরিচালিত এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী চলচ্চিত্রের "ধুম ধাড়াক্কা"। তবে এ জে মিন্টু পরিচালিত ১৯৭৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রতীজ্ঞা চলচ্চিত্রের "এক চোর যায় চলে" গানে প্রথম দর্শক তার গান শুনে এবং গানটি জনপ্রিয়তা লাভ করে।[৮] তিনি অন্যান্য প্লেব্যাক গান রেকর্ড করেন যেমন 'ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে', 'ভালবেসে গেলাম শুধু' এর মত জনপ্রিয় সব গান।
কিশোর চলচ্চিত্রের গানে প্রথম সম্মাননা লাভ করেন বড় ভাল লোক ছিল (১৯৮২) চলচ্চিত্রের জন্য। মহিউদ্দিন পরিচালিত এই চলচ্চিত্রে সৈয়দ শামসুল হকের গীত ও আলম খানের সুরে "হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস" গানটি জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং এই গানের জন্য তিনি প্রথমবারের মত শ্রেষ্ঠ পুরুষ কণ্ঠশিল্পী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।[৯] ১৯৮৪ সালে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের গীত ও সুরে নয়নের আলো চলচ্চিত্রের তিনটি গানে কণ্ঠ দেন, সেগুলো হল "আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি", "আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন" ও "আমার বুকের মধ্য খানে"। এটি বুলবুলের পূর্ণাঙ্গ সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে প্রথম চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রের নির্মাণব্যয় কম থাকার কারণে তিনি সৈয়দ আবদুল হাদী, রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিনদের মত বড় ও ব্যস্ত শিল্পীদের নিতে পারছিলেন না। ফলে পুরুষ কণ্ঠের জন্য এন্ড্রু কিশোর এবং নারী কণ্ঠের জন্য সামিনা চৌধুরীকে নির্বাচন করেন। তথাপি অভিনেতা জাফর ইকবালের ঠোঁটে তার তিনটি গানই বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে।[১০][৯]
১৯৮৭ সালে তিনি সারেন্ডার চলচ্চিত্রে আলম কানের সুরে তিনটি গানে কণ্ঠ দেন, সেগুলো হল "সবাইতো ভালোবাসা চায়", "গুন ভাগ করে করে", ও "ঘড়ি চলে ঠিক ঠিক"। তন্মধ্যে প্রথমোক্ত গানটি জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং এই গানের জন্য তিনি তার দ্বিতীয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।[৯] এছাড়া তিনি ক্ষতিপূরণ (১৯৮৯), পদ্মা মেঘনা যমুনা (১৯৯১), কবুল (১৯৯৬), আজ গায়ে হলুদ (২০০০), সাজঘর (২০০৭) ও কি যাদু করিলা (২০০৮) চলচ্চিত্রের গানের জন্য আরও সাতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
প্রতিষ্ঠান
সম্পাদনাএন্ড্রু কিশোর এছাড়াও একজন ব্যবসায়ী। ১৯৮৭ সালে তিনি বরাবর আহমাদ ইউসুফ, আনোয়ার হোসেন বুলু, ডলি জহুর, দিদারুল আলম বাদল, শামসুল ইসলাম নান্টু সাথে টিভি নাটক, বাণিজ্যিক এবং অন্যান্য প্রযোজনার জন্য একটি বিজ্ঞাপন প্রতিষ্ঠান 'প্রবাহ' শিরোনামে উদ্বোধন করেন।[১১]
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাএন্ড্রু কিশোর লিপিকা অ্যান্ড্রু ইতির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।[১২] তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। তাদের কন্যা মিনিম অ্যান্ড্রু সংজ্ঞা এবং পুত্র জয় অ্যান্ড্রু সপ্তক।[১৩]
মৃত্যু
সম্পাদনাকিশোর ২০২০ সালের ৬ জুলাই ৬৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। নন-হজকিন লিম্ফোমা নামক ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন তিনি সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেছিলেন। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা করেও ক্যান্সার নির্মূল হয়নি প্রখ্যাত এই সংগীতশিল্পীর। চিকিৎসক হাল ছেড়ে দেওয়ায় ক্যান্সার নিয়েই ৯ মাস পর ২০২০ সালের ১১ জুন দেশে ফেরেন তিনি। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি রাজশাহীতে ছিলেন।[১৪]
চলচ্চিত্রে নেপথ্য সঙ্গীতের তালিকা
সম্পাদনাবছর | চলচ্চিত্র | গান | টীকা |
---|---|---|---|
১৯৭৭ | মেইল ট্রেন | অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তার কেউ | প্রথম নেপথ্য |
১৯৮০ | এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী | ধুম ধাড়াক্কা | |
১৯৮২ | বড় ভাল লোক ছিল | হায়রে মানুষ রঙ্গীন ফানুস | বিজয়ী: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ পুরুষ কণ্ঠশিল্পী |
১৯৮৩ | নাজমা | চোখে চোখে রাগ ফুলের বাসর ঘর |
|
নাগ পূর্ণিমা | তুমি যেখানে আমি সেখানে | ||
১৯৮৪ | অভিযান | ||
প্রিন্সেস টিনা খান | বিজয়ী: বাচসাস পুরস্কার সেরা পুরুষ কণ্ঠশিল্পী | ||
১৯৮৫ | মা ও ছেলে | ||
১৯৮৬ | শত্রু | ||
১৯৮৭ | সারেন্ডার | সবাইতো ভালোবাসা চায় গুন ভাগ করে করে ঘড়ি চলে ঠিক ঠিক |
বিজয়ী: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ পুরুষ কণ্ঠশিল্পী |
লালু মাস্তান | শুন্য এই হাতে হার রেখে | ||
দায়ী কে? | এত সুখ সইবো কি করে তুমি ছিলে মেঘে ঢাকা চাঁদ ও প্রেমের মাস্টারজি |
||
সহযাত্রী | পৃথিবীর যত সুখ আমি তোমার ছুঁয়াতে খুঁজে পেয়েছি | ||
স্বামী স্ত্রী | বিজয়ী: বাচসাস পুরস্কার সেরা পুরুষ কণ্ঠশিল্পী | ||
হারানো সুর | |||
১৯৮৮ | দুই জীবন | আমি একদিন তোমায় না দেখিলে তুমি আজ কথা দিয়েছো |
|
যোগাযোগ | |||
আগমন | |||
বীর পুরুষ | |||
১৯৮৯ | বেদের মেয়ে জোসনা | বেদের মেয়ে জোসনা আমায় কথা দিয়েছে | |
ব্যথার দান | |||
ক্ষতিপূরন | আমি পথ চলি একা এই দুটি ছোট্ট হাতে |
বিজয়ী: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ পুরুষ কণ্ঠশিল্পী | |
ভাইজান | আমি যে তোর প্রিয়তমা | ||
অবুঝ হৃদয় | তুমি আমার জীবন আমি তোমার জীবন | ||
রাঙ্গা ভাবী | |||
সত্য মিথ্যা | |||
বজ্রমুষ্টি | |||
১৯৯০ | দোলনা | তুমি আমার কত চেনা বোবার শত্রু নাই |
|
মরণের পরে | পৃথিবীতো দুদিনরি বাসা | ||
১৯৯১ | পদ্মা মেঘনা যমুনা | দুঃখ বিনা হয় না সাধনা | বিজয়ী: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ পুরুষ কণ্ঠশিল্পী |
পিতা মাতা সন্তান | তুমি আরও কাছে আসিয়া | ||
অচেনা | আর যাবনা আমেরিকা আমি ড্রাইভার ভালো |
||
সান্ত্বনা | জীবন যেন শুরু হলো আবার | ||
১৯৯২ | দাঙ্গা | শুধু তুমি শুধু তুমি | |
শঙ্খনীল কারাগার | |||
অন্ধ বিশ্বাস | টাকার এই দুনিয়ায় | ||
১৯৯৩ | অবুঝ সন্তান | ||
১৯৯৪ | অন্তরে অন্তরে | এখানে দুজনে নিরজনে ভালবাসিয়া গেলাম ফাসিয়া |
|
সুজন সখি | সব সখিরে পাড় করিতে | ||
ঘৃণা | কেঁদোনা ব্যথা পেলে টুপটুপ বৃষ্টি ঝরছে |
||
কমান্ডার | বাজলো সানাই বাজলো বিয়ে বাড়িতে
রূপসী বাংলার এক রূপসী মেয়ে |
||
প্রেম যুদ্ধ | |||
ডন | |||
১৯৯৫ | বাবার আদেশ | ||
দেনমোহর | আমি তোমার প্রেমে পাগল | ||
কন্যাদান | |||
আঞ্জুমান | |||
মহামিলন | |||
স্বপ্নের ঠিকানা | ও সাথীরে যেও না কখনো দূরে | ||
আশা ভালোবাসা | |||
১৯৯৬ | এই ঘর এই সংসার | আমাদের ছোট যদি চলে | |
মায়ের অধিকার | তুমি একটা চোর আমি একটা চোর
পিঁপড়া খাইলো বড়োলোকের ধন |
||
প্রিয়জন | এ জীবনে যারে চেয়েছি | ||
তোমাকে চাই | তোমাকে চাই ভালো আছি ভালো থেকো |
||
জীবন সংসার | |||
কবুল | এসো একবার দুজনে আবার তুমি আছ হৃদয়ের আঙ্গিনায় |
বিজয়ী: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ পুরুষ কণ্ঠশিল্পী | |
হৃদয়ের আয়না | তুমি চাঁদের জোসনা নউ
কেন আঁখি ছল ছল |
||
সত্যের মৃত্যু নাই | হৃদয়ের কাছে থেকো | ||
দুর্জয় | |||
বশিরা | |||
১৯৯৭ | আনন্দ অশ্রু | তুমি মোর জীবনের ভাবনা | |
প্রেম পিয়াসী | |||
স্বপ্নের নায়ক | একটা মন চাই | ||
কুলি | আকাশেতে লক্ষ তারা চাঁদ কিন্তু একটারে | ||
১৯৯৮ | ভণ্ড | ও সাথীরে আমার জীবন শুধু তুমি | |
মনের মত মন | |||
১৯৯৯ | কে আমার বাবা | ||
অনন্ত ভালোবাসা | এইযে দুনিয়াতে কত মানুষ আসে
তোমার ওই মিষ্টি হাসি |
||
লাঠি | |||
২০০০ | আজ গায়ে হলুদ | চোখ যে মনের কথা বলে | বিজয়ী: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ পুরুষ কণ্ঠশিল্পী |
ঝড় | |||
গুন্ডা নাম্বার ওয়ান | |||
বিয়ের ফুল | তোমায় দেখলে মনে হয়
ওই চাঁদ মুখে যেন |
||
২০০১ | শ্বশুরবাড়ী জিন্দাবাদ | শ্বশুরবাড়ী জিন্দাবাদ | |
স্বপ্নের বাসর | কিছু কিছু মানুষের জীবনে | ||
রংবাজ বাদশাহ | |||
প্রেমের তাজমহল | ও পিয়া পিয়ারে | বিজয়ী: বাচসাস পুরস্কার সেরা পুরুষ কণ্ঠশিল্পী | |
২০০২ | মেজর সাহেব | ||
মাস্তানের উপর মাস্তান | |||
ওদের ধর | |||
২০০৩ | চন্দ্রকথা | ||
২০০৫ | হাজার বছর ধরে | ||
২০০৬ | হৃদয়ের কথা | ||
পিতার আসন | প্রাণের চেয়ে পিয়ো তুমি বন্ধু আমার | ||
বিদ্রোহী পদ্মা | |||
২০০৭ | আমার প্রাণের স্বামী | ||
ডাক্তার বাড়ী | |||
বউয়ের জ্বালা | |||
সাজঘর | বিজয়ী: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ পুরুষ কণ্ঠশিল্পী | ||
ময়দান | |||
শত্রু শত্রু খেলা | |||
আমি বাচতে চাই | |||
২০০৮ | ১ টাকার বউ | ও লিটল ফ্রেন্ড | |
কি যাদু করিলা | কি যাদু করিলা | বিজয়ী: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ পুরুষ কণ্ঠশিল্পী[১৫] | |
ভালবাসার দুশমন | |||
টিপটিপ বৃষ্টি | |||
মায়ের স্বপ্ন | |||
যদি বউ সাজ গো | যদি বৌ সাজ গো বুকে জড়াবো তোমায় | ||
স্বামী নিয়ে যুদ্ধ | |||
বধূবরণ | |||
সমাধি | |||
মনে প্রাণে আছ তুমি | এক বিন্দু ভালবাসা দাও | বিজয়ী: বাচসাস পুরস্কার সেরা পুরুষ কণ্ঠশিল্পী[১৬] | |
তুমি আমার প্রেম | |||
আমার জান আমার প্রাণ | আমি যে নম্বর ওয়ান
ইচ্ছে করে ভালোবাসি শত বছর আগে তোমারি ছিলাম |
||
বাবা আমার বাবা | |||
তুমি স্বপ্ন তুমি সাধনা | |||
তোমাকেই খুজছি | |||
রাজধানীর রাজা | |||
২০০৯ | স্বামী স্ত্রীর ওয়াদা | ||
আমার প্রাণের প্রিয়া | তুমি আমার প্রাণের পিয়া | ||
মন দিয়েছি তোমাকে | |||
প্রেম কয়েদী | |||
সবাইতো ভালোবাসা চায় | |||
মায়ের হাতে বেহেস্তের চাবি | সবাইরে সব দান করিয়া আমারে মা করলো দান | ||
কাজের মানুষ | আমি কাজের মানুষ ভাই | ||
এবাদত | |||
তুমি আমার স্বামী | |||
মন বসে না পড়ার টেবিলে | আকাশ কান্দিলে বৃষ্টি পরে | ||
ও সাথী রে | |||
বিয়ে বাড়ী | |||
তুমি কি সেই | |||
জন্ম তোমার জন্য | |||
বন্ধু মায়া লাগাইছে | |||
২০১০ | আমার স্বপ্ন আমার সংসার | ||
বাজাও বিয়ের বাজনা | |||
টপ হিরো | |||
গোলাপী এখন বিলেতে | কেন লোকে ভালোবাসা চায় | বিজয়ী: বাচসাস পুরস্কার সেরা পুরুষ কণ্ঠশিল্পী[১৭] | |
এক জবান | |||
ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না | যদি প্রশ্ন করো কি আছে আমার | ||
মায়ের চোখ | |||
হায় প্রেম হায় ভালোবাসা | |||
জমিদার | |||
প্রেমিক পুরুষ | |||
২০১১ | মাটির ঠিকানা | ||
অস্ত্র ছাড় কলম ধর | |||
আমার পৃথিবী তুমি | |||
গার্মেন্টস কন্যা | |||
ওয়ান্টেড | |||
২০১২ | সে আমার মন কেড়েছে | ||
স্বামী ভাগ্য | |||
২০১৩ | একই বৃত্তে | ||
জজ ব্যারিস্টার পুলিশ কমিশনার | |||
আত্মঘাতক | |||
প্রেমিক নাম্বার ওয়ান | |||
২০১৪ | শবনম | ||
সীমারেখা | |||
হরিজন | |||
কঠিন প্রতিশোধ | বাবা যে আমার | ||
সেরা নায়ক | |||
২০১৫ | পুত্র এখন পয়সাওয়ালা | ||
আই লাভ ইউ প্রিয়া | |||
ভালোবাসা সীমাহীন | |||
কমিশনার | |||
লালচর | |||
একাত্তরের মা জননী | একটি স্বাধীন দেশ[১৮] | ||
হৃদয় দোলানো প্রেম | |||
২০১৬ | রাজা ৪২০ | ||
ভালোবাসাপুর | তোমার অধরে, তোমার আঙিনাতে[১৯] | ||
সোনার কাঠি[২০] | ভালবাসি আয় শখী[২১] |
একক সঙ্গীত
সম্পাদনাবছর | গান | গীতিকার | সঙ্গীত পরিচালক | টীকা |
---|---|---|---|---|
২০০৭ | শহীদ মিনার ভরে গেছে ফুলে ফুলে | মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান | সমর দাস | একুশের গান |
২০১২ | পলাশের দিনে পলাশ হয়েই ঘরে ফিরেছিলো | মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান | ফরিদ আহমেদ | একুশের গান[২২] |
পুরস্কার ও মনোনয়ন
সম্পাদনাপুরস্কার | বছর | পুরস্কারের বিভাগ | মনোনীত চলচ্চিত্র/গান | ফলাফল |
---|---|---|---|---|
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার | ১৯৮২ | শ্রেষ্ঠ পুরুষ কণ্ঠশিল্পী | বড় ভাল লোক ছিল | বিজয়ী |
১৯৮৭ | সারেন্ডার | বিজয়ী | ||
১৯৮৯ | ক্ষতিপূরণ | বিজয়ী | ||
১৯৯১ | পদ্মা মেঘনা যমুনা | বিজয়ী | ||
১৯৯৬ | কবুল | বিজয়ী | ||
২০০০ | আজ গায়ে হলুদ | বিজয়ী | ||
২০০৭ | সাজঘর | বিজয়ী | ||
২০০৮ | কি যাদু করিলা | বিজয়ী | ||
বাচসাস পুরস্কার | ১৯৮৪ | সেরা পুরুষ কণ্ঠশিল্পী | প্রিন্সেস টিনা খান | বিজয়ী |
১৯৮৭ | স্বামী স্ত্রী | বিজয়ী | ||
২০০১ | প্রেমের তাজমহল | বিজয়ী | ||
২০০৮ | মনে প্রাণে আছ তুমি | বিজয়ী | ||
২০১০ | গোলাপী এখন বিলেতে | বিজয়ী | ||
মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার | ১৯৯৮ | শ্রেষ্ঠ গায়ক | বিজয়ী | |
১৯৯৯ | "পদ্ম পাতার পানি" | বিজয়ী |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ "যেভাবে বাবা-মায়ের দেয়া নাম কেটে তিনি হলেন এন্ড্রু কিশোর"। জাগো নিউজ। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০২০।
- ↑ "এন্ড্রু কিশোর আর নেই"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-০৬।
- ↑ ক খ গ "বাবা-মায়ের দেওয়া নাম কেটে যেভাবে হলেন এন্ড্রু কিশোর"। somoynews.tv (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০২০।
- ↑ "পুরনো গান নিয়ে এন্ড্রু কিশোর"। ঢাকা, বাংলাদেশ: দৈনিক যায় যায় দিন। ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১৬।
- ↑ "সম্পর্কের তিন যুগে গুরু-শিষ্য"। ঢাকা, বাংলাদেশ: দৈনিক যুগান্তর। ১৪ নভেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১৬।
- ↑ "যেভাবে বাবা-মায়ের দেয়া নাম কেটে তিনি হলেন এন্ড্রু কিশোর"। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০২০।
- ↑ "চলচ্চিত্রের গানে এন্ড্রু কিশোর-কোনাল"। ঢাকা, বাংলাদেশ: দৈনিক প্রথম আলো। ৩১ আগস্ট ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১৬।
- ↑ "গুরু-শিষ্যের অন্যরকম আড্ডা"। ঢাকা, বাংলাদেশ: দৈনিক মানবজমিন। ১৪ নভেম্বর ২০১৪। ১ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১৬।
- ↑ ক খ গ "এন্ড্রু কিশোরের জনপ্রিয় ১০ গান"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ৬ জুলাই ২০২০। ৮ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০২০।
- ↑ "ভালোবাসার ১০টি চলচ্চিত্রের গান"। দৈনিক প্রথম আলো। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১১। ২০১৭-০৭-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০২০।
- ↑ দীপিতা, নভেরা (২০০৫-০৯-০৯)। "Andrew Kishore - The regaling voice"। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১২-২৫।
- ↑ "Golden voice goes silent"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ৭ জুলাই ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০২০।
- ↑ "ছোটবেলার বড়দিনের কথা এখনো মনে হয়"। দৈনিক প্রথম আলো। ২৫ ডিসেম্বর ২০১২। ২০১৮-১০-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০১-১২।
- ↑ "চলেই গেলেন কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোর"। বাংলা ট্রিবিউন। ২০২০-০৭-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-০৬।
- ↑ "২০০৮ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘোষণা"। ঢাকা, বাংলাদেশ: দৈনিক ডেসটিনি। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১০। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১৬।
- ↑ "জমজমাট বাচসাস সন্ধ্যা"। ঢাকা, বাংলাদেশ: দৈনিক সমকাল।
- ↑ "পাঁচ বছরের বাচসাস পুরস্কার পাচ্ছেন যারা"। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলানিউজ। ২৬ ডিসেম্বর ২০১৪। ১৩ মে ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১৬।
- ↑ "এন্ড্রু কিশোরের দেশের গান"। ঢাকা, বাংলাদেশ: দৈনিক সমকাল। ১০ নভেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১৬।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "প্লেব্যাকে এন্ড্রু কিশোর ও কোনাল"। ঢাকা, বাংলাদেশ: দৈনিক সমকাল। ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১৬।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "দীর্ঘদিন পর প্লেব্যাকে এন্ড্রু কিশোর"। ঢাকা, বাংলাদেশ: দৈনিক ইত্তেফাক। ২৪ জানুয়ারি ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১৬।
- ↑ "অতনু তিয়াসের কথা ও সুরে গাইলেন এন্ড্রু কিশোর"। ঢাকা, বাংলাদেশ: দৈনিক যুগান্তর। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। ১৭ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১৬।
- ↑ "এন্ড্রু কিশোরের কণ্ঠে আবার একুশের গান"। ঢাকা, বাংলাদেশ: প্রিয় নিউজ। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১৬।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে এন্ড্রু কিশোর (ইংরেজি)
- বাংলা মুভি ডেটাবেজে এন্ড্রু কিশোর